hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

নাপাক বসত্মুসমূহ
এমন কিছু বসত্মু রয়েছে, যা নাপাক। এসব কাপড়ে বা শরীরে লাগলে তা পরিষ্কার করে শরীর বা কাপড় পাক করতে হয়। তাই এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান রাখা জরুরি। নিচে নাপাক বসত্মুসমূহের বিবরণ তুলে ধরা হলো :

১. মানুষের প্রস্রাব-পায়খানা :

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক বেদুঈন মসজিদে এসে প্রস্রাব করতে শুরু করল। ফলে উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে কেউ কেউ তাকে বাধা দিতে গেলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, থামো! (ফলে তারা থেমে গেলেন)। অতঃপর লোকটির প্রস্রাব করা শেষ হলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এক বালতি পানি আনালেন এবং তার প্রস্রাবের উপর ঢেলে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/৬০২৫; নাসাঈ, হা/৫৪; ইবনে মাজাহ, হা/৫২৮।]

২. মযী :

মযী নারী ও পুরুষের যৌনাঙ্গ থেকে তা নির্গত হয়। তা হলো সাদা আঠালো পানি, যা সহবাসের ইচ্ছা করার সময় নির্গত হয়। এটা সজোরে নির্গত হয় না। এটা নাপাক। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে মযী সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বললেন, সে তার লজ্জাস্থান ধৌত করবে এবং অযু করবে। [সহীহ বুখারী, হা/২৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/৮০৬; নাসাঈ, হা/৪৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬০৬।]

৩. ওদী :

ওদী এক ধরনের সাদা ঘন পানি, যা প্রস্রাবের পর নির্গত হয়। আর হাদীসে এটিকেও নাপাক বসত্মু হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, মনী, মযী ও ওদীর হুকুম হলো, মনী (বীর্য) নির্গত হলে গোসল করতে হবে। আর ওদী ও মযী বের হলে লজ্জাস্থান ধৌত করতে হবে ও সালাতের জন্য অযু করতে হবে। [সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৮৩২।]

৪. হায়েযের রক্ত :

হায়েয শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে প্রবাহিত হওয়া। আর পরিভাষায় হায়েয ঐ রক্তকে বলে, যা মহিলাদের জরায়ু থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বের হয়ে থাকে। কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে তা ধুয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৭০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৯৭৭; বায়হাকী, হা/৩৮৮৬।]

৫. গোবর :

ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার ইচ্ছা করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে ৩টি পাথর আনতে বললেন। কিমত্মু আমি দুটি পাথর ও গাধার একখন্ড শুকনো গোবর পেলাম। তিনি পাথর দুটি রেখে গোবরখন্ড ফেলে দিলেন এবং বললেন, এটা অপবিত্র। [সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/৭০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৯৮১৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৬৫৫।]

৬. শুকরের গোশত ও প্রবাহিত রক্ত :

এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلْ لَّاۤ اَجِدُ فِيْ مَاۤ اُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلٰى طَاعِمٍ يَّطْعَمُهٗ اِلَّاۤ اَنْ يَّكُوْنَ مَيْتَةً اَوْ دَمًا مَّسْفُوْحًا اَوْ لَحْمَ خِنْزِيْرٍ فَإِنَّهٗ رِجْسٌ﴾

বলো, আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়, তাতে আমি আহারকারীর উপর কোন হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের গোশত হয়, (কারণ) নিশ্চয় তা অপবিত্র। (সূরা আনআম- ১৪৫)

৭. কুকুরের উচ্ছিষ্ট :

কুকুরের উচ্ছিষ্ট নাপাক। সুতরাং কুকুর যদি কোন পাত্রে খায় বা পান করে তবে অবশিষ্ট অংশ অপবিত্র হয়ে যায়। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৭; আবু দাউদ, হা/৭১; তিরমিযী, হা/৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৫০৭।]

৮. হারাম প্রাণীর উচ্ছিষ্ট :

পান করার পর পাত্রে যে অবশিষ্ট অংশ থাকে তাকে উচ্ছিষ্ট বলে। যেসব প্রাণীর গোশত খাওয়া জায়েয নয় সেসব প্রাণীর উচ্ছিষ্ট নাপাক।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এমন পানি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো, যা বিরান ভূমিতে থাকে এবং যা হতে চতুষ্পদ জমত্মু ও হিংস্র প্রাণী ব্যবহার করে- সে পানির হুকুম কী? তিনি বললেন, যখন উক্ত পানি দু’কুল্লা (৪০ বালতীর অনুরূপ) পরিমাণ হবে তখন তা অপবিত্র হবে না। [আবু দাউদ, হা/৬৩; তিরমিযী, হা/৬৭; নাসাঈ, হা/৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৮০৩।]

এ হাদীস থেকে বুঝা গেল যে, পানি যদি দু’কুল্লার কম হয় আর হিংস্র প্রাণী তাতে মুখ লাগায় তবে সে পানি পাক থাকে না।

তবে বিড়ালের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে। কেননা বিড়ালের গোশত খাওয়া যদিও হারাম, কিমত্মু সে সব সময় মানুষের খাবারের জায়গায় ঘোরাফেরা করে বিধায় তার উচ্ছিষ্ট থেকে বেঁচে থাকা কষ্টকর। হাদীসে এসেছে,

কাবশা বিনতে কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। যিনি ছিলেন আবু কাতাদা (রাঃ) এর কোন এক ছেলের স্ত্রী। তিনি বলেন, একদা আমি আবু কাতাদা (রাঃ) এর জন্য অযুর পানি রাখলাম। অতঃপর একটি বিড়াল এসে তা হতে পান করতে লাগল। তখন তিনি পাত্রটি তার দিকে হেলিয়ে দিলেন। ফলে আমি সেদিকে লক্ষ্য করলাম। এটা দেখে আবু কাতাদা (রাঃ) বললেন, হে আমার ভাতিজী (পুত্রবধু)! তুমি এতে আশ্চর্যান্বিত হয়েছ? অথচ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, বিড়ালের উচ্ছিষ্ট নাপাক নয়। কারণ তা সবসময় তোমাদের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪২; আবু দাউদ, হা/৭৬; তিরমিযী, হা/৯২; নাসাঈ, হা/৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৬৭।]

৯. মানুষের রক্তের বিধান :

পশুর প্রবাহিত রক্ত ও হায়েযের রক্ত নাপাক। এ ব্যাপারে উলামাগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। তবে মানুষের রক্ত পাক কি না- এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।

কারো কারো মতে এটি অপবিত্র। এ মত পোষণকারীগণ মনে করেন, যেহেতু প্রবাহিত রক্ত হারাম করা হয়েছে, তাই তা নাপাকীই সাব্যসত্ম হবে।

আবার কারো কারো মতে, মানুষের রক্ত পবিত্র। কেননা প্রত্যেক বসত্মুই মূলত পবিত্র; যতক্ষণ না তা নাপাক হওয়ার উপর দলীল প্রতিষ্ঠিত হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ হায়েযের রক্ত ব্যতীত মানুষের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতস্থান থেকে অধিক রক্ত ঝরার পরও তা ধৌত করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে কোন বর্ণনায় পাওয়া যায়নি। যদি রক্ত নাপাক হতো, তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিতেন।

তাছাড়া ইসলামের ইতিহাসে পাওয়া যায় যে, মুসলিমরা জখমরত অবস্থায় সালাত আদায় করতেন; অথচ তাদের শরীর থেকে রক্ত ঝরতে থাকত। কিমত্মু এ থেকে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে বা রক্ত ধৌত করে সালাত আদায় করতে হবে- এ মর্মে কোন হাদীস রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পক্ষ থেকে কেউ বর্ণনা করেননি। যেমন-

(ক) একদা এক আনসারী সাহাবী রাতে সালাত আদায় করছিলেন। এমতাবস্থায় এক মুশরিক তাকে একটি তীর নিক্ষেপ করল। ফলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হলেন, তারপর এভাবেই তিনি রুকূ সিজদা করে সমস্ত সালাত শেষ করলেন। এমতাবস্থায় তার শরীর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। [আবু দাউদ, হা/১৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭৪৫; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/৩৬।]

(খ) উমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) এর শাহাদাতের ঘটনাকেও এ মতের পক্ষে দলীল প্রদান করা হয়। কেননা এ ঘটনায় বলা হয়েছে যে, উমর (রাঃ) সালাত আদায় করলেন অথচ তাঁর জখম হতে তখনও রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৮২; দার কুতনী, হা/১৭৫০; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৭৪১; শারহুস সুন্নাহ, হা৩৩০; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৫৮০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০৯৯৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন