hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩২
মোজার উপর মাসাহ করার বিধান
اَلْمَسْحُ এর অর্থ :

مَسْحٌ শব্দটি مسح মাসদার হতে গৃহীত। কোন বসত্মুর উপর মৃদু হাত বুলানোকে মাসাহ বলে। আর মোজার উপর মাসাহ করা বলতে বুঝায়, অযুতে দু’পা ধোয়ার বিকল্প হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ও নির্দিষ্ট মোজার উপর ভিজা হাত বুলানো।

বিদ্বানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, কোন ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে পবিত্রতা অর্জন করে মোজা পরিধান করার পর অযু নষ্ট হয়ে গেলে সে মোজাদ্বয়ের উপর মাসাহ করতে পারবে।

عَنْ هَمَّامٍ قَالَ بَالَ جَرِيرٌ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلٰى خُفَّيْهِ فَقِيلَ تَفْعَلُ هٰذَا . فَقَالَ نَعَمْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - بَالَ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلٰى خُفَّيْهِ

হাম্মাম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জারীর (রাঃ) প্রস্রাব করলেন, অতঃপর অযু করলেন এবং তার উভয় মোজার উপর মাসাহ করলেন। তাঁকে বলা হলো, আপনি কি এ রকম করে থাকেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ-আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখেছি তিনি প্রস্রাব করেছেন, তারপর অযু করেছেন এবং তাঁর উভয় মোজার উপর মাসাহ করেছেন। [সহীহ বুখারী, হা/৩৮৭; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৫; তিরমিযী, হা/৯৩; ইবনে মাজাহ, হা/৫৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৯১।]

মোজার উপর মাসাহ করার নিয়ম :

পা ধুয়ে পূর্ণরূপে অযু করার পর মোজা পরতে হবে। এরপর আবার অযু করার সময় মোজার উপরিভাগে দু’হাতের ভিজা আঙ্গুল পায়ের পাতা হতে টাখনু পর্যন্ত টেনে এনে একবার মাসাহ করতে হবে। মুগীরা ইবনে শুবা (রাঃ) বলেছেন, আমি নবী ﷺ কে তাঁর মোজার উপরের অংশে মাসাহ করতে দেখেছি। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬৫৭; দার কুতনী, হা/৭৩৮।]

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ধর্মের মাপকাঠি যদি রায়ের (বিবেক-বিবেচনা) উপর নির্ভরশীল হতো, তবে মোজার উপরের অংশে মাসাহ না করে নিম্নাংশে মাসাহ করার সিন্ধান্ত গৃহীত হতো। অতঃপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে তাঁর মোজার উপরের অংশে মাসাহ করতে দেখেছি। [আবু দাউদ, হা/১৬২, দার কুতনী, হা/৭৮৩; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৪৩৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৩৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৯০৭; মিশকাত, হা/৫২৫।]

মাসাহ-এর সময়কাল :

মুক্বীম অবস্থায় এক দিন এক রাত ও মুসাফির অবস্থায় তিন দিন তিন রাত একটানা মোজার উপর মাসাহ করা যাবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮; তিরমিযী হা/৯৫; আবু দাউদ হা/১৫৭; ইবনে মাজাহ হা/৫৪৫-৫৫৮।] তবে গোসল ফরয হলে অথবা মোজা খুলে ফেললে পুনরায় অযু করে মোজা পরতে হবে।

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সফরকারীদের জন্য তিন দিন ও তিন রাত, আর গৃহবাসীদের জন্য এক দিন ও এক রাত মোজার উপর মাসাহ-এর সময়সীমা নির্ধারিত করেছেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৪০৮; তিরমিযী, হা/ ৯৫; আবু দাউদ, হা/ ১৫৭; ইবনে মাজাহ, হা/ ৫৪৫-৫৫৮।]

কোন্ জাতীয় মোজার উপর মাসাহ করা যাবে :

জুতা ব্যতীত যে বস্তু দ্বারা সম্পূর্ণ পায়ের পাতা টাখনুর উপর পর্যন্ত ঢেকে রাখা হয়, তাকে মোজা বলে। সেটা যে কোন ধরনের হতে পারে। যেমন, চামড়া, সুতা, পশম ইত্যাদি। তবে তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হতে হবে।

যেসব কারণে মাসাহ নষ্ট হয় :

১. মাসাহ-এর নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে গেলে।

২. গোসল ফরয হলে।

৩. মাসাহ করার পর মোজা খুলে ফেললে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন