hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৫৯
সাহাবায়ে কিরাম (রা)-এর ঈমানী পূর্ণতা
এদিকে রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নেতৃত্বে ও দিক-নির্দেশনায় সাহাবায়ে কিরাম (রা)-এর ঈমানী প্রশিক্ষণ ও পূর্ণতার সিলসিলা অব্যাহত থাকে। কুরআনুল করীম অব্যাহতভাবে তাদের হৃদয়ে উত্তাপ সঞ্চার করতে ও শক্তি জোগাতে থাকে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর বৈঠক থেকে তাদের দৃঢ়তা ও সংহতি, প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রেমন্দীর সত্যিকার কামনা এবং এ পথে নিজেদের মিটিয়ে দেবার অভ্যাস, জান্নাতের প্রতি অনুরাগ, ইলম তথা জ্ঞানের প্রতি লোভ ও আকর্ষণ এবং দীনের সমঝ (উপলব্ধি) ও আত্মজিজ্ঞাসার ন্যায় সম্পদ লাভ ঘটে। তারা সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর আনুগত্য করতেন। যে অবস্থায় থাকুন না কেন, তারা আল্লাহর রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এসব লোক রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাথে দশ বছরে সাতাশ বার জিহাদের জন্য বেরিয়েছেন এবং তার হুকুমে শতাধিক অভিযানে গমন করেছেন। তাঁদের পক্ষে দুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্কহীনতা খুবই সহজসাধ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। পরিবার-পরিজনের জন্য দুঃখ-কষ্ট ও বিপদ-আপদ সহ্য করায় তারা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কুরআন করীমের আয়াত সেই সব অসংখ্য বিধান (আহকাম} নিয়ে আসে যা প্রথম থেকে তাদের পরিচিত ছিল না। নিজের সম্পর্কে, ধন-সম্পদ সম্পর্কে, সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন ও খান্দান সম্পর্কে আল্লাহর আহকাম নাযিল হয় যা পালন করা খুব সহজসাধ্য ছিল না। কিন্তু আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতিটি কথা মেনে নেয়া তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। শিরক ও কুফরের গিট যখন খুলে গেল তখন আর যেসব গিট ছিল সেগুলো হাত লাগাতেই খুলে গেল। আল্লাহর রসূল (ﷺ) একবার যখন তাদের ঈমানের জন্য মেহনত করলেন, এরপর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ ও প্রতিটি নতুন হুকুমের জন্য স্থায়ী চেষ্টা-সাধনা ও মেহনত করার আর প্রয়োজন রইল না। ইসলাম ও জাহেলিয়াতের প্রথম সংঘর্ষে ইসলাম জাহেলিয়াতের ওপর বিজয় লাভ করে। এরপর প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিবার নতুন সংঘর্ষের আর প্রয়োজন অবশিষ্ট রইল না। ঐসব লোেক তাদের হৃদয়-মনসহ, তাদের হাত-পাসহ, নিজেদের রূহ নিয়ে ইসলামের আঁচল তলে এসে গেল। তাদের সামনে যখন সত্য প্রকাশিত হয়ে গেল তখন রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সঙ্গে তাদের আর কোন টানাপোড়েন থাকল না, থাকল না কোন সংঘাত। তাঁর সিদ্ধান্তে তাদের আর কখনো মানসিক অথবা আত্মিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিত না। কোন বিষয়ে তিনি যেই সিদ্ধান্ত দিতেন, তাতে তাদের এতটুকু মতানৈক্যের অবকাশ থাকত না। এঁরা ছিলেন সেই সব লোক যারা আল্লাহর রসূল (স)-এর সামনে নিজেদের গোপন ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা অকপটে স্বীকার করেছেন এবং কখনো হদযোগ্য পদস্খলনে লিপ্ত হলে নিজেদের দেহকে হদ ও শাস্তির জন্য পেশ করে দিয়েছেন। মদ পান নিষিদ্ধ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছে। উথলে ওঠা পানপাত্র হাতে। আল্লাহর হুকুম তাঁদের ভীত-সন্ত্রস্ত অন্তর, ক্লেদাক্ত ঠোট ও পানপাত্রের মাঝে বাধার প্রাচীর হয়ে দাড়িয়ে গেল। এরপর আর কি! হাতের সাহস হয়নি ওপরে ওঠার। তৃষ্ণার্ত ঠোট যেখানে ছিল সেখানেই শুকিয়ে গেছে। মদের পেয়ালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর মদীনার অলিগলি ও নালাগুলোতে মদের স্রোত বয়ে গেছে।

শয়তানের আছর যখন তাঁদের অন্তর-মন থেকে দূরীভূত হলো, বরং বলা উচিত যে, যখন তাদের নফসের প্রভাব তাদের মন-মানস থেকে অপসৃত হলো, নফসানিয়াত নিঃশেষ ও নির্মূল হয়ে গেল তখন ঐসব লোক নিজেদের সঙ্গে সেই রকমই আচরণ করতে লাগলেন, যেমনটি তারা অন্যের সঙ্গে করতেন। দুনিয়ার বুকে অবস্থান করেও পারলৌকিক জগতের মানুষ এবং নগদ সওদার বাজারে আখিরাতের কর্জকে দুনিয়ার নগদ সওদার ওপর অগ্রাধিকার দানকারীতে পরিণত হলেন। তারা বিপদ-আপদে যেমন ঘাবড়িয়ে যেতেন না, তেমনি কোন নেয়ামত বা অনুগ্রহ পেয়েও ফুলে উঠতেন না। দারিদ্র্য তাঁদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারত না। সম্পদ তাদের ভেতর নাফরমানীকে উসকে দিতে পারত না। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের গাফিল বা অলস বানাতে পারত না। কোন শক্তিকেই তারা। ভয় পেতেন না। প্রতিপক্ষ যত শক্তিশালীই হোক তাতে দমে যেতেন না। আল্লাহর যমীনে দর্পভরে চলার কল্পনাও তারা করতেন না। ভাঙচুর করা কিংবা ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হওয়ার ধারণাও তাদের মনে স্থান পেত না। মানুষের জন্য তাঁরা ছিলেন ন্যায় ও সুবিচারের মানদণ্ড। ইনসাফের ছিলেন তাঁরা পতাকাবাহী।

আল্লাহ তাআলার সাক্ষী ছিলেন আর সাক্ষ্য স্বয়ং তাঁদের নিজেদের বিরুদ্ধে গেলেও, এমন কি পিতামাতা ও আত্মীয়-বান্ধবের বিপক্ষে হলেও তারা বিন্দুমাত্র পরওয়া করতেন না। ফলে আল্লাহ তাআলা তাঁর গোটা যমীনকেই তাঁদের পদতলে নিক্ষেপ করলেন এবং সমগ্র পৃথিবী তাদের করতলে সমর্পণ করলেন। তাঁরা তখন গোটা পৃথিবীরই মুহাফিজ ও আল্লাহর দীনের দাঈ (আহ্বায়ক)-তে পরিণত হলেন। আল্লাহ্র রসূল (ﷺ) তাদেরকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত বানালেন এবং নিজে পূর্ণ তৃপ্তি ও প্রশান্তির সঙ্গে রিসালত ও উম্মতের দিক থেকে নিশ্চিন্ত হয়ে তাঁর রফীকে আলা তথা পরম বন্ধুর ডাকে সাড়া দিলেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন