hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭৬
সালাতুল জানাযা
জানাযার সালাত হচ্ছে মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার কাছে মাগফিরাত কামনা করে দু‘আ চাওয়া। একজন মুসলিম যখন মৃত্যুবরণ করে তখন এটা তার অধিকার যে, অন্যান্য মুসলিমগণ তার জন্য জানাযার সালাত আদায় করবে।

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের ৬টি হক আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, সে মারা গেলে তার জানাযায় অংশগ্রহণ করা । [সহীহ মুসলিম, হা/৫৮৮৭; তিরমিযী, হা/২৭৩৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৩৩; মিশকাত, হা/৪৬৪৩।]

প্রত্যেক মুসলিমের উপর জানাযার সালাত ফরযে কেফায়াহ। অর্থাৎ মুসলিমদের কেউ জানাযা পড়লে উক্ত ফরয আদায় হয়ে যাবে। কিমত্মু না পড়লে সবাই দায়ী থাকবে। জানাযার সালাতে কোন রুকূ-সিজদা বা বৈঠক নেই এবং এ সালাতের জন্য নির্দিষ্ট কোন ওয়াক্তও নেই। বরং দিনে-রাতে যে কোন সময় পড়া যায়।

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি মৃতের জন্য সালাত আদায় করা পর্যন্ত জানাযায় উপস্থিত থাকবে, তার জন্য এক কীরাত, আর যে ব্যক্তি দাফন হয়ে যাওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকবে তার জন্য দু’কীরাত। জিজ্ঞেস করা হলো, দু’কীরাত কি? তিনি বললেন, দুটি বিশাল পর্বত সমতুল্য সওয়াব। [সহীহ বুখারী, হা/১৩২৫; সহীহ মুসলিম, হা/২২৩২; নাসাঈ, হা/১৯৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৮৮।]

জানাযা যেতে দেখলে দাঁড়ানো :

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন কোন জানাযা যেতে দেখবে, তখন যদি কেউ তার সহযাত্রী হতে নাও পার, তাহলে সে ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে, যতক্ষণ না তা চলে যায় অথবা নামিয়ে না রাখা হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১৩১০; সহীহ মুসলিম, হা/২২৬১; আবু দাউদ, হা/৩১৭৪; তিরমিযী, হা/১০৪৩।]

জানাযার পূর্বে মৃতের জন্য প্রথম করণীয় হলো তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা। এজন্য তার সকল সম্পদ বিক্রি করে হলেও তা করতে হবে। যদি তার কিছুই না থাকে, তাহলে তার নিকটাত্মীয়, সমাজ, সংগঠন বা সরকার সে দায়িত্ব বহন করবে। [সহীহ বুখারী, হা/২২৯৮; সহীহ মুসলিম, হা/৪২৪২; তিরমিযী, হা/১০৭০;নাসাঈ, হা/১৯৬৩; ইবনে মাজাহ, হা/২৪১৫; বায়হাকী, হা/১৩০৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮১৩; মিশকাত হা/২৯১৩।]

মৃত ব্যক্তি কোন ন্যায়নিষ্ঠ ও পরহেযগার ব্যক্তিকে অসিয়ত করে গেলে তিনিই জানাযা পড়াবেন। নতুবা আমীর বা তাঁর প্রতিনিধি অথবা মৃত ব্যক্তির কোন যোগ্য নিকটাত্মীয়, নতুবা স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা অন্য কোন মুত্তাকী আলেম জানাযার ইমামতি করবেন।

জানাযার সালাত আদায়ের পদ্ধতি :

১. জানাযার সালাত খোলা স্থানে আদায় করাই শ্রেয়। তবে বিশেষ কারণবশত মসজিদে আদায় করা যেতে পারে।

২. জানাযার সালাতের কাতার বেজোড় সংখ্যক হওয়া উত্তম। এ সালাতে মুক্তাদীগণ ইমামের পেছনে কাঁধে কাঁধ ও পায়ে পা মিলিয়ে দাঁড়াবে। [সহীহ বুখারী, হা/৭২৫; আবু দাউদ, হা/৬৬২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪৯৮; বায়হাকী, হা/২১২১; মিশকাত, হা/১৬৫২, ৫৭, ৫৮।]

৩. জানাযার সালাতে জুতা খোলার কোন প্রয়োজন নেই। যদি তাতে নাপাকী থাকে, তবে তা মাটিতে ঘষে নিলেই যথেষ্ট হবে। [আবু দাউদ, হা/৩৮৫-৮৭, তিরমিযী, হা/৪০০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৫৯০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩০০; জামেউস সগীর, হা/৮৩৫; মিশকাত, হা/৫০৩।] এ সময় জুতা থেকে পা বের করে তার উপর দাঁড়ানোর কোন বিধান নেই।

৪. মৃত ব্যক্তি পুরুষ হলে ইমাম তার মাথা ও কাঁধ বরাবর দাঁড়াবেন [আবু দাউদ, হা/৩১৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩১৩৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৭১৭৩।] এবং মহিলা হলে তার শরীরের মাঝ বরাবর দাঁড়াবেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৩২, ১৩৩২; সহীহ মুসলিম, হা/২২৭৯; আবু দাউদ, হা/৩১৯৭; তিরমিযী, হা/১০৩৫; নাসাঈ, হা/১৯৭৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৪৪৬; মিশকাত, হা/১৬৫৭।]

৫. একাধিক মৃত ব্যক্তি পুরুষ ও নারী একত্রে হলে পুরুষের লাশ ইমামের কাছাকাছি রাখবে। অতঃপর মহিলার লাশ থাকবে। আর যদি শিশু ও মহিলা হয়, তাহলে শিশুর লাশ প্রথমে ও মহিলার লাশ পরে থাকবে।

৬. জানাযার সালাত শুরুর আগে মনে মনে নিয়ত করে নিতে হবে। জানাযার সালাত চার তাকবীরের সাথে আদায় করতে হয়। [সহীহ বুখারী, হা/১৩২৮, ৩৮৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/২২৫০।]

৭. জানাযার সালাতে প্রথম তাকবীর দিয়ে ‘‘আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্বা-নির রাজীম’’ পড়বে। এরপর ‘বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম’ পড়বে। এরপর ইমামসহ জামাআতে দাঁড়ানো সবাই সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন। ইমাম সূরা ফাতিহা উচ্চৈঃস্বরে বা নীরবে পাঠ করতে পারেন। তবে সালাতে অংশগ্রহণকারীরা নীরবে পাঠ করবে। তালহা ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) একবার জানাযার সালাত আদায়কালে তাকবীরের পর উচ্চৈঃস্বরে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। এরপর বললেন, আমি এজন্য এরূপ করেছি যাতে তোমরা জানতে পার যে, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা সুন্নাত। [সহীহ বুখারী, হা/১৩৩৫; নাসাঈ, হা/১৯৮৭; আবু দাউদ, হা/৩২০০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০৭১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৬৪২৭; মিশকাত, হা/১৬৫৪।]

৮. সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম উচ্চৈঃস্বরে দ্বিতীয় তাকবীর দিবেন এবং অন্যরা নীরবে তাকবীর দিবে। এ সময় হাত তোলা না তোলা উভয়ই জায়েয আছে। দ্বিতীয় তাকবীর বলার পর দরূদে ইবরাহীম পাঠ করতে হবে।

৯. দরূদ পাঠের পর ইমাম উচ্চৈঃস্বরে তৃতীয় তাকবীর বলবেন এবং অন্যরা নীরবে বলবে। তৃতীয় তাকবীরের পর মৃত ব্যক্তির জন্য উপস্থিত সবাই আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করে দু‘আ করবেন এবং সেই সাথে সমগ্র মুসলিম যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের জন্যও মাগফিরাত চেয়ে দু‘আ করবেন। এ সময় ইমাম এক বা একাধিক দু‘আ পাঠ করতে পারবেন।

১০. অতঃপর ইমাম উচ্চৈঃস্বরে চতুর্থ তাকবীর বলবেন এবং অন্যরা নীরবে বলবে। তারপর ইমাম উচ্চৈঃস্বরে প্রথমে ডান দিকে এবং পরে বাম দিকে সালাম ফিরাবেন, অন্যরাও ইমামকে অনুসরণ করবে। এভাবেই জানাযার সালাত আদায় করতে হবে।

৩য় তাকবীর দিয়ে নিম্নোক্ত দু‘আসমূহ পাঠ করবে :

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَ ذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَأَحْيِهٖ عَلَى الْاِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ -‐ اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهٗ وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهٗ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়াশা-হিদিনা ওয়াগা-‘ইবিনা ওয়াসাগীরিনা ওয়াকাবীরিনা ওয়াযাকারিনা ওয়াউনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহু মিন্না ফাআহ্য়িহী ‘আলাল ইসলা-ম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহু মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহু ‘আলাল ঈমা-ন। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহু ওয়ালা তাফতিন্না বা‘দাহু।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! اِغْفِرْ তুমি ক্ষমা করে দাও لِحَيِّنَا আমাদের জীবিতদেরকে وَمَيِّتِنَا ও আমাদের মৃতদেরকে, وَشَاهِدِنَا আমাদের উপস্থিতদেরকে وَغَائِبِنَا আমাদের অনুপস্থিতদেরকে, وَصَغِيْرِنَا আমাদের ছোটদেরকে وَكَبِيْرِنَا ও আমাদের বড়দেরকে, وَذَكَرِنَا আমাদের পুরুষদেরকে وَأُنْثَانَا ও আমাদের মহিলাদেরকে। اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! مَنْ أَحْيَيْتَهٗ مِنَّا আমাদের মাঝে যাদেরকে জীবিত রাখ فَأَحْيِهٖ عَلَى الْاِسْلَامِ তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো, وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا আর আমাদের মাঝে যাদেরকে মৃত্যু দান কর فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো। اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! لَا تَحْرِمْنَا আমাদেরকে বঞ্চিত করো না أَجْرَهٗ তার নেকী হতে وَلَاتُضِلَّنَا এবং আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করো না بَعْدَهٗ তার (মৃত্যুর) পর।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নর-নারী সকলকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে যাদেরকে জীবিত রাখ তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো, আর যাদেরকে মৃত্যু দান কর, তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার নেকী হতে বঞ্চিত করো না এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করো না। [আবু দাউদ, হা/৩২০৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৯৮; তিরমিযী, হা/১০২৪; মুসত্মাখরাজে হাকেম, হা/১৩২৬; মিশকাত, হা/১৬৭৫।]

তারপর এ দু‘আ পাঠ করবে :

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهٗ وَارْحَمْهُ وَعَافِهٖ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهٗ وَوَسِّعْ مَدْخَلَهٗ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهٖ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْاَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِهٖ وَأَهْلًا خَيْرًا مِّنْ أَهْلِهٖ وَزَوْجًا خَيْرًا مِّنْ زَوْجِهٖ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলাহু ওয়ারহামহু ওয়া‘আ-ফিহি ওয়া‘ফু ‘আনহু ওয়াআকরিম নুযুলাহু ওয়াওয়াস্সি‘ মাদখালাহু ওয়াগসিলহু বিলমা-ই ওয়াসসালজি ওয়ালবারাদি। ওয়ানাক্কিহী মিনাল খাত্বা-য়া কামা ইউনাক্কাস সাওবুল আবইয়াযু মিনাদ্দানাস। ওয়াআবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহী ওয়া যাওজান খাইরাম্ মিন যাওজিহী, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা ওয়াআ‘ইযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বিন্না-র।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! اغْفِرْ لَهٗ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, وَارْحَمْهُ তার উপর রহম করো, وَعَافِهٖ তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করো, وَاعْفُ عَنْهُ তাকে ক্ষমা করো, وَأَكْرِمْ আর মর্যাদাপূর্ণ করো نُزُلَهٗ তার আপ্যায়ণ وَوَسِّعْ প্রশস্ত করো مَدْخَلَهٗ তার বাসস্থান। وَاغْسِلْهُ তুমি তাকে ধৌত করে দাও بِالْمَاءِ পানি দ্বারা, وَالثَّلْجِ বরফ দ্বারা وَالْبَرَدِ ও শিশির দ্বারা। وَنَقِّهٖ তুমি তাকে পরিষ্কার করো مِنَ الْخَطَايَا পাপ হতে, كَمَا يُنَقَّى যেভাবে পরিষ্কার করা হয় اَلثَّوْبُ الْاَبْيَضُ সাদা কাপড় مِنَ الدَّنَسِ ময়লা থেকে । وَأَبْدِلْهُ তার জন্য পরিবর্তন করে দাও دَارًا বাড়ি خَيْرًا مِّنْ دَارِهٖ যা দুনিয়ার বাড়ির চেয়ে উত্তম। وَأَهْلًا এবং এমন পরিবার خَيْرًا مِّنْ أَهْلِهٖ যা দুনিয়ার পরিবারের চেয়ে উত্তম وَزَوْجًا এবং এমন স্ত্রী خَيْرًا مِّنْ زَوْجِهٖ যা দুনিয়ার স্ত্রীর চেয়ে উত্তম وَأَدْخِلْهُ আর তুমি তাকে প্রবেশ করাও الْجَنَّةَ জান্নাতে। وَأَعِذْهُ আর তাকে বাঁচাও مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ কবরের আযাব থেকে وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ এবং জাহান্নামের আযাব হতে ।

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও, তার উপর রহম করো, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করো, তাকে ক্ষমা করো, মর্যাদার সাথে তার আপ্যায়ণ করো, তার বাসস্থান প্রশস্ত করো। তুমি তাকে ধৌত করে দাও পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা। তুমি তাকে পাপ হতে এমনভাবে পরিষ্কার করো, যেমনভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর দান করো। তাকে দুনিয়ার পরিবারের চেয়ে উত্তম পরিবার দান করো এবং তুমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও। আর তাকে কবরের আযাব এবং জাহান্নামের আযাব হতে বাঁচাও। [সহীহ মুসলিম, হা/২২৭৬; নাসাঈ, হা/১৯৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০২১; মিশকাত, হা/১৬৫৫।]

জানাযার সালাত সমাপ্তির পর আবার হাত তুলে দু‘আ করা বিদআত :

জানাযার সালাত প্রকৃতপক্ষে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আস্বরূপ। এর গঠন এমনই যে তৃতীয় তাকবীরের পর এক বা একাধিক দু‘আ পাঠ করা যায়। কাজেই সালাম ফিরানোর পর আবার হাত তুলে দু‘আ করার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া এটি রাসূলুল্লাহ ﷺ অথবা সালফে সালেহীনদের থেকে কোন সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় বিধায় এটি বিদআত।

মৃত ব্যক্তির জন্য স্বজনদের করণীয় হলো :

১. ধৈর্যধারণ করা।

২. তার জন্য দু‘আ করা।

৩. মৃত্যুর সংবাদ দিয়ে মানুষকে এ কথা বলা যে, তোমরা মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করো।

৪. যথাশীঘ্র তার জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করা।

৫. মৃতের ঋণ থাকলে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা।

৬. মাতাপিতা মারা গেলে তাদের জন্য দু‘আ করা। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মৃত্যুর পর মানুষের সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। তিনটি আমল ব্যতীত : (ক) সাদাকায়ে জারিয়া। (খ) এমন ইলিম, যার দ্বারা অন্যদের উপকার সাধিত হয়। (গ) সৎ সন্তান, যে তার জন্য দু‘আ করতে থাকবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১০; আবু দাউদ, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৩১; বায়হাকী, হা/১২৪১৫।]

কবর পাকা করা নিষেধ :

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ কবর পাকা করতে, কবরের উপর বসতে, কবরের উপর গৃহ নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৮৭৩; সহীহ মুসলিম, হা/১২০৯; নাসাঈ, হা/৭০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৯৭।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন