hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪৯
মাসবূকের সালাতের বিধান
সালাতের কিছু অংশ ইমামের সাথে এবং অবশিষ্ট অংশ একাকী আদায় করাকে মাসবূক সালাত বলা হয়। এ ক্ষেত্রে মুসল্লি ইমামকে যে অবস্থায় পাবে, সেই অবস্থায়ই সালাতে যোগদান করবে। আর এতেই সে জামাআতের পূর্ণ নেকী পেয়ে যাবে।

চার রাক‘আত বিশিষ্ট সালাতে ইমামের সাথে তিন রাক‘আত ছুটে গেলে এবং এক রাক‘আত পেলে সালাম ফিরানোর পর পরবর্তী রাক‘আত হবে তার জন্য ২য় রাক‘আত। সুতরাং এ রাক‘আতে ১ম তাশাহ্হুদের জন্য সে বসবে।

তেমনিভাবে তিন রাক‘আত বিশিষ্ট সালাত তথা মাগরিবের সালাতে ইমামের সাথে এক রাক‘আত পেলে এবং দুই রাক‘আত ছুটে গেলে সালাম ফিরানোর পর পরবর্তী রাক‘আতটি হবে তার জন্য ২য় রাক‘আত। এ রাক‘আতেও তাশাহ্হুদের জন্য বসতে হবে।

ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে :

ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুকূতে শরীক হতে হবে। তাহলে উক্ত রাক‘আতটি রাক‘আত হিসেবে গণনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে সানা পাঠ করার প্রয়োজন নেই। কেননা সানা হচ্ছে সালাত শুরুর দু‘আ, যা সালাতের সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু মাসবূক ব্যক্তি তাকবীরে তাহরীমার সাথে তথা জামাআতের শুরু হতে উপস্থিত হতে পারেনি সেহেতু তার জন্য সানা পাঠ করার কোন প্রয়োজন নেই।

কিমত্মু যদি ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেয়েও সূরা ফাতিহা পাঠ করার সুযোগ না হয় তাহলে উক্ত রাক‘আতটি রাক‘আত হিসেবে গণনা করা হবে কিনা এ ব্যাপারে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

একটি মত হচ্ছে, সূরা ফাতিহা পড়ার সুযোগ না পেলে ঐ রাক‘আতটি গণ্য হবে না। কারণ সূরা ফাতিহা পাঠ করা সালাতের একটি ওয়াজিব। এই ওয়াজিব আদায় করতে না পারার কারণে রাক‘আতটি গণ্য হবে না।

আরেকটি মত হচ্ছে, সূরা ফাতিহা পাঠ করতে না পারলেও অথবা আংশিক পাঠ করতে পারলেও রাক‘আতটি গণ্য হবে। কারণ এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : إِذَا جِئْتُمْ وَنَحْنُ سُجُوْدٌ فَاسْجُدُوْا وَلَا تَعُدُّوْهَا شَيْئًا ، وَمَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন তোমরা (সালাতে) এসে দেখবে যে, আমরা সিজদারত তখন তোমরা সিজদায় চলে যাবে। কিমত্মু রাক‘আত গণ্য করবে না। আর যে রুকূ পাবে সে পূর্ণ সালাতই পেল। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৬২২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১০১২।]

জমহুর উলামা, চার ইমাম এবং অন্যান্যরাও এ মতটিকে প্রধান্য দিয়েছেন।

এ হাদীস থেকে আরো একটি বিষয়ের দলীল পাওয়া যায় যে, কোন ব্যক্তি যখন মসজিদে আসবে এবং দেখবে যে জামাআত শুরু হয়ে গেছে তখন সে ইমামকে যে অবস্থায় পাবে সে অবস্থায়ই জামাআতে শরীক হয়ে যাবে। তখন থেকেই সে সওয়াব পেতে থাকবে। কিমত্মু অনেক লোককেই দেখা যায় যে, যদি রুকূ না পায় তাহলে অপেক্ষা করতে থাকে এবং ইমাম দাঁড়ালে জামাআতে শরীক হয়। এটা সঠিক নয়।

মাসআলা :

১. রাক‘আত ধরার জন্য কাতারে পৌঁছার আগে সালাত শুরু করা উচিত নয়। একদা আবু বকর (রাঃ) কাতারে পৌঁছার আগেই রুকূতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে বলেছিলেন, আল্লাহ তোমার আগ্রহ বাড়িয়ে দিন। তবে এমনটি আর করো না। [সহীহ বুখারী, হা/৭৮৩; আবু দাউদ, হা/৬৭৩।]

২. রাক‘আত গণ্য হওয়ার জন্য ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে মুক্তাদী রুকূতে গিয়ে কিছুটা স্থিরতা অবলম্বন করার মতো সময় পাওয়া জরুরি। মুক্তাদী রুকূতে যেতে না যেতে যদি ইমাম রুকূ থেকে উঠে যান তবে আর রাক‘আত গণ্য হবে না।

৩. শুধু তাকবীরে তাহরীমা বলে রুকূতে চলে যাওয়া জায়েয আছে। তবে উত্তম হলো প্রথমে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলবে। তারপর আরেকটি তাকবীর দিয়ে রুকূতে যাবে। যদি তাকবীর বলার আগে মাথা নীচু করে ফেলে তাহলে সালাত শুদ্ধ হবে না। কেননা দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বলা সালাতের একটি রুকন।

৪. ইমামের উচিত হলো প্রথম রাক‘আত একটু দীর্ঘায়িত করা। যাতে পেছনে থাকা মুসল্লিগণ প্রথম রাক‘আতে শামিল হতে পারে। ইমামের রুকূতে চলে যাওয়ার পর তিনি যদি অনুভব করতে পারেন যে, পেছনে কেউ সালাত ধরার জন্য আসছে তবে সামান্য দেরি করা দোষণীয় নয়। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১/৪৯৪ পৃঃ।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন