hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৬৮
মানবীয় পুস্পডালি
আল্লাহ্, তাঁর রসূল ও পারলৌকিক জীবনের ওপর বিশ্বাস ও পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ জীবনের জটিলতাকে দূর করে দিল এবং মানব পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে তার যথার্থ স্থান দান করল। মানব সমাজ একটি কন্টকমুক্ত ফুলের ডালিতে পরিণত হলো যার প্রতিটি ফুল ও প্রতিটি পত্র তার জন্য সৌন্দর্যবর্ধক ছিল।

মানব জাতির সদস্যবর্গ একটি পরিবারে পরিণত হলো। তারা ছিল সকলেই একই পিতা (আদম)-এর সন্তান আর আদমের উৎপত্তি মাটি থেকে। আরবের কারোর অনারবের ওপর যেমন কোনরূপ শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা ছিল না, তেমনি। কোন অনারবেরও কোন আরবের ওপর প্রাধান্য ছিল না। তবে হ্যা, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা থাকলে তা ছিল কেবল তাকওয়ার ভিত্তিতে, কে কতটা আল্লাহভীরু তার ভিত্তিতে।

রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ

“লোক সকল! আল্লাহ তোমাদের থেকে জাহেলিয়াতের মিথ্যা অহমিকার মূলোৎপাটন করে দিয়েছেন এবং তোমাদের বাপ-দাদাদের নিয়ে গর্ব করার প্রথাও খতম করে দিয়েছেন। মানুষ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত ও একশ্রেণী যারা সৎ ও আল্লাহকে ভয় করে আর এরাই আল্লাহ তাআলার দরবারে শরীফ হিসেবে বিবেচিত। আর দ্বিতীয় শ্রেণী হলো তারা যারা বদকার ও বদবত (অসৎ ও হতভাগা), আল্লাহ তাআলার দরবারে যারা হেয় ও লাঞ্ছিত হিসেবে পরিগণিত।১

হযরত আবুযর গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী করীম (ﷺ)। তাকে বলেনঃ দেখ, তুমি কারো থেকে উত্তম নও এবং বড়ও নও। তবে হ্যা, যদি তাকওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পার (তাহলে অবশ্যই বড়)।

তিনি যখন রাত্রের শেষভাগে আপন প্রভু-প্রতিপালকের দরবারে হাত তুলে মুনাজাত করতেন তখন বলতেন, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সমস্ত মানুষই ভাই ভাই।”২

নবী করীম (ﷺ) জাহেলিয়াত-এর পরিপূর্ণরূপে মূলোৎপাটন করেছিলেন এবং এর অনুপ্রবেশের সমস্ত ফাঁকফোকর বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি অন্যায় গোত্রপ্রীতি, সম্প্রদায়প্রীতি ও জাতীয়তাপ্রীতির ঝাণ্ডাবাহী হবে সে আমাদের কেউ নয় এবং যে এ নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয় সেও আমাদের কেউ নয় এবং যে এতে মারা যাবে সেও আমাদের কেউ নয় (অর্থাৎ মুসলমান নয়)।”৩

[১. ইবনে আবী হাতিম; ]

[২, আবু দাউদ। ]

[৩. আবু দাউদ; ]

জাবির ইবন আবদুল্লাহ বলেন, আমরা এক যুদ্ধে ছিলাম। একজন মুহাজির জনৈক আনসারীকে ভালমন্দ কিছু বলে ফেলেন। এতে আনসারী চিৎকার দিয়ে বলে ওঠেন, 'হে আনসাররা! আমার সাহায্যে এগিয়ে এস।' ওদিকে মুহাজিরও চিৎকার দিয়ে ডেকে ওঠেন, “ওহে মুহাজিররা! আমার সাহায্যে এগিয়ে এস। ইতিমধ্যে নবী করীম (ﷺ) এসে হাজির হন এবং উভয়কে লক্ষ করে বলেনঃ “তোমরা এই যূথবন্দীর শ্লোগান পরিত্যাগ কর। কেননা এ নাপাক ও অপবিত্র।”১

তিনি জাহিলী যুগের অন্ধ গোত্রপ্রীতিকে নাজায়েয বলে অভিহিত করেন এবং ‘তুমি তোমার ভাইকে সাহায্য করবে চাই সে জালিম হোক অথবা মজলুম। -এই নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত সাহায্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার জাহিলী নীতির পরিবর্তন ঘটান যার ওপর তাদের সমগ্র জীবন পরিচালিত হচ্ছিল।

নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ যে তার লোকদের বাতিল ও মিথ্যার ওপর সাহায্য করল সে সেই উটের ন্যায় যে উট কুয়োয় নিক্ষিপ্ত হতে চলেছে আর লোকে তার লেজ ধরে ঠেকাচ্ছে।২ আরবদের মন-মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনার এমন পরিবর্তন ঘটে যে, এখন আর তাদের রুচি ওপরে উল্লিখিত বিখ্যাত প্রবাদ বাক্যটি হজম করতে পারছিল না। এরপর একবার যখন নবী করীম (ﷺ) বললেন, “তোমরা তোমাদের ভাইকে সাহায্য করবে চাই সে জালিম হোক অথবা মজলুম” তখন সাহাবায়ে কিরাম (রা) আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। তাঁরা সমস্বরে বলে ওঠেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! মজলুমকে তো অবশ্যই সাহায্য করতে হবে, কিন্তু জালিমকে সাহায্য করা হবে কী ভাবে?” তিনি বললেন, “তাকে জুলুম থেকে বিরত রাখবে, নিবৃত্ত করবে, এটাই তাকে সাহায্য করা।”৩

ইসলামী সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ পরস্পরে সম্প্রীতিশীল, সহায়ক ও শক্তিবর্ধক হয়ে গিয়েছিল। এখন আর তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। পুরুষেরা নারীর যিম্মাদার ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত। আর নারীরা সৎ, বিশ্বস্ত এ আমানতদার। তাদের অধিকার রক্ষার যিম্মাদার পুরুষ এবং পুরুষের অধিকার রক্ষায় তৎপর নারী।

[১, সহীহ বুখারী; ]

[২. তফসীর ইবনে কাছীর। ]

[৩. বুখারী ও মুসলিম। ]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন