hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৮৮
মুনাফিকী স্বভাব মানুষের সৎ আমল নষ্ট করে দেয়
মুনাফিকের চরিত্রে ৪ ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন :

১. সে যখন কথা বলে তখন মিথ্যা কথা বলে।

২. সে যখন প্রতিশ্রুতি দেয় তখন তা ভঙ্গ করে।

৩. তার নিকট যখন কোন জিনিস আমানত রাখা হয় তখন সে তার খিয়ানত করে।

৪. যখন একে অপরে ঝগড়া লাগে তখন সে গালাগালি করে।

যারা মুসলিম নাম ধারণ করে মুনাফিকের মত আচরণ করে তারা কাফির হতেও খারাপ। তারা যে কোন সময় মানুষকে যে কোন ফাঁদে ফেলতে পারে। তারা কথা বলার সময় ভাল কথা বলে আর আচরণ করার সময় খারাপ আচরণ করে। এ জন্যই কুরআনে বলা হয়েছে :

“মুনাফিকের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্নস্তরে।” (সূরা আন নিসা : ১৪৫)

মুনাফিকদের প্রথম বৈশিষ্ট্য হল মিথ্যা কথা বলা। তারা যে কোন সময় যে কোন ধরনের সত্য গোপন করতে দ্বিধা করে না। বিপদে পড়লে তারা মিথ্যা বলতে পারে। আর আমাদের সমাজে এ ধরনের লোকের কোন অভাব নেই। অসংখ্য লোক রয়েছে যারা স্বার্থের কারণে সকাল-বিকাল মিথ্যা কথা বলছে। মানুষ যখন একবার মিথ্যা কথা বলে তখন সে সহজে মিথ্যা ছাড়তে পারে না। সে মিথ্যা কথা ছাড়তে চায় কিন্তু মিথ্যা তাকে ছাড়তে চায় না। আর আমাদের সমাজের অধিকাংশ লোকই হল লোভী। আর লোভের কারণেই মানুষ বেশী মিথ্যা কথা বলে থাকে। এ জন্য বলা হয়, মিথ্যা সকল পাপের মূল’। মিথ্যা হতে দূরে থাকার জন্য আল্লাহ বলেন :

“তোমরা প্রতিমাদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক।” (সূরা হাজ্জ : ৩০)

নবী (ﷺ) বলেন : ঐ ব্যক্তির জন্য কঠোর শাস্তি যে শুধু মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা কথা বলে। (আবু দাউদ)

প্রত্যেক মানুষকে অবশ্যই ঈমান নিয়ে চলতে হলে মিথ্যা ত্যাগ করতে হবে। কারণ মিথ্যা যদি সে ত্যাগ করতে পারে তাহলে তার মধ্যে হিংসা, লোভ, অহংকার, চুগোলখোরী, রিয়া ইত্যাদি থাকবে না।

মুনাফিকের ২য় বৈশিষ্ট্য হল, সে যখন প্রতিশ্রুতি প্রদান করে তখন তা ভঙ্গ করে। মুনাফিকরা ওয়াদা পালনে সচেতন নয়। কিন্তু কুরআন ও হাদীসে ওয়াদার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। “হে ঈমানদারগণ, তোমরা চুক্তিসমূহ পূরণ কর।” (সূরা আল মায়িদা : ১)

নবী (ﷺ) বলেন, “মুমিনদের ওয়াদা ঋণ স্বরূপ, প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর পর ওয়াদার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে।

“তোমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলবে, কারণ প্রতিশ্রুতি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (সূরা বনী ইসরাইল-৩৪)

যারা ওয়াদা পালন করে না তাদের সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে : “হে মুমিনগণ, তোমরা যা পালন কর না এমন কথা বল কেন?” (সুরা সফ-২)

ওয়াদা ভঙ্গ করা জঘন্যতম অপরাধ। এ বিষয়ে নবী (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ওয়াদা পালন করে না, তার দ্বীন নেই’, আর মুনাফিকের এটা হল একটা লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্য। মুনাফিকের ৩নং বৈশিষ্ট্য হল সে খিয়ানতকারী, অর্থাৎ তার কাছে কোন কিছু জমা রাখলে সে সেই গচ্ছিত দ্রব্য আত্মসাৎ করে থাকে। আর যে খিয়ানত করে থাকে তাকে বলা হয় আত্মসাৎকারী। যে ব্যক্তি খিয়ানত করে তাকে কেউ ভালোবাসে না। সবাই তাকে ঘৃণা করে থাকে এবং আল্লাহ তা'আলাও তাকে ঘৃণা করে থাকেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন