hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৯৯
আমীন জোরে না আসেত্ম বলতে হবে
যেহরী সালাতে ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে ইমাম-মুক্তাদী সকলে জোরে আমীন বলবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ - إِذَا قَرَأَ ﴿ وَلاَ الضَّآلِّينَ﴾ قَالَ ﴿ اٰمِينَ ﴾ . وَرَفَعَ بِهَا صَوْتَهٗ

ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ‘ওয়ালায্যো-ল্লীন’ বলার পর উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলতে শুনেছি। [আবু দাউদ, হা/৯৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৮৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৮৫৫; নাসাঈ, হা/৯৩২; তিরমিযী, হা/২৪৮।]

এসব হাদীস থেকে এটা স্পষ্ট হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজে শব্দ করে আমীন বলেছেন। সুতরাং নবী করীম ﷺ নির্দেশিত পথ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য শ্রেয়।

এজন্য ইমাম বুখারী (রহ.) তার ‘‘সহীহ বুখারী’’ কিতাবে এভাবে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন,

بَابُ جَهْرِ الْإِمَامِ بِالتَّأْمِيْنِ . وَقَالَ عَطَاءٌ : اٰمِيْنَ دُعَاءٌ أَمَّنَ ابْنُ الزُّبَيْرِ ، وَمَنْ وَرَاءَهُ حَتّٰى إِنَّ لِلْمَسْجِدِ لَلَجَّةً

ইমাম উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলা অনুচ্ছেদ। আত্বা বলেন, আমীন হলো দু‘আ। ইবনে যুবাইর এবং তার পেছনের লোকেরা এমন জোরে আমীন বলতেন যাতে মসজিদ গুঞ্জরিত হয়ে উঠত। [বুখারী তালীক্ব ১/১০৭ পৃঃ, হা/৭৮০; ফাৎহুল বারী, হা/৭৮০-৮১ ‘সশব্দে আমীন বলা’ অনুচ্ছেদ- ১১১।]

তারপর তিনি নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন -

بَابٌ جَهَرَ الْمَأمُوْمِ بِالتَّأمِيْنِ

অর্থাৎ মুক্তাদীর উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলা অনুচ্ছেদ।

নীরবে আমীন বলার হাদীস সম্পর্কে মমত্মব্য :

নীরবে আমীন বলার পক্ষে যে বর্ণনা এসেছে তা হলো :

عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّ النَّبِىَّ -ﷺ - قَرَأَ ﴿غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّآلِّينَ﴾ فَقَالَ : اٰمِينَ . وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهُ

আলকামা ইবনে ওয়ায়েল (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সালাত আদায় করেন। যখন তিনি ‘‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায্যো-ল্লীন’’ পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন আমীন বললেন। তিনি তা নিম্নস্বরে আওয়ায করলেন। [তিরমিযী, হা/২৪৮; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২৯১৩; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৭৪৭২।]

قَالَ أَبُوْ عِيسٰى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُوْلُ حَدِيْثُ سُفْيَانَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيْثِ شُعْبَةَ فِى هٰذَا وَأَخْطَأَ شُعْبَةُ فِى مَوَاضِعَ مِنْ هٰذَا الْحَدِيْثِ فَقَالَ عَنْ حُجْرٍ أَبِى الْعَنْبَسِ وَإِنَّمَا هُوَ حُجْرُ بْنُ عَنْبَسٍ وَيُكْنٰى أَبَا السَّكَنِ . وَزَادَ فِيْهِ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ وَلَيْسَ فِيْهِ عَنْ عَلْقَمَةَ وَإِنَّمَا هُوَ عَنْ حُجْرِ بْنِ عَنْبَسٍ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَقَالَ وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهٗ وَإِنَّمَا هُوَ وَمَدَّ بِهَا صَوْتَهٗ .

ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন, মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারীকে) বলতে শুনেছি যে, সুফিয়ানের হাদীস শু‘বার হাদীসের চেয়ে অধিক সহীহ। এই হাদীসে শু‘বা অনেক জায়গায় ভুল করেছে। সে বর্ণনা করেছে হুজর আবুল আনবাস থেকে। অথচ তিনি হলেন, হুজর বিন আনবাস। তার উপাধি আবু সাকান। সে বৃদ্ধি করেছে আলকামা বিন ওয়ায়েল। অথচ তাতে আলকামা নেই। মূলত তা হবে ওয়ায়েল বিন হুজর থেকে হুজর বিন আনবাস। এছাড়া সে বলেছে, তিনি নিম্নস্বরে বলেন। অথচ তা হবে তিনি তার স্বর উচ্চ করেন।

এ হাদীসে - وَخَفَضَ بِهَا صَوْتَهٗ যার অর্থ আমীন বলার সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আওয়ায নিম্নস্বরে হতো। একই রেওয়ায়াত সুফিয়ান সাওরী থেকে এসেছে رَفَعَ بِهَا صَوْتَهٗ যার অর্থ আমীন বলার সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আওয়ায উচ্চৈঃস্বরে হতো। হাদীস বিশারদগণের নিকট নিম্নস্বরে আমীন বলার হাদীসটি মুযত্বারিব অর্থাৎ যার সনদ ও মতনে নাম ও শব্দগত ভুল রয়েছে। উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলার হাদীস এসব ত্রুটি থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে এর উপর আমল করাই উত্তম। [দার কুতনী, হা/১২৫৬; আর রাওয়াতুন নাদিয়াহ ১/২৭২; আন নাওলুল আওত্বার ৩/৭৫।]

তাছাড়া উপরের আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, ইয়াহুদিরা মুসলিমদের আমীন শব্দ শুনতে পায় এবং এ কারণে তারা হিংসা করে। সুতরাং এখন যদি উচ্চৈঃস্বরে আমীন না বলা হয় তবে তারা শুনবে কী করে? আর না শুনতে পেলে হিংসা করবে কী করে? অতএব উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলাই সুন্নাত।

অপর হাদীসে বলা হয়েছে যে, ইমাম যখন আমীন বলেন তখন তোমরা আমীন বলো। এতে অতি সহজেই বুঝা যাচ্ছে যে, ইমামকে জোরে আমীন বলতে হবে। তাহলেই মুক্তাদীরা ইমামের আমীন শুনতে পাবে এবং তারা ইমামের সাথে আমীন বলবে। এখন যদি ইমাম আস্তে আমীন বলেন, তাহলে মুক্তাদীরা তা শুনতে পাবে না। এতে করে সবার আমীন একসাথে হবে না এবং সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হতে হবে। তাই সহীহ হাদীসের উপর আমল করার লক্ষ্যে ইমাম এবং মুক্তাদী সকলেরই জোরে আমীন বলা উচিত।

আমীন কখন বলবে :

উপরোক্ত হাদীসের ভিত্তিতে মুক্তাদীদের আমীন বলার ব্যাপারে দুটি নিয়ম পরিলক্ষিত হয়। যেমন-

(এক) ইমাম আমীন বলা শুরু করলে মুক্তাদীরাও আমীন বলবে। যাতে করে ইমাম-মুক্তাদীর আমীন ও ফেরেশতাদের আমীন এক সঙ্গে হয়।

(দুই) ইমাম যখন ‘‘ওয়ালায্যো-ল্লীন’’ বলা শেষ করবেন তখন মুক্তাদীগণ আমীন বলবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন