hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৩৭
নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র
ইসলাম-পূর্ব জাহিলী যুগটি ছিল নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের যুগ। এই রাজতন্ত্র অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিল নির্দিষ্ট বংশ বা পরিবারভিত্তিক যেমনটি ছিল ইরানে। সেখানে সাসানী পরিবারের বদ্ধমূল বিশ্বাস ছিল যে, হুকুমতের ওপর তাদের অধিকার মৌরসী এবং তা খোদায়ী সমর্থনপুষ্ট। সার্বিক প্রয়াসের দ্বারা প্রজা সাধারণের মনেও এই বিশ্বাস বদ্ধমূল করে দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারাও নির্বিবাদে তা মেনে নিয়েছিল এবং হুকুমত সম্পর্কে তাদের এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল যা কখনই ফাটল ধরত না।

কখনো বা এই রাজতন্ত্র কেবল রাজা-বাদশাহদের মহত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত হতো। চীনারা তাদের সম্রাটকে ‘ঈশ্বর-পুত্র বা স্বর্গ-পুত্র' বলত।১ কেননা তারা বিশ্বাস করত যে, আসমান হল নর আর যমীন হলো নারী। আর এদের উভয়ের মিলনে সৃষ্টিকুলের উদ্ভব ঘটেছে এবং সম্রাট ১ম খাতা হচ্ছেন আসমান ও যমীনের মিলনের প্রথম ফসল। আর এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই সমকালীন। সম্রাটকে জাতির একক পিতা জ্ঞান করা হতো। সুতরাং তার যা ইচ্ছা তাই। করার অধিকার ছিল। লোকে সম্রাটকে বলত, “আপনিই আমাদের মা-বাপ। সম্রাট লীয়ান কিংবা তাই সুঙের মৃত্যু হলে চীনের লোকেরা গভীর শোক প্রকাশ করে, এমন কি তারা সীমাতিরিক্ত মাতম করে। কেউ কেউ এজন্যে লৌহ পোশাক পরিধান করে, কেউ কেউ সঁচের সাহায্যে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আপন চেহারা রক্তাক্ত করে ফেলে। কেউ বা মস্তক মুণ্ডন করে, কেউ কেউ কফিনে ঠুকে ঠুকে নিজেদের কর্ণদ্বয় রক্তাক্ত করে ফেলে। সার্বভৌম ক্ষমতা বা শাসন ক্ষমতাকে কখনো বা কোন বিশেষ গ্রুপ, দল বা নির্দিষ্ট দেশের অধিকার মনে করা হতো, যেমন রোমান সাম্রাজ্যে মনে করা হতো। সেখানে রোমকরা নিজেদেরকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী আর অন্যদেরকে দাস মনে করত। আর এই বিশ্বাস ছিল তাদের মজ্জাগত। এক্ষেত্রে তাদের অধীনস্থদের অবস্থানগত মর্যাদা ছিল রক্তবাহী শিরা-উপশিরার ন্যায় যেগুলোর মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালিত হয়ে হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে। রোমকরা যে কোন আইন ও যে কারুর অধিকারকে উপেক্ষা করতে পারত এবং যে কোন নাগরিকের সম্মান ও সম্ভ্রম বিনষ্ট করতে পারত।

[১. চীনের ইতিহাস, জেমস কারকর্ণকৃত। ]

তারা সর্বপ্রকার জুলুমকেই বৈধ মনে করত। রোমকদের সমবিশ্বাসী ও স্ব-ধর্মী হয়েও এবং রাষ্ট্রের প্রতি নির্ভেজাল আনুগত্য ও বিশ্বস্ততা প্রদর্শন করেও কোন ব্যক্তি কিংবা জাতিগোষ্ঠী রোমকদের জুলুম-নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচতে পারত না। কোন জাতিগোষ্ঠীর বৈধ বা আইনগত মর্যাদা কিংবা অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার ছিল না এবং তাদের এ সুযোগও ছিল না যে, নিজ দেশে নিজেদের অপরিহার্য মৌলিক অধিকার থেকে উপকৃত হবে এই সব শাসিত জাতিগোষ্ঠী ও বিজিত দেশের উদাহরণ ছিল সেই উটনীর মত যার ওপর প্রয়োজনের সময় আরোহণ করা হয়, আবার দুধও দোহন করা হয়, কিন্তু ঘাস-পাতা দেওয়া হয় কেবল ততটুকুই যাতে সে কোন রকম শিরদাড়া সোজা রাখতে পারে এবং পালান দুধে ভর্তি থাকে। রবার্ট ব্রিফল্ট (Robert Brifault) রোমক সাম্রাজ্য সম্পর্কে বলেনঃ

"The intrinsic cause that doomed and condemned the Roman Empire was not any growing corruption, but the corruption, the evil, the inadaptation to fact in its very origin and being. No system of human organization that is false in its very principle, in its very foundation, can save itself by any amount of cleverness and efficiency in the means by which that falsehood is carried out and maintained, by any amount of superficial adjustment and tinkering. It is doomed root and branch as long as the root remains what it was. The Roman Empire was, as we have seen, a device for the enrichment of a small class of people by the exploitation of mankind. That business enterprise was carried out with all honesty, all the fairness and justice compatible with its very nature, and with admirable judgment and ability. But all those virtues could not save the fundamental falsehood, the fundamental wrong from its consequence."

“রোমক সাম্রাজ্যের ধ্বংস ও পতনের কারণ কেবল সেখানকার ক্রমবর্ধমান অন্যায় ও দুনীতির সয়লাবই ছিল না, বরং এর মৌলিক কারণ ছিল ফেতনা-ফাসাদ, অন্যায়-অরাজকতা ও বাস্তবতাকে এড়িয়ে যাওয়া ও উপেক্ষা করার প্রবণতা যা এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা ও লালন-পালনের পয়লা দিন থেকেই বিদ্যমান ছিল। আর এই খারাবীটা সাম্রাজ্যের ভেতর গভীরভাবে শেকড় গেড়ে বসেছিল। কোন মানব সমাজ ও মনুষ্য দলের বিনির্মাণ যখন এ ধরনের দুর্বল ভিত্তির ওপর করা হয় তখন কেবল মেধা ও কর্মতৎপরতা এর পতন রোধ করতে পারে না। যেহেতু মন্দের ওপরই এই সাম্রাজ্যের বুনিয়াদ ছিল সেজন্য এর অবসান ও অধঃপতনও ছিল অনিবার্য। কেননা আমরা জানি যে, রোমক সাম্রাজ্য কেবল একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর আরাম-আয়েশ ও বিলাস-ব্যসনের মাধ্যম ছিল। প্রজাসাধারণ থেকে অবৈধ স্বার্থ হাসিল এবং তাদের রক্ত চুষে রাজতন্ত্রের প্রতিপালনই ছিল এই হুকুমতের কাজ। নিঃসন্দেহে রোমান সাম্রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ইনসাফ, আমানতদারী ও বিশ্বস্ততার সাথেই চলছিল এবং এই বিষয়টাকে হুকুমতের মৌলিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্গত বলে মনে করা হতো। আর একথাও অনস্বীকার্য যে, হুকুমত তার শক্তি-সামর্থ্য ও যোগ্যতার ক্ষেত্রে, অধিকন্তু তার প্রশংসনীয় বিচার-ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ছিল অনন্য। কিন্তু এতদ্সত্ত্বেও এই সব গুণ হুকুমতকে না পারত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আর না পারত বুনিয়াদী গলদগুলোর কঠোর কঠিন পরিণতি থেকে রক্ষা করতে।”১[১. Robert Brifault, The Making of Humanity. p- 159. ]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন