hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১৬৪
স্বার্থপরতা ও প্রবৃত্তি পূজার অবকাশ নেই
‘আল্ফ লায়লা' নামক বিখ্যাত আরব্য উপন্যাস সেই যুগের প্রতিনিধিত্ব করে যে যুগে জীবন কেবল একজন মানুষ ও একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো যাকে খলীফা কিংবা বাদশাহ বলা হতো অথবা কয়েকজন মানুষের একটি ক্ষুদ্র দলের চারপাশকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হতে যাদেরকে উযীর ও শাহযাদা বলা হতো। যমীন সেই সব খোশনসীব ব্যক্তিদের মালিকানা মনে করা হতো আর জাতি বলতে বোঝাত ক্রীতদাস ও মেহনতী মানুষের দঙ্গলকে। এই মানুষটিকে তাদের ধন-সম্পদ, জমি-জিরাত, ক্ষেত-খামার ও মান-সম্ভ্রমের মালিক মনে করা হতো এবং সমগ্র জাতি ছিল মূলত সেই এক ব্যক্তির ছায়া। গোটা জীবন, তার ইতিহাস, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, কাব্য-কবিতা সব তারই চারপাশে চক্রাকারে। ঘুরত। যদি কেউ সেই যুগের ওপর চোখ বুলাত এবং সেই যুগের সাহিত্য পর্যালোচনা করত তাহলে সে দেখতে পেত, সেই লোকটি সেই কালের সমাজ ও সোসাইটির ওপর এভাবে কর্তৃত্ব জমিয়ে জেঁকে বসে আছে যেভাবে কোন বিরাটকায় বৃক্ষ তার ছায়ায় উগত ছোট ছোট চারা গাছ ও লতাপাতার ওপর ডালপালা বিস্তার করে থাকে এবং বায়ু ও সূর্য তাপ প্রতিরোধ করে। ঠিক তেমনি সমগ্র জাতি সেই একজনের মধ্যে হারিয়ে যায়। এরপর না ছিল তাদের কোন স্থায়ী ব্যক্তিত্ব, না ছিল ইচ্ছা বা আশা-আকাঙ্ক্ষা, না ছিল স্বাধীনতা আর না ছিল আত্মমর্যাদাবোধের অনুভূতি।

এই ব্যক্তি তিনি হতেন যাকে কেন্দ্র করে এবং যার জন্য জীবনের চাকা চক্রাকারে আবর্তিত হতো। তার জন্য চাষী হাল বইত, তারই জন্য ব্যবসায়ী। পরিশ্রম করত, তারই নিমিত্ত শিল্পী ও কারিগর তার শিল্প- নৈপুণ্য প্রদর্শন করত, তারই খাতিরে লেখক বই-পুস্তক লিখত, গ্রন্থকার গ্রন্থ রচনা করত এবং কবি। তার বাকশক্তির পারঙ্গমতা প্রদর্শন করত। তারই জন্য বাচ্চার জন্ম হতো এবং তার পথেই সেনাবাহিনী আক্রমণ পরিচালনা করত, এমন কি তারই খাতিরে যমীন তার ভাণ্ডার তুলে ধরত এবং সমুদ্র তার সম্পদরাজি নিক্ষেপ করত। আর জনগণ যারা মূলত এই সব সম্পদ ও প্রভাব-প্রাচুর্য, সবুজ শ্যামলিমা ও উর্বরতার কারণ হতো এবং এসবের ভিত্তি তাদের ওপর করেই হতো তারা ক্রীতদাসের মত দিন কাটাত। বাদশাহ্র দস্তরখানে এটোকাটা যা কিছু বাঁচত তারা তা পেয়েই খুশী থাকত। আর শাহী লোকজনের পক্ষ থেকে কিছু মিললে সেজন্য শোকর আদায় করত। আর যদি নাও পেত তবু ধৈর্য ধারণ করত এবং আল্লাহ্র ওপর নির্ভর করত। তাদের মানবতা ও মনুষ্যত্ব মরে গেলেও তাদের আফসোস হতো না। তারা মোসাহেবী, চাটুকারিতা ও সুবিধাবাদিতার পথ ধরত।

এটা ছিল ইতিহাসের সেই আমল যখন প্রাচ্য খুব ফুলে ফেঁপে উঠেছে এবং সমাজের ওপর প্রভাব ফেলেছে। কাব্য, সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি সব কিছুর ওপর প্রভাব ফেলেছে। আরবী গ্রন্থাগারগুলোর ওপরও এর গভীর প্রভাব পড়ে। আর এসব প্রভাবেরই একটি জীবন্ত এ্যালবাম হল ‘আলফ লায়লা’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থ যা সেই যুগের ছবি এঁকেছে যখন বাগদাদের কোন খলীফা অথবা দামিশক ও কায়রোর কোন সুলতান কিংবা বাদশাহ সব কিছু হতেন। তাঁর অবস্থানগত মর্যাদা হতো রূপকথার নায়ক এবং এর কেন্দ্রীয় চরিত্র।

এই যে যুগ যার চিত্র আঁকা হয়েছে আলফ-লায়লা-র কিসসা-কাহিনীতে এবং কিতাবুল আগানীর ইতিহাস ও সাহিত্যে তা ইসলামী যুগ যেমন ছিল না, তেমনি তা যুক্তি-বুদ্ধির কষ্টিপাথরেও টেকে না। ইসলামের দৃষ্টিতেও গ্রহণযোগ্য নয় তা। জ্ঞান-বুদ্ধিও তা মানতে অস্বীকার করে। ইসলাম ছিল এই অস্বাভাবিক যুগের পতনের পয়গাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এই যুগের নাম রেখেছেন জাহিলিয়াত যুগ। এ যুগকে তিনি ভৎসনা করেছেন ও অভিশাপ দিয়েছেন। এর পতাকাবাহী ও শাসক কিসরা ও কায়সার (কাইজার)-এর পতনের সংবাদ জানিয়েছেন।

এই যুগ কোন কালে ও পৃথিবীর কোন অংশেই জীবনের যোগ্যতা ও টিকে থাকার অধিকার রাখে না। এ কেবল তখনই টিকে থাকতে পারে যখন মানুষ অবস্থার অসহায় শিকার অথবা জাগ্রত অবস্থা ও চেতনাবোধের মত সম্পদ থেকে মাহরূম হবে এবং তার প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যাবে।

এই অবস্থা জ্ঞান-বুদ্ধি বরদাশত করতে পারে না। এমন কে আছে যে এই অবস্থা পসন্দ করতে পারে, হাতে গোণা গুটি কয়েক মানুষ উদর পূর্তি করে খাবে, পান করবে, অতিরিক্ত পান-ভোজনের ফলে পেটে বদহজম হবে, অপর দিকে হাজার হাজার মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে ও ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়ে ধুকে ধুকে জীবন দেবে? কার এ দৃশ্য ভাল লাগবে যে, একজন সম্রাট ও তার পুত্র-পরিজন ধন-সম্পদ নিয়ে পাগলের ন্যায় খেলবে, অপর দিকে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ধারণের জন্য দু' বেলা দু'মুঠো মোটা ভাত ও সতর ঢাকার জন্য এক টুকরো কাপড় জুটবে না? এ অবস্থা কে মেনে নিতে পারে, এক শ্রেণীর মানুষ যারাই সমাজ ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী, তারা কেবলই ফসল ফলাবে, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বলদের মত খাটবে, হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করবে, আর অপর দিকে হাতে গোণা কয়েক জন মানুষ রক্ত পানি করা ও ঘাম ঝরানো শ্রমের ফসল ভোগ করবে এবং এদের ওপর ছড়ি ঘোরাবে, অথচ ওদের মুখে। তাদের জন্য কৃতজ্ঞতার সামান্য বাক্যটিও উচ্চারিত হবে না, এই মানুষগুলোর জন্য সামান্যতম সহানুভূতি ও দরদবোধও থাকবে না? এ অবস্থা কে সইতে পারে, কৃষক, শ্রমিক, কামার-কুমার, শিল্পী, জ্ঞানী-গুণীসহ সমাজের নানা স্তরের বিভিন্ন প্রকারের যোগ্যতার অধিকারী মানুষ যাদের কায়িক ও মানসিক শ্রমে ও অবদানে সমাজ ও রাষ্ট্র ধন্য ও সমৃদ্ধ, তারা সর্বদাই দুঃখ-কষ্টের ভার বইবে, নিত্য-নতুন যাতনা সইবে, অপর দিকে কিছু সংখ্যক লোক আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে গা ভাসিয়ে দেবে, মজা মারবে, ফুর্তি ওড়াবে, যারা অপব্যয় ও অপচয় ছাড়া আর কিছু জানে না, চেনে না, যারা অহরহ অন্যায় আর পাপচারের মধ্যে নিজেদেরকে আকণ্ঠ ডুবিয়ে রেখেছে, মদ পান ছাড়া যাদের আর কোন কাজ নেই? কার চোখ এই দৃশ্য দেখা পসন্দ করতে পারে, যোগ্যতাসম্পন্ন, জ্ঞান-গুণী, বিশ্বস্ত ও আমানতদার, উন্নত মস্তিষ্ক ও সূক্ষ্ম দৃষ্টির অধিকারী লোকদের সঙ্গে অস্পৃশ্যের ন্যায় আচরণ করা হবে, পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রীসহ শাসকবর্গের চারপাশে এমন একদল লোক ঘুর ঘুর করবে যারা প্রবঞ্চক ও বাটপার প্রকৃতির, খল স্বভাবের, মাথামুণ্ডুহীন, বিবেক বিক্রেতা, যাদের সবচে' বড় চিন্তা যেনতেন প্রকারে সম্পদ হাসিল ও প্রবৃত্তিজাত কামনা-বাসনার নিবৃত্তি, যারা এই দুনিয়াতে চাটুকারিতা ও মোসাহেবী করা এবং নির্দোষ ও নিরপরাধ লোকদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা ছাড়া আর কিছু শেখেনি, যাদের চোখের পানি শুকিয়ে গেছে এবং চেতনা ও অনুভূতি যাদের নিঃশেষ হয়ে গেছে?

এ এক অস্বাভাবিক অবস্থা যা এক দিনের জন্যও টিকে থাকা উচিত নয়, বছরের পর বছর তো নয়ই। যদি ইতিহাসের কোন যুগে এ ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং দীর্ঘকাল এ অবস্থা কয়েম থাকে তবে তা ছিল জাতির অলসতা, গাফিলতি ও বেপরোয়া মানসিকতারই ফল অথবা সে অবস্থা তাদের মর্জি ও পসন্দের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং ইসলামের দুর্বলতা ও জাহিলিয়াতের শক্তির দরুন এমনটি হয়েছিল। কিন্তু যখন ইসলামের প্রভাত সূর্যের উদয় ঘটল, চেতনাবোধের উন্মেষ ঘটল এবং জাতির মধ্যে হিসাব গ্রহণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার শান সৃষ্টি হলো তখন মিথ্যার এসব প্রাসাদ তাৎক্ষণিকভাবে ভেঙেচুরে চুরমার হয়ে গেল।

আজ যেসব লোক আল্ফ লায়লার জগতে বাস করছে তারা স্বপ্নের জগতে বাস করছে। তারা এমন ঘরে ডেরা গেড়েছে যা মাকড়সার জালের চাইতেও দুর্বল। তারা এমন ঘরে জীবন অতিবাহিত করছে যা সব সময় বিপদ-আপদ দ্বারা বেষ্টিত। কেউ বলতে পারে না, এর ওপর কখন কোদাল এসে পড়বে এবং কখন এর ছাদ ধসে পড়বে।

আলফ লায়লা’র যুগ সেই কবে চলে গেছে এবং তার দাবার বোর্ড কবে উল্টে গেছে। মুসলিম বিশ্বের আজ নিজেকে ধোকা দেওয়া উচিত নয় এবং গাড়ির সেই পায়ার সাথে নিজের ভাগ্যকে জড়ানো উচিত নয় যা ভেঙে গেছে। স্বার্থপরতা ও প্রবৃত্তি পূজা সেই ভোর রাতের প্রদীপের মত যার তেল ফুরিয়ে গেছে, তার সলতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সে নিভে যাবে, তা দমকা বাতাস আসুক আর নাই আসুক।

ইসলামে এ ধরনের আত্মম্ভরিতা ও স্বার্থপরতার কোন সুযোগ কিংবা অবকাশ নেই। তার ভেতর ব্যক্তিগত প্রাধান্য বা শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা খান্দানী শ্রেষ্ঠত্ব বিস্তারের ও স্বার্থপরতার পা রাখারও জায়গা নেই যা আজ কোন কোন প্রাচ্য জাতিগোষ্ঠী ও মুসলিম দেশের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সেই ব্যাপক বিস্তৃত ও সুসংবদ্ধ স্বার্থপরতারও কোন জায়গা নেই যা আজ য়ুরোপ, আমেরিকা ও রাশিয়ায় দেখা যাচ্ছে। য়ুরোপে এর রূপ ও আকৃতি একটি পার্টি ও দলের ক্ষমতা ও প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার মধ্যে এবং আমেরিকায় পুঁজিবাদের অবয়বের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত আর রাশিয়ায় তা সেই ছোট্ট দলের আকৃতিতে সামনে এসে হাজির হয় যারা কম্যুনিজমে বিশ্বাসী। তা অধিকাংশ মানুষের ওপর যবরদস্তি পূর্বক জেঁকে বসে আছে এবং কৃষক, শ্রমিক ও কয়েদীদের সঙ্গে এমন নির্মম, নিষ্ঠুর ও হৃদয়হীন আচরণ করে যার উদাহরণ ইতিহাসে মেলা ভার।

এই আত্মম্ভরিতা ও স্বার্থপরতা তার সকল আকার-আকৃতি নিয়ে নির্মূল ও নিঃশেষ হবেই। আহত মানবতা এর নির্মম প্রতিশোধ নেবেই। দুনিয়ার ভবিষ্যত ইনসাফ পসন্দ, রহম দিল, ভারসাম্যপূর্ণ ইসলামের সঙ্গে জড়িত। তা স্বার্থপরতা ও আত্মসর্বস্বতা যদি আরও কিছু কালের অবকাশ পেয়েও যায় তাতেও অবস্থার হেরফের হবে না, চাই কি এর লাগাম কিছুটা ঢিলাও দেওয়া হয় এবং বিদ্রোহাত্মক কার্যকলাপ, গোমরাহী ও সীমা লংঘনের মাঝে আরও কিছুদিন অতিবাহিত করার সুযোগ তার মিলেও যায়।

স্বার্থপরতা ও আত্মম্ভরিতা তা সে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হোক অথবা খান্দানী ও পারিবারিক, দলীয় হোক অথবা শ্রেণীগত, জাতির জীবনে এক অস্বাভাবিক জিনিস যার হাত থেকে জাতিকে প্রথম সুযোগেই মুক্তি পেতে হবে। ইসলামে এর কোন স্থান নেই, স্থান নেই সেই সমাজেও যে সমাজ সাবালকত্বে ও ভালমন্দ চেনার বয়সে পৌঁছে গেছে। মুসলমানদের জন্য, আরবদের জন্য এবং তাদের নেতৃবৃন্দ ও শাসকদের জন্য এটাই ভাল হবে, তারা এর থেকে মুক্ত হবে, স্বাধীন হবে এবং তারা এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে আর তা এর সাথে ডুবে মরার আগেই।

প্রাচ্যেও আজ সংকীর্ণ দৃষ্টির রাজত্ব চলছে। এরও বিদায় নেবার পালা এসে গেছে। তার সৌভাগ্য তারকা অস্তমিত হওয়া শুরু হয়ে গেছে। এটা যায়, আমর ও বকরের সমস্যা নয়। এটা একটা যুগের সমস্যা, যা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ একটা স্কুল অব থটের সমস্যা, যার মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। যারা এখনও এর আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে বেঁচে রয়েছে তাদের এটা বোঝা দরকার, এই জাহাজ এখন ডুবতে বসেছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন