hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪৬
ইমামের দায়িত্ব
১. ইকামতের পর কাতার সোজা করতে বলা :

অনেক ইমাম ইকামতের শেষে ডানে ও বামে তাকিয়ে প্রথম কাতার দেখে কিছু না বলেই তাকবীরে তাহরীমা বলে সালাত শুরু করে দেন। এমনটি ঠিক নয়। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের ইকামতের পর মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাক্যে কাতার সোজা করার নির্দেশ দিতেন। যেমন-

أَقِيْمُوْا صُفُوْفَكُمْ وَتَرَاصُّوْا

উচ্চারণ : আক্বীমূ সুফূফাকুম ওয়া তারাস্সূ।

অর্থ : কাতার সোজা করো এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়াও। [সহীহ বুখারী, হা/৭১৯; নাসাঈ, হা/৮১৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২০৩০।]

رُصُّوْا صُفُوْفَكُمْ وَقَارِبُوْا بَيْنَهَا وَحَاذُوْا بِالْأَعْنَاقِ

উচ্চরণ : রুস্সূ সুফূফাকুম ওয়া ক্বারিবূ বাইনাহা ওয়া হা-যূ বিল আ‘নাক্ব।

অর্থ : তোমাদের কাতারসমূহ মিলিয়ে নাও এবং পাশাপাশি দাঁড়াও। আর তোমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নাও। [আবু দাউদ, হা/৬৬৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৫৪৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২১৬৬।]

أَقِيْمُوْا الصُّفُوْفَ وَحَاذُوْا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْخَلَلَ وَلِيْنُوْا بِأَيْدِىْ إِخْوَانِكُمْ وَلَا تَذَرُوْا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ

উচ্চারণ : আক্বীমুস সুফূফা ওয়া হা-যূ বাইনাল মানা-কিবি ওয়া ছুদ্দুল খালালা ওয়া লীনূ বিআইদী ইখওয়ানিকুম ওয়ালা তাযারূ ফুরূজা-তিন লিশ শাইত্বান।

অর্থ : তোমরা কাতারসমূহ সোজা করো, কাঁধে কাঁধ মিলাও এবং ফাঁকা জায়গা বন্ধ করে দাও। অর্থাৎ পায়ের সাথে পা মিলিয়ে নাও এবং তোমার ভাইয়ের প্রতি বিনম্র হও। আর তোমরা শয়তানের জন্য ফাঁকা জায়গা রেখে দিও না। [আবু দাউদ, হা/৬৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৭২৪; বায়হাকী, হা/৪৯৬৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪৯৫; মিশকাত, হা/১১০২।]

কোন কোন সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ اِسْتَوُوْا (ইসতাউ) ‘কাতার সোজা করো’ শব্দটি দুই বার অথবা তিন বার বলতেন। [নাসাঈ, হা/৮১৩; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৩২৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৮৬৫; মিশকাত, হা/১১০০।]

আবার কোন কোন সময় বলতেন - اِسْتَوُوْا وَتَعَادَلُوْا (ইসতাউ ওয়া তা‘আদালূ)। ‘কাতার সোজা করো এবং সমতা বজায় রাখো’। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮৮৯; দার কুতনী, হা/১১১৮।]

সুতরাং ইকামত সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পর ইকামতের জবাব দিয়ে মুসল্লিদের কাতার সোজা হওয়ার পরই কেবল ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বলা উচিত।

কাতারে কেউ আগে-পিছে সরে থাকলে তাকে বরাবর হতে বলা এমনকি নিজে কাছে গিয়ে কাতার সোজা করা ইমামের কর্তব্য। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না কাতার পূর্ণরূপে সোজা হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত সালাত শুরু করা উচিত নয়। তাড়াহুড়া করে সালাত শুরু করা সুন্নাতের খেলাফ।

২. ইকামত শেষ হওয়ার পূর্বে সালাত শুরু না করা :

অনেক ইমাম ইকামতে قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ (ক্বাদ ক্বা-মাতিস সালাহ্) বলার সাথে সাথে তাকবীরে তাহরীমা উচ্চারণ করে হাত বাঁধেন। অথচ ইকামত শেষ হওয়ার পূর্বে সালাত শুরু করা সমীচীন নয়। এমনকি প্রয়োজনে ইকামতের পর কিছুটা দেরি হলেও কোন অসুবিধা নেই। যেমন কাতার সোজা করা বা ইমামের কোন প্রয়োজন সেরে নেয়া। হাদীসে এসেছে, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন, তখন ইকামত দেয়া হলো এবং কাতারও সোজা করা হলো। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তাকবীরের অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ ফিরে গেলেন এবং গোসল করে এসে তাকবীর দিয়ে সালাত শুরু করলেন। তখন তার মাথা থেকে পানি ঝরছিল। [সহীহ বুখারী, হা/২৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৯৭; আবু দাউদ, হা/২৩৩।]

৩. মুক্তাদীদের খেয়াল করে সালাত হাল্কা করে আদায় করা :

জামাআতে বিভিন্ন ধরনের লোক সালাত আদায় করতে আসে। ইমামের উচিত নিজের ইচ্ছামতো সালাত না পড়ানো; বরং তাদের খেয়াল রেখে রুকূ, সিজদা অথবা কিরাআত লম্বা করা উচিত। অবশ্য সালাত এমন হাল্কা করা উচিত নয়, যাতে স্থিরতার সাথে সালাতের রুকন, ওয়াজিব ও সুন্নাত ইত্যাদি আদায় করা ব্যহত হয়।

عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ الْأَنْصَارِيِّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ فَقَالَ إِنِّيْ لَأَتَأَخَّرُ عَنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ مِنْ أَجْلِ فُلَانٍ مِمَّا يُطِيْلُ بِنَا ‏ . ‏ فَمَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ غَضِبَ فِيْ مَوْعِظَةٍ قَطُّ أَشَدَّ مِمَّا غَضِبَ يَوْمَئِذٍ فَقَالَ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ مِنْكُمْ مُنَفِّرِيْنَ فَأَيُّكُمْ أَمَّ النَّاسَ فَلْيُوْجِزْ فَإِنَّ مِنْ وَرَائِه الْكَبِيْرَ وَالضَّعِيْفَ وَذَا الْحَاجَةِ‏

আবু মাসঊদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে বলল, অমুক লোকের কারণে আমি ফজরের সালাতে দেরিতে উপস্থিত হই। কারণ সে খুব লম্বা কিরাআত পাঠ করে। (তার এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ রাগান্বিত হয়ে একটি ভাষণ দিলেন) আমি সেদিনকার মতো আর কোন দিনের ভাষণে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এতটা রাগান্বিত হতে দেখিনি। তিনি বললেন, হে জনগণ! তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা মানুষকে ভাগিয়ে দেয়। তোমাদের যে কেউ ইমামতি করে সে যেন সালাত সংক্ষেপ করে। কেননা তার পিছনে বৃদ্ধ, দুর্বল এবং বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত লোকও রয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১১৮; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৩৭২৬।]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ : ‏‏إِذَا أَمَّ أَحَدُكُمُ النَّاسَ فَلْيُخَفِّفْ فَإِنَّ فِيْهِمُ الصَّغِيْرَ وَالْكَبِيْرَ وَالضَّعِيْفَ وَالْمَرِيْضَ فَإِذَا صَلّٰى وَحْدَه فَلْيُصَلِّ كَيْفَ شَاءَ‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তোমাদের কেউ যখন লোকদের ইমামতি করে তখন সে যেন সালাত সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে বালক, বৃদ্ধ, দুর্বল এবং অসুস্থ ব্যক্তিরাও রয়েছে। আর সে যখন একাকী সালাত আদায় করবে, তখন যত ইচ্ছা দীর্ঘ করতে পারবে। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৭৪; তিরমিযী, হা/২৩৬; মিশকাত, হা/১১৩১।]

عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ كَانَ يُوْجِزُ فِي الصَّلَاةِ وَيُتِمُّ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গ সালাত আদায় করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১০৮০; বায়হাকী, হা/৫০৪৫; মুসত্মাখরাজে ইবনে আবি আওয়ানা, হা/১২৪৪।]

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : ﷺ إِنِّي لَأَدْخُلُ الصَّلَاةَ أُرِيْدُ إِطَالَتَهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأُخَفِّفُ مِنْ شِدَّةِ وَجْدِ أُمِّه بِه

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমি সালাত শুরু করে তা দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি। কিমত্মু যখন শিশুর কান্না শুনতে পাই তখন তার মায়ের অস্থিরতার কথা চিন্তা করে সালাত সংক্ষিপ্ত করে দেই। [সহীহ বুখারী, হা/৭০৮; সহীহ মুসলিম, হা/১০৮৩; আবু দাউদ, হা/৭৮৯; নাসাঈ, হা/৮২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৯৯১।]

৪. দ্বিতীয় রাক‘আতের তুলনায় প্রথম রাক‘আত দীর্ঘ করা :

প্রথম রাক‘আত একটু লম্বা করে পড়া উত্তম। যাতে পেছনে থেকে যাওয়া মুসল্লিগণ প্রথম রাক‘আতেই অংশগ্রহণ করতে পারে।

৫. সালাম ফিরানোর পর ঘুরে বসা :

সালাম ফিরানোর পর ডান অথবা বাম দিকে ঘুরে মুক্তাদীদের প্রতি মুখ করে বসা ইমামের জন্য মুস্তাহাব। [সহীহ বুখারী, হা/৮৫২, মিশকাত, হা/৯৪৬।]

৬. যিকির আযকারের পর জায়গা বদল করে সুন্নাত পড়া :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ইমাম যে জায়গায় ফরয সালাত আদায় করে সে যেন ঐ জায়গাতেই সুন্নাত না পড়ে। বরং সে যেন অন্য জায়গায় সরে যায়।

মুক্তাদীর জন্যও জায়গা বদল করে সুন্নাত পড়া মুস্তাহাব। উদ্দেশ্য হলো, সালাতের জায়গা বেশি করলে কিয়ামতের দিন ঐ সকল জায়গা আল্লাহর আনুগত্যের সাক্ষ্য দেবে। [আবু দাউদ, হা/৬১৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৯৯; বায়হাকী, হা/২৮৬৪; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৮৫; মিশকাত, হা/৯৫৩।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন