hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৯৯
নেতৃত্বের ময়দানে উছমানী তুর্কীদের আগমন
কিছুকাল পরেই হি. ৮ম শতাব্দীতে উছমানী তুর্কীরা ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে এসে হাজির হয়। তারা দুনিয়াকে সাধারণভাবে ও মুসলমানদের দৃষ্টিকে বিশেষভাবে নিজেদের দিকে সেই সময় আকর্ষণ করে যখন সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ হি, ৮৫৩/খ্রি.১৪৫৩ সালে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে বায়যান্টাইন সাম্রাজ্যের অজেয় রাজধানী কনস্টান্টিনোপল জয় করে নেন। এই ঘটনা মুসলমানদের মধ্যে এক নতুন আবেগ-উচ্ছ্বাস ও উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তুর্কীরা যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল উছমানী রাজবংশ-এর যোগ্য ছিল যে, তাদের ওপর মুসলিম জাতির নেতৃত্বের ব্যাপারে, মুসলমানদের শক্তিকে আবার নতুন করে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে, দুনিয়ার বুকে তাদের হৃত সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আস্থা স্থাপন করা হবে। যে কনস্টান্টিনোপল বিগত আট শত বছর ধরে বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও মুসলমানদের নিকট অজেয় ছিল, তুর্কীরা তা-ই জয় করে। এটা ছিল তাদের পারঙ্গমতা, শক্তি-সামর্থ্য ও সাময়িক উদ্ভাবনী শক্তির চরমোঙ্কর্ষ লাভেরই প্রমাণবহ। তারা যে সামরিক শক্তি ও সমরোপকরণের ক্ষেত্রে সমকালীন পৃথিবীর তামাম জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় অগ্রগামী ও শ্রেষ্ঠ ছিল এটা ছিল তার সুস্পষ্ট প্রমাণ। অধিকন্তু তাদের মধ্যে এই সামর্থ্যও বিদ্যমান ছিল যে, তারা তাদের লক্ষ্য হাসিলের নিমিত্ত জ্ঞান ও কর্মের শক্তি ও ইজতিহাদের দ্বারা কাজ নিতে পারে এবং জাতির যিনি নেতৃত্ব দেবেন তার জন্য এ সমস্ত গুণ থাকা অপরিহার্য শর্তও বটে।

পাশ্চাত্য লেখক Baron Carra de Vaux তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Islamic Thinkers-এর ১ম খণ্ডে সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বলেনঃ

"The victory of Mohammad, the Conqueror, was not a gift of fortune or the result of the Eastern Empire having grown weak, The Sultan had been preparing for it for a long time. He had taken advantage of all the existing scientific knowledge. The connon had just been invented and he decided to equip himself with the biggest cannon in the world and for this he acquired the services of a Hungarian engineer who constructed a connon that could fire a ball weighing 300 K.G's to a distance of one mile. It is said that this cannon was pulled by 700 men and took two hours to be loaded, Muhammad marched upon Constantiople with 3,00,000 soldiers and a strong artillery. His fleet, which besieged the city from the sea, consisted of 120 warships, By great ingenuity the Sultan resolved to send a part of his fleet by land. He launched seventy ships into the sea from the direction of Qasim Pasha by carrying them over wooden boards upon which fat had been applied (to make them slippery.)

“এই বিজয় কেবল ভাগ্যের জোরে কিংবা আকস্মিকভাবে হঠাৎ করে অর্জিত হয়নি। আর এর কারণ কেবল বায়ান্টাইন সাম্রাজ্যের দুর্বলতাই ছিল না। আসল কারণ ছিল এই, সুলতান (মুহাম্মদ) অনেক আগে থেকেই এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছিলেন এবং তাঁর যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যতগুলো শক্তি ছিল সে সবের সাহায্য নিচ্ছিলেন। সে সময় নতুন নতুন কামান আবিষ্কৃত হচ্ছিল। তিনি সে যুগে যত বড় বিরাট ও শক্তিশালী কামান তৈরি করা সম্ভব তার জন্য চেষ্টা চালান। এজন্য তিনি হাঙ্গেরীর জনৈক ইঞ্জিনিয়ারকে কাজে লাগান। তিনি সুলতানের চাহিদানুযায়ী এমন একটি কামান তৈরি করেন যার সাহায্যে তিনশ কিলোগ্রাম ওজনের গোলা এক মাইল দুরে নিক্ষেপ করা যেত। কথিত আছে, এই কামান টেনে নেবার জন্য সাত শত লোকের প্রয়োজন পড়ত এবং এতে গোলা ভর্তির জন্য দু'ঘণ্টা সময়ের দরকার হত। সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ যখন কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য বহির্গত হন তখন তিন লক্ষ সৈন্য তার অধীনে ছিল আর ছিল বিপুল সংখ্যক শক্তিশালী কামান বহর। একশ’ বিশটি জাহাজসম্বলিত তার নৌবহর কনস্টানিনোপলকে সমুদ্রের দিকে থেকে অবরোধ করে রেখেছিল। তিনি তার আবিষ্কার ও উদ্ভাবনী শক্তির সাহায্যে সিদ্ধান্ত নেন সামরিক বহরের একটি অংশ স্থলভাগ দিয়ে উপসাগর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। এ উদ্দেশে তিনি কাঠের গুড়িগুলোকে চেঁছে-ছুলে তার ওপর চর্বি মাখিয়ে তার ওপর দিয়ে জাহাজ বহর টেনে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আর এভাবে কাসেম পাশার অধীনে ৭০টি জাহাজ সমুদ্রে ভাসিয়েছিলেন।”

সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহ সম্পর্কে য়ুরোপ এতটা ভীত ও সন্ত্রস্ত ছিল যে, তাঁর ইনতিকালে রোমের পোপ আনন্দ উৎসব করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তিন দিন অব্যাহতভাবে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করার নির্দেশ জারী করেছিলেন।১

[১. ফালসাফা-ই তারীখুল ইসলামী, মুহাম্মদ জামীল বেইমকৃত, ২৭৪ পৃ.; ]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন