hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪
মলমূত্র ত্যাগের বিধিবিধান
ইসলাম মলমূত্র ত্যাগের ব্যাপারেও কিছু বিধিবিধান আরোপ করেছে। সুতরাং যে ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগ করতে ইচ্ছা পোষণ করবে তার জন্য নিম্নোক্ত নিয়মসমূহ মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

১. মানুষের আড়ালে যাওয়া :

عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ فِيْ سَفَرٍ ، وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ لَا يَأْتِي الْبَرَازَ حَتّٰى يَتَغَيَّبَ فَلَا يُرٰى

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফরে বের হতাম। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ মলমূত্র ত্যাগের জন্য এতদূর যেতেন যে, তাকে কেউ দেখতে পেত না। [ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৫; আবু দাউদ, হা/২।]

২. আল্লাহর নাম লিখিত কোন জিনিস মলমূত্র ত্যাগ করার সময় সাথে না রাখা :

যেসব জিনিসে আল্লাহর নাম লিখিত রয়েছে অথবা যেসব জিনিসে কুরআনের আয়াত লিখা আছে সেসব জিনিস সাথে নিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করা যাবে না। কেননা এগুলো হচ্ছে, আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করা আবশ্যক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ وَمَنْ يُّعَظِّمْ شَعَآئِرَ اللهِ فَإِنَّهَا مِنْ تَقْوَى الْقُلُوْبِ﴾

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে সম্মান করে এটা তার অন্তরে তাক্বওয়ার পরিচায়ক। (সূরা হজ্জ- ৩২)

আল্লাহর নাম খচিত বসত্মুটি যদি আবৃত করে রাখা সম্ভব হয় তাহলে তা নিয়ে পায়খানায় প্রবেশ করা বৈধ হবে। চাইলে তা হাতের তালু বা পকেটের মধ্যে রেখে দিবে। যদি বাইরে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে জরুরি প্রয়োজনে তা নিয়েই প্রবেশ করা বৈধ।

মলমূত্র ত্যাগের সময় হাঁচি আসলে মনে মনে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে। কিমত্মু মুখে উচ্চারণ করবে না।

মোবাইলের মেমোরিতে কুরআন থাকলে :

মোবাইলের মেমোরিতে কুরআন থাকলে তা চালু অবস্থায় টয়লেটে যাবে না। তবে তা বন্ধ থাকা অবস্থায় টয়লেটের সময় সাথে থাকলে কোন দোষ নেই।

উল্লেখ্য যে, অনেকে না বুঝে কুরআনের আয়াত বা সূরা রিংটোন বা এলার্ম হিসেবে ব্যবহার করে। এটা কোনভাবেই ঠিক নয়। কারণ কেউ যদি মোবাইল নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করে তবে তাতে কল আসলে অথবা এলার্মের সময় হলে কুরআনের আয়াত বেজে উঠবে।

তাছাড়া এর আরো একটি ক্ষতির দিক রয়েছে। আর তা হলো, কোন আয়াত পাঠ শুরু হলে বাক্য শেষ না হওয়া পর্যমত্ম তার অর্থ পূর্ণ হয় না। কিমত্মু মোবাইলে কল আসলে যে কোন সময় তা রিসিভ করা হয়। এমতাবস্থায় কুরআনের আয়াতকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। যা শুরু হয়েছিল তা সমাপ্ত হয় না। তাই রিংটোন হিসেবে কুরআনের আয়াত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

৩. টয়লেটে প্রবেশের সময় দু‘আ পড়া :

যখন কোন ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগের ঘরে প্রবেশ করবে অথবা খোলা ময়দানে মলমূত্র ত্যাগের জন্য বসতে যাবে তখন প্রথমে ‘বিসমিল্লা-হ’ বলবে।

عَنْ عَلِيٍّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : سِتْرُ مَا بَيْنَ الْجِنِّ وَعَوْرَاتِ بَنِيْ اٰدَمَ , إِذَا دَخَلَ الْكَنِيْفَ أَنْ يَقُوْلَ : بِسْمِ اللهِ

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, জিন ও মানুষের গোপন অঙ্গের মাঝে পর্দা হলো, যখন সে পায়খানায় প্রবেশ করবে তখন সে যেন বলে, بِسْمِ اللهِ ‘বিসমিল্লা-হ’ অর্থাৎ আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। [ইবনে মাজাহ, হা/২৯৭; জামেউস সগীর, হা/৮৮৪৩।]

এর পর নিম্নোক্ত দু‘আটি পাঠ করবে।

اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়ালখাবা-ইস।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি مِنَ الْخُبُثِ অপবিত্র পুরুষ জিন হতে وَالْخَبَائِثِ ও মহিলা জিন হতে।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অপবিত্র পুরুষ জিন ও মহিলা জিন হতে আশ্রয় চাচ্ছি। [সহীহ বুখারী, হা/ ১৪২, ৬৩২২; সহীহ মুসলিম, হা/ ৮৫৭; তিরমিযী, হা/৬; নাসাঈ, হা/১৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৬৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪০৭; মিশকাত, হা/৩৩৭।]

৪. জমিনের কাছাকাছি যেয়ে কাপড় উঠানো :

মলমূত্র ত্যাগের জন্য বসার পূর্বে কাপড় উঠানো উচিত নয়। হাদীসে এসেছে,

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মলমূত্র ত্যাগের সময় জমিনের কাছাকাছি না হওয়া পর্যমত্ম কাপড় উঠাতেন না। [তিরমিযী, হা/১৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭৫৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১১৪৫।]

৫. মলমূত্র ত্যাগ করার সময় কিবলাকে সামনে বা পেছনে না রাখা :

عَنْ أَبِي أَيُّوْبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ : ‏‏ إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلَا تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ وَلَا تَسْتَدْبِرُوْهَا، وَلٰكِنْ شَرِّقُوْا أَوْ غَرِّبُوْا

আবু আইয়ূব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যখন তোমরা মলমূত্র ত্যাগ করার স্থানে যাবে; তখন কিবলার দিকে মুখ করবে না এবং কিবলার দিকে পিঠও দিবে না। বরং তোমরা পূর্ব অথবা পশ্চিম দিকে মুখ (করে মলমূত্র ত্যাগ) করো। (এ হুকুম মক্কা হতে উত্তর ও দক্ষিণের অধিবাসীদের জন্য)।

আবু আইয়ূব আনসারী (রা.) আরো বলেন, আমরা শাম দেশে এসে লক্ষ্য করলাম- সেখানকার টয়লেটগুলো কিবলার দিকে মুখ করে বানানো হয়েছে। তখন আমরা মলমূত্র ত্যাগের সময় একটু বাকা হয়ে বসতাম এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করতাম। [সহীহ বুখারী, হা/১৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬৩২; আবু দাউদ, হা/৯; তিরমিযী, হা/৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬২৬।]

কিবলাকে সামনে বা পেছনে রাখার নিষেধাজ্ঞা সাধারণভাবে করা হয়েছে। তাই কাবাকে সামনে বা পেছনে না রাখা উচিত, চাই প্রাচীর বেষ্টিত ঘর হোক বা খোলা ময়দান হোক।

৬. প্রয়োজন ছাড়া কথাবার্তা না বলা :

عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، أَنَّ رَجُلًا، مَرَّ وَرَسُوْلُ اللهِ يَبُوْلُ فَسَلَّمَ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ

ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি পথ দিয়ে যাচ্ছিল। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন প্রস্রাব করছিলেন। এমতাবস্থায় সে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সালাম দিল, কিমত্মু তিনি তার জবাব দিলেন না। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৪৯; মু‘জামূল আওসাত, হা/১৩৫০।]

সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব। অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রস্রাব করার সময় সালামের উত্তর দিলেন না। সুতরাং প্রমাণিত হয় যে, এ অবস্থায় কথা বলা উচিত নয়। তবে একান্ত জরুরি কথা বলা যাবে। যেমন- কোন ব্যক্তিকে পথের সন্ধান দেয়া, পানি চেয়ে নেয়া বা অনুরূপ কিছু।

৭. চলাফেরার রাস্তায় ও ছায়াদার বা ফলদার গাছের নিচে মলত্যাগ না করা :

যেসব জায়গা দিয়ে মানুষ চলাফেরা করে এবং যেসব ছায়াযুক্ত গাছের নিচে লোকেরা আরাম করার জন্য বসে, সেসব গাছের নিচে প্রস্রাব-পায়খানা করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ এসব জায়গায় প্রস্রাব-পায়খানা করতে নিষেধ করেছেন। তাছাড়া এসব স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করলে এসব জায়গায় চলাফেরাকারী ব্যক্তি এবং এসব ছায়ায় আরাম গ্রহণকারী ব্যক্তিগণ কষ্ট অনুভব করে, যা ইসলাম সমর্থন করে না। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : ‏ اِتَّقُوا اللَّعَّانَيْنِ‏ ‏ . ‏ قَالُوْا : وَمَا اللَّعَّانَانِ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ ‏ : ‏ اَلَّذِي يَتَخَلّٰى فِي طَرِيْقِ النَّاسِ أَوْ فِيْ ظِلِّهِمْ ‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমরা লানতকৃত দুটি কাজ থেকে দূরে থাকো। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, লানতকৃত সে কাজ দুটি কী হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, মানুষের চলাফেরার রাস্তায় অথবা তাদের (বিশ্রাম নেয়ার) ছায়ায় প্রস্রাব-পায়খানা করা। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৪০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪১৫।]

৮. গোসলখানায় প্রস্রাব না করা :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، قَالَ : نَهٰى رَسُوْلُ اللهِ أَنْ يَّمْتَشِطَ أَحَدُنَا كُلَّ يَوْمٍ ، أَوْ يَبُوْلَ فِيْ مُغْتَسَلِه

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে প্রতিদিন চুল আঁচড়াতে [রাসূলুল্লাহ # প্রতিদিন চুল অআঁঁচড়াতে নিষেধ করেছেন এজন্য যে, যাতে কেউ চুল অআঁঁচড়ানোর ফ্যাশন নিয়ে ব্যসত্ম হয়ে না পড়ে।] অথবা গোসলখানায় প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। [মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৫৯৬; আবু দাউদ, হা/২৮; নাসাঈ, হা/২৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭০৫৩।]

৯. আবদ্ধ পানিতে প্রস্রাব না করা :

যে স্থানে পানি জমা হয়ে থাকে সেসব স্থানে প্রস্রাব করা যাবে না। যেমন- বাথার অথবা গোসলের চৌবাচ্চা, কুপ, পুকুর, হাউস ইত্যাদি। হাদীসে এসেছে,

عَنْ جَابِرٍ ، عَنْ رَسُوْلِ اللهِ أَنَّه نَهٰى أَنْ يُّبَالَ فِي الْمَاءِ الرَّاكِدِ

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ জমা পানিতে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৮১; নাসাঈ, হা/৩৯৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৮৫৫।]

১০. প্রস্রাবের ছিটা থেকে সাবধান থাকা :

প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে শরীর ও কাপড় অপবিত্র না হয়। বাতাসের দিকে মুখ করে প্রস্রাব করবে না। নরম জায়গায় বা নিচু জায়গায় প্রস্রাব করবে, যাতে শরীরে ছিটা না আসে। কেননা এটা কবরে শাসিত্ম হওয়ার একটি কারণ।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ مَرَّ رَسُوْلُ اللهِ -ﷺ - عَلٰى قَبْرَيْنِ فَقَالَ : إِنَّهُمَا يُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِى كَبِيْرٍ أَمَّا هٰذَا فَكَانَ لَا يَسْتَتِرُ وفى رواية لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ الْبَوْلِ وَأَمَّا هٰذَا فَكَانَ يَمْشِىْ بِالنَّمِيْمَةِ

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তখন তিনি বললেন, কবর দুটির মধ্যে শাসিত্ম হচ্ছে। তবে তারা বড় কোন বিষয়ের জন্য শাসিত্ম ভোগ করছে না। বরং তাদের একজন এমন ছিল যে, সে প্রস্রাবে পর্দা করত না। অন্য বর্ণনায় আছে, সে প্রস্রাবের ছিটা থেকে সাবধান থাকত না। আর অন্য জনের অভ্যাস ছিল সে চোগলখুরি করে বেড়াত। [সহীহ বুখারী, হা/২১৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৩; আবু দাউদ, হা/২০; তিরমিযী, হা/৭০।]

১১ . দাঁড়িয়ে প্রস্রাব না করা :

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ النَّبِىَّ -ﷺ - كَانَ يَبُوْلُ قَائِمًا فَلَا تُصَدِّقُوْهُ مَا كَانَ يَبُوْلُ إِلَّا قَاعِدًا

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ বলে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, তাহলে তোমরা তা বিশ্বাস করো না। কেননা তিনি বসা ব্যতিত কখনো প্রস্রাব করেন নাই। [তিরমিযী, হা/১২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০১; মিশকাত, হা/৩৬৫।]

কোন ওজর থাকলে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা যাবে। হাদীসে এসেছে,

عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ : أَتَى النَّبِيُّ سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا، ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ، فَجِئْتُه بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ ‏

হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ কোন এক সম্প্রদায়ের ময়লা ফেলার স্থানে আসলেন। অতঃপর তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলেন, তারপর পানি নিয়ে আসতে বললেন। ফলে আমি তাঁর জন্য পানি নিয়ে আসলে তিনি অযু করলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২৪; তিরমিযী, হা/১৩; নাসাঈ, হা/২৬।]

১২. গর্তের মধ্যে প্রস্রাব না করা :

গর্তের মধ্যে প্রস্রাব করা উচিত নয়। কেননা গর্তে সাপ-বিচ্ছু অথবা বিষাক্ত পোকামাকড় থাকতে পারে।

১৩. মলমূত্র ত্যাগ করে বের হওয়ার পর দু‘আ বলা :

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন প্রস্রাব-পায়খানা থেকে বের হতেন তখন বলতেন,

غُفْرَانَكَ

উচ্চারণ : গুফরা-নাকা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি। [তিরমিযী হা ৭; আবু দাউদ, হা/৩০; ইবনে মাজাহ, হা/৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৯০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৫৬৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৩; সুনানে দারেমী, হা/৬৮০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৪৪৪; মিশকাত, হা/৩৫৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন