hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৭
অযুর বিশেষ উপকারিতা
অযুর শুরুতে হাত ধৌত করা : রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শিক্ষানুযায়ী অযুর শুরুতে দু’হাত কব্জি পর্যন্ত ভালো করে ধৌত করতে হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বর্ণনা করেছেন যে, হাতে সাধারণত ময়লা ও জীবাণু থাকে। মুখে পানি দেয়ার পূর্বে যদি ভালো করে তা পরিষ্কার করা হয়, তাহলে সে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে না।

মিসওয়াক করা : দন্ত রোগের ডাক্তারগণ বলেন, দন্ত রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যাংশ। এর মাধ্যমে জীবাণু তার বংশ বিস্তার করে দাঁত ও দাঁতের মাড়ীর চরম ক্ষতি সাধন করে। আমরা মুসলিম, আমাদের কাছে রয়েছে স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক প্রেরিত দূত সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মাদ ﷺ এর শিক্ষা, যার মধ্যে রয়েছে দ্বীন-দুনিয়ার কামিয়াবী। রাসূলুল্লাহ ﷺ মিসওয়াক ব্যবহার করতেন। কেননা মিসওয়াক একদিকে মুখকে পবিত্র করে। অপরদিকে এর দ্বারা আল্লাহর সমত্মুষ্টিও অর্জিত হয়। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَائِشَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : اَلسِّوَاكُ مَطْهَرَةٌ لِلْفَمِ مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, মিসওয়াক মুখকে পবিত্র রাখে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি আনয়ন করে। [নাসায়ী, হা/৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৪৯; ইবনে খুযাইমা, হা/১৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০৬৭; দারেমী, হা/৬৮৪।]

কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া :

রাসূলুল্লাহ ﷺ অযু করার সময় কুলি করতেন ও নাকে পানি দিতেন। এমনকি নাক ভালোভাবে পরিষ্কার করতেন। আবার গরগরা করে কুলি করেও অযু সম্পন্ন করতেন।

عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ قَالَ اُتِىَ رَسُوْلُ اللهِ -ﷺ - بِوَضُوْءٍ فَتَوَضَّاَ فَغَسَلَ كَفَّيْهِ ثَلَاثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلَاثًا

মিকদাম ইবনে মা‘দিকারাব (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য অযুর পানি আনা হলো। অতঃপর তিনি অযুর শুরুতে প্রথমে হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করলেন। তারপর কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। [আবু দাউদ, হা/১২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২২৭।]

বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান বর্ণনা করছে যে, গড়গড়া করে কুলি করার মাধ্যমে টনসিলসহ গলার অসংখ্য রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

নাক মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শিক্ষানুযায়ী নাক পরিষ্কার করলে স্থায়ী সর্দি কিংবা নাকে মারাত্মক ব্যাধি পরিলক্ষিত হয় না।

American council for beauty সংস্থার সদস্য লেডী হীচার বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন প্রকার রাসায়নিক লোশন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, তারা ইসলামী পন্থায় অযু দ্বারা চেহারার যাবতীয় রোগ থেকে রক্ষা পায়।

জনৈক ইউরোপীয় ডাক্তার একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল (Eye-Water-Health) ‘‘চক্ষু-পানি-সুস্থতা’’। উক্ত প্রবন্ধে তিনি এ কথার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন যে, নিজের চক্ষুকে দিনে কয়েকবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে; নতুবা মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে। অথচ ইসলাম এমনসব বিধিবিধান নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সর্বযুগের মানবজাতির সুস্থতাসহ সার্বিক কল্যাণ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন