মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তাহাজ্জুদ সালাতের অনেক গুরুত্ব ও ফযীলত রয়েছে। কুরআন মাজীদে ফরয সালাতের পর সবচেয়ে বেশি তাহাজ্জুদ সালাতের আলোচনা এসেছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা তাহাজ্জুদ সালাতের নির্দেশ প্রদান করে বলেন,
রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করবে, এটা তোমার জন্য একটি অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭৯)
তাদের দেহ বিছানা থেকে এমনভাবে আলাদা হয়ে যায় যে, তারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করতে থাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। কেউই জানে না যে, তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানস্বরূপ তাদের জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হয়েছে। (সূরা সাজদা- ১৬, ১৭)
সেদিন মুত্তাক্বীরা জান্নাত ও ঝর্ণার মধ্যে থাকবে, যা তাদের প্রতিপালক তাদেরকে প্রদান করবেন; তা তারা গ্রহণ করবে। নিশ্চয় তারা ইতিপূর্বে সৎকর্মপরায়ণ ছিল। তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রাবস্থায় অতিবাহিত করত এবং রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমাপ্রার্থনা করত। (সূরা যারিয়াত, ১৫-১৮)
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮।]
ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো মধ্য রাতের সালাত :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, ফরয সালাতের পর সবচেয়ে উত্তম সালাত কোনটি এবং রমাযান মাসের সিয়ামের পর সবচেয়ে উত্তম সিয়াম কোনটি? উত্তরে তিনি বলেন, ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হলো মধ্য রাতের সালাত। আর রমাযান মাসের সিয়ামের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো মুহাররম মাসের সিয়াম। [সহীহ মুসলিম, হা/২৮১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০১৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৩৪।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পেছনে তিনটি গিঁঠ দেয়। প্রতিটি গিঁঠে সে এই বলে চাপড়ায়- তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি শুয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি জাগ্রত হয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে, একটি গিঁঠ খুলে যায়। পরে অযু করলে আরো একটি গিঁঠ খুলে যায়। অতঃপর সালাত আদায় করলে আরো একটি গিঁঠ খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে সকালে উঠে কলুষতা ও আলস্য সহকারে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪২৪; সহীহ বুখারী, হা/১১৪২; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫৫; আবু দাউদ, হা/১৩০৮; নাসাঈ, হা/১৬০৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩০৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৩২৯; মিশকাত, হা/১২১৯।]
পূর্ববর্তী সকল নেক বান্দাদের অভ্যাস ছিল তাহাজ্জুদের সালাত পড়া :
আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা তাহাজ্জুদ সালাত আদায়ে অভ্যাসী হও। কারণ তা তোমাদের পূর্ববর্তী নেক বান্দাদের অভ্যাস ছিল, তোমাদের প্রভুর নৈকট্য লাভের উপায়, পাপ মোচনকারী এবং গোনাহ থেকে বিরতকারী আমল। [তিরমিযী, হা/৩৫৪৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৩৫।]
নবী ﷺ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ আদায় করতেন :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ রাত্রিকালীন সালাতে এত দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন যে, তাঁর পদযুগল বা পায়ের গোছা ফুলে যেত। একদা আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম- কেন আপনি এতক্ষণ ধরে সালাত আদায় করছেন, অথচ আপনার পেছনের এবং সামনের সব গোনাহ তো ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, তাই বলে কি আমি একজন শুকরিয়া আদায়কারী বান্দা হব না? [সহীহ বুখারী, হা/৪৮৩৭; সহীহ মুসলিম, হা/৭৩০২-০৪; তিরমিযী, হা/৪১২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৮৮ মিশকাত, হা/১২২০।]
বিভিন্ন হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আগের এবং পরের সব গোনাহ আল্লাহ রাববুল আলামীন ক্ষমা করে দিয়েছেন। তারপরও তিনি আবাসে-প্রবাসে কখনোই তাহাজ্জুদ সালাত আদায় থেকে বিরত থাকেননি। যদি কখনো কোন কারণে রাত্রে এ সালাত বাদ পড়ত, তাহলে তিনি তা দিনের বেলা আদায় করে নিতেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, যে সকল মুসলিম তাহাজ্জুদের সময় জাগ্রত হয়, তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয় না। সুতরাং নৈরাশ্য রোগের অন্যতম চিকিৎসা হলো তাহাজ্জুদের সময় জাগ্রত হওয়া। উক্ত সময় যিকির-আযকার করা, সালাত আদায় করা, কুরআন বুঝে বুঝে পড়া, জ্ঞান চর্চা করা ইত্যাদি আমলসমূহের মধ্যে কত যে উপকার ও বরকত রয়েছে তা বাস্তবে আমল না করা পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারবে না।
পরিবারকে তাহাজ্জুদের জন্য জাগানোর নির্দেশ :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ ঐ বান্দার প্রতি রহম করুন, যে বান্দা রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং সে তার স্ত্রীকেও জাগ্রত করে। স্ত্রী যদি সালাত আদায় না করে তবে তার চেহারায় পানি ঢালে। আল্লাহ রহম করুন সেই মহিলার প্রতি, যে রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করে এবং সে তার স্বামীকে জাগ্রত করে। যদি সে অস্বীকার করে তবে সে তার চেহারায় পানি দেয়। [আবু দাউদ, হা/১৩০৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৩৬; সহীহুল জামে, হা/৩৪৮৮।]
তাহাজ্জুদের সময় :
তাহাজ্জুদের সময় শুরু হয় এশার পর থেকে এবং শেষ হয় ফজরের আগে আগে। রাতের প্রথমাংশে, মধ্যরাতে অথবা শেষাংশে যেকোন সময় তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা যায়।
তবে উত্তম সময় হলো, রাতের শেষ তৃতীয়াংশ। কারণ মানুষ তখন রাতের নিঝুম পরিবেশে আরামে ঘুমাতে চায়, আর আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সে তার ঐ সুখের নিদ্রা ত্যাগ করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্য শেষ রাত্রে বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে- আর এখানেই রয়েছে তাহাজ্জুদ সালাতের মাহাত্ম্য।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, রাতের শেষ তৃতীয়াংশে প্রতিপালক তাঁর বান্দার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হন। সুতরাং তুমি যদি ঐ সময় আল্লাহর যিকিরকারীদের দলভুক্ত হতে সক্ষম হও, তাহলে হয়ে যাও। [তিরমিযী, হা/৩৫৭৯; নাসাঈ, হা/৫৭২।]
আসওয়াদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম- রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সালাত কেমন ছিল? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথমাংশে ঘুমাতেন এবং শেষাংশে জেগে সালাত আদায় করতেন। এরপর বিছানায় যেতেন, মুয়াজ্জিন আযান দিলে উঠে পড়তেন। তখন প্রয়োজন থাকলে গোসল করতেন, নইলে অযু করে মসজিদে যেতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৫৯৩।]
তাহাজ্জুদের সালাত নিয়মিত আদায় করা উচিত :
মাসরূক (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে কোন আমলটি সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? আয়েশা (রাঃ) বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৭৬৪; নাসাঈ, হা/১৬১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৪৩৩; মিশকাত, হা/১২০৭।]
তাহাজ্জুদ সালাতের রাক‘আত :
রাত্রিকালীন সালাতের নির্দিষ্ট কোন রাক‘আত সংখ্যা নেই। তাহাজ্জুদের সালাত দু’রাক‘আত করে যতটুকু সম্ভব পড়া যায়।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! রাতের সালাতের পদ্ধতি কী? তিনি বললেন, দু’দু রাক‘আত করে (সালাত আদায় করতে থাকবে)। অতঃপর ফজর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করলে এক রাক‘আত মিলিয়ে বিতর করে নেবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৬৭; সহীহ বুখারী, হা/৪৭২; সহীহ মুসলিম, হা/১৭৮২।]
আমির শা‘বী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) এবং আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর রাতের সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা বললেন, ১৩ রাক‘আত। এর মধ্যে ৮ রাক‘আত তাহাজ্জুদ, ৩ রাক‘আত বিতর এবং ২ রাক‘আত ফজরের সুন্নাত। [ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬১।]
নবী ﷺ তাহাজ্জুদে লম্বা কিরাআত পাঠ করতেন :
হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক রাতে নবী ﷺ এর সাথে সালাতে দাঁড়ালাম। তিনি সূরা বাকারা পড়তে শুরু করলেন। আমি ভাবলাম হয়তো বা তিনি ১০০ আয়াত পাঠ করবেন। কিন্তু তিনি তা অতিক্রম করে গেলেন। তারপর ভাবলাম তিনি সূরাটিকে ২ রাক‘আতে পড়বেন। কিন্তু তিনি তাও অতিক্রম করে গেলেন। ভাবলাম তিনি হয়তো সূরাটি শেষ করে রুকূ করবেন। কিন্তু না, তা না করে তিনি সূরা নিসা শুরু করলেন। তাও পড়ে শেষ করলেন। এরপর সূরা আলে ইমরান ধরলেন এবং তাও পড়ে শেষ করলেন। তিনি ধীরে ধীরে আয়াত পাঠ করছিলেন। তাসবীহ এর আয়াত পাঠ করার সময় তাসবীহ পাঠ করছিলেন। প্রার্থনার আয়াতের সময় প্রার্থনা করছিলেন। আশ্রয় প্রার্থনার আয়াতের সময় আশ্রয় প্রার্থনা করছিলেন। অতঃপর রুকূ করলেন। [নাসাঈ কুবরা, হা/৭২৩; মুস্তাখরাজ আলাস সাহীহাইন, হা/১৭৬৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬০৯।]
একই সালাতে একই সূরা বার বার পড়া যায় :
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি এক ব্যক্তিকে রাতে সালাতের মধ্যে বারবার সূরা ইখলাস পাঠ করতে শুনলেন। এরপর সকালে তিনি নবী ﷺ এর কাছে গিয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার এক প্রতিবেশী রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করে, কিন্তু ‘‘কুলহু ওয়াল্লাহু আহাদ’’ ছাড়া অন্য কিছু পড়ে না, এটাকেই সে বারবার ফিরিয়ে পড়ে। নবী ﷺ বললেন, সেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। ঐ সূরা এক তৃতীয়াংশ কুরআনের সমতুল্য। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৮৫; সহীহ বুখারী, হা/৫০১৩; আবু দাউদ, হা/১৪৬৩; নাসাঈ, হা/৯৯৫।]
তাহাজ্জুদের কিরাআত উচ্চৈঃস্বরেও পড়া যায় আবার আস্তেও পড়া যায় :
একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ রাত্রিকালে বাইরে এলে তিনি দেখলেন যে, আবু বকর (রাঃ) নিম্নস্বরে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করছেন। অতঃপর তিনি উমর (রাঃ) এর কাছে গিয়ে দেখলেন, তিনি উচ্চৈঃস্বরে সালাত আদায় করছেন। অতঃপর যখন তারা উভয়ে তাঁর কাছে আসলেন, তখন তিনি বললেন, হে আবু বকর! আমি তোমার কাছ দিয়ে অতিক্রম করার সময় দেখলাম যে, তুমি নিম্নস্বরে সালাত আদায় করছ। তখন আবু বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কেবল তাঁকে শুনিয়েছি, যার কাছে আমি মুনাজাত করেছি। এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ উমর (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে বললেন, আর তোমার কাছ দিয়ে অতিক্রম করার সময় দেখতে পেলাম যে, তুমি উচ্চৈঃস্বরে সালাত আদায় করছ। তখন উমর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তন্দ্রাভিভূত লোকদের জাগিয়ে দেই এবং শয়তান বিতাড়ন করি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, হে আবু বকর! তোমার আওয়াজ একটু উঁচু করো। আর হে উমর! তোমার আওয়াজ একটু নীচু করো। [আবু দাউদ, হা/১৩২৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৩৩; মু‘জামুল কাবীর লিল বায়হাকী, হা/৪৮৮৭।]
সামর্থ্য অনুযায়ী রাত্রিতে ইবাদাত করতে হবে :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন বনূ আসাদ গোত্রের এক মহিলা আমার নিকট উপস্থিত ছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার নিকট আসলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, এ মহিলা কে? আমি পরিচয় বললাম। আর এও বললাম যে, তিনি সারারাত না ঘুমিয়ে সালাত আদায় করেন। শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সাধ্য অনুযায়ী আমল করতে থাকাই তোমাদের কর্তব্য। কেননা আল্লাহ তা‘আলা সওয়াব দানে ক্লান্ত হন না, যতক্ষণ না তোমরা ক্লান্ত হয়ে পড়। [সহীহ বুখারী, হা/১১৫১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১২৮২।]
তাহাজ্জুদ সংক্রান্ত কতিপয় করণীয় নিয়ম :
১. তাহাজ্জুদ পড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক কাজ করা। যেমন- দুপুরে একটু কায়লুলা [দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর কিছু সময় শোয়ে বিশ্রাম নেয়াকে কায়লুলা বলা হয়।] করা, রাত্রে বেশিক্ষণ জেগে না থাকা, প্রয়োজনে ঘড়ি বা মোবাইলে এলার্ম দিয়ে শয়ন করা ইত্যাদি।
২. শোয়ার সময় তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়তে শয়ন করা। আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বিছানায় গিয়ে তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়তে শয়ন করবে সে তাহাজ্জুদ না পড়তে পারলেও তার জন্য সওয়াব লেখা হয় এবং তার ঘুম আল্লাহর পক্ষ হতে সাদাকা স্বরূপ হয়ে যায়। [নাসাঈ, হা/১৭৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৪৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৭২; জামেউস সগীর, হা/১০৮৮৫।]
তাহাজ্জুদের জন্য উঠে যা করণীয় :
১. জাগ্রত হওয়ার পর প্রথমে চেহারা থেকে ঘুমের ভাব মুছে ফেলা। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৬৫; সহীহ বুখারী, হা/১৮৩; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৫।]
২. নীচের দু‘আটি পাঠ করা। উবাদা ইবনে সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি রাতে জেগে উঠে নীচের দু‘আটি পড়ে তারপর বলে, ‘‘আল্লা-হুম্মাগফিরলী’’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন বা অন্য কোন দু‘আ করে, তার দু‘আ কবুল করা হয়। এরপর অযু করে সালাত আদায় করলে তার সালাত কবুল করা হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪; আবু দাউদ, হা/৫০৬২; তিরমিযী, হা/৩৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৮।]
শাব্দিক অর্থ : لَا إِلٰهَ কোন উপাস্য নেই إِلَّا اللهُ আল্লাহ ছাড়া, وَحْدَهٗ তিনি একক। لَاشَرِيْكَ لَهٗ তাঁর কোন শরীক নেই। لَهُ الْمُلْكُ রাজত্ব তাঁরই। وَلَهُ الْحَمْدُ সমস্ত প্রশংসাও তার জন্য। وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। وَسُبْحَانَ اللهِ আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র ও মহান। -- وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ সমস্ত প্রশংসা তাঁরই। وَلَا إِلٰهَ কোন উপাস্য নেই إِلَّا اللهُ আল্লাহ ছাড়া। وَاللهُ أَكْبَرُ আল্লাহ সবচেয়ে বড়, وَلَا حَوْلَ কোন ক্ষমতা নেই وَلَا قُوَّةَ এবং কোন শক্তিও নেই إِلَّا بِاللهِ আল্লাহ ছাড়া।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত উপাস্য নেই, তিনি একক। তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত প্রশংসা তার জন্য। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র ও মহান। সমস্ত প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন প্রকৃত উপাস্য নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ক্ষমতা বা শক্তি নেই।
৩. সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ পাঠ করা। [সহীহ বুখারী, হা/১৮৩; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৫।]
হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন তাহাজ্জুদের সালাতের জন্য উঠতেন তখন মিসওয়াক ব্যবহার করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬১৮; আবু দাউদ, হা/৫৫; নাসাঈ, হা/২; ইবনে মাজাহ, হা/২৮৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩২৯০; ইবনে খুযায়মা, হা/১১৪৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৭২; জামেউ সগীর, হা/৮৮৯৫; মিশকাত, হা/৩৭৮।]
৫. প্রথমে হালকাভাবে দু’রাক‘আত সালাত দিয়ে তাহাজ্জুদ শুরু করা। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন রাতে তাহাজ্জুদ শুরু করতেন তখন প্রথমে হালকাভাবে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০৬৩; বায়হাকী, হা/৪৪৪৫; জামেউস সগীর, হা/৮৮৭৪; মিশকাত, হা/১১৯৩।]
৬. তাহাজ্জুদ সালাতের বিশেষ ছানা পাঠ করা।
(ক) ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দন্ডায়মান হতেন, তখন এ দু‘আ পড়তেন।
শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! لَكَ الْحَمْدُ আপনারই জন্য সকল প্রশংসা, اَنْتَ قَيِّمُ আপনি ধারক السَّمٰوَاتِ আকাশের وَالْاَرْضِ পৃথিবীর وَمَنْ فِيْهِنَّ এবং এ দু’য়ের মধ্যে যা কিছু বিদ্যমান সবকিছুর। وَلَكَ الْحَمْدُ আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, لَكَ مُلْكُ কর্তৃত্ব আপনারই السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ আকাশসমূহ ও জমিনের وَمَنْ فِيْهِنَّ এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান সব কিছুর। وَلَكَ الْحَمْدُ আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, اَنْتَ نُوْرُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ আপনি আসমান ও জমিনের নূর। وَلَكَ الْحَمْدُ আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, أَنْتَ مَلِكُ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضِ আপনি আসমান ও জমিনের মালিক। وَلَكَ الْحَمْدُ আপনার জন্যই সকল প্রশংসা اَنْتَ الْحَقُّ আপনিই চির সত্য। وَوَعْدُكَ الْحَقُّ আপনার অঙ্গীকার চির সত্য, وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ আপনার সাক্ষাৎ সত্য, وَقَوْلُكَ حَقٌّ আপনার বাণী সত্য, وَالْجَنَّةُ حَقٌّ জান্নাত সত্য, وَالنَّارُ حَقٌّ জাহান্নাম সত্য, وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ নবীগণ সত্য, وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ মুহাম্মাদ ﷺ সত্য, وَالسَّاعَةُ حَقٌّ কিয়ামত সত্য। اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! لَكَ اَسْلَمْتُ আমি আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করলাম; وَبِكَ اٰمَنْتُ আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ আপনার উপরই ভরসা করলাম وَاِلَيْكَ اَنَبْتُ এবং আপনার দিকেই রুজূ‘ করলাম। وَبِكَ خَاصَمْتُ আর আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্যই (কাফিরদের সাথে) শত্রুতায় লিপ্ত হলাম, وَاِلَيْكَ حَاكَمْتُ আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। فَاغْفِرْ لِيْ অতএব আপনি ক্ষমা করে দিন مَا قَدَّمْتُ যা আমি পূর্বে প্রেরণ করেছি وَمَا اَخَّرْتُ এবং যা আমি পরে প্রেরণ করেছি وَمَا اَسْرَرْتُ যা গোপনে সংঘটিত হয়েছে وَمَا اَعْلَنْتُ এবং যা প্রকাশ্যে সংঘটিত হয়েছে (সকল গোনাহ)। اَنْتَ الْمُقَدِّمُ আপনিই অগ্রগামী وَاَنْتَ الْمُؤَخِّرُ এবং আপনিই পশ্চাদগামী। ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اَنْتَ আপনি ছাড়া (প্রকৃত) কোন উপাস্য নেই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আকাশসমূহ, পৃথিবী ও এ দু’য়ের মধ্যে বিদ্যমান সব কিছুর ধারক। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আকাশ, জমিন এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান সব কিছুর কর্তৃত্ব আপনারই। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আসমান জমিনের নূর। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা, আপনি আসমান ও জমিনের মালিক। আপনার জন্যই সকল প্রশংসা আপনিই চির সত্য। আপনার অঙ্গীকার চির সত্য, আপনার সাক্ষাৎ সত্য, আপনার বাণী সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, নবীগণ সত্য, মুহাম্মাদ ﷺ সত্য, কিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম; আপনার প্রতি ঈমান আনলাম; আপনার উপরই ভরসা করলাম এবং আপনারই অভিমুখী হলাম। আর আমি আপনার (সন্তুষ্টির) জন্যই শত্রুতায় লিপ্ত হই, আপনাকেই বিচারক মেনে নিলাম। তাই আপনি আমার পূর্বের ও পরের এবং প্রকাশ্য ও গোপন সব অপরাধ ক্ষমা করুন। আপনিই অগ্রগামী এবং পশ্চাদগামী। আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৭; নাসাঈ, হা/১৬১৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৫১।]
(খ) আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন তাহাজ্জুদের সালাতে দাঁড়াতেন তখন কী পড়ে শুরু করতেন? আয়েশা (রাঃ) উত্তরে বললেন, নবী ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন।
শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আললাহ! رَبَّ جِبْرَائِيْلَ জিবরাঈলের প্রতিপালক, وَمِيْكَائِيْلَ মিকাঈলের প্রতিপালক وَاِسْرَافِيْلَ ও ইসরাফীলের প্রতিপালক, فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْاَرْضِ আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, اَنْتَ تَحْكُمُ আপনি মীমাংসা করে দেবেন بَيْنَ عِبَادِكَ আপনার বান্দাদের মধ্যে فِيْمَا كَانُوْا فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে। اِهْدِنِىْ আমাকে হেদায়াত দান করুন لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ মতভেদপূর্ণ বিষয়ে مِنَ الْحَقِّ সঠিক পথে بِاِذْنِكَ আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী। اِنَّكَ تَهْدِىْ নিশ্চয় আপনি পরিচালিত করেন مَنْ تَشَاءُ যাকে চান اِلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ সরল-সঠিক পথে।
অর্থ : হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মিকাঈল ও ইসরাফীলের রব, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, আপনি আপনার বান্দাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে। মতভেদপূর্ণ বিষয়ে আমাকে সঠিক পথের সন্ধান দিন। আপনি যাকে চান সঠিক পথে পরিচালিত করেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৫৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৫৭।]
রাতে তাহাজ্জুদ ছুটে গেলে তা যোহর সালাতের আগে পড়ে নিতে পারবে :
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার নির্ধারিত সালাত বা কিছু অংশ আদায় না করে ঘুমায় এবং ঠিক সময় উঠতে না পারে, তারপর সে ফজর ও যোহরের মধ্যবর্তী সময়ে তা আদায় করে, সে যেন তা রাতেই আদায় করল- এরূপ সওয়াব তার জন্য লেখা হয়। [সহীহ মুসলিম, হা/১৭৭৯; আবু দাউদ, হা/১৩১৫; তিরমিযী, হা/৫৮১; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৪৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৭১।]
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যদি অসুস্থতা বা ঘুমের কারণে কখনো রাতের সালাত আদায় করতে না পারতেন, তাহলে দিনে ১২ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৭৭৭-৭৮; আবু দাউদ, হা/১৩৪৪; তিরমিযী, হা/৪৪৫; নাসাঈ, হা/১৭৮৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৭১৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১৬৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/৯৮৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৪২০; জামেউস সগীর, হা/৮৯১৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৪৭৪৩।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/70/161
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।