hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৩
সালাতের সময়
নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করতে হবে :

﴿ اِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتَابًا مَّوْقُوْتًا﴾

নিশ্চয় সালাত মুমিনদের ওপর সুনির্দিষ্ট সময়ের সাথেই ফরয করা হয়েছে।

(সূরা নিসা- ১০৩)

প্রতিটি সালাতই সঠিক সময়ে আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলাম- আল্লাহর কাছে বান্দার কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি প্রিয়? তিনি বললেন, নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে সালাত আদায় করা। [সহীহ বুখারী, হা/৫২৭; সহীহ মুসলিম, হা/৯৬১; আবু দাউদ, হা/৪৩০।]

পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা :

﴿اَقِمِ الصَّلَاةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ اِلٰى غَسَقِ اللَّيْلِ﴾

সূর্য হেলে পড়ার পর হতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করো।

(সূরা বনী ইসরাঈল- ৭৮)

এ আয়াতে যোহর এবং তার পরবর্তী সালাতসমূহের ধারণা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে বলেন,

﴿فَاصْبِرْ عَلٰى مَا يَقُوْلُوْنَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوْبِهَاۚ وَمِنْ اٰنَآءِ اللَّيْلِ فَسَبِّحْ وَاَطْرَافَ النَّهَارِ لَعَلَّكَ تَرْضٰى﴾

হে নবী! তারা যাই বলুক না কেন, সে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করো এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে ও রাত্রিকালে প্রশংসার সাথে তোমার প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। অতঃপর তোমরা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো দিবসের প্রান্তসমূহেও, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হতে পার। (সূরা ত্বা-হা- ১৩০)

এ আয়াতে ফজর, আসর ও এশার সালাতের কথা বলা হয়েছে। আবার অন্য আয়াতে বলা হয়েছে,

﴿فَسُبْحَانَ اللهِ حِيْنَ تُمْسُوْنَ وَحِيْنَ تُصْبِحُوْنَ وَلَهُ الْحَمْدُ فِى السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَعَشِيًّا وَّحِيْنَ تُظْهِرُوْنَ﴾

অতঃপর তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও গুণগান ঘোষণা করো- সন্ধ্যায় ও প্রত্যুষে এবং অপরাহ্নে ও যোহরের সময়েও; আর আসমানে ও জমিনে সকল প্রশংসা তো তাঁরই। (সূরা রূম- ১৭, ১৮)

এ আয়াতে মাগরিব, ফজর, আসর ও যোহরের সালাতের কথা বলা হয়েছে।

জিবরাঈল (আঃ) নবী ﷺ কে সালাতের ওয়াক্ত শিখিয়ে দিয়েছেন :

জাবির বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদিন জিবরাঈল (আঃ) এসে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, উঠে দাঁড়ান- যোহরের সালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ যোহরের সালাত আদায়ের জন্য উঠে দাঁড়ালেন, তখন সূর্য ঠিক মাথার উপর থেকে ঢলে পড়া শুরু করেছিল এবং ছায়ার পরিমাণ ছিল চামড়ার পাতলা ফালির মতো। এরপর জিবরাঈল (আঃ) আবার এলেন এবং বললেন, এবার আসরের সালাত আদায় করতে হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ আসরের সালাত আদায়ের জন্য উঠে দাঁড়ালেন, তখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান সমান ছিল। অতঃপর মাগরিব পড়ালেন যখন রোযাদার ইফতার করে ফেলেছিল অর্থাৎ সূর্যাস্তের সাথে সাথে। এরপর এশার সালাত আদায় করলেন যখন রাত্রির এক তৃতীয়াংশ অতিক্রম করল এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন যখন ভোরের আলো বিকশিত হলো অর্থাৎ রোযাদারের পানাহার হারাম হয়ে গিয়েছিল। [সহীহ বুখারী, হা/৫২১; সহীহ মুসলিম, হা/৮৮৯; আবু দাউদ, ৩৯৩।]

আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে সালাতের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে জবাব দিলেন না। আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, ঊষার আগমনের সাথে সাথেই রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের সালাত আদায় করলেন। তখনও অন্ধকার এতটা ছিল যে, লোকজন একে অপরকে দেখে চিনতে পারছিল না। এরপর তিনি আযান দিতে আদেশ করলেন এবং লোকজন বলাবলি করছিল যে, দুপুর হয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বিষয়ে তাদের চেয়ে বেশি অবহিত। তারপর তিনি আসরের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় আসরের সালাত আদায় করলেন যখন সূর্য আকাশের বেশ উপরের দিকে ছিল। অতঃপর তিনি মাগরিবের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় সালাত আদায় করলেন যখন সবেমাত্র সূর্যাস্ত হয়েছে। এরপর তিনি এশার আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় এশার সালাত আদায় করলেন যখন সন্ধ্যাকালীন দিগন্ত লালিমা সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ পরের দিন সকালে ফজরের সালাত দেরি করে আদায় করলেন এবং এতটা দেরি করে আদায় করলেন যে, যখন সালাত শেষ করলেন তখন লোকজন বলাবলি করছিল- সূর্যোদয় ঘটেছে বা সূর্যোদয়ের উপক্রম হয়েছে। এরপর যোহরের সালাত এতটা দেরি করে আদায় করলেন যে, গত দিনের আসরের সালাত যে সময় আদায় করেছিলেন প্রায় সে সময় এসে গেল। অতঃপর আসরের সালাতটাও এতটা দেরি করে আদায় করলেন যে, সালাত শেষ করলে লোকজন বলাবলি করতে লাগল- সূর্য রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর মাগরিবের সালাতও দেরি করে আদায় করলেন এবং এতটা দেরি করলেন যে, সন্ধ্যাকালীন লালিমা তখন অন্তর্হিত হয়ে যাচ্ছিল। এরপর এশার সালাতও দেরি করে আদায় করলেন এবং এতটা দেরি করে আদায় করলেন যে, রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হয়ে গেল অথবা অতিক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হলো।

তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সকাল বেলা প্রশ্নকারীকে ডেকে বললেন, এ দুটি সময়ের মধ্যবর্তী সময়টুকুই সালাতসমূহের সময় (অর্থাৎ- দু’দিনে আমি একই সময়ে সালাত আদায় না করে একই সালাতের সময়ের মধ্যে কিছু তারতম্য করে আদায় করলাম। এ উভয় সময়ের মধ্যকার সময়টুকুই প্রত্যেক ওয়াক্তের সময়)। [সহীহ মুসলিম, হা/১৪২৪; আবু দাউদ, হা/৩৯৫; নাসাঈ, হা/৫১৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৪৮।]

শেষ ওয়াক্তে সালাত আদায় যদিও শুদ্ধ, তবুও আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে সালাত আদায় অতি উত্তম আমল। রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন আমল সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি বলেছেন, আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে সালাত আদায় করা। [তিরমিযী, হা/১৭০; আবু দাউদ, হা/৪২৬।]

ফজর :

ফজরের সালাতের সময় শুরু হয় সুবহে সাদেক থেকে। এর শেষ সময় হলো সূর্যোদয় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। সুবহে সাদেক বলা হয় সেই সময়কে, যে সময় ভোরের আভা পূর্ব দিকের আকাশে উত্তর দক্ষিণে বিস্তীর্ণ অবস্থায় দেখা যায়।

ফজরের সালাত কিছুটা অন্ধকার থাকতেই আদায় করা মুস্তাহাব :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বেশ কিছুটা অন্ধকার থাকতেই ফজরের সালাত আদায় করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫৭৮; আবু দাউদ, হা/৩৯৭; ইবনে মাজাহ, ৬৪১।]

আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ফজরের সালাত শুরু করতেন তখন কিছু সংখ্যক মুমিন মহিলা যথারীতি পর্দা বজায় রেখে সেই সালাতে যোগ দিতেন এবং তারা সালাত শেষে বাড়ি ফেরাকালীনও অন্ধকারের কারণে তাদের চেনা যেত না। [ইবনে মাজাহ, ৬৬৯/ সহীহ বুখারী, হা/৩৭২; আবু দাউদ, হা/ ৯৫৩।]

যোহর :

যোহর শুরু হয় যখন সূর্য মাথার উপর থেকে ঢলে পড়তে শুরু করে। আর শেষ হয় কোন বস্তুর ছায়া যখন তার সমান সমান হয়।

সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার সাথে সাথে যোহরের সালাত আদায় করা মুস্তাহাব। জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখনই সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ত তখনই রাসূলুল্লাহ ﷺ যোহরের সালাত আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬১৮; আবু দাউদ, হা/৪০৩; ইবনে মাজাহ, হা/৪৭৩।] তবে প্রচন্ড গরমের দিনে একটু দেরি করে যোহরের সালাত আদায় করা মুস্তাহাব। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ে তখন তোমরা তাড়াতাড়ি যোহরের সালাত আদায় করবে। আর যখন গরম বেশি হয় তখন একটু দেরীতে পড়বে। [সহীহ বুখারী, হা/৯০৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬১৫।]

আসর :

আসরের সালাতের সময় শুরু হয় যখন কোন বস্তুর ছায়া তার সমান হয়। আর সূর্য ডোবার পূর্ব পর্যন্ত বাকী থাকে। যদিও সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত আসরের সালাত আদায়ের অনুমতি রয়েছে তবুও সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করার আগেই আসরের সালাত শেষ করা উত্তম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মুনাফিকরাই শেষ মুহূর্তে আসরের সালাত আদায় করে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৪৩; সহীহ মুসলিম, হা/৯১৭; আবু দাউদ, হা/৪১৩; তিরমিযী, হা/১৬০।]

একটু তাড়াতাড়ি আসরের সালাত আদায় করে নেয়া উত্তম। আনাস (রাঃ) এর হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন আসরের সালাত আদায় করতেন তখন কেউ কেউ মদিনার বিভিন্ন প্রান্তে চলে যেতেন। যার দূরত্ব প্রায় ৪ মাইল ছিল। তখনও সূর্য উপরেই থাকত। [সহীহ বুখারী, হা/৫৫০; সহীহ মুসলিম, হা/৬২১।]

রাফি‘ ইবনে খাদীজ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে আসরের সালাত আদায় করতাম। তারপর আমরা উট জবাই করতাম। অতঃপর তা দশভাগ করতাম। তারপর তা রান্না করে খেতাম। কিমত্মু তখনও সূর্য ডুবত না। [সহীহ বুখারী, হা/২৪৮৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬২৫।]

মাগরিব :

মাগরিবের সালাতের সময় সূর্য ডোবার পর থেকে আকাশে লালিমা থাকা পর্যন্ত। হাদীসে এসেছে,

সালামা ইবনে আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী ﷺ মাগরিব আদায় করতেন যখন সূর্য ডুবে গিয়ে আঁধারে নামা শুরু হতো। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬১; সহীহ মুসলিম, হা/৪৩৮; তিরমিযী, হা/১৬৪; আবু দাউদ, হা/৪১৭।]

মাগরিবের সালাত সূর্য ডোবার সাথে সাথে আদায় করে নেয়া মুস্তাহাব। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) এবং রাফি ইবনে খাদীজ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করতাম। এরপর কেউ যদি তীর নিক্ষেপ করত, তাহলে ঐ তীর পতিত হওয়ার স্থান আমাদের যে কেউ দেখতে পেত। [সহীহ বুখারী, হা/৫৯; সহীহ মুসলিম, হা/৯৩৯; ইবনে মাজাহ, হা/৬৮৭; আবু দাউদ, হা/৪১৬।]

এশা :

এশার সালাত আদায়ের সময় আকাশে লালিমা দূর হওয়ার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে মধ্যরাতের আগেই আদায় করা উত্তম। বিশেষ কারণ থাকলে ফজরের পূর্ব পর্যন্ত তা আদায় করা যাবে।

যদিও সকল সালাত প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা উত্তম তবুও এশার জামাআত একটু দেরি করে পড়া মুস্তাহাব। কেননা এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর আমল ও হাদীস রয়েছে। তিনি বলেন, আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্ট মনে না করতাম তবে এশার সালাত অর্ধরাত্রি পর্যন্ত দেরি করে আদায় করতাম। [তিরমিযী, হা/১৬৭; ইবনে মাজাহ, হা/৬৯১।]

এশার সালাতের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার পরে কথা বলা রাসূলুল্লাহ ﷺ অপছন্দ করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৩৭।] এর কারণ হলো, এশার পূর্বে ঘুমালে এশার জামাআত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এশার পর বেশিক্ষণ দেরি করে ঘুমালে তাহাজ্জুদের সময় উঠা কষ্টকর হয়ে যায়।

মাসআলা :

১. কোন ব্যক্তি যদি সালাতের ওয়াক্তের শেষ সময় এক রাক‘আত সালাত আদায়ের সুযোগ পায় তবে তার সালাত আদায় হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি সালাতের এক রাক‘আত পেল সে যেন পূর্ণ সালাতই পেল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৮০; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৭।]

২. কেউ যদি কোন কারণবশত আসরের সালাত সময়মতো আদায় করতে না পারে এবং সূর্য ডোবার পূর্বে অন্তত এক রাক‘আত পড়ার সুযোগ পায় তাহলেও তার আসরের সালাত আদায় হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি সূর্য ডোবার আগে আসরের এক রাক‘আত পেল সে আসর পেয়ে গেল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৬৩, ৬০৮।]

৩. অনুরূপভাবে ফজরের সালাতের ক্ষেত্রেও কেউ যদি সূর্যোদয়ের আগে এক রাক‘আত সালাত আদায় করার সুযোগ পায় তবে সে তা আদায় করে নেবে। এমতাবস্থায় তার জন্য এটাই যথেষ্ট হবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫; সহীহ বুখারী, হা/৫৫৬; সহীহ মুসলিম, হা/১৪০৮।]

সালাতের সময় নির্ধারণের হিকমত :

মানুষ জড় বস্তুর মতো এক স্থানে স্থির থাকতে পারে না। প্রকৃতির নিয়মেই তাকে নড়া-চড়া করতে হয়। মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা নড়া-চড়ার মধ্যেই নিহিত। এটা না হলে শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি জন্ম নেয়। আর এ নড়াচড়া বারবার হওয়াই বাঞ্ছণীয়। এর বাস্তব নমুনা আমরা সালাত থেকে পাই। ইসলাম সারা দিনের সালাতকে একত্রে আদায় করার নির্দেশ না দিয়ে, পাঁচটি সময়ে তা ভাগ করে দিয়েছে। অন্যদিকে এ ধারণা দেয়া হয়েছে যে, বান্দা একবার আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করেই ভুলে যাবে না; বরং কিছুক্ষণ পর পর আল্লাহর স্মরণকে তাজা করে নেবে। যাতে সে তার দৈনন্দিন যাবতীয় কাজকর্ম আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী পালন করতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন