hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫৮
কাযা সালাত আদায়ের নিয়ম
১. বিশেষ কারণবশত কেউ যদি যথাসময়ে সালাত আদায় করতে না পারে তবে তার উপর ওয়াজিব হলো যখন স্মরণ হবে বা সুযোগ হবে কাযা আদায় করে নেবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, কেউ ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে গেলে তার কাফফারা হলো ঘুম ভাঙলে অথবা স্মরণে আসার সাথে সাথে কাযা সালাত আদায় করা। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪০৬; সহীহ বুখারী, হা/৫৯৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৯৮, ১৬০০; আবু দাউদ, হা/৪৪২; তিরমিযী, হা/১৭৮; নাসাঈ, হা/৬১৩; ইবনে মাজাহ, হা/৬৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৯১ মিশকাত, হা/৬০৩।]

২. কাযা সালাত দ্রুত ও ধারাবাহিকভাবে আদায় করা বাঞ্ছনীয়।

৩. কয়েকজনের সালাত একসাথে কাযা হয়ে গেলে সবাই মিলে জামাআত করে কাযা আদায় করতে পারবে। খন্দকের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ ও সাহাবীগণ মাগরিবের পরে যোহর থেকে এশা পর্যন্ত চার ওয়াক্তের কাযা সালাত এক আযান ও চারটি পৃথক ইকামতে পরপর জামাআত সহকারে আদায় করেন। [সহীহ লি গাইরিহী, নাসাঈ হা/৬৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৫৫৫; তিরমিযী, হা/১৭৯; বায়হাকী, হা/১৭৫১।]

৪. কাযা সালাতের জন্য ওয়াক্তের অপেক্ষা করতে হবে না, বরং যখন সুযোগ হবে তখনই পড়ে নিবে। ফরয সালাতের কাযা পড়ার সময় আযান, ইকামত ইত্যাদি নিয়ম অনুসরণ করে আদায় করবে। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ- ১/২৬৪।]

৫. সুন্নাতের কাযা আদায় করা যায়। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ- ১/৩৭৫।]

৬. যে সালাত যে অবস্থায় কাযা হয়, সেই সালাতকে সেই অবস্থায় কাযা করতে হয়। সুতরাং রাতের সালাত দিনে কাযা আদায় করার সুযোগ হলে রাতের মতোই জোরে কিরাআত পাঠ করতে হবে।

অনুরূপভাবে দিনে ছুটে যাওয়া সালাত রাতে কাযা আদায় করার সুযোগ হলে দিনের মতোই চুপেচুপে কিরাআত পাঠ করে আদায় করতে হবে।

৭. মুসাফির অবস্থায় সালাত কাযা করে বাড়ি ফিরলে কাযা সালাত কসর করেই আদায় করবে। কারণ সফর অবস্থায় তার কসর সালাতই কাযা হয়েছে। আর বাড়িতে থাকা অবস্থায় কোন ছুটে যাওয়া সালাত সফরে মনে পড়লে বা কাযা পড়ার সুযোগ হলে তা পুরোপুরিই আদায় করতে হবে।

৮. কয়েক ওয়াক্তের সালাত এক সঙ্গে কাযা আদায় করতে হলে তারতীব অনুযায়ী প্রথমে ফজর, তারপর যোহর, তারপর আসর, তারপর মাগরিব এবং তারপর এশা- এই নিয়মে আদায় করতে হবে।

৯. যদি কেউ যোহরের সালাত কাযা রেখে আসরের ওয়াক্তে মসজিদে আসে, তাহলে সে প্রথমে আসরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করে নেবে। পরে যোহরের কাযা আদায় করবে।

১০. কেউ আসরের সালাত কাযা রেখে মসজিদে এসে মাগরিবের জামাআত দাঁড়ানো দেখলে আগে জামাআতের সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করে নেবে। তারপর আসরের কাযা আদায় করবে।

১১. কেউ জুমু‘আর সালাত পড়তে এসে জামাআত দাঁড়ানো দেখে তার ফজরের সালাত কাযা থাকার কথা মনে পড়লে, সে জুমু‘আ পড়ার নিয়তেই জামাআতে শামিল হবে এবং তারপরই ফজরের সালাত কাযা আদায় করবে। কারণ জুমু‘আ একাকী বা দ্বিতীয় জামাআতে আদায় করার বিধান নেই।

১২. উপস্থিত সালাতের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার আশঙ্কা হলে তারতীব বিবেচ্য নয়। আগে ওয়াক্তের সালাত আদায় করে নেবে এবং পরে কাযা আদায় করবে।

১৩. উপস্থিত সালাত পড়তে শুরু করার পর পূর্বের সালাত কাযা আছে মনে পড়লে আর তারতীব বিবেচ্য নয়। উপস্থিত সালাত শেষ করে কাযা সালাত পড়ে নিতে হবে।

নিষিদ্ধ সময়ে কাযা আদায় করা :

ফজরের সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এবং আসরের সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল সালাত আদায় করা নিষেধ। অনেক উলামা এ সময়ের মধ্যে কাযা সালাত আদায় করাকেও নিষেধের আওতাভুক্ত করেছেন। তবে অন্যান্য উলামায়ে কেরাম এ সময়ে কাযা সালাত আদায় করাকে জায়েয বলেছেন। আর এ মতটিই বেশি গ্রহণযোগ্য। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১/২৩৫ পৃঃ।]

উমরী কাযা বলতে কোন সালাত নেই :

১. যে ব্যক্তির সালাত অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছুটে যায়, তার জন্য কাযা আছে। তার মনে অবহেলা ও শৈথিল্য না থাকলে আল্লাহ তার কাযা গ্রহণ করবেন। কিমত্মু ইচ্ছাকৃত সালাত ত্যাগ করলে সে সালাতের কাযা নেই। তাই উমরী কাযা বলে শরীয়তে কোন সালাত নেই। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১/২২৮ পৃঃ।]

২. বিনা ওজরে যথাসময়ে সালাত না পড়ে অন্য সময় কাযা পড়ায় কোন লাভ নেই। বরং যে ব্যক্তি এমন করে ফেলেছে তার উচিত বিশুদ্ধচিত্তে তওবা করা।

৩. উমরী কাযা অর্থাৎ অতীত জীবনের কাযা সালাতসমূহ আদায় করার কোন বিধান ইসলামে নেই। এটি বর্তমান যুগের একটি বিদআতী প্রথা। [আলোচনা দ্রষ্টব্য : আলবানী-মিশকাত হা/৬০৩, টীকা-২।] খালেছভাবে তওবা করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার বিগত সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেন। [সূরা ফুরক্বান- ৭১; সূরা যুমার- ৫৩।] অতএব এমতাবস্থায় উচিত হবে, বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা। কেননা ফরয ইবাদাতের ঘাটতি হলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর হুকুমে নফল ইবাদাতের নেকী দ্বারা তা পূর্ণ করা হবে। [আবু দাউদ, হা/৮৬৪; তিরমিযী, হা/৪১৩; নাসাঈ, হা/৪৬৫-৬৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৪২৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৬৬৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৯৬৫; জামেউস সগীর, হা/৪৩৩৯; মিশকাত হা/১৩৩০।]

টাকা বা খাদ্য বসত্মু দিয়ে সালাতের কাফফারা দেয়ার কোন বিধান নেই :

কাযা আদায় করার সময় ও সুযোগ না পেলে কোন পাপ হয় না। তাই মরণের সময় অথবা পরে বে-নামাযী অথবা কিছু সালাত ত্যাগকারীর পক্ষ থেকে রাক‘আত হিসাব করে কাফফারাস্বরূপ কিছু দান-খয়রাত করার কোন দলীল নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন