hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১২৪
খ্রিষ্ট ধর্ম অথবা বস্তুবাদ
বাস্তব সত্য হলো, আজকের য়ুরোপের আত্মা ও মননকে নিয়ন্ত্রণকারী যে ধর্ম তা খ্রিস্ট ধর্ম নয়, বরং বস্তুবাদ ও বস্তুপূজা এবং পাশ্চাত্য জীবনধারা থেকে তার। প্রতিটি পদক্ষেপে এর সত্যতা সমর্থিত হয়। Islam at the Crossroad-এর লেখক বলেনঃ

"No doubt, there are still many individuals in the West who feel and think in a religious way and make the most desperate efforts to reconcile their beliefs with the spirit of their civilization, but they are exceptions only. The average Occidental—be he a Democrat or a Fascist, a Capitalist or a Bolshevik, a manual worker or an intellectual—knows only one positive 'religion', and that is the worship of material progress, the belief that there is no other goal in life than to make life continually casier or, as the cu expression goes, 'independent of nature'. The temples of this religion are the gigantic factories, cinemas, chemical laboratories, dancing halls, hydro-electric works; and its priests are bankers, engineers, film-stars, captains of industry, finance magnates. The unavoidable result of this craving after power and pleasure in the creation of hostile groups armed to the teeth and determined to destroy one another whenever and wherever their respective interests come to a clash. And on the cultural side the result is the question of practical utility alone, and whose highest criterion of good and evil is the material success."1

[1. Islam at the Crossroads, 5th edition, 55-56. ]

“এতে কোনই সন্দেহ নেই, পশ্চিমা দেশগুলোতে এখনো এমন বহু লোক পাওয়া যাবে যারা ধর্মীয় ধারায় অনুভব করেন, চিন্তা করেন এবং প্রাণপণ চেষ্টা করেন তাদের ধর্ম বিশ্বাস ও সভ্যতার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে। কিন্তু তারা হচ্ছেন ব্যতিক্রম মাত্র। গণতন্ত্রী অথবা ফ্যাসি , পুঁজিবাদী অথবা সমাজতন্ত্রী বলশেভিক, দিন মজুর অথবা বুদ্ধিজীবী। য়ুরোপের যে কোন সাধারণ ও মধ্যম শ্রেণীর মানুষ একটি মাত্র ইতিবাচক ধর্মকেই চেনে ও জানে আর তা হল বস্তুবাদী উন্নতি-অগ্রগতির পূজা। তার বিশ্বাস, জীবনকে ক্রমাগত মুক্ত, বাধাবন্ধনহীন ও সহজতর করে তোলা ব্যতিরেকে জীবনের আর কোন লক্ষ্য নেই অথবা চলতি কথায় প্রকৃতি-নিরপেক্ষ হওয়াই তার ধর্ম। বিরাট বিরাট কারখানা, সিনেমা, রাসায়নিক গবেষণাগার, নাচঘর তথা নৃত্য-কলা ভবন, পানি-বিদ্যুৎ ইঞ্জিনিয়ার, অভিনেতা-অভিনেত্রী, শিল্পপতি ও অর্থবিত্তের অধিকারী কৃতবিদ্য পুরুষ। ক্ষমতা ও আনন্দের এই নেশার অপরিহার্য পরিণাম হয়েছে যেখানে সেখানে স্বার্থের সংঘাতউদ্ভূত সশস্ত্র দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। আর সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে এর ফল হচ্ছে এমন এক ধরনের মানুষ সৃষ্টি যাদের নীতি-বোধ নিছক উপযোগবাদের প্রশ্নে সীমাবদ্ধ এবং যার ভাল-মন্দের সর্বোচ্চ মাপকাঠি হচ্ছে একমাত্র বস্তুবাদী সাফল্য ও কামিয়াবী।

উক্ত লেখক আরও বলেনঃ “পশ্চিমা সভ্যতা সুস্পষ্ট ভাষায় প্রবলভাবে আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, তার বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ধারায় আল্লাহ্র কোন স্থান নেই। আর তার কোন প্রয়োজনও সেখানে অনুভব করা হয় না।”

লন্ডন ভার্সিটির দর্শন ও মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান Professor C.E.M, Joad তার Guide to Modern Wickedne নামক গ্রন্থে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ

“আমি সম্প্রতি কুড়ি জন ছাত্রছাত্রীর একটি তরুণ দলকে যাদের সকলের বয়স বিশের কিছু বেশিই হবে, জিজ্ঞেস করেছিলাম, তাদের মধ্যে কতজন যে কোন অর্থে খ্রিস্টান? কেবল তিনজন এই প্রশ্নের ইতিবাচক উত্তর দিল এবং তারা যে খ্রিস্টান তা স্বীকার করল। সাতজন ছাত্রছাত্রী বলল, তারা এ ব্যাপারে কখনো ভেবে দেখেনি। বাকী দশজন পরিষ্কারভাবে বলল, তারা খোলাখুলি খ্রিস্ট ধর্মের বিরোধী। আমার ধারণা খ্রিস্ট ধর্ম যারা মানে আর যারা মানে না তাদের এই আনুপাতিক হার এদেশে কোন ব্যতিক্রমী ও অস্বাভাবিক উদাহরণ নয়। তবে হঁ্যা, এই প্রশ্ন যদি আজ থেকে পঞ্চাশ বছর কিংবা অন্যন বিশ বছর আগে করা হতো। তবে এর উত্তর অনিবার্যভাবেই প্রদত্ত উত্তর থেকে ভিন্নতর হতো। এরই ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, খুব কম সংখ্যক লোকই আছে যারা Canon Barry- এর এরূপ ধারণার সাথে একমত হবেন, এক বিরাট খ্রিস্টীয় পুনর্জাগরণ ও উন্নতি বর্তমান পৃথিবীকে মুক্তি দিতে পারে। আমার মতে তাঁর এই দাবিকে যথার্থ প্রমাণ। করার মত কোন জিনিস নেই। তবে হ্যা, এটা ভিন্ন কথা, এটা তাঁর আন্তরিক কামনা। এমন বহু হয় যে, কামনা ধারণা সৃষ্টি করে দেয়। কিন্তু তা দলীল-প্রমাণ সৃষ্টি করতে পারে না। এদেশের অবস্থা ও লক্ষণাদি পরিষ্কার বলে দিচ্ছে, খ্রিস্টান গির্জাগুলো আগামী শতাব্দীতে তাদের আয়ুষ্কাল পূর্ণ করবে।একটি দৈনিক পত্রিকার নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি থেকে এর সমর্থন মিলবেঃ

“৭৭ বছরের এক বৃদ্ধ এমন এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, যদ্বারা সে পবিত্র বাইবেলের পুরনো কপিগুলোকে বন্দুকের বাট, কৃত্রিম রেশম, গাট্টা পরচা ও টাকার নোটে রূপান্তরিত করতে পারবে। এই মেশিন সে কার্ডিফ ফ্যাক্টরী ও আটটি অপরাপর কারখানায় স্থাপন করেছে এবং বাইবেলের কপি থেকে যুদ্ধের আধুনিক সাজ-সামান তৈরি হচ্ছে। আবিষ্কারক এই মেশিনের সাহায্যে বিপুল সম্পদ বানিয়েছে।”

“অতএব হে লোকসকল ! যাদেরকে আল্লাহ্ কান দিয়েছেন তারা শুনে নাও।”১

[১. Guide to Modern Wickedness, p-114-15, ]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন