hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৯৫
তাতারী ফেত্না
এ সব বন্য ও বর্বর আক্রমণের মধ্যে সব চাইতে বড় আক্রমণ ছিল তাতারীদের আক্রমণ যা পিপীলিকা ও পতঙ্গের ন্যায় প্রাচ্য ভূখণ্ড থেকে অগ্রসর হয় এবং সমগ্র মুসলিম জাহান ছেয়ে ফেলে। তাতারী আক্রমণ মুসলিম জাহানের জন্য ছিল এক মহা দুর্যোগ যার ফলে মুসলিম বিশ্বের ভিত্তিই নড়বড়ে হয়ে যায়। মুসলমানরা ছিল হতবিহ্বল ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত এক ধরনের ত্রাস ও নৈরাশ্যজনক অবস্থা বিরাজ করছিল। একবার তো প্রায় গোটা মুসলিম জাহানই (বিশেষ করে এর প্রাচ্য ভূখণ্ড) এই মর্মবিদারক ফেতনার আওতায় চলে এসেছিল। ঐতিহাসিক ইব্ন আছীরও এই ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তার মনের অবস্থা ও প্রতিক্রিয়া প্রচ্ছন্ন রাখতে পারেন নি। তিনি লিখেছেনঃ

“এই দুর্যোগ ও দুর্বিপাক এতই ভয়াবহ ও অসহনীয় ছিল যে, কয়েক বছর যাবত আমি দো-টানার মধ্যে ছিলাম-এ ঘটনা সম্পর্কে আলোচনা করব কি না। এখনও যে করছি তাও বিরাট দ্বিধা-দ্বন্দের সাথে করছি। ইসলাম ও মুসলমানদের মৃত্যু খবর শোনানো কার পক্ষেই বা সহজ আর এতখানি বুকের পাটাই বা কার আছে যে, তাদের যিতি ও লাঞ্ছনার কাহিনী শোনাবে? হায়! আমি যদি জন্মগ্রহণ করতাম। হায়! আমি যদি এর আগেই মারা যেতাম, হারিয়ে যেতাম বিস্মৃতির অতলে। এতদসত্ত্বেও আমার কতক দোস্ত আমাকে এ ঘটনা লিখতে উদ্বুদ্ধ করলেন। এরপরও আমি দ্বিধান্বিত ছিলাম। কিন্তু আমি দেখলাম এটা না লেখার মধ্যেও কোন ফায়দা নেই।

“এ এমনই এক দুর্ঘটনা এবং এমনই এক মুসীবত যে, দুনিয়ার ইতিহাসে এর কোন নজীর পাওয়া যাবে না। এ ঘটনার সম্পর্ক গোটা মানব সমাজের সঙ্গে। যদি কেউ দাবি করে যে, আদম (আ)-এর পর থেকে আজ অবধি দুনিয়ার বুকে এ ধরনের নির্দয় ঘটনা আর একটিও ঘটেনি তবে তা ভুল হবে না। আর তা এজন্য যে, ইতিহাসে এর সমপাল্লার কোন ঘটনার সন্ধানই পাওয়া যায় না। দুনিয়া কেয়ামত পর্যন্ত (ইয়াজুজ-মাজুজ ভিন্ন) কখনো যেন এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। ঐ সব বর্বর পশু কানোর প্রতি এতটুকু কৃপা দেখায় নি। তারা নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা করেছে, মহিলাদের পেট চিরেছে এবং গর্ভস্থ সন্তানকে হত্যা করেছে। লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি’ল-আলিয়্যিল আজীম। এ দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা ছিল যেন বিশ্বগ্রাসী। মহাপ্লাবন আকারে এটা দেখা দেয় এবং দেখতে দেখতেই তা গোটা পৃথিবীটাই যেন ছেয়ে ফেলে!”

৬৫৬ হিজরীতে এই বন্য ও বর্বর তাতারীরা তৎকালীন মুসলিম বিশ্বের রাজধানী বাগদাদে বিজয়ী বেশে প্রবেশ করে এবং এর অস্তিত্ব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। ঐতিহাসিক ইবন কাছীর বাগদাদের ধ্বংস ও তাতারীদের ব্যাপক গণ হত্যা ও হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা লিখতে গিয়ে বলেনঃ

“চল্লিশ দিন পর্যন্ত বাগদাদে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসের রাজত্ব চলে। চল্লিশ দিন পর তঙ্কালীন বিশ্বের গৌরবোজ্জ্বল ও জমজমাট এই শহরটি এমনভাবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় যে, মাত্র গুটি কয়েক লোকই সেখানে দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল। বাজার ও পথ-ঘাটগুলো ছিল মানুষের লাশে পূর্ণ। লাশের এক একটি স্থূপ ছোটখাটো একটি টিলার মত মনে হচ্ছিল। এসব লাশের ওপর বৃষ্টিপাত হলে তা ফুলে আরও বীভৎস আকার ধারণ করে। গোটা শহর ভর্তি গলিত লাশের গন্ধে এলাকার আবহাওয়াই দূষিত হয়ে পড়ে। ফলে চতুর্দিকে মহামারী ছড়িয়ে পড়ে যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া সিরিয়া (শাম) পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে। দূষিত আবহাওয়া ও মহামারীর কারণে আরও বহু লোক মারা যায়। বাগদাদে তখন দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ধ্বংস-এই তিনের রাজত্ব চলছিল।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন