hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলমানদের পতনে বিশ্ব কী হারালো?

লেখকঃ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী (র.)

৬৯
দায়িত্বশীল সমাজ
গোটা সমাজের মধ্যে দায়িত্বানুভূতি সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। মানব সমাজ এখন আর একটি অসহায়, এখতিয়ারহীন, অবশ অকেজো জামাত ছিল না যে জামাত নিজ মস্তিষ্কের সাহায্যে কাজ আনজাম দিতে সক্ষম আর না পারে নিজস্ব এখতিয়ারে। তার জ্ঞান-বুদ্ধি ও সাবালকত্ব এবং তার এখতিয়ার স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল। এই সমাজের প্রত্যেক সদস্য ছিলেন একজন দায়িত্বশীল ও এখতিয়ারের অধিকারী যিনি স্ব-স্ব গণ্ডি ও বৃত্তের মধ্যে দায়িত্বশীল ও এখতিয়ারের মালিক। মানুষ তার নিজ পরিবারের গার্জিয়ান ও দায়িত্বশীল অভিভাবক হতো। নারী তার স্বামীর ঘরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত এবং সে তার অধীনস্থ। লোকদের সম্পর্কে জওয়াবদিহি করতে আদিষ্ট। কর্মচারী তার মনিব বা মালিকের সম্পদের যিম্মাদার এবং সে তার যিম্মাদারীর ব্যাপারে জওয়াবদিহি করতে বাধ্য ছিল। তদ্রুপই ইসলামী সমাজ একটি সচেতন ও ক্ষমতার অধিকারী সমাজ ছিল। যার প্রত্যেক সদস্য তার নিজ কাজের জন্য জওয়াবদিহি করতে বাধ্য ছিল।

সমস্ত মুসলমান সত্যের সাহায্যকারীতে পরিণত হয়েছিল। তাদের কাজকর্ম পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হতো। খলীফা যতক্ষণ আল্লাহর অনুগত থাকতেন ততক্ষণ মুসলমানরা তাঁর অনুগত থাকত। যদি খলীফা আল্লাহর নাফরমানী করতেন তাহলে আর এ আনুগত্য অবশিষ্ট থাকত না। নবী করীম (ﷺ) -এর বাণীঃ –

لا طاعة لمخلوق معصية الخالق

অর্থাৎ স্রষ্টার অবাধ্যতার বিনিময়ে সৃষ্টির আনুগত্য বৈধ নয়’ হুকুমতের প্রতীক চিহ্নে পরিণত হলো। যে ধন-সম্পদ ও বায়তুল মালের (তথা সরকারী কোষাগারের) অর্থকড়ি সুলতান, তার অমাত্য ও সভাসদবর্গের সহজ গ্রাস ও আমীর-উমারার ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হতো এখন তা আল্লাহর আমানত মনে করা হচ্ছিল। এসব তারই সন্তুষ্টির জন্য ও সঠিক স্থানে ব্যয় করা হচ্ছিল এবং মুসলমানরা ছিল এসব সম্পদের আমানতদার ও মুতাওয়াল্লী। খলীফার উদাহরণ ছিল য়াতীমের অভিভাবকের ন্যায়। তিনি (খলীফা) আর্থিক সামর্থ্যের অধিকারী হলে সরকারী কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা গ্রহণের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতেন এবং বিরত থাকতেন। আর অভাবী হলে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে যতটুকু না হলেই নয় সে পরিমাণ ভাতা গ্রহণ করতেন। আল্লাহর সেই সুবিস্তৃত যমীন যাকে রাজা-বাদশাহ, সুলতান ও আমীর-উমারা নিজেদের উপভোগের সামগ্রী ও পৈতৃক সম্পদ ভেবে রেখেছিল, যাকে চাইত দরাজ হস্তে বিলিয়ে দিত এবং যাকে না চাইত হাত গুটিয়ে নিত, কেউ কেউ আবার এক্ষেত্রে কাপড়ের ন্যায় সংযোজন বিয়োজন করে জোড়াতালি দিত এখন আর তা ছিল। এখন এগুলো ছিল আল্লাহর যমীন যার এক বিঘত পরিমাণেরও হিসাব দিতে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন