hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১৪৬
ধর্মীয় অনুভূতির অভাব
এই দুনিয়ার পরিণতি কি? এই জীবন গত হয়ে যাওয়ার পর কি আর কোন জীবন আছে? থাকলে তা কী ধরনের এবং তার প্রকৃতিই বা কেমনঃএবং তার জন্য এই জীবনে কি কোন হেদায়েত বা দিক-নির্দেশনা আছে এবং তা কোথা থেকে জানা যাবেঃএই যে পরবর্তী জীবন সেই জীবনকে আরামপ্রদ ও শান্তিদায়ক বানাবার জন্য কী মূলনীতি ও শিক্ষামালা রয়েছে এবং তার উৎসই বা কী? মানবাত্মাকে চিরস্থায়ী আরাম, সুখ ও হৃদয়-মনকে স্থায়ী ও চিরন্তন শান্তি দেবার পথ কি এবং তা কোথা থেকে জানা যেতে পারে?

এগুলোই সে সব প্রশ্ন যেগুলো প্রাচ্য ভূখণ্ডের মানুষকে শত শত নয় হাজার হাজার বছর ধরে অস্থির করে রেখেছে, করে রেখেছে প্রশ্নের সম্মুখীন এবং যা তার অত্যন্ত বস্তুগত নিমজ্জমানতা ও আত্মবিস্মৃতির মাঝেও তার দিলের গভীরে থেকে বারবার ঠেলে ওঠে এবং উত্তর চেয়েছে। প্রাচ্য তার কোন যুগেই এই স্বাভাবিক প্রশ্নকে এড়িয়ে যায়নি। দিলের গভীর প্রদেশ থেকে নির্গত এই আওয়াজ সে শুনেছে, উপেক্ষা করেনি, বরং আপন জীবনের সর্বপ্রকার ব্যস্ততা ও মস্তিষ্কের যাবতীয় দ্বন্দ্ব ও অনুসন্ধানের মধ্যে একে প্রথম স্থান দিয়েছে। সে তার সভ্যতার ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে বরাবর এসব প্রশ্নের সমাধান করতে এবং এর সন্তোষজনক জওয়াব খুঁজে পেতে দোদুল্যমানতার মাঝে ঝুলতে থাকে। অতিপ্রাকৃতিক দর্শন, ইলমে কালাম, তাসাওউফ, প্রাচ্য দর্শন, রিয়াযত ও মুজাহাদা (আধ্যাত্মিক সাধনা), জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অপরাপর প্রাচ্যের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ছিল এ সবের সমাধানের লক্ষ্যেই পরিচালিত বিভিন্ন প্রয়াস। এজন্য সে ভুল পথও এখতিয়ার করেছে এবং ভুল উপায়-উপকরণও কাজে লাগিয়েছে। এক্ষেত্রে সে সফল হওয়ার চেয়ে ব্যর্থই হয়েছে বেশি। কিন্তু এ দিয়ে এই ঘটনার ওপর এ প্রভাব পড়ে না যে, প্রাচ্যের লোকদের জীবনে এই প্রশ্ন সব সময় বর্তমান থেকেছে এবং এটাই প্রথম গুরুত্ব লাভ করেছে।

এক্ষেত্রে যদি আমরা দর্শনের ভাষাই ব্যবহার করি তাহলে আমরা বলব, প্রাচ্যবাসীদের মধ্যে বাহ্যিক ইন্দ্রিয় ছাড়াও আরও একটি ইন্দ্রিয় আছে যাকে আমরা ধর্মীয় ইন্দ্রিয় বলতে পারি। যে রকম অন্যান্য ইন্দ্রিয় যার যার কাজ করে এবং সে সবের মাধ্যমে অনুভব ও উপলব্ধি করে, ঠিক তেমনি এই ইন্দ্রিয়ের অর্থাৎ ধর্মীয় ইন্দ্রিয়েরও কিছু কিছু অনুভূত ও উপলব্ধ বিষয় আছে যা প্রাচ্য জীবনের প্রয়োজনীয় উপাদান ও অনুষঙ্গ হিসাবে বর্তমান।

এতে সন্দেহ নেই, য়ুরোপীয় রেনেসাঁর প্রাথমিক যুগে এসব প্রশ্ন রীতিমত বিদ্যমান ছিল এবং জ্ঞানী-গুণী ও চিন্তাশীল মহল দীর্ঘকাল ধরে এর ওপর নানারূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। কিন্তু পাশ্চাত্য সভ্যতা ও জীবন-দর্শনের অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য যুগের সাথে সাথে যে পরিমাণ প্রকাশিত ও উত্থিত হতে থাকে এবং জীবনে পাশ্চাত্যের যে পরিমাণ চিন্তা-ভাবনা ও লিপ্ততা বেড়েছে সেই পরিমাণ ঐ সব প্রশ্নের গুরুত্ত্বও কমে গেছে এবং তা বাস্তব জীবনে পেছনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। অতি প্রাকৃতিক দর্শনের ব্যাপারে তাত্ত্বিক ও শিক্ষিত মহলে এখনও এসবের ওপর মতামত প্রকাশিত হয়ে থাকবে। কিন্তু জীবন থেকে এসব প্রশ্ন একেবারেই বেরিয়ে গেছে এবং তার সামনে থেকে জিজ্ঞাসার চিহ্ন মুছে গেছে। এ সম্পর্কে সেই সব খটকা, ক্লেশ, যাতনা এবং সেসব জিজ্ঞেসপ্রবণতা যা হাজার হাজার বছর প্রাচ্যবাসীদেরকে মশগুল রেখেছে এবং এটা কোন ঈমান বা বিশ্বাস, খোলা মন ও প্রশান্ত হৃদয়ের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং এজন্য যে, তা পাশ্চাত্যের লোকদের জীবনে বহুকাল থেকে আপন গুরুত্ব খুইয়ে ফেলেছে এবং অপরাপর ব্যস্ততা ও সমস্যা-সংকটের জায়গা দিয়ে রেখেছে। এ যুগের ব্যস্ত মানুষ ঐসব সমস্যা-সংকটের সঙ্গে পরিপূর্ণ সম্পর্ক ছেদ করেছে এবং নিজেদেরকে এর থেকে মুক্ত করে নিয়েছে। এসব প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাবে এমন সময় ও অবকাশ তাদের আদৌ নেই। তাদের পক্ষ থেকে এসব প্রশ্নের উত্তরের কোন একটি দিক নিয়ে ভাববার কিংবা আকর্ষণ বোধ করার কিছু নেই। আর তা এজন্য যে, তাদের কাছে একমাত্র গুরত্বপূর্ণ হলো তাদের বর্তমান জীবন, চলমান জীবন এবং তাদের একমাত্র কাম্য ও কাক্ষিত হলো এই জীবন সম্পর্কিত বিস্তারিত দিক ও পথ-নির্দেশনা, আর কিছু নয়।

প্রাচীন প্রাচ্য ও আধুনিক পাশ্চাত্যের মধ্যে এ এক বিরাট মনস্তাত্ত্বিক পার্থক্য প্রাচ্য ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতির ধারক আর পাশ্চাত্য তার সভ্যতার উন্নতি ও অগ্রগতির সাথে সাথে ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতি খুইয়ে বসেছে এবং যখন কোন লোকের কোন ইন্দ্রিয় নষ্ট ও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় তখন তার সমগ্র বোধ ও অনুভূতি যা কেবল উক্ত ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তা বেকার হয়ে যায়, থাকা না থাকা সমান হয়ে যায়। যে ব্যক্তি শ্রবণ শক্তি থেকে বঞ্চিত তার জন্য শব্দের জগত থাকা না থাকা সমান এবং কথা বলার এই বিশাল জগত তার কাছে নীরব কবরস্থান মনে হবে। দৃষ্টিশক্তিহীনের কাছে বর্ণ-বৈচিত্র্যে ভরপুর এই জগত অর্থহীন, রঙের পার্থক্য তার কাছে কোন অর্থই বহন করে না। ঠিক তেমনি যিনি ধর্মীয় বোধরহিত -তার সেসব অনুভূতি, চেতনা, প্রভাব-প্রতিক্রিয়াও নিষ্ফল মনে হবে যা কেবল ধর্মীয় অনুভূতি ও বোধেরই পরিণতি হিসাবে দেখা দেয়। তার কাছে পারলৌকিক জীবন, পরকালীন শাস্তি, 'পুণ্য, জান্নাত, জাহান্নাম, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টি, তাকওয়া তথা আল্লাহভীতি ও সংযম, পবিত্রতা, চিরস্থায়ী মুক্তি, ধ্বংস ইত্যাদি সবই অর্থহীন শব্দ বলেই মনে হবে। তার কাছে এমন কোন আহ্বানের মধ্যে আদৌ কোন আকর্ষণ ও দিলের টান থাকবে না যার সম্পর্ক তার অনুভূত বিষয়াদি, নগদ লাভ ও স্ফুর্তি ছাড়া অন্য কোন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।

দীনের দাওয়াত প্রদানকারীদেরকে প্রতিটি যুগে ও আম্বিয়ায়ে কিরাম আলায়হিমু’স-সালাত ওয়াস-সালামকে স্ব স্ব দাওয়াতী যুগে যে সব লোকের বেলায় সব চাইতে বেশি কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং যে সব লোকের ক্ষেত্রে তাদের বিপ্লবাত্মক দাওয়াত, পাহাড় বিচূর্ণকারী ও লৌহ প্রাকারকে মোমের মত দ্রবীভূতকারী ব্যথা-ভরা ওয়াজ আদৌ কোন ক্রিয়া সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা ছিল সেই সব লোক যারা ধর্মীয় বোধ ও অনুভূতি থেকে মাহরাম হয়ে গিয়েছিল এবং যাদের দিলের অঙ্গারধানিকা এমনভাবেই ঠাণ্ডা ও শীতল হয়ে গিয়েছিল যে, কোনভাবেই আর তাতে উত্তাপ সঞ্চারের সম্ভাবনা ছিল না। যারা ধর্ম ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল, তারা এ সম্পর্কিত কোন কথা শুনবে না, এ নিয়ে ভাববে না, যারা তাদের যুগের দাঈ ও মুবাল্লিগদের পাথরকে মোমের মত গলিয়ে দেবার মত ওয়ার্য-নসীহত শুনে অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও নিরুত্তাপ কণ্ঠে বলেছিলঃ

( إِنۡ هُوَ إِلَّا رَجُلٌ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِب ا وَمَا نَحۡنُ لَهُۥ بِمُؤۡمِنِینَ )

[Surah Al-Mu'minun 38]

“আমরা তো কেবল পার্থিব জীবনকেই স্বীকার করি। বাঁচা ও মরা ছাড়া আর আছেটাই বা কী? মরার পর আর কেই বা জীবিত হবে” (সূরা মু'মিনূন, ৩৮) অথবা যাদের দৃষ্টি বস্তুগত সমতল থেকে হাকীকত পর্যন্ত তথা অন্তর্গত সত্য পর্যন্ত পৌঁছুবার যোগ্য নয় এবং যারা পয়গম্বরের সর্বসাধারণের পক্ষে বোধগম্য। বক্তৃতা শোনার পর যা তাদেরই ভাষায় করা হয়েছিল, অত্যন্ত সাদামাটা ও সরলভাবে বলেছিল,-(আরবি), “তোমার অনেক কথাই আমাদের বোধগম্য নয় আর আমরা তো তোমাকে আমাদের মধ্যে দুর্বল ও শক্তিহীন দেখতে পাচ্ছি” (সূরা হুদ, ৯১)।

পাশ্চাত্য সভ্যতার এই উত্থানের যুগে প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বিরাট সংখ্যায় এমন একটি শ্রেণী জন্মে যায় যাদের পার্থিব কর্মব্যস্ততা ও মগ্নতা কিংবা দুনিয়ার ভোগের মোহ তাদের জীবনে ধর্মের জন্য এতটুকু জায়গা অবশিষ্ট রাখেনি। অনেক অনুসন্ধান চালাবার পরও যারা ধর্মের দাওয়াত দেন সেই সব দাঈ ও মুবাল্লিগদের জন্য তাদের মন ও মস্তিষ্কে এতটুকু জায়গাও মেলেনি যা দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিক আহ্বান তাদের ভেতর পৌঁছানো যায়। যেমন কোন। লোকের যদি গান শোনার মত কান এবং কাব্যের জন্য সূক্ষ্ম রুচিবোধ না থাকে তাহলে তার জন্য গানের সর্ববিধ কলা-কৌশল ও পৃথিবীব্যাপী চিত্তচাঞ্চল্য। সৃষ্টিকারী কাব্যও বেকার ও নিষ্ফল প্রমাণিত হবে। ঠিক তেমনি যে ধর্মীয় অনুভূতি ও চেতনা হারিয়ে ফেলেছে তার জন্য নবী-রসূলগণের গোটা দাওয়াত এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের যাবতীয় ওয়াজ-নসীহত ও উপদেশ, জ্ঞান ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপমা উৎপ্রেক্ষা ও গল্পকাহিনী সবই নিষ্ফল হবে। এটা মানুষের হৃদয়ভূমির সব চাইতে অনুর্বর অংশ যা কোন বারি বর্ষণই আর সবুজ-শ্যামল করতে পারে না।

یہاں آکے رو دیتاہے ابرنیساں

“এখানে এসেই বসন্তকালীন বৃষ্টিপাতও কেঁদে ফেলে।” যে সমস্ত লোকের এই শ্রেণীকে সম্বোধন করার, এদের লক্ষ্য করে কিছু বলার এবং এদেরকে ধর্ম ও নৈতিকতার দিকে আহ্বান জানাবার সুযোগ ঘটে তারা কুরআন মজীদের বহু আয়াতের অর্থ বুঝতে পেরে থাকবেন এবং সেই সমস্ত কালামশাস্ত্রীয় সমস্যা ও সংকটের যা কর্মময় জীবন ও দাওয়াতের ময়দান থেকে আলাদা হয়ে বসে (আরবি)

“আল্লাহ তাদের হৃদয় ও কানে মোহর করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখের ওপর রয়েছে আবরণ” এবং এ জাতীয় সমর্থবোধক আয়াত সম্পর্কে সম্মুখীন হন- সমাধান। আপনাআপনিই হয়ে গিয়ে থাকবে এবং এই কুরআনী হাকীকত মূর্তিমান দৃষ্টিগোচর হবেঃ

( وَمَثَلُ ٱلَّذِینَ كَفَرُوا۟ كَمَثَلِ ٱلَّذِی یَنۡعِقُ بِمَا لَا یَسۡمَعُ إِلَّا دُعَاۤء وَنِدَاۤء ۚ صُمُّۢ بُكۡمٌ عُمۡی فَهُمۡ لَا یَعۡقِلُونَ )

[Surah Al-Baqarah 171]

“যারা কুফরী করে, সত্য প্রত্যাখ্যান করে তাদের উপমা যেমন কোন লোক এমন কিছুকে ডাকে যা হাক-ডাক ছাড়া আর কিছুই শোনে না। বধির, মুক (বোবা), অন্ধ; সুতরাং তারা বুঝবে না” (সূরা বাকারা, ১৭১)।

এই যমানার আসল রোগ হলো দীন-ধর্ম সম্পকে অনুভূতিহীনতা, এর প্রতি অনাগ্রহ এবং ধর্মীয় জিজ্ঞাসা সম্পর্কে পরিপূর্ণ সম্পর্কশূন্যতা ও মুখাপেক্ষীহীনতা যার চিকিৎসা সব চাইতে বেশি কঠিন এবং যার বর্তমানে কোন ধর্মীয় দাওয়াতই কার্যকর ও ফলপ্রসূ হতে পারে না। ধর্ম ও নীতি-নৈতিকতার দাওয়াতকে অনাচার ও পাপাচার, অবাধ্যতা ও অলসতার অন্ধকার যুগ এবং অস্বীকার ও বিরোধিতার সর্বাধিক গোলযোগপূর্ণ আমলেও সেই সব জটিলতা ও কাঠিন্য দেখা দেয়নি যা ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কহীনতা ও মুখাপেক্ষীহীনতার এই নীরব ও শান্তিপূর্ণ যুগে সামনে এসে দেখা দিচ্ছে। যেখানে আদৌ পিপাসাই নেই, যেখানে পানির চাহিদাই নেই সেখানে পানির সযত্ন ব্যবস্থাপনা ও খির-এর পথ-প্রদর্শনের প্রয়োজন কোথায়?

( إِنَّكَ لَا تُسۡمِعُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَلَا تُسۡمِعُ ٱلصُّمَّ ٱلدُّعَاۤءَ إِذَا وَلَّوۡا۟ مُدۡبِرِینَ )

[Surah An-Naml 80]

“মৃতকে তো তুমি কথা শোনাতে পারবে না, বধিরকেও পারবে না আহ্বান শোনাতে, যখন ওরা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়।” (সূরা নামল, ৮০)

পাশ্চাত্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও মনস্তত্ত্ব বিভাগের একজন অধ্যাপক, এই মৌলিক সত্য পরিষ্কার ভাষায় তুলে ধরেছেন এবং এই পার্থক্যের সঠিক কারণ নির্ণয় করেছেন যা প্রাচীন ও আধুনিক মনস্তত্ত্বে পাওয়া যায়। তিনি একটি মাত্র বাক্যে একটি সমগ্র গ্রন্থের বিষয়বস্তু ধারণ করেছেন। তিনি বলেনঃ

“ধর্মীয় প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা প্রথমে দেখা দিত। সম্ভবত এর সন্তোষজনক জবাব মিলত না। কিন্তু এ যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, আজ আর এসব প্রশ্ন আদৌ দেখাই দেয় না।”

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন