hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫৫
কসর সালাত
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সফরকারী মুসলিমদের জন্য সালাত আদায় করা সংক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। সফরকালীন সময় কসর আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশেষ এক অনুগ্রহ। [সহীহ মুসলিম, হা/১৬০৫; আবু দাউদ, হা/১২০১; তিরমিযী, হা/৩০৩৪; ইবনে মাজাহ, হা/১০৬৫।]

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, বাড়ি বা সফরে উভয় অবস্থায় প্রথমে সালাত দু’রাক‘আত করে ফরয করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সফরের সালাত দু’রাক‘আত ঠিক রাখা হয়েছে এবং বাড়িতে অবস্থানকালে সালাতের রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৩৩৫; সহীহ বুখারী, হা/৩৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৬০২।]

যখন কেউ সফরে থাকবে, তখন চার রাক‘আত বিশিষ্ট সালাতসমূহ দু’রাক‘আত করে আদায় করবে।

ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ, আবু বকর, উমর, উসমান (রাঃ)- সকলের সঙ্গে সফর করেছি। তারা যোহর এবং আসরের সালাত দু’রাক‘আত করে আদায় করতেন। এর পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করতেন না। [তিরমিযী, হা/৫৪৪; নাসাঈ, হা/১৪৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১৮৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৯৪৭।]

কতদূর সফরে কসর করা যাবে :

রাসূলুল্লাহ ﷺ সফরের দূরত্বের কোন সীমারেখা নির্ধারণ করেননি। সাহাবীগণও কোন সীমারেখার কথা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। এজন্য সফরের দূরত্ব সম্পর্কে উলামাদের বিভিন্ন মত রয়েছে,

১. একটি মত হচ্ছে, কেউ যদি ৪৮ মাইল বা ৮৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে তবে সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) এবং ইবনে আববাস (রাঃ) ১৬ ফারসাখ অর্থাৎ ৪৮ মাইল দূরত্বে কসর করতেন। [সহীহ বুখারী, ‘‘কতদূর গেলে কসর করবে’’ অধ্যায়; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৫৬০৩; বায়হাকী, হা/৫১৮০।]

২. অনেকের মতে, সফরের নির্ধারিত কোন দূরত্ব নেই। যতটুকু জায়গা অতিক্রমকে সাধারণত সফর হিসেবে ধরা হয় এবং যেখানে যেতে মানুষ সাধারণত সফরের পাথেয় নিয়ে যায়, এ রকম দূরত্ব অতিক্রম করলে সে মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১/৪২৪ পৃঃ।]

ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াযীদ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি আনাস (রাঃ) কে একটি প্রশ্ন করেন এবং তার জবাবে আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তিন মাইল অথবা তিন ফারসাখ (অর্থাৎ নয় মাইল) দূরে গেলে কসর আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৬১৫; আবু দাউদ, হা/১২০৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৪৫।]

কসরের সময়সীমা :

কোন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে সফরে বের হয়ে সেখানে নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত থাকার নিয়ত না থাকলে অর্থাৎ কাজ সমাপ্ত হলেই ফিরে যাওয়ার নিয়ত থাকলে, যতদিন ঐ স্থানে থাকতে হবে ততদিন কসর করা যাবে। পক্ষান্তরে বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করলে অথবা ব্যবসা, চাকুরী বা অধ্যয়নের জন্য থাকতে হলে কসর করা যাবে না।

যদি কেউ নির্ধারিত দিন সফরে থাকার নিয়ত করে তাহলে কতদিন থাকার নিয়ত করলে সে কসর করতে পারবে এ ব্যাপারে বিভিন্ন হাদীসে বিভিন্ন সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। যেমন- ৪ দিন, ১০ দিন, ১৫ দিন বা ১৯ দিন।

ইবনে আববাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদা সফরে ১৯ দিন পর্যন্ত অবস্থানকালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ১৯ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ সালাত আদায় করি। [সহীহ বুখারী, হা/১০৮০; বায়হাকী, হা/৫২৪৪।]

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মদিনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দু’রাক‘আত দু’রাক‘আত করে সালাত আদায় করেছেন। তখন তারা দশদিন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৬১৮; তিরমিযী, হা/৫৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/১০৭৭।]

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কায় ১৭ দিন অবস্থান করেন এবং তিনি কসর আদায় করেন। [আবু দাউদ, হা/১২৩২।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন