hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১২৩
অর্থ উপার্জনে সতর্কতা
লোভ থাকা যাবে না

রসূল (ﷺ) বলেন, মানুষ বৃদ্ধ হলেও তার দুটি জিনিস বৃদ্ধ হয় না - ধন-সম্পত্তি অর্জনের লালসা ও দীর্ঘ জীবনের আশা। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

রসূল (ﷺ) বলেন, বনি আদমের কাছে যদি ২ উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকা কামনা করবে, তার পেট মাটি ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে ভরবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

অহংকার থাকা যাবে না

“অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে উদ্ধতভাবে চলো ; কারণ আল্লাহ উদ্ধত অহংকারীকে ভালোবাসেন না।” (সূরা লুকমান : ১৮)

কৃপণতা করা যাবে না

“যারা কৃপণতা করে এবং মানুষকে কৃপণতার নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দিয়েছেন তা গোপন করে, তাদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন না।” (সূরা আন নিসা, ৪:৩৭)

“মানুষ খুবই অস্থিরচিত্ত, সে বিপদে পড়লে হাহুতাশ করে এবং সম্পদশালী হলে কৃপণ হয়ে পড়ে; তবে তারা নয় যারা ইবাদত করে।” (সূরা আল মা’আরিজ, ৭০ : ১৯-২২)

দ্বীনি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করা যাবে না

“তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো এক পরীক্ষা, এবং আল্লাহর কাছে আছে মহাপুরস্কার।” (সূরা আল আনফাল, ৮ : ২৮)

“প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল করে রাখে, এমনকি তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।” (সূরা তাকাসুর, ১০২: ১-২)

রসূল (ﷺ) বলেন, আল্লাহ বলেছেন, হে আদম সন্তান, আমার ইবাদতের জন্য। অবসর অন্বেষণ কর, তা হলেই আমি তোমার অন্তরকে শান্তি দ্বারা পূর্ণ করে দেব। যদি তা না কর, তোমার হাত অজস্র কাজে ভারাক্রান্ত রাখবো এবং দারিদ্রতা দূর করব না। (ইবনে মাজাহ)

সম্পদ জমিয়ে রাখা নিষেধ

ধনীর হিসাব দীর্ঘ হবে, আমানত বেশী হওয়াতে খিয়ানতের সম্ভাবনা বেশী।

আব্দুল্লাহ ইবনুস শিখখির (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমি রসূল (ﷺ) -কে সূরা তাকাসুর পড়তে দেখলাম। তারপর তিনি বললেন, মানুষ বলে, আমার ধন, আমার সম্পদ। অথচ হে মানুষ, ততটুকুই তোমার সম্পদ, যতটুকু তুমি খেয়ে শেষ করেছ, পরিধান করে পুরানো করেছো ও দান খয়রাত করে সঞ্চয় করেছ। (সহীহ মুসলিম)

রসূল (ﷺ) বলেন, প্রত্যেক জাতির জন্য একটা ফিতনা আছে। আমার উম্মতের ফিতনা হলো সম্পদ। (তিরমিযী)

রসূল (ﷺ) বলেন, ৩টি বস্তু ছাড়া মানুষের আর কিছুর অধিকার নেই। তার বসবাসের জন্য একটি ঘর, শরীর ঢাকার জন্য কিছু বস্ত্র এবং কিছু রুটি ও পানি। (তিরমিযী)

সদাকার প্রতিদান

আল্লাহ তাআলা বলেন :

“(তোমাদের মধ্যে) কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে, আল্লাহ তার জন্য (তা) বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।” (সূরা বাকারা, ২ : ২৪৫)

“যারা নিজেদের সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের উদাহরণ হচ্ছে একটি বীজের মতো, যে বীজটি বপন করার পর তা থেকে সাতটি শীষ বের হলো, আর প্রতিটি শিষে আছে একশ শস্য দানা; আল্লাহ যাকে চান বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন; আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রাচুর্যময়।” (সূরা আল বাকারা, ২ : ২৬১)

সদাকা দানকারীর মর্যাদা

রসূল (ﷺ) বলেন, দুই ধরনের লোককে ঈর্ষা করা যায়, যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন তারপর তাকে তা আল্লাহর পথে খরচ করার তওফিকও দিয়েছেন আর এমন লোক যাকে আল্লাহ দ্বীনের জ্ঞান দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী সে ফায়সালা করে ও লোকদের তা শেখায়। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

দান করলে আমার কী লাভ?

যাকাত প্রদানে সম্পদ বৃদ্ধি পায় ও শয়তানের প্রতারণা ও প্ররোচনার উপর ভিত্তি করে মানুষের মনে এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে দানে সম্পদ কমে। কিন্তু আল্লাহ তা'আলা বলেছেন দানের ফলে সম্পদ বৃদ্ধি পায়।

“... তোমরা যে যাকাত আদায় কর - একমাত্র আল্লাহর সন্তোষ লাভ করার উদ্দেশ্যে তা অবশ্যই বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।” (সূরা আর রূম : ৩৯)

রসূল (ﷺ) বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন মু'মিনের পার্থিব দুঃখ দূর করে দেবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের দিনের যে কোন দুঃখ অবশ্যই দূর করে দেবেন। কোন মানুষের সংকট যে দূর করে দেবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার যাবতীয় সংকট সহজ করে দেবেন। মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত তার ভাইয়ের সাহায্যে কাজে লিপ্ত থাকে, আল্লাহও ততক্ষণ পর্যন্ত তার সাহায্যকারী থাকেন। (সহীহ মুসলিম)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন : প্রত্যহ বান্দা যখন সকালে উঠে, তখন দুজন ফিরিশতা অবতীর্ণ হন। তাদের একজন বলেন, “হে আল্লাহ! খুচকারীর ধন আরও বৃদ্ধি করে দাও” এবং দ্বিতীয় জন বলেন, “হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দাও।” (সহীহ মুসলিম)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন হতে বেঁচে থাকার সামর্থ রাখে সে যেন এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও তাই করে। (সহীহ মুসলিম)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : ব্যয় কর আর কত ব্যয় করলে তার হিসাব রেখ না। আর তা করলে আল্লাহ তোমাদের গুণে গুণে দেবেন। আর জমা করে রেখ না, তবে আল্লাহও জমা করে রাখবেন। (সহীহ মুসলিম)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) মিম্বারে দাঁড়িয়ে উপদেশ দিয়ে বললেন : “উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম’। উপরের হাত হল দানকারী। আর নীচের হাত হলো দান গ্রহণকারী। (সহীহ মুসলিম)

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন : হে আদম সন্তান! তোমার নিকট প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে মালামাল রয়েছে তা ব্যয় করতে থাক, এটা তোমার জন্য উত্তম। আর তুমি তা দান না করে কুক্ষিগত করে রাখলে এটা তোমার জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। কিন্তু প্রয়োজন পরিমাণ রাখায় কোন দোষ নেই। এজন্য তোমাকে ভর্সনাও করা হবে না। যাদের প্রতিপালনের দায়িত্ব তোমার উপর রয়েছে তাদেরকে দিয়েই দান শুরু কর। উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা উত্তম। (সহীহ মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন