hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১৩৫
জাতীয়তাবাদের অনিবার্য উপাদান ঘৃণা ও শঙ্কাবোধ
ঘৃণা ও শঙ্কাবোধ হলো আধুনিক জাতীয়তাবাদের অনিবার্য ও অপরিহার্য। উপাদান যা ছাড়া সে বাঁচতে পারে না। জাতীয়তাবাদী জোশ ও আবেগ-উদ্দীপনা ততক্ষণ পর্যন্ত সৃষ্টি হয় না আর সৃষ্টি হলেও স্থায়ী থাকে না, যতক্ষণ না জাতির সম্মুখে এমন কিছু থাকে যাকে ঘৃণা করা যায় কিংবা যা ভয় করার মত। অনন্তর জাতীয়তাবাদী নেতা ঘৃণা ও ভীতিবোধ সৃষ্টির মাধ্যমে তার আবেগকে উস্কে দিতে থাকে এবং তার আহত ও ব্যথিত শিরাকে দাবিয়ে দিয়ে তার মধ্যে অস্থিরতা, ক্ষোভ, উত্তেজনা ও আবেগ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করে দেয়। সে ঘৃণা ও ভীতির আগুন নিভতে দেয় না, বরং তিলকে তাল বানিয়ে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনৈক্য ও মতপার্থক্যকে বাড়িয়ে চড়িয়ে এবং কোন না কোন প্রকৃত অথবা কল্পিত প্রতিদ্বন্দ্বীকে সামনে এনে দাঁড় করিয়ে জাতির ঘৃণা ও ভীতির আবেগকে জাগিয়ে তোলে এবং তাকে সচল ও সক্রিয় রাখে। এর মধ্যেই নিজেদের হুকুমত ও নেতৃত্বের প্রাণ ও আপন স্থায়িত্ব নির্ভরশীল মনে করে। অধ্যাপক জোড় এর যেই দার্শনিক ও মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা এভাবেঃ

“সেই সব সাধারণ ও সম্মিলিত আবেগ যেগুলোকে খুব সহজেই জাগিয়ে তোলা যায় যা দিয়ে সাধারণ গণমানুষের বিরাট বিরাট দলকে সচল ও সক্রিয় করা যায় তা দয়া-মায়া, বদান্যতা ও প্রেম-ভালবাসার আবেগ নয়, বরং তা হলো ঘৃণা ও ভয়-ভীতির আবেগ। যেসব নোক কোন জাতির ওপর নেতৃত্ব করতে চায়, কোন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য তারা ততক্ষণ পর্যন্ত সফল ও কৃতকার্য হতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত না এর জন্য এমন কোন জিনিস খুঁজে না নেয় যা দ্বারা সে ঘৃণা করবে এবং এজন্য এমন কোন ব্যক্তিত্ব কিংবা জাতিগোষ্ঠী সৃষ্টি না করবে। যাকে সে ভয় পাবে। আমিই যদি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাই তাহলে আমার জন্য দরকার হবে তাদের জন্য অন্য কোন গ্রহে কোন দুশমন আবিষ্কার করা, ধরুন, চাদের পৃষ্ঠেই যেই দুশমনকে সব জাতিগোষ্ঠীই ভয় পাবে। অতএব, এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই যে, এ যুগের জাতীয় সরকারগুলো তাদের প্রতিবেশী জাতিগুলোর সঙ্গে কায়কারবার ও আচার-আচরণের ক্ষেত্রে ঘৃণা ও ভয়-ভীতিই আবেগাধীন। এসব আবেগের ওপরই ঐ সব সাম্রাজ্যের ওপর শাসন পরিচালনাকারীদের জীবন নির্ভরশীল এবং ঐসব আবেগের ওপরই জাতীয় ঐক্যের বুনিয়াদ স্থাপিত।”১

[1. Guide to Modem Wickedness, p. 150-51.. ]

আসল ঘটনা হলো, নির্ভেজাল জাতীয়তাবাদী মানসিকতা ও কর্মকৌশলই হলো ঘৃণা ও ভীতিবোধ বজায় রাখতে হবে। আর এ দু'টো আবেগের ওপরই অতীত ও বর্তমান জাতীয়বাদী সরকারগুলোর ভিত্তি স্থাপিত এবং এ দু'টো আবেগই সেই সব বড় বড় যুদ্ধের জন্ম দিয়েছে, যেসব যুদ্ধের গাঁথা ইতিহাসের পাতায় দেখতে পাওয়া যায় এবং যেসবের চিহ্ন দুনিয়ার বুকে আজও বিদ্যমান। ইসলাম এই জাতীয়তাবাদী ধ্যান-ধারণাকে (যা আপন জাতির প্রতি ন্যায় ও অন্যায় পক্ষপাতিত্ব এবং অপর জাতির প্রতি ঘৃণা ও ভয়-ভীতি ব্যতিরেকে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে না এবং যেখানে ন্যায় ও সত্যের কোন প্রশ্নই নেই) ‘আসাবিয়াত (অন্যায় পক্ষপাতিত্ব) ও “হামিয়্যাতে জাহেলিয়্যাত” (জাহিলী। যূথবন্দী) হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং এমনতরো সর্বপ্রকার সাহায্য-সমর্থন, উৎসাহ প্রদান ও যুদ্ধ-বিগ্রহকে হারাম অভিহিত করে যার বুনিয়াদ স্রেফ জাতীয় কিংবা দলীয় অন্যায় পক্ষপাতিত্বের ওপর হয়। রসূলে আকরাম (ﷺ) পরিষ্কার ভাষায় বলেছেনঃ

ليس منا من دعا الى عصبية وليس منا من قاتل على عصبية وليس منا من منات على عصبية

“সে আমাদের কেউ নয় যে অন্যায় পক্ষপাতিত্ব ও যূথবন্দীর দিকে আহ্বান জানায় এবং সে আমাদের ভেতরকার কেউ নয় যে অন্যায় পক্ষপাতিত্ব ও যুথবন্দীর জন্য যুদ্ধ করে এবং সেও আমাদের কেউ নয় অন্যায় যুথবন্দী ও পক্ষপাতিত্বের ওপর যে মারা যায়।” (আবু দাউদ)

যে ব্যক্তি এই জাতিপূজা ও জাহিলী যুথবন্দীর যুদ্ধে মারা যায় তার মৃত্যুকে জাহিলী তথা অনৈসলামী মৃত্যু হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে এবং অন্য এক হাদীসে তাকে এই উম্মাহবহির্ভূত বলা হয়েছে।

من قاتل تحت رائية عمية يغضب بعصبية او يدعوا الى عصبية أو ينصر عصبية فقتل فقتلته جاهلية .

“যে ব্যক্তি কোন অন্যায় যূথবন্দীর পতাকাতলে, কোন অন্যায় যূথবন্দীর সমর্থনের আবেগে অথবা কোন অন্যায় যুথবন্দীর সাহায্যে যুদ্ধ করে এবং যুদ্ধ করতে গিয়ে মারা যায় তার মৃত্যু হবে জাহেলিয়াতের মৃত্যু।” (মুসলিম ও নাসাঈ)

ومن قتل داية عصبية يغضب للعصبية ويقاتل للعصبية فليس من امتی۔

“ যে কোন অন্ধ গোত্রপ্রীতি ও যূথবন্দীর পতাকাতলে, কোন পক্ষপাতমূলক আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা পক্ষপাতমূলক যুদ্ধে যোগ দিয়ে মারা যায় সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।” (মুসলিম)।

ইসলাম পৃথিবীর মানব সমাজকে দুভাগে ভাগ করেছে। একদল তারা যারা আল্লাহর অনুসারী ও সত্যের সমর্থক এবং দ্বিতীয় দল তারা যারা শয়তানের অনুসারী ও বাতিল তথা মিথ্যার সমর্থক। ইসলাম কেবল শয়তানের অনুসারী, মিথ্যা ও বাতিলের সমর্থক, যমীনের বুকে অশান্তি ও ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে এবং যারা দুনিয়ার বুকে জুলুম-নির্যাতন করে, বিদ্রোহ, অন্যায় ও পাপাচারের বিস্তার ঘটায় তাদেরকে ঘৃণা করতে বলে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে নির্দেশ দেয়- চাই কি তারা যে কোন বংশ ও দেশের অধিবাসীই হোক। ঘৃণা করবার জন্য, যুদ্ধ করবার জন্য তার কাছে জাতীয় ও বংশীয় বুনিয়াদ কোনরূপ ভেদরেখা কিংবা বিভাজন সৃষ্টির ভিত্তি নয় কিংবা সে কোন্ দেশ ও কোন শহরে বসবাস করে তাও নয়, বরং এর ভিত্তি হলো তার নীতি ও আদর্শ, আকীদা-বিশ্বাস, আমল, আল্লাহর প্রতি বিশ্বস্ততা ও অবিশ্বস্ততা, আনুগত্য ও বিদ্রোহ এবং মানুষের জন্য তা উপকারী না ক্ষতিকর সেটা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন