hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৫২
জুমু‘আর সালাত
জুমু‘আ শব্দের অর্থ হচ্ছে সমবেত হওয়া, একত্রিত হওয়া। সপ্তাহের এ দিনে সকল মুসল্লি একত্রিত হয়ে এ সালাত আদায় করে বিধায় এ সালাতকে সালাতুল জুমু‘আ বলা হয়।

জুমু‘আর দিনের মর্যাদা :

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দুনিয়াতে আমরা অন্যসব জাতির পরে এসেছি, কিন্তু হাশরের দিন আমরা হব সকলের অগ্রবর্তী, যদিও আমাদের আগে অন্যদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে। আর এই জুমু‘আর দিনের সম্মান করা অন্যদের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল কিন্তু তারা তাতে মতভেদ করেছে। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এ ব্যাপারে পথ নির্দেশ দিলেন এবং আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাওফীক দান করলেন। সুতরাং অন্যান্য সকল জাতিই এ ব্যাপারে আমাদের পেছনে রয়ে গেছে। যেমনিভাবে ইয়াহুদিরা শনিবারকে তাদের পবিত্র দিন মনে করে এবং খৃষ্টানরা রবিবারকে তাদের পবিত্র দিন মনে করে। [সহীহ বুখারী, হা/৮৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/২০১৮; নাসাঈ, হা/১৩৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৯৩; জামেউস সগীর, হা/১১৬৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৮৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭২০; মিশকাত, হা/১৩৫৪।] অর্থাৎ তাদের মধ্যে পবিত্র দিনের ব্যাপারেই ঐক্য নেই। তাছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো তো আছেই।

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সূর্যোদয়ের মাধ্যমে যেসব দিনের সূচনা হয়, তার মধ্যে জুমু‘আর দিনই সর্বোত্তম। কারণ এ দিনেই আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়, এ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে, এ দিনেই তাঁকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, এ দিনেই তাঁর তওবা কবুল করা হয়েছে; আর এ দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪১; তিরমিযী, হা/২০১৪; আবু দাউদ, হা/১০৪৮; তিরমিযী, হা/ ৪৮৮; নাসাঈ, হা/১৩৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩৯৯; মিশকাত, হা/১৩৫৬।]

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যত দিনের উপর সূর্য উদিত হয় এবং অস্ত যায় সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমু‘আর দিন। [সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৭৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৬৭৩।]

জুমু‘আর দিন গোনাহ ক্ষমা হওয়ার দিন। এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা অনেক মুমিন বান্দার গোনাহ ক্ষমা করে দেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জুমু‘আর দিন যে ব্যক্তি ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে, তারপর মসজিদে এসে নীরবতা অবলম্বন করবে, ইমামের খুৎবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং একাগ্রতার সাথে সালাত আদায় করবে, তার এ কাজ পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত তার গোনাহের কাফ্ফারা হিসেবে গণ্য হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৮৮৩; আবু দাউদ, হা/১১১৩; দারেমী, হা/১৫৪১।]

জুমু‘আর দিন দু‘আ কবুল হয় :

জুমু‘আর দিন দু‘আ কবুল হওয়ার দিন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জুমু‘আর দিন এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে, কোন মুসলিম বান্দা যদি সে বিশেষ সময়টি পায় এবং আল্লাহর কাছে কোন কল্যাণ প্রার্থনা করে, তবে আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাকে তা দান করেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ হাত দিয়ে ইশারা করে দেখান যে, মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। [সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/১১৮২; তিরমিযী, হা/৪৯১; নাসাঈ, হা/১৪৩৫।]

অত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ কেবল দিনটির দিকে ইঙ্গিত প্রদান করেছেন। কিমত্মু নির্দিষ্টভাবে কোন কিছু বলেননি। তবে সালফে সালেহীনগণ এ ব্যাপারে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যেমন-

১. একদল বলেন, জুমু‘আর দিনের সেই বিশেষ সময়টি হচ্ছে, ইমামের মিম্বারে বসার পর থেকে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত।

২. আবার আরেক দল বলেন, উক্ত সময়টি হচ্ছে, আসরের সালাত আদায়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

জুমু‘আর সালাতে উপস্থিত হওয়া :

জুমু‘আর সালাত ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত। জুমু‘আর সালাতে যোগদানের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মুসলিমদেরকে সব ধরনের কাজকর্ম ও ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ রেখে মসজিদে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلَاةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا اِلٰى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَؕ ذٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ فَاِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانْتَشِرُوْا فِى الْاَرْضِ وَابْتَغُوْا مِنْ فَضْلِ اللهِ وَاذْكُرُوا اللهَ كَثِيْرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾

হে মুমিনগণ! জুমু‘আর দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম- যদি তোমরা উপলব্ধি কর। অতঃপর যখন সালাত শেষ হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো। আর তোমরা আল্লাহকে অধিক হারে স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা জুমু‘আ- ৯, ১০)

রাসূলুল্লাহ ﷺ উপযুক্ত কারণ ছাড়া জুমু‘আর সালাত ত্যাগকারীদের উদ্দেশ্যে চরমভাবে সাবধানতার বাণী উচ্চারণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, প্রত্যেক সাবালক পুরুষের জন্য জুমু‘আর সালাতে উপস্থিত হওয়া ওয়াজিব। [নাসাঈ, হা/১৩৭১; আবু দাউদ, হা/৩৪২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭২১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১২২০; বায়হাকী, হা/৫৩৬৭; জামেউস সগীর, হা/৭৪৮৪।]

আবু হুরায়রা (রাঃ) ও আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলেছেন, লোকেরা যেন অবশ্যই জুমু‘আ ত্যাগ না করে। নতুবা আল্লাহ তাদের অন্তরে অবশ্যই মোহর মেরে দেবেন। অতঃপর তারা অবশ্যই অবহেলাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/২০৩৯; নাসাঈ, হা/১৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৭৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৯০।]

আবুল জা‘দ যামরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বিনা ওজরে তিনটি জুমু‘আর সালাত ত্যাগ করল, সে ব্যক্তি অবশ্যই ইসলামকে নিজের পেছনে ফেলে দিল। [আবু দাউদ, হা/ ১০৫২; তিরমিযী, হা/৫০০; নাসাঈ, হা/১৩৭২।]

জুমু‘আর সালাতের সময় :

জুমু‘আর সালাতের সময় আর যোহরের সালাতের সময় একই অর্থাৎ সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে নিয়ে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু‘আ তখন আদায় করতেন, যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ত। [সহীহ বুখারী, হা/৯০৪; আবু দাউদ, হা/১০৮৪।]

জুমু‘আ যাদের জন্য অত্যাবশ্যক :

তারেক ইবনে শিহাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জুমু‘আর সালাত আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের উপর আবশ্যক। তবে ক্রীতদাস, মহিলা, নাবালক, অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়। [আবু দাউদ, হা/১০৬৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১০৬২; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৫৭৮৭।]

উপরে বর্ণিতদের জুমু‘আ অবশ্য পালনীয় না হলেও, যোহরের সালাত ফরয।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন