hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১১৩
খ্রিস্ট ধর্মে মূর্তিপূজার মিশ্রণ
কিন্তু আসলে তা খ্রিস্ট ধর্মের জন্য কোন স্মরণীয় ঘটনা ছিল না, বরং তা ছিল এক বিরাট অশুভ ঘটনা। সে বিশাল রোম সাম্রাজ্য লাভ করল বটে, কিন্তু এর বিনিময়ে খ্রিস্ট ধর্মের মূল্যবান পুঁজিই সে খুইয়ে বসল। খ্রিস্টানরা যুদ্ধের ময়দানে সফল হল বটে, কিন্তু দীন-ধর্মের ময়দানে তারা পরাজিত ও পর্যদস্ত হলো। রোমক মূর্তিপূজারী ও স্বয়ং খ্রিস্টানরা হযরত ঈসা মসীহ (আ)-এর আনীত ধর্মকে বিকৃত করে দিল। আর এ ব্যাপারে সব চাইতে বড় ভূমিকা ছিল স্বয়ং খ্রিস্ট ধর্মের প্রসিদ্ধ রক্ষক ও পতাকাবাহী সম্রাট কনস্টান্টাইনের। ড্রেপারের ভাষায়ঃ

"Place, power, profit-these were in view of whoever now joined the conquering sect. Crowds of worldly persons, who cared nothing about its religious ideas, became its warmest supporters. Pagans at heart, their influence was soon manifested in the paganization of Christianity that forhwith ensued. The Emperor, no better than they, did nothing to check their proceedings. But he did not personally conform to the ceremonial requirements of the Church until the close of his evil life, A. D. 337."

"Though the Christian party had proved itself sufficiently strong to give a master to the Empire, it was never sufficiently strong to destroy its antagonist, paganism. The issue of struggle between them was an amalgamation of the principles of both. In this, Christianity differed from Mohammedanism which absolutely annihilated its antagonist and spread its own doctrines without adulteration."

"To the Emperor-a mere worldling--a man without any religious convictions, doubtless it appeared best for himself, best for the Empire, and best for the contending parties, Christian and pagan, to promote their union or amalgamation as much as possible. Even sincere Christians do not seem to have been averse to this; perhaps they believed that the new doctrines would diffuse most thoroughly by incorporating in themselves ideas borrowed from the old, that Truth would assert herself in the end and the impurity be cast off."

“সফল ও বিজয়ী দলের সাথে যারাই হাত মেলাল এবং যে কেউ তাদের সঙ্গে শরীক হলো তারাই বড় বড় পদ লাভ করল এবং বিরাট বিরাট সম্মান ও পদ-মর্যাদার অধিকারী হলো। ফল দাঁড়াল এই যে, যে দুনিয়াদার লোকেরা ধর্মের বিন্দুমাত্র পরওয়াও করত না তারাই খ্রিস্ট ধর্মের উৎসাহী সমর্থকে পরিণত হলো। যেহেতু তারা বাহ্যত খ্রিস্টান ছিল, কিন্তু ভেতরে ভেতরে ছিল মূর্তিপূজারী ও মুশরিক, ফলে তাদের প্রভাবে খ্রিস্ট ধর্মের মধ্যে মূর্তিপূজা ও শেরেকী উপাদানের মিশ্রণ শুরু হলো। কনস্টান্টাইন মতাদর্শগত দিক দিয়ে যেহেতু তাদেরই সমগোত্রীয় ছিলেন- এমন কোন পথ গ্রহণ করেন নি যারা তাদের এই মুনাফিকসুলভ ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবিধান করা যায়। কনস্টান্টাইনের গোটা জীবনটাই পাপাচারের মধ্যে অতিবাহিত হয়। জীবনের শেষ পর্যায়ে (মৃত্যু ৩৩৭ খ্রি.) এসে তিনি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছুটা আনুগত্যের পরিচয় দেন যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালনের জন্য গির্জা তাকীদ করত।”১

“যদিও খ্রিস্টান দল এতটা শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিল যে, যাকেই তারা নিজেদের স্বার্থোদ্ধারের পক্ষের লোক ভেবেছে তাকেই সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তথাপিও এই শক্তি ও ক্ষমতা তাদের অর্জিত হয়নি যে, তাদের প্রতিপক্ষ অর্থাৎ মূর্তিপুজাকে সম্পূর্ণরূপে উৎসাদন করবে। ফলে পারম্পরিক দ্বন্দ্বের ফল দাঁড়াল এই, উভয়ের নীতি ও আদর্শ পরস্পরের মধ্যে মিশে গেল এবং এক নতুন ধর্মমতের উদ্ভব ঘটল যার ভেতর মূর্তিপূজা ও খ্রিস্ট ধর্ম উভয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। খ্রিস্ট ধর্ম ও ইসলামের মধ্যে এ ব্যাপারে যেই বড় রকমের পার্থক্য হলো, ইসলাম তার প্রতিপক্ষ অর্থাৎ মূর্তিপূজা ও পৌঁত্তলিকতাকে একেবারে জড়েমূলে উৎখাত করে দেয় এবং আপন আকীদা-বিশ্বাস কোনরূপ ভেজাল ও মিশ্রণ ছাড়াই প্রকাশ করে।”২

“এই দুনিয়াসর্বস্ব সম্রাট, যার ধর্মীয় আকীদা-বিশ্বাস বিন্দুমাত্র মূল্যও বহন করত না, নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ, সাম্রাজ্যের কল্যাণ ও উভয় পরস্পর-বিরোধী দল অর্থাৎ খ্রিস্টান ও মূর্তিপূজারীদের মঙ্গল এর ভেতর দেখতে পান যে, যতদূর সম্ভব এসবের মধ্যে মিলন ও সমঝোতা সৃষ্টি করা যাক। কট্টর ও গোড়া খ্রিস্টানদেরও এরূপ কর্মকৌশল গ্রহণে কোনরূপ আপত্তি ছিল না। সম্ভবত তারা মনে করত, নতুন শিক্ষামালার সাথে পুরনো আকীদা-বিশ্বাসের সংমিশ্রণের ফলে নতুন ধর্ম দ্রুত উন্নতি করবে এবং শেষ পর্যন্ত নাপাক আবর্জনার মিশ্রণ থেকে পাক-সাফ হয়ে কেবল সত্যিকার ধর্মই অবশিষ্ট থাকবে।”৩

খ্রিস্ট ধর্মের স্পিরিট ও সৌন্দর্যবিবর্জিত পৌঁত্তলিকতা ও খ্রিস্ট ধর্মের এই। জগাখিচুড়ি সালসা এর উপযোগী ছিল না যে পতনোখ রোমকদের জীবন, চরিত্র ও আখলাককে তা সামাল দেবে এবং তাদের ভেতর পূত-পবিত্র ধর্মীয় জীবনের প্রাণ সঞ্চার করবে এবং রোমকদের ইতিহাসে এক নতুন গৌরবোজ্জ্বল যুগের সূচনা ঘটাবে। এর বিপরীতে সে বৈরাগ্যবাদের এক নতুন বিদআত আবিষ্কার করে যা সম্ভবত মানবতা ও সভ্যতা-সংস্কৃতির জন্যে পৌঁত্তলিক রোমকদের পাশবিকতার চেয়েও বেশী দুর্বহ বোঝা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। য়ুরোপের বস্তপূজা ও ধর্মহীনতার বিস্তারের মধ্যে মানুষের জন্য ক্ষতিকর ও ব্যাধিতুল্য এবং মানব প্রকৃতির শত্রু এই বৈরাগ্যবাদের অনেকখানি ভূমিকা রয়েছে। এজন্য বিষয়টি কিছুটা বিশদভাবে আলোচনা হবার দরকার রয়েছে।

[১. J. W. Draper, History of the Confllict between Religion and Science, 1927, p-34-35, ]

[২. প্রাগুক্ত, পৃ, ৪০. ]

[৩. প্রাগুক্ত, ৪০-৪১।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন