hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১২৮
সপ্তম অধ্যায় : সুদ বা রিবার উপর কিছু কথা সুদ সম্পর্কে কুরআনের নির্দেশ
“যারা সুদ খায় তারা (মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না, (দাঁড়ালেও) তার দাঁড়ানো হবে সে ব্যক্তির মতো, যাকে শয়তান নিজস্ব পরশ দিয়ে দুনিয়ার লোভ লালসায়) মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে; এটা এ কারণে, যেহেতু এরা বলে, ব্যবসা-বাণিজ্য তো সুদের মতোই। অথচ আল্লাহ তা'আলা ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন, তাই তোমাদের যার যার কাছে তার মালিকের পক্ষ থেকে (সুদ সংক্রান্ত) এ উপদেশ পৌছেছে, সে অতঃপর সুদের কারবার থেকে বিরত থাকবে, আগে (এ আদেশ আসা পর্যন্ত) যে সুদ সে খেয়েছে তা তো তার জন্যে অতিবাহিত হয়েই গেছে, তার ব্যাপার একান্তই আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তের উপর; কিন্তু এরপর) যে ব্যক্তি (আবার সুদী কারবারে) ফিরে আসবে, তারা অবশ্যই জাহান্নামের অধিবাসী হবে, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।” (সূরা বাকারা : ২৭৫)

“আল্লাহ তাআলা সুদ নিশ্চিহ্ন করেন, (অপর দিকে) দান সদকা (-র পবিত্র কাজ)-কে তিনি (উত্তরোত্তর) বৃদ্ধি করেন; আল্লাহ তা'আলা (তাঁর নিয়ামতের প্রতি) অকৃতজ্ঞ পাপিষ্ঠ ব্যক্তিদের কখনো পছন্দ করেন না।” (সূরা বাকারা : ২৭৬)

“হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা (সুদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, আগের (সুদী কারবারের) যেসব বকেয়া আছে তোমরা তা ছেড়ে দাও, যদি সত্যিই তোমরা আল্লাহর উপর ঈমান আনো।” (সূরা বাকারা : ২৭৮)

“যদি তোমরা এমনটি না করো, তাহলে অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে (তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের (ঘোষণা থাকবে), আর যদি (এখনো) তোমরা (আল্লাহর দিকে) ফিরে আসো তাহলে তোমরা তোমাদের মূলধন ফিরে পাবার অধিকারী হবে, (সুদী কারবার দ্বারা) অন্যের উপর যুলুম করো না, তোমাদের উপরও অতঃপর (সুদের) যুলুম করা হবে না।” (সূরা বাকারা : ২৭৯)

“হে ঐসব লোক, যারা ঈমান এনেছ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আল্লাহকে ভয় কর। আশা করা যায়, তোমরা সফলতা লাভ করবে।” (সূরা আলে ইমরান : ১৩০)

“এবং তারা নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সুদ গ্রহণ করত এবং তারা অন্যায়ভাবে লোকদের ধনসম্পদ গ্রাস করত এবং আমি তাদের মধ্যস্থ অবিশ্বাসীদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।” (সূরা নিসা : ১৬১)

“মানুষের ধন-সম্পদে তোমাদের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, এ আশায় যা কিছু তোমরা সুদে দিয়ে থাক; আল্লাহর কাছে তা বর্ধিত হয় না। পক্ষান্তরে, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পবিত্র অন্তরে যারা দিয়ে থাকে, অতএব, তারাই দ্বিগুণ লাভ করে।” (সূরা রুম : ৩৯)

“হে নবী! তাদের বল, আমার আল্লাহ যেসব জিনিস হারাম করেছেন তাতো এই নির্লজ্জতার কাজ প্রকাশ্য বা গোপনীয় এবং গুনাহের কাজ ও সত্যের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি।” (সূরা আ'রাফ : ৩৩)

সুদের প্রথম আয়াত নাযিল হয় মক্কী যুগে ৬১৫ খ্রীষ্টাব্দে।

সুদের দ্বিতীয় আয়াত নাযিল হয় মদীনার যুগে হিজরী চতুর্থ সনে।

সুদের তৃতীয় আয়াত নাযিল হয় মদীনার যুগে উহুদ যুদ্ধের পরে।

সুদের চতুর্থ বা শেষ আয়াত নাযিল হয় মক্কা বিজয়ের পরে।

সুদ সম্পর্কে রসূল (ﷺ)-এর নির্দেশ

১. ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই আল্লাহর নবী (ﷺ) সুদখোর, সুদ প্রদানকারী, সুদী কারবারের সাক্ষী এবং সুদ চুক্তি লিখককে অভিশাপ দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

২. যে ব্যক্তি জেনে শুনে সুদের একটি টাকা খায়, তার এই অপরাধ ছত্রিশ বার ব্যভিচারের চাইতেও অনেক কঠিন। (আহমদ, বায়হাকী)

৩. সুদের তিয়াত্তরটি দরজা। তন্মধ্যে সহজতর দরজার দৃষ্টান্ত হচ্ছে, যে কোন ব্যক্তি তার মাকে বিয়ে করল। আর সর্বোচ্চ সুদের কাজটি হচ্ছে মুসলিম ব্যক্তির সম্মান ও ধন মাল হরণ। (ইবনে মাজাহ, বায়হাকী)

৪. জাহিলিয়াতের সুদী কারবার রহিত করা হল। আর সর্বপ্রথম আমি রহিত করছি আমাদের নিজেদের অর্থাৎ আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সুদী কারবার, তা সম্পূর্ণ রহিত হয়ে গেল। (বিদায় হজ্জের ভাষণ)

৫. আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, মিরাজের রাতে আমি এমন কতগুলো লোকের পাশ দিয়ে এসেছিলাম, যাদের পেট ছিল একটি বিশাল ঘরের মতো, আর সে পেটগুলো ছিল সাপে ভরপুর, যা বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। অতঃপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিব্রাইল (আলাইহিস সালাম) এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হলো সুদখোর। (আহমাদ, ইবনে মাজাহ)

৬. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) রসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি এরশাদ করেছেন ও সুদের অর্থ জমা করার পরিণাম হয় অস্বচ্ছলতা। অন্য একটি বর্ণনার ভাষা এরূপ : সুদের অর্থ যতোই অধিক হোক না কেন, অবশেষে তার পরিণতি হয় অস্বচ্ছলতা। (ইবনে মাজাহ ও হাকিম)

বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মানবতাবোধ প্রতিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) ৪০ টিরও অধিক হাদীস দ্বারা সুদ নিষিদ্ধ করেছেন। সুতরাং এখানে অবশ্যই বুঝতে হবে এটি কতটা মানবতা বিরোধী একটি জঘন্যতম কাজ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন