hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১০৩
সুন্নাত কিরাআত
সূরাসমূহের সত্মর বিন্যাস :

১. সূরা ক্বাফ থেকে সূরা মুরসালাত পর্যন্ত অংশকে ‘‘ত্বিওয়ালে মুফাস্সাল’’ (দীর্ঘ পরিচ্ছেদবহুল অংশ) বলা হয়।

২. সূরা নাবা থেকে সূরা লাইল পর্যন্ত অংশকে ‘‘আউসাতে মুফাস্সাল’’ (মাঝারি পরিচ্ছেদবহুল অংশ) বলা হয়।

৩. আর সূরা যুহা থেকে শেষ সূরা পর্যন্ত অংশকে ‘‘ক্বিসারে মুফাস্সাল’’ (ছোট পরিচ্ছেদবহুল অংশ) বলা হয়।

ফজরের সালাতে ত্বিওয়ালে মুফাস্সাল -এর সূরাগুলো হতে; যোহর, আসর ও এশার সালাতে আউসাতে মুফাসসাল -এর সূরাগুলো হতে এবং মাগরিবের সালাতে ক্বিসারে মুফাস্সাল -এর সূরাগুলো হতে পাঠ করা উত্তম। আবার কখনো কখনো এগুলোর বিপরীত আমলও করা ভালো।

রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক সালাতে সময় ও সুযোগ মতো কিরাআত দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত করতেন।

ফজর :

আবু বারযা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ভোরের (ফজরের) সালাতে ষাট থেকে একশ আয়াত পর্যন্ত পাঠ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৫৯; মুসনাদে আবু ইয়া‘লা, হা/৭৩২৯; বায়হাকী, হা/৩৮২৫;]

আবদুল্লাহ ইবনে সায়িব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদা ফজরের সালাতে সূরা মু‘মিনূন পাঠ করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৫০; আবু দাউদ, হা/৬৪৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৪৩২; বায়হাকী, হা/৩৮২৪; মিশকাত, হা/৮৩৭।]

আমর ইবনে হুরাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ফজরের সালাতে সূরা তাকভীর পাঠ করতে শুনেছি। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৫১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭৬০; বায়হাকী, হা/৩৮২০; মিশকাত, হা/৮৩৬।]

যোহর ও আসর :

আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে সাথে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যোহর ও আসরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরা ফাতিহা এবং এর সাথে আরো দুটি সূরা পাঠ করতেন। তিনি যোহরের প্রথম রাক‘আত দীর্ঘ করতেন এবং দ্বিতীয় রাক‘আত সংক্ষিপ্ত করতেন। ফজরের সালাতেও তিনি এরূপ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৪০; আবু দাউদ, হা/৭৯৮।]

জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যোহর এবং আসরের সালাতে সূরা বুরূজ, সূরা তারেক এবং এর অনুরূপ সূরাসমূহ পাঠ করতেন। [আবু দাউদ, হা/৮০৫; তিরমিযী, হা/৩০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০৮৬।]

জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যোহরের সালাতে সূরা লাইল পাঠ করতেন এবং আসরের সালাতেও অনুরূপ কোন সূরা পাঠ করতেন। ফজরের সালাতে তিনি এর চেয়ে দীর্ঘ সূরা পাঠ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৫৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০০০; মিশকাত, হা/৮৩০।]

মাগরিব :

মুহাম্মাদ ইবনে জুবায়ের ইবনে মুত‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মাগরিবের সালাতে সূরা তূর পাঠ করতে শুনেছি। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১; সহীহ বুখারী, হা/৪০২৩; সহীহ মুসলিম, হা/১০৬৩; আবু দাউদ, হা/৭১১; নাসাঈ, হা/৯৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/৮৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৮২৯।]

ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ মাগরিবের সালাতে সূরা কাফিরূন ও সূরা ইখলাস পাঠ করেছেন। [ইবনে মাজাহ, হা/৮৩৩।]

এশা :

বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এশার সালাতে সূরা তীন পাঠ করতে শুনেছি। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কণ্ঠের চেয়ে এত সুন্দর কণ্ঠ আর কখনো শুনিনি। [সহীহ বুখারী, হা/৭৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১০৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭০৩; মিশকাত, হা/৮৩৪।]

জুমু‘আ ও ঈদ :

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু‘আর দিন ফজরের সালাতে সূরা সাজদা ও সূরা দাহর এবং জুমু‘আর সালাতে সূরা জুমু‘আ ও সূরা মুনাফিকূন পাঠ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/২০২৮; আবু দাউদ, হা/১০৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮০০।]

নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ দুই ঈদে এবং জুমু‘আর সালাতে সূরা আ‘লা এবং সূরা গাশিয়াহ পাঠ করতেন। এমনকি যদি কখনো ঈদ ও জুমু‘আ একই দিনে হত তবে তিনি ঈদ ও জুমু‘আর উভয় সালাতেই এ দুটি সূরা পাঠ করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/২০৬৫; আবু দাউদ, হা/১১২৪; তিরমিযী, হা/৫৩৩; নাসাঈ, হা/১৫৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/১২৮১।]

উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত। একদা উমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) আবু ওয়াক্বিদ আল লায়সী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতে কী কিরাআত পাঠ করতেন? আবু ওয়াক্বিদ (রাঃ) বললেন, তিনি এতে সূরা ক্বাফ এবং সূরা ক্বামার পাঠ করতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৯৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/২০৯২; আবু দাউদ, হা/১১৫৬; মিশকাত, হা/৮৪১।]

উল্লেখ্য যে, কোন সালাতের জন্য কোন সূরা এমনভাবে নির্দিষ্ট নেই যে, এ সূরা না পড়লে উক্ত সালাত আদায় হবে না। মুসল্লি তার সুবিধামতো কুরআন মাজীদের যে কোন জায়গা থেকে তিলাওয়াত করতে পারে। তবে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিশেষ বিশেষ সালাতে যে সকল সূরা পাঠ করেছেন সেগুলো পাঠ করা উত্তম। আবার মাঝে-মধ্যে এর ব্যতিক্রমও করা উচিত, যাতে কেউ এ ধারণা করতে না পারে যে, অমুক সূরা ছাড়া অমুক সালাত হয় না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন