hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৫৫
স্বামীর আনুগত্য
বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর স্বামী যেমনই হোক না কেন তা মেনে নেয়া উচিত, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত, এমন কেন? ওমন কেন? এগুলো আর এখন দেখার সময় নেই, যা দেখার এবং খোজ নেয়ার তা বিয়ের আগেই নেয়া উচিত। আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া জানানো উচিত। আল্লাহ তাআলা যা করেন, তা বান্দার মঙ্গলের জন্যই করেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন :

“তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।” (সূরা বাকারা : ১৮৭)

বাসর রাতে সুখী পারিবারিক জীবনের জন্য মহান আল্লাহর নিকট দু’আ করা উচিত। আল্লাহ যেন আমাদেরকে দাম্পত্য-জীবনে সুখী করেন। কেন মানবো তাকে? কেন শুনবো তার কথা? কেন করবো তার আনুগত্য? সে কে আমার? এগুলো না বলে বৈধ বিষয়ে তার অনুসরণ করাই হচেছ শান্তি। আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন :

“নারীদের তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের। কিন্তু নারীদের উপর পুরুষদের কিছুটা মর্যাদা আছে। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়”। (সূরা বাকারা : ২২৮)

রসূল (ﷺ) বলেছেন তোমরা তিনজন কোথাও গেলে একজনকে নেতা বানিয়ে নাও। স্কুল-কলেজ, অফিসে হেড আছেন, যাকে মানতে হয়। যে শহরে ট্রাফিক আইন মানা হয় না, সেখানে দুর্ঘটনা ঘটে বেশী। অনুরূপ সংসারের কর্তা হল স্বামী। সংসারের ঐ আইন না মানলে সংঘাত সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। স্বামীর কর্তা হওয়ার কয়েকটি প্রাকৃতিক কারণ হল :

১. স্ত্রী সাধারণতঃ বয়সে ছোট হয়। মা-বাবার আদেশ/উপদেশ যেমন মানতে হয়, তেমনি স্বামীর আদেশ/উপদেশ মানতে হয়। এতেই রয়েছে স্ত্রীর পরম আনন্দ।

২. পুরুষরা সাধারণতঃ মহিলাদের তুলনায় বেশী জ্ঞানী হয়ে থাকে।

৩. মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের বেশী ঘরের বাইরে বিচরণ করতে হয় আর এতে বাস্তব অভিজ্ঞতা বেশী হয়।

৪. নারীর তুলনায় পুরুষরা ভারি কাজ করতে পারে।

৫. পুরুষরা নারীর তুলনায় অধিক রিস্ক নিতে পারে।

৬. পুরুষদের ধৈর্য বেশী থাকে।

৭. পরপুরুষের কাছে নারীর সৌন্দর্য ও কমনীয়তা নারীর শত্র, পুরুষের তা নয়।

৮. নারীর ভরণ-পোষণ-এর দায়দায়িত্ব পুরুষের।

৯. বিয়ের পর স্ত্রী স্বামীর বাড়ি চলে আসেন, স্বামী স্ত্রীর বাড়িতে বসবাসের জন্য যান না।

১০. শারীরিকভাবে নারী দুর্বল হয়।

১১. নারীর সিকিউরিটি হচ্ছে পুরুষ।

১২. যুদ্ধ সাধারণতঃ পুরুষরাই করে থাকে।

“পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের একজনকে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ তাদের জন্য ধন ব্যয় করে।” (সূরা নিসা : ৩৪)

মোট কথা আদর্শ স্ত্রী স্বামীর আদেশ পালনকারিণী ও অনুগতা হবে। পুরুষ নারীদের দায়িত্বশীল এটি শরীয়ত দ্বারা প্রমাণিত।

যেমনঃ

কোথাও বাইরে গেলে উভয়ের মধ্যে স্বামীই হবে নেতা অর্থাৎ টিম লিডার।

পারিবারিক জামাতের সলাতে স্ত্রী কুরআনে হাফিয হলেও সলাতের ইমামতি করবেন স্বামী।

মসজিদের সলাতেও সবসময় পুরুষ এবং মহিলা মুকতাদিদের সলাতের ইমামতি করবেন পুরুষ।

কোথাও সাক্ষী প্রয়োজন হলে একজন পুরুষের প্রয়োজন হয় কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে প্রয়োজন দুজন। সংসারের আয়-রোজগারের দায়দায়িত্ব স্বামীর, স্ত্রীর নয়।

কোথাও ভ্রমণে যেতে হলে অথবা হাজ্জে যেতে হলে স্ত্রীর সাথে স্বামী বা অন্য মাহরম পুরুষ সাথে যেতে হবে, একা যেতে পারবেন না।

নারী দলের নেত্রী হতে পারবেন না বা রাষ্ট্র প্রধান হতে পারবেন না।

একজন পুরুষ ন্যায়সঙ্গতভাবে একই সময়ে ৪টি পর্যন্ত স্ত্রী রাখতে পারেন কিন্তু একজন নারী একই সময়ে একজনের বেশী স্বামী রাখতে পারেন না।

বিয়েতে স্বামী স্ত্রীকে মহরানা দিবেন, স্ত্রী দিবেন না।

নবী (ﷺ) বলেন, মহিলা যখন তার পাঁচ ওয়াক্তের সলাত আদায় করে, রমাদানের সিয়াম পালন করে, নিজের ইজ্জতের হিফাযত করে এবং স্বামীর কথা মত চলে, তখন জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে। (আহমাদ)

এক মহিলা নবী (ﷺ) -এর নিকট কোন প্রয়োজনে এলে তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার কি স্বামী আছে?' মহিলাটি বলল,’জী হঁ্যা।’ তিনি বললেন,’তার কাছে তোমার অবস্থান কি? সে বলল,’যথাসাধ্য আমি তার সেবা করি। তিনি বললেন, “খেয়াল করো, তার কাছে তোমার অবস্থান কোথায়। যেহেতু সে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম।’ (আহমাদ, নাসাঈ, বায়হাকী)

নবী (ﷺ) বলেছেন : আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। (আমি দেখি), তার অধিবাসীদের বেশীরভাগই নারীজাতি; (কারণ) তারা কুফরী করে। জিজ্ঞেস করা হল, তারা কি আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে? তিনি বললেন : “তারা স্বামীর অবাধ্য হয় এবং অকৃতজ্ঞ হয়। তুমি যদি দীর্ঘদিন তাদের কারো প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখতে পেলেই বলে ফেলে,’আমি কক্ষণো তোমার নিকট হতে ভাল ব্যবহার পাইনি। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, আহমাদ)

যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে তার জন্য তিনদিনের বেশী কোন মৃতের উপর শোকপালন করা বৈধ নয়, কেবল স্বামী ছাড়া। সে ক্ষেত্রে সে ৪ মাস ১০ দিন শোকপালন করবে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

“তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তাদের স্ত্রীগণ চার মাস দশ দিন অপেক্ষা করবে।” (সূরা বাকারা : ২৩৪)

কৃাইস বিন সাদ নবী (ﷺ) -কে বললেন, ইরাকের] ইরাহ শহরে গিয়ে দেখলাম, সেখানকার লোকেরা তাদের প্রাদেশিক শাসককে সিজদা করছে। আপনি আল্লাহর রসূল (ﷺ) আপনি সিজদার বেশী যোগ্য। এ কথা শুনে তিনি বললেন, “আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদা করার আদেশ করতাম, তাহলে স্ত্রীদেরকে আদেশ করতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদেরকে সিজদা করে। যেহেতু আল্লাহ তাদের উপর তাদের স্বামীদের বহু হক নির্ধারিত করেছেন। (আবু দাউদ)

স্বামীকে না মানলে স্ত্রীর সলাত কবুল হয় না

মহানবী (ﷺ) বলেন, তিন ব্যক্তির সলাত তাদের কান অতিক্রম করে না; পলাতক ক্রীতদাস, যতক্ষণ না সে ফিরে এসেছে, এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করেছে, যতক্ষণ না সে রাজী হয়েছে, অথবা যে স্ত্রী তার স্বামীর অবাধাচারণ করেছে, সে তার বাধ্য না হওয়া পর্যন্ত] এবং সেই সম্প্রদায়ের ইমাম, যাকে লোকে অপছন্দ করে।’ (তিরমিযী, ত্বাবারানী)

তবে আনুগত্য হবে বৈধ বিষয়ে, হারাম বিষয়ে নয়। স্বামী পর্দা করতে নিষেধ করলে, সলাত-সিয়াম করতে নিষেধ করলে, তা মানা যাবে না। যেহেতু’স্রষ্টার অবাধ্যতা করে কোন সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়। (আহমাদ)

কিন্তু অনেকে আছে, যারা তাদের স্বামীর স্বামীত্বকে না মেনে নিজেদের’আমিত্বকে মেনে থাকেন। স্বামীর কথা নেন না, তাকে পরোয়া করেন না, তার কথার কোন দাম দেন না। বরং অনেক ক্ষেত্রে তার উল্টা চলেন। এটা যেন তাদের প্রকৃতি। তাই মহানবী (ﷺ) বলেছেন, তোমরা নারীদের জন্য হিতাকাঙ্খী হও। কারণ, নারী জাতি পাঁজরের বাঁকা হাড় হতে সৃষ্ট। সুতরাং তাদের প্রকৃতিই বাঁকা] অতএব তুমি সোজা করতে গেলে হয়তো তা ভেঙ্গেই ফেলবে। আর নিজের অবস্থায় উপেক্ষা করলে তা বাঁকা থেকেই যাবে। অতএব তাদের জন্য মঙ্গলকামী হও। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

নবী (ﷺ) বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রী হল সে, যার দিকে তার স্বামী তাকালে তাকে খুশি করে দেয়, যাকে কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং সে তার নিজের ব্যাপারে এবং স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে কোন অপছন্দনীয় বিরুদ্ধাচরণ করে। (আহমাদ, নাসাঈ)

অনেক মহিলা মৌখিকভাবে স্বামীর প্রশংসা করেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার অবাধ্যতা করেন। আর মুখের প্রশংসা কোন কাজের নয়। যেহেতু ঈমানের মত ভালোবাসা তিনটি কর্মের সমষ্টির নাম; হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং কাজে পরিণত করা।

স্ত্রীর জন্য সতর্কতা : নিজের স্বামীর সাথে অন্যের স্বামীর তুলনা করা উচিত না। ওমুকের স্বামীর এই গুণ, ঐ গুণ, এতো ভাল, এতো ভাল ইত্যাদি ইত্যাদি বলে স্বামীকে খোটা দেয়া ঠিক নয় বরং এতে নিজের মনে অতৃপ্তি সৃষ্টি হয় এবং সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। অন্যের স্বামী হাজার গুণে ভাল হোক সেগুলোর দিকে কোন স্ত্রীর তাকানো ঠিক নয়। মনে করতে হবে আমার স্বামীই সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ।

স্বামীর জন্য সতর্কতাঃ একইভাবে নিজের স্ত্রীর সাথে অন্যের স্ত্রীর তুলনা করা উচিত নয়। স্বামীর তো অন্যের স্ত্রীর দিকে তাকানোর প্রশ্নই উঠে না, এটা হারাম। তার রূপ-গুণের প্রশংসা করা ও তাকে দেখা তো দূরের কথা। আল্লাহ স্বামীকে স্ত্রীর কর্তা এবং পুরো সংসারের অভিভাবকরূপে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। এ দায়িত্ব মানে স্ত্রীর উপর এবং পরিবারের অন্যান্যদের উপর হুমকি-ধামকি দেয়া নয়। এই দায়িত্বের অবহেলা এবং অপব্যবহার কোনভাবেই করা যাবে না, যদি স্বামী এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে আখিরাতের ময়দানে তাকে কঠিনরূপে মহান আল্লাহ তা'আলার সামনে জবাবদিহি করতে হবে। যে স্বামী তার স্ত্রীর কাছে ভাল সে সবার কাছে ভাল। কারণ একজন স্বামীর’ভিতর-বাহির’ অন্যান্য সবার চেয়ে সবচেয়ে বেশী জানেন তার স্ত্রী।

ভুল ধারণার অবসান : এখানে ভুল বুঝার কোন অবকাশ নেই। কুরআনের নিয়ম যা আল্লাহ করেছেন তা মানবজাতির কল্যাণের জন্যই করেছেন। আর সেটা বিনা তর্কে মেনে নেয়াই প্রকৃত কল্যাণ। কুরআনের বিরুদ্ধে অনেক যুক্তি তর্ক দেখানো যেতে পারে কিন্তু তাতে মোটেও কোন কল্যাণ নেই। কারণ যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন তিনিই ভাল জানেন কোথায় কোন নিয়মে আমাদের প্রকৃত কল্যাণ। আর মহান আল্লাহ তাআলার চেয়ে বেশী বুঝার চেষ্টা না করাই ভাল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন