hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১৬৯
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরব জাহানের প্রাণ (রূহ)
একজন মুসলমান আরব জাহানকে যেই দৃষ্টিতে দেখে তার ভেতর এবং একজন য়ুরোপীয়ের দৃষ্টির মধ্যে আসমান যমীন পার্থক্য রয়েছে, বরং একজন দেশপূজারী আরব জাহানকে যে চোখে দেখে থাকে তা একজন মুসলমানের দৃষ্টি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

একজন মুসলমান আরব জাহানকে দেখে থাকে ইসলামের লালন ক্ষেত্র হিসেবে, দোলনা হিসেবে, ইসলামের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে, বিশ্ব নেতৃত্বের মারকায হিসেবে, আলোর মিনার হিসেবে। সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, মুহাম্মাদ আরাবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আরব জাহানের জান-প্রাণ, তার সম্মান ও গর্বের শিরোনাম এবং তার ভিত্তিপ্রস্তর। যদি এর থেকে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে আলাদা ও পৃথক করে দেওয়া হয় তাহলে যাবতীয় শক্তির ভাণ্ডার ও সম্পদের উৎস সত্ত্বেও তার অবস্থানগত মর্যাদা একটি নিষ্প্রাণ লাশ ও রঙহীন বর্ণহীন ছবির চেয়ে বেশি হবে না। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামেরই বরকতময় সত্তা যদ্দরুন আরব জাহানের অস্তিত্ব লাভ ঘটেছে। এর আগে এই দুনিয়া বণ্টিত, খণ্ডিত ও বিক্ষিপ্ত একক সমষ্টি, পরস্পরের সঙ্গে বিবদমান গোত্র, গোলাম জাতিসমষ্টি এবং যোগ্যতা ও সামর্থ্যের অপচয়কারীর আরেক নাম মাত্র ছিল। এর আকাশে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও গোমরাহীর ভরা মেঘ ছেয়ে ছিল। আরবরা কোনদিন রোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রবৃত্ত হবে, এমন স্বপ্ন কস্মিনকালেও কেউ দেখেনি, দেখত না, দেখতে পারত না। এর কল্পনাও তাদের জন্য কঠিন ছিল। শাম (আজকের সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তীন ও জদানসহ) যা পরবর্তীকালে আরব জাহানের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে অভিহিত হয়, একটি রোমান উপনিবেশ ছিল যা স্বেচ্ছাচারী স্বৈরতান্ত্রিক হুকুমত ও কঠোর একনায়কতন্ত্রের যাতাকলে শোষিত ও নিষ্পেষিত হতো। তারা তখন পর্যন্ত স্বাধীনতা ও সুবিচারের অর্থ কিংবা মর্ম কোনটাই বোঝেনি।

ইরাক ছিল কায়ানী রাজবংশের ইচ্ছা-অভিরুচি ও কামনা-বাসনার শিকার। নিত্য-নতুন ট্যাক্স ও করভারে সেখানকার সাধারণ মানুষের কোমর গিয়েছিল বেঁকে। রোমকরা মিসরের সঙ্গে গরুর সাথে কৃত আচরণের মতই আচরণ করত ! দুধ দোহন ও ফায়দা লোটার ক্ষেত্রে কোন কমতি ছিল না, কিন্তু প্রয়োজনীয় খাবার জোগাবার ক্ষেত্রে তারা বখিলী করত। এছাড়া রাজনৈতিক জোর-যুবরদস্তি ও জুলুম-নিপীড়নের সাথে ধর্মীয় জোর-যবরদস্তি ও নিপীড়নও সমান তালেই চলত। এরপর হঠাৎ করেই বিভক্ত, বিক্ষিপ্ত ও নির্যাতিত পৃথিবীর বুকে ইসলামের বসন্ত সমীরণের একটি দমকা প্রবাহিত হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম আগমন করলেন। সে সময় এই আরবী বিশ্ব ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল তিনি তাদেরকে বাঁচতে সহায়তা করলেন। তাদের নাড়ির স্পন্দন স্তিমিত হতে চলেছিল, তিনি জীবন দান করলেন, নতুন আলো দিলেন, কিতাব ও হিকমতের তালীম দিলেন, আত্মিক পরিশুদ্ধির সবক শেখালেন। তার আবির্ভাবের পর এই পৃথিবীর চেহারাটাই পাল্টে গেল। এখন আরব জাহান ইসলামের দূত। শান্তি ও নিরাপত্তার বার্তাবাহক। সভ্যতা ও সংস্কৃতির পতাকাবাহী। পৃথিবীর তাবৎ জাতিগোষ্ঠীর জন্য দয়া ও করুণার পয়গাম। এখন আমরা সিরিয়ার নাম নিতে পারি। ইরাকের কথ্য উল্লেখ করতে পারি। আমরা মিসর নিয়ে গর্ব করতে পারি। যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম না হতেন আর যদি তাঁর পয়গাম না হত, না হত তার দাওয়াত, তাহলে আজ যেমন সিরিয়ার কোন পাত্তা থাকত না, তেমনি ইরাকেরও কোন উল্লেখ পাওয়া যেত না। তেমনি ইতিহাসের পাতায় মিসরকেও খুঁজে পাওয়া যেত। আরব জাহানই থাকত না। কেবল তাই নয়, দুনিয়াও সভ্যতা-ভদ্রতা, শালীনতা ও শিষ্টাচার, জ্ঞান-বিজ্ঞান, কৃষ্টি-কালচার ও উন্নতি-অগ্রগতির এই পর্যায়ে এসে পৌঁছুত না। এখন যদি আরব জাতিগোষ্ঠী ও সরকারগুলোর মধ্যে কেউ ইসলাম ধর্মের হাত থেকে মুক্ত হতে চায় এবং নিজেদের মুখ পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ঘুরিয়ে নিতে ইচ্ছুক হয় কিংবা ইসলাম-পূর্ব প্রাচীন আরবের দিকে লোভাতুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে চায় অথবা নিজেদের জীবন-ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সরকার পদ্ধতিতে পশ্চিমা সংবিধান ও পাশ্চাত্যের আইন-কানুন ও বিধি-বিধান বলবৎ করতে চায়, অনুসরণ করতে আগ্রহী হয় এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের ইমাম, সর্দার, পথ-প্রদর্শক, আদর্শ ও মানদণ্ড হিসেবে মেনে নিতে না চায় তাহলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নে'মত হিসেবে তাদের যা দিয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে তারা ফিরিয়ে। দিক এবং ইসলাম-পূর্ব জাহিলী যুগে তারা ফিরে যাক যেখানে রোমক ও পারসিকদের রাজত্ব চলত, যেখানে জুলুম-নিপীড়নের বাজার ছিল গরম, যেখানে সাম্রাজ্যবাদের কর্তৃত্ব চলত, যেখানে অজ্ঞতা, মূর্খতা ও গোমরাহী চলত, যেখানে ছিল গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয় জীবন, যেখানে দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন অজানা অচেনা এক কোণে এক অজ্ঞাত জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল। এজন্য যে, এই শানদার ও আলোকোজ্জ্বল ইতিহাস, এই দীপ্তিমান সভ্যতা, এই সাহিত্যের সরগরম মাহফিল, এইসব আরব সাম্রাজ্য ও সরকার সে শুধুই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের মুবারক আবির্ভাবের অবদান এবং তাঁরই শুভাগমনের ফল-ফসল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন