hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

১৬০
মুসলিম বিশ্বের পয়গাম
দুনিয়ার জন্য মুসলিম বিশ্বের কাছে এখনও নতুন পয়গাম এবং জীবনের নতুন আহ্বান আছে, আছে দাওয়াত। সেই পয়গাম যে পয়গাম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দ শ’ বছর আগে তাকে সোপর্দ করেছিলেন। এ এক শক্তিশালী, সুস্পষ্ট ও আলোকোজ্জ্বল পয়গাম যার চেয়ে অধিক ইনসাফপূর্ণ, সমুন্নত, শ্রেষ্ঠ ও বরকতময় পয়গাম এই সমগ্র সময় পর্বে আর কারো মুখ থেকে বিশ্ব শশানে নি।

এ হুবহু সেই পয়গাম যা শুনে মুসলমানরা মদীনা থেকে বেরিয়ে তামাম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং যে পয়গাম একজন মুসলিম দূত পারস্য সাম্রাজ্যে সেই প্রশ্নের উত্তরে যে, তোমরা আমাদের দেশে কোন্ উদ্দেশে এসেছ, সংক্ষিপ্ত বাক্যে এভাবে বলেছিলেনঃ

الله ابتعثنا لنخرج من شاء من عبادة العباد الى عبادة الله وحده ومن ضيق

الدنيا الى سعتها ومن جور الأديان الى عدل الاسلام

যে তকবীর দেয় করে দশদিকের কিস্তিমাত,

তা না বুঝুক ধার্মিকেরা না পোহাক তার অমা-রাত।

কর্মকাণ্ডের জগৎ থেকে রেখো তারে অনেক দূরে।

জীবন জগত থেকে দূরে অনেক দূরে পগার পার।

মুমিন রবে গোলাম হয়ে এই তো খুব-চমৎকার।

দুনিয়ার কাজ অন্যে করুক, নশ্বর ধরায় কী কাজ তার?

তাহার তরে কাব্য-গজল তাসাওউফ বেশ মানায়।

যাতে চোখে না পড়ে তার দুনিয়াদারীর ধুন্ধুমায়রা।

প্রতি পলে ভয় যে আমার উম্মাহ কখন উঠে জেগে

দীনের যাহার মর্মকথা চলবে কেমনে এ সংসার।

(কারণ, সে যে খলীফা খোদার নেতৃত্বই কাজটি তার।)

অনুবাদঃ ইবনে সাঈদ

“আল্লাহ আমাদেরকে এজন্য পাঠিয়েছেন যেন আমরা তাঁর অভিপ্রায় মাফিক মানুষকে বান্দার গোলামী থেকে মুক্ত করে সেই ওয়াহদাহু লা-শারীকা লাহুর গোলামীতে, দুনিয়ার সংকীর্ণতা থেকে বের করে তার প্রশস্ততার মাঝে এবং নানা ধর্মের জুলুম-নিপীড়ন ও অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্তি দিয়ে ইসলামের ন্যায় ও ইনসাফের মধ্যে দাখিল করি।”

এই পয়গামে আজও একটি হরফের পরিবর্তন-পরিবর্ধনের কিংবা কমবেশি করবার প্রয়োজন নেই। আজ একবিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর নিমিত্ত তা তেমনি নতুন, জীবন্ত ও উপযোগী যেমন ছিল খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর পৃথিবীর জন্য।

আজও মানুষ হাতে গড়া না গড়া মূর্তির সামনে তার মস্তক অবনত করছে, প্রণতিপাত করছে। আজও একক স্রষ্টার বন্দেগী অচেনা ও অপরিচিত হয়ে। যাচ্ছে। আজও গায়রুল্লাহ (আল্লাহ ভিন্ন অন্য কিছু)-র বন্দনা গীতি ও শক্তির বাজার গরম। আজও প্রবৃত্তিজাত কামনা-বাসনার মূর্তি প্রকাশ্য রাজপথে পূজিত হচ্ছে। আজও সাধু-সন্তু, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার, ক্ষমতাদর্পী শাসক ও বিত্ত-সম্পদের অধিকারী পুঁজিপতি, জননায়ক অধিপতি, রাজনৈতিক দল ও তার নেতৃবৃন্দ আল্লাহকে ফেলে প্রভু প্রতিপালক সেজে বসে আছে। এদের জন্য আজ তেমনি ন্যরানা পেশ করা হচ্ছে, নৈবেদ্য সাজানো হচ্ছে, ভেট চড়ানো হচ্ছে এবং তাদের আস্তানায় তেমনি বন্দনা গীতি গাওয়া হচ্ছে যেমনটি হয়ে থাকে বাতিল দেবমূর্তিগুলোর সামনে।

আজ মনুষ্য জগত আপন ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি, সফর উপকরণের প্রাচুর্য, যাতায়াতের সহজসাধ্যতা এবং বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে নিকট সম্পর্ক সত্ত্বেও পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে বস্তুবাদী মানুষ এই দুনিয়ার বুকে অপর কোন সত্তার স্বীকৃতি দিচ্ছে না, মানছে না এবং নিজের কল্যাণ, প্রবৃত্তিজাত কামনা-বাসনা ও আত্মপূজা ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি তাঁর আদৌ আকর্ষণ নেই। স্বার্থপরতা আজ এই পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, বিশাল বিস্তৃত এই ভূখণ্ডে দু’জন মানুষ পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে যে জীবন যাপন করবে, এতটুকু অবকাশও তার রাখেনি। সংকীর্ণ দৃষ্টি ও দেশপূজা এমন প্রত্যেক মানুষকে যার জন্ম দেশের বাইরে, অপরাধী ভাবছে এবং তাকে ঘৃণা ও অবজ্ঞার চোখে দেখছে। ফলে তার সকল গুণ ও নৈপুণ্যই অস্বীকৃত হচ্ছে এবং তাকে সর্বপ্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। অতঃপর এই জীবনের ছিটেফোটার যেটুকু ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি রয়েছে ঐসব রাজনীতিবিদ ও সরকারী লোকেরা তা আরও সংকীর্ণ করে দিয়েছে যারা জীবন-যিন্দেগী, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উপায়-উপকরণ ও রুটি-রুযীর উৎস ও ভাণ্ডারের ওপর নিয়ন্ত্রণ আঁকিয়ে বসে রয়েছে। তারা যাকে ইচ্ছা ও যার নিমিত্ত ইচ্ছা এই জীবনকে সংকীর্ণ ও দুর্বিষহ করে তোলে এবং যার জন্য চায় ব্যাপক ও বিস্তৃত করে দেয়। বড় বড় বিশাল বিস্তৃত শহর ও সবুজ শ্যামল ভূখণ্ড মানুষের জন্য বরকতশূন্য ও শ্রীহীন হয়ে গেছে এবং গোটা আবাদী ও জনবসতি নাবালক শিশু ও অবুঝ এতিমের ন্যায় অন্যের তত্ত্বাবধানে করুণা ভিখারী হয়ে জীবন যাপন করছে। মানুষের ওপর মানুষের বিশ্বাস নেই। প্রত্যেকেই একে অন্যকে সন্দেহ ও সংশয়ের দৃষ্টিতে দেখছে এবং প্রতিপক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে। কুরআন মজীদের অলংকারিক ও অলৌকিক শব্দসমষ্টি মুতাবিক যমীন তার সকল বিস্তৃতি সত্ত্বেও সংকীর্ণ হয়ে গেছে এবং স্বভাব-তবিয়ত ভেতর ভেতরেই নিভতে শুরু করেছে। সভ্যতা ও সরকারের নিত্য-নতুন বেড়ি ও গোলামীর শেকল লোকের ওপর বোঝা হয়ে চেপে বসছে। প্রতিনিয়ত ট্যাক্স ও নিত্য-নতুন করভারে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের আশংকা বিরাজ করছে। বাইরের ও অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ মাথার ওপর ঘুরপাক খাচ্ছে, গোলযোগ ও অরাজকতা, ধর্মঘট, হরতাল জীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়ে গেছে।

নিঃসন্দেহে আজও মানুষকে বিভিন্ন ধর্মের জুলুম-নিপীড়ন ও বেইনসাফী থেকে ইসলামের ন্যায় ও সুবিচারের দিকে টেনে আনার প্রয়োজন রয়েছে। এই উদার ও প্রগতির যুগেও এমন অনেক ধর্মের সাক্ষাত মেলে যেসব ধর্মের আকীদা-বিশ্বাস ও শিক্ষামালা খুবই হাস্যকর যা তার অনুসারীদের নির্বোধ ও চেতনাহীন পশুর মত জোয়ালে বেঁধে রেখেছে এবং তাদেরকে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনা ও চিন্তা-ভাবনা করে কাজ করার অনুমতি দেয় না। এরপর এমন কিছু ধর্ম ও বিধি-ব্যবস্থাও আছে যেগুলো ধর্ম নামে কথিত হবার উপযোগী নয় বটে, কিন্তু আপন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার আওতায়, স্বীয় অপরিসীম শক্তি ও সরকারের মধ্যে এবং আপন অনুসারীদের অন্ধ আনুগত্য ও ভক্তির আবেগাতিশয্যে প্রাচীন ধর্মগুলো থেকে কোনক্রমেই কম নয়। এগুলো সেই সব রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক দর্শন যেগুলোর ওপর আজকে মানুষ ঠিক তেমনি বিশ্বাস পোষণ করছে যেমনটি আগে বিভিন্ন ধর্ম ও জীবন-দর্শনের ওপর পোষণ করত। এগুলো হচ্ছে এ যুগের জাতীয়তাবাদ, ভৌগোলিক ও আঞ্চলিক জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজবাদ বা সমাজতন্ত্র, সমূহবাদ ইত্যাদি। এসব নতুন ধর্ম নিজেদের একচোখা নীতি, সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গী ও হৃদয়হীনতার ক্ষেত্রে প্রাচীন জাহিলী যুগের বিভিন্ন ধর্ম ও মযহাবের চাইতেও এক ডিগ্রী বেশি। কোন রাজনৈতিক বিশ্বাস ও অর্থনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে দ্বিমত পোষণের শাস্তি আজ তার চেয়েও অধিক ভয়াবহ যতটা ভয়াবহ ছিল প্রাচীন যুগে কোন ধর্ম ও জীবন-দর্শনের সঙ্গে মতভেদের ক্ষেত্রে। আজ যখন কোন দল বা পার্টির কিংবা নীতির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বিরোধী দলের বেঁচে থাকার অধিকারটুকু পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয় এবং তাকে তার মতভেদ পোষণের কঠিন শাস্তি পেতে হয়। এ যুগের দু’দুটো বিশ্বযুদ্ধ কোন ধর্মীয় মতানৈক্যের ভিত্তিতে কিংবা কোন ধর্মীয় দল-উপদলের আন্দোলনের পরিণতিতে সংঘটিত হয়নি, বরং তা হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থের সংঘাত ও জাতীয় স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে। স্পেন ও চীনের গৃহযুদ্ধ যার সামনে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর খ্রিস্টান জগতের ধর্মীয় গৃহযুদ্ধ এবং মধ্যযুগের গীর্জা ও রেনেসাঁর অগ্রপথিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের সংঘাত-সংঘর্ষও নিষ্প্রভ মনে হবে, তা কোন ধর্মীয় মতানৈক্যের কারণে ছিল না, বরং তা ছিল। শুধুই একটি রাজনৈতিক মূলনীতি কেন্দ্রিক মতভেদ এবং ক্ষমতাভিলাষী দল-উপদলগুলোর মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ।

আজও মুসলিম বিশ্বের পয়গাম এক আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী ও একমাত্র তাঁরই আনুগত্য এবং আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নবী-রাসূলদের নবুওত ও রিসালত, বিশেষত শেষ পয়গম্বর ও শ্রেষ্ঠতম রসূল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -র নবূওত ও রিসালতের ওপর ঈমান আনয়ন এবং পারলৌকিক জীবনের প্রতি গভীর বিশ্বাস স্থাপনের দাওয়াত জ্ঞাপন। এই দাওয়াত কবুলের পুরস্কার ও বিনিময় হবে এই, এই বিশ্ব ঘন ঘোর অন্ধকার থেকে বেরিয়ে যেই অন্ধকারের মধ্যে সে শত শত বছর থেকে হাত-পা ছুঁড়ছে, আলোর দিকে এসে যাবে, তারই মত মানুষের দাসত্ব ও গোলামী থেকে মুক্তি পেয়ে এক আল্লাহ্র বন্দেগী ও গোলামীরূপ মহামূল্যবান নে'মত পাবে, জীবনের এই বদ্ধ কারাগার থেকে যেখানে সে শতাব্দীকাল থেকে বন্দী জীবন যাপন করছে, মুক্তি পেয়ে জীবনের উন্মুক্ত প্রান্তরে ও খোলা ময়দানে এবং দুনিয়ার উন্মুক্ত আকাশে ও মুক্ত বাতাসে পা ফেলতে পারবে, বিশ্বাসগত ও রাজনৈতিক ধর্মসমূহের নিগড় থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে সে প্রকৃতির ধর্ম, স্বভাব-ধর্ম ও শরীয়তের ইলাহীর ন্যায় ও ইনসাফের ছায়াতলে স্থান পাবে।

এই পয়গামের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব, এর শ্রেষ্ঠত্ব ও সমুন্নতি সম্পর্কে যতটা স্বচ্ছ ও স্পষ্ট ধারণা লাভ আজ সম্ভব হয়েছে এবং এ সম্পর্কে উপলব্ধি আজ যতখানি সহজ হয়ে গেছে এর আগে তেমনটি আর কখনো হয়নি। জাহিলিয়াত আজ জনসমক্ষে অবমানিত। এর নেকাবঢ়াকা গোপন চেহারা আজ সবার সামনে নগ্নভাবে উদ্ভাসিত। মানুষ আজ জীবন সম্পর্কে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে এবং এই মুহূর্তের জাহাজের কাপ্তানদের সম্পর্কে হতাশ। দুনিয়ার নেতৃত্বের মধ্যে মৌলিক পরিবর্তনের এটাই প্রকৃষ্ট সময় ও উপযোগী মুহূর্ত। এই মুহূর্তটি পর্যন্ত দুনিয়ার নেতৃত্বে যতটুকু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা এর চেয়ে বেশি ছিল না যে, যখন নৌকার মাঝি এক হাতে বৈঠা বাইতে বাইতে তার হাত ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন সে বৈঠা তার অন্য হাতে নেয়। এরপর সে হাত ক্লান্ত হলে আবার আগের হাতে বৈঠা ফিরিয়ে নেয়। ব্রিটেন থেকে আমেরিকা কিংবা আমেরিকা থেকে রাশিয়ার দিকে বিশ্ব নেতৃত্বের এই যে হাত বদল অথবা আন্তর্জাতিক প্রভাব ও ক্ষমতা বলয়ের এই যে পরিবর্তন এর বেশি কিছু নয়; মাঝি নৌকার বৈঠা এক হাতে থেকে অন্য হাতে নিয়েছে। এটা কাপ্তানের পরিবর্তন কিংবা জাহাজ পরিচালনার মূলনীতির পরিবর্তন অথবা সফরের দিক পরিবর্তন নয়, বরং এ তো ডান হাত বাম হাতের খেলা মাত্র!

মানুষের যাবতীয় সমস্যা ও সংকটের আজ একটাই সমাধান আর তা হলো এই, বিশ্বের নেতৃত্ব ও জীবনরূপী জাহাজের পরিচালন ভার ঐসব অপরাধী ও মানুষের রক্তে রঞ্জিত খুনীদের হাত থেকে বের করে যারা মানুষের এই কাফেলাকে ডুবিয়ে দেবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঐ সব আমানতদার, দায়িত্বশীল ও আল্লাহভীরু অভিজ্ঞ মানুষগুলোর হাতে তুলে দেওয়া যাদেরকে সৃষ্টির আদিতেই মানুষের এই বিশাল কাফেলা পরিচালনার জন্যই বানানো হয়েছিল। কার্যকর ও ফলপ্রসূ বিপ্লব কেবল এই, দুনিয়ার পথ প্রদর্শন ও মানুষের নেতৃত্বভার জাহিলিয়াতের শিবির থেকে, যার মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা ও রাশিয়া ও তাদের পদলেহী ও তল্পীবাহী প্রাচ্য ও এশীয় জাতিগোষ্ঠীসমূহ এবং যার নেতৃত্বের বাগডোর রয়েছে আয়েশী ও বিলাসী পুঁজিবাদী ধনিক বণিক অপরাধী চক্রের হাতে, স্থানান্তরিত হয়ে সেই উম্মাহর হাতে তা আসুক যার নেতৃত্ব রয়েছে। মানবতার মহান নির্মাতা রহমতে আলম, সাইয়েদে বনী আদম মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের হাতে এবং যাদের এই দুনিয়ার নবতর বিনির্মাণ ও মানবতার নবজাগরণের নিমিত্ত রয়েছে সুদৃঢ় ও সুস্পষ্ট মৌলনীতি ও শিক্ষামালা এবং যাদের ঈমান বর্তমান বিশ্বকে এই সময়কার জাহিলিয়াতের থেকে ঠিক সেভাবে বের করে আনতে পারে যেভাবে সে বের করে এনেছিল চৌদ্দ শ’ বছর আগে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন