hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৯
কিবলামুখী হওয়া
সালাত শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিবলামুখী হওয়া অন্যতম শর্ত। আল্লাহ বলেন,

﴿وَمِنْ حَيْثُ خَرَجْتَ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ﴾

তুমি যেখান থেকেই বের হও মসজিদুল হারাম (কাবার) দিকে মুখ ফিরাও।

(সূরা বাকারা- ১৫০)

সারা বিশ্বের মুসলিমদের দেহ-মুখ একই গৃহের অভিমুখী হয়। এতে রয়েছে মুসলিম জাতির ঐক্য ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ এবং তাদের সকল বিষয়ে একাত্মতা অবলম্বন করার প্রতি ইঙ্গিত।

মানুষের চেহারাকে কিবলামুখী করতে হলে যেমন অন্যান্য দিক হতে তাকে কিবলার দিকে ফিরাতে হবে, ঠিক তেমনিভাবে অন্তরটাকে আল্লাহমুখী করতে হলে তাকে অন্যসব বিষয় হতে মুক্ত করে আল্লাহর স্মরণে লিপ্ত করতে হবে। আর আল্লাহর উদ্দেশ্য তো এটাই। কেননা তিনি বান্দার মনের দিকে লক্ষ্য রাখেন।

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ - : اِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ اِلٰى صُوَرِكُمْ وَاَمْوَالِكُمْ وَلٰكِنْ يَنْظُرُ اِلٰى قُلُوْبِكُمْ وَاَعْمَالِكُمْ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তোমাদের আকার-আকৃতি ও ধন-সম্পদের দিকে দৃষ্টি দেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমলের দিকে দৃষ্টি দেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৭০৮; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৪৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/৯৯৯৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৯৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৫৬; মিশকাত, হা/৫৩১৪।]

কা‘বা যাদের দৃষ্টির সামনে থাকে তাদের জন্য হুবহু কা‘বার প্রতি মুখ ফেরানো জরুরি। পক্ষান্তরে যারা কা‘বা দেখতে পাচ্ছে না, তাদের জন্য হুবহু কা‘বার প্রতি মুখ ফেরানো সম্ভব নয়। কিমত্মু তাদেরকে দিক নির্দেশনার সাহায্যে যতটুকু সম্ভব কাবার দিকে মুখ ফেরানোর চেষ্টা করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ সফরে থাকাকালে নিজের বাহনের উপর বসা অবস্থায় সালাত আদায় করতেন। তখন উক্ত বাহন যে দিকে মুখ করে চলতো তিনি সে দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করতেন, কিন্তু ফরয সালাত আদায়ের সময় উট থেকে নেমে কিবলার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১০৯৩; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৩৫৪; সহীহ মুসলিম, হা/১৬৪৫।]

যেসব অবস্থায় কিবলামুখী না হলেও সালাত শুদ্ধ হয় :

১. যদি কোন অসুস্থ বা অক্ষম ব্যক্তি কিবলার দিকে মুখ করতে না পারে এবং তাকে ফিরিয়ে দেয়ার মতো কেউ না থাকে তবে সে যে দিকেই মুখ করে সালাত পড়বে তাঁর সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা কাউকে তার সাধ্যের বাইরে বোঝা বহন করার ভার দেন না। [সূরা বাকারা- ২৮৬।]

২. যুদ্ধ চলাকালীন সময় সালাতে কিবলামুখী হওয়া জরুরি নয়। শত্রুর গতিবিধি লক্ষ্য রেখে তাদের দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا﴾

অর্থাৎ যদি তোমরা (শত্রুর) ভয় কর তাহলে পথচারী অথবা আরোহী অবস্থায় (সালাত পড়ে নাও)। (সূরা বাকারা- ২৩৯)

৩. সফরে উট, ঘোড়া বা গাড়ি ইত্যাদির উপর নফল সালাত আদায় করার সময় কিবলামুখী হওয়া জরুরি নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ সওয়ারী অবস্থায় নফল সালাত আদায়ের ইচ্ছা করলে উটনীসহ কিবলামুখী হয়ে তাকবীর দিতেন। তারপর বাকী সালাত নিজের সওয়ারীর পথ অভিমুখেই সম্পন্ন করতেন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৫২৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪১৮৯; বায়হাকী, হা/২০৪২।] অবশ্য ফরয সালাতের সময় সওয়ারী থেকে নেমে কিবলামুখী হয়েও সালাত আদায় করতেন।

নবী করীম ﷺ সওয়ারীতে থাকা অবস্থায় মাথা নিচু করে রুকূ এবং সিজদা করতেন, এমতাবস্থায় সিজদাতে মাথা রুকূর চেয়েও বেশি নোয়াতেন। [আবু দাউদ, হা/১২২৭; দার কুতনী, হা/১৪৭৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/২২৯৭।]

কিবলার দিক বুঝতে না পারলে :

কোন অজানা স্থানে যাওয়ার কারণে বা অন্ধকারের কারণে বা অন্য কোন কারণে কিবলার দিক নির্ণয় করতে না পারলে এবং এজন্য কোন সুযোগও না থাকলে মন যে দিকে ঝুঁকবে সে দিকে ফিরে সালাত আদায় করতে হবে। সালাতরত অবস্থায় যে কোন উপায়ে কিবলার সঠিক দিক সম্পর্কে অবগত হলে বাকী সালাত সেদিকে ফিরেই আদায় করতে হবে। হাদীসে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا بَيْنَمَا النَّاسُ فِي الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ جَاءَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْاٰنٌ وَأُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ أَلاَ فَاسْتَقْبِلُوهَا ، وَكَانَ وَجْهُ النَّاسِ إِلَى الشَّامِ فَاسْتَدَارُوا بِوُجُوهِهِمْ إِلَى الْكَعْبَةِ

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। লোকজন মসজিদে কুবায় ফজরের সালাত আদায়কালে এক ব্যক্তি আগমন করল এবং বলল, নিশ্চয় এ রাতে কুরআন নাযিল হয়েছে। আর এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তিনি যেন কাবার দিকে মুখ ফিরান। সুতরাং তোমরা সবাই কাবার দিকে মুখ ফিরাও। তখন তাদের চেহারা শামের দিকে ছিল। অতঃপর তারা কাবার দিকে ঘুরে দাঁড়ালেন। [সহীহ বুখারী, হা/৪৪৯০; সহীহ মুসলিম, হা/১২০৬; মুস্তাখরাজে ইবনে আওয়ানা, হা/৯১২।]

সালাত সম্পন্ন করার পর যদি জানতে পারে যে, কিবলা অন্য দিকে ছিল তবুও সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে এবং দ্বিতীয়বার পড়তে হবে না। [তিরমিযী, হা/৩৪৫; ইবনে মাজাহ, হা/১০২০; দার কুতনী, হা/১০৬৫।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন