hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

২৩
ভারতবর্ষ ও ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে
ভারতবর্ষের ঐতিহাসিকগণ এ বিষয়ে একমত যে, খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে যেই যুগ শুরু হলো তা ধর্মীয়, সামাজিক ও নৈতিক দিক দিয়ে এই দেশের ইতিহাসের, (যা কোনকালে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতা-সংস্কৃতি ও নৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্র ছিল) সর্বাপেক্ষা অধঃপতিত ও অন্ধকারতম যুগ ছিল। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিরাজমান সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় থেকে এই দেশটি কারোর চেয়ে পিছিয়ে ছিল না। এছাড়া এই দেশটির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল অনন্য। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হলোঃ ১. দেবদেবীর সংখ্যাধিক্য; ২. যৌন উচ্ছংখলা; ৩. জাতিভেদ ও শ্রেণী বৈষম্য।

খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে মূর্তিপূজার ছিল রমরমা অবস্থা। বেদে দেবতাদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৩, ঐ শতাব্দীতে এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে ৩৩ কোটিতে উন্নীত হয়। এই যুগে পসন্দনীয় বস্তু, আকর্ষণীয় জিনিস, প্রয়োজন পূরণে সক্ষম বস্তু মাত্রই পূজ্য দেবতায় পরিণত হয়। ফলে তাদের পূজ্য মূর্তি, প্রতিকৃতি, দেবতা ও দেবদেবীর সংখ্যার কোন ইয়ত্তা ছিল না। এসব দেবতা ও পূজ্য বস্তুর মধ্যে খনিজ দ্রব্য, জড় বস্তু, বৃক্ষাদি, উদ্ভিদরাজি, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, জীব-জন্তু, এমন কি যৌনাঙ্গও শামিল ছিল। আর এভাবে এই প্রাচীন ধর্ম গল্পলোকের কল্পকাহিনী, আকীদা-বিশ্বাস ও পূজা-অর্চনার একটি দেব-উপাখ্যানে পরিণত হয়। ড. Gustave le Bon তার Les Civilisations de la inde নামক গ্রন্থে লিখছেনঃ

"The Hindu, of all people, stands most unavoidably in the need of visible objects for religious worship, and although at different times religious reformers have tried to prove monotheism in the Hindu faith, it has been an unavailing effort. From the Vedic Age to the present day, the Hindu has been worshipping all sorts of things. Whatever he cannot understand or control is worthy of being adored as divine in his eyes. All attempts of Brahmans and other Hindu reformers in the direction of monotheism or in limiting the number of gods to three have been utterly unsuccessful. The Hindus listened to them, and sometimes even accepted their teachings in principle, but in practice the three gods went on multiplying till they began to see a god in every article and phenomenon of nature."

“দুনিয়ার তাবৎ জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে হিন্দু এমন একটি জাতি যাদের পূজায় বাহ্যিক একটা না একটা অবয়ব থাকতেই হবে। যদিও বিভিন্ন যুগে ধর্মীয় সংস্কারকগণ হিন্দু ধর্মে একত্ববাদ রয়েছে বলে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, কিন্তু তাদের এই প্রয়াস একেবারেই নিল। হিন্দুদের নিকট বৈদিক যুগেই হোক আর বর্তমানকালেই হোক, প্রতিটি বস্তুই অবোধ্য ও অপ্রতিরোধ্য আরাধ্য উপাস্য। ব্রাহ্মণ ও দার্শনিক পণ্ডিতদের কেবল একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার সকল প্রয়াসই নয়, বরং তাদের সেই সমস্ত প্রয়াসও যা তারা দেবদেবীর সংখ্যা কমিয়ে তিনে আনার জন্যে চালিয়েছে তা পণ্ডশ্রমে পর্যবসিত হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের শেখানো কথা শুনেছে এবং কবুল করেছে, কিন্তু কার্যত এতে করে তাদের দেবতার সংখ্যা হ্রাস পায় নি, বরং তা বৃদ্ধিই পেয়েছে এবং প্রতিটি রঙ, রূপ, বর্ণ ও গন্ধের মধ্যে তারা তাদের অবতার দেখতে পেয়েছে।”১

খ্রি. ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীতে মূর্তি নির্মাণ শৈলীর বিরাট অগ্রগতি ঘটে। এই যুগে এই শিল্প উন্নতির চরম শীর্ষে উপনীত হয়। গোটা দেশ জুড়েই ছিল মূর্তিপূজার রমরমা অবস্থা। শেষ অবধি বৌদ্ধ মতবাদ ও জৈন ধর্ম সাধারণ জনগণের চাহিদার সামনে মস্তক অবনত করতে ও তাদের সুরে সুর মেলাতে বাধ্য হয় এবং নিজেদের অস্তিত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে তাদের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়। মূর্তিপূজার এই চরমোৎকর্ষ এবং মূর্তি ও প্রতিকৃতির আধিক্যের পরিমাপ প্রখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ (যিনি ৬৩০ থেকে ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতবর্ষ ভ্রমণ করেছিলেন)-এর বর্ণনা থেকেই করা যাবে যেখানে তিনি রাজা হর্ষবর্ধনের (৬০৬-৭ খ্রি.) উৎসবের বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেনঃ

সম্রাট হর্ষবর্ধন কনৌজে ধর্মীয় পণ্ডিতদের একটি সম্মেলন আহ্বান করেন। পঞ্চাশ হাত উঁচু স্তম্ভের ওপর গৌতম বুদ্ধের স্বর্ণ নির্মিত মূর্তি স্থাপন করা হয়। এর চেয়ে ক্ষুদ্রকায় আরেকটি মূর্তির বিরাট ধুমধামের সাথে শোভাযাত্রা বের করা হয় যার মধ্যে সম্রাট হর্ষবর্ধন সকর দেবতার পোশাকে ছত্রদণ্ড বহন করেন এবং তার মিত্র রাজা কামরূপ অধিপতি কুমারা পাখা দুলিয়ে মাছি তাড়ানোর দায়িত্ব পালন করেন।২

[১. তমদ্দুন হিন্দ পৃ. ৪৪০-৪১ ]

[২. হিউয়েন সাঙ-এর সফরনামা।]

হিউয়েন সাঙ সম্রাট হর্ষবর্ধনের পরিবার-পরিজন ও দরবারীদের সম্পর্কে লিখেছেন যে, তাদের কেউ ছিল শিব পূজারী , আবার কেউ কেউ বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়। কেউ বা সূর্য দেবতার পূজা করত, কেউ করত বিষ্ণু পূজা। কে কোন্ দেবতা বা দেবীর পূজা করবে, নাকি সবকটি দেবদেবীর পূজা করবে, এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল।১

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন