hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১১০
রাফউল ইয়াদাইন বা দু’হাত উত্তোলন
রাফউল ইয়াদাইনের গুরুত্ব ও ফযীলত :

رَفْعُ الْيَدَيْنِ (রাফউল ইয়াদাইন) অর্থ দু’হাত উঁচু করা। এটি আল্লাহর নিকটে আত্মসমর্পণের অন্যতম নিদর্শন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাফউল ইয়াদাইন হলো সালাতের সৌন্দর্য।

عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَأَى رَجُلًا لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا رَكَعَ , وَإِذَا رَفَعَ رَمَاهُ بِالْحَصٰى

নাফে‘ (রাঃ) বলেন, ইবনে উমর (রাঃ) যখন কোন ব্যক্তিকে দেখতেন যে, সে রুকূতে যাওয়া ও উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন করছে না তখন তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপ করতেন। [আউনুল মা‘বূদ, ২/৪০৭, ৬১৮ নং হাদীসের ব্যাখ্যা।]

وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ اَلْجُهَنِيْ صَاحِبَ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ : اِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ عِنْدَ الرُّكُوْعِ ، وَعِنْدَ رَفَعَ رَأْسَهٗ مِنَ الرُّكُوْعِ ، فَلَهٗ بِكُلِّ إِشَارَةٍ عَشَرَ حَسَنَاتٍ

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবী উকবা ইবনে আমের আল জুহানী (রাঃ) বলেন, যখন মুসল্লি রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন করবে তখন তার জন্য প্রত্যেক ইশারায় দশটি করে নেকী হবে। [মা‘রেফাতুস সুনান ওয়াল আছার লিল বায়হাকী, হা/৮৪২।]

ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন,

فَإِنَّهٗ لَمْ يَثْبُتْ عَنْ أَحَدِ مِنْهُمْ تَرْكَهٗ قَالَ وَلَا أَسَانِيْدَ أَصَحَّ مِنْ أَسَانِيْدِ الرَّفْعِ

অর্থাৎ কোন সাহাবী রাফউল ইয়াদাইন ছেড়ে দিয়েছেন বলে প্রমাণিত নয়। আর রাফউল ইয়াদাইন-এর হাদীস সমূহের সনদের চেয়ে বিশুদ্ধতম সনদ আর নেই। [ফতহুল বারী, ২/২৫৭ পৃঃ, হা/৭৩৬-এর ব্যাখ্যা, আযান অধ্যায়-১০, অনুচ্ছেদ-৮৪; মিরআতুল মাফাতীহ, ৭৯৯ নং হাদীসের ব্যাখ্যা।]

রাফউল ইয়াদাইন সম্পর্কে চার খলীফা, আশারায়ে মুবাশশারাসহ অনেক সাহাবী থেকে সহীহ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। বিদ্বানগণ রাফউল ইয়াদাইনের হাদীসকে মুতাওয়াতির (যা ব্যাপকভাবে ও অবিরত ধারায় বর্ণিত) পর্যায়ের বলে মন্তব্য করেছেন। [তুহফাতুল আহওয়াযী ২/১০০, ১০৬ পৃঃ।]

কত জায়গায় রাফউল ইয়াদাইন করতে হবে :

তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট সালাতে মোট চারস্থানে রাফউল ইয়াদাইন করতে হয়।

(১) তাকবীরে তাহরীমার সময়।

(২) রুকূতে যাওয়ার সময়।

(৩) রুকূ হতে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় এবং

(৪) ৩য় রাক‘আতে দাঁড়িয়ে বুকে হাত বাঁধার সময়।

রাফউল ইয়াদাইন সম্পর্কিত হাদীসসমূহ :

عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ ، عَنْ أَبِيهِ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ ، وَإِذَا كَبَّرَ لِلرُّكُوْعِ ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهٗ مِنَ الرُّكُوْعِ رَفَعَهُمَا كَذٰلِكَ أَيْضًا وَقَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ، وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذٰلِكَ فِي السُّجُوْدِ

সালিম ইবনে আবদুল্লাহ (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাত শুরু করতেন তখন স্বীয় দু’হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উপরের দিকে উত্তোলন করতেন। আর যখন রুকূর জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখনো অনুরূপভাবে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উপরের দিকে উঠাতেন আর ‘‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্, রাববানা ওয়া লাকাল হাম্দ’’ বলতেন, কিন্তু সিজদাতে তিনি এমনটি করতেন না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৬৩; সহীহ বুখারী, হা/৭৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/৮৮৮; নাসাঈ, হা/৮৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৬৭৪।]

عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوْبَةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتّٰى تَكُوْنَا حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ فَعَلَ مِثْلَ ذٰلِكَ ، وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهٗ مِنَ الرُّكُوْعِ فَعَلَ مِثْلَ ذٰلِكَ ، وَإِذَا قَامَ مِنَ السَّجْدَتَيْنِ فَعَلَ مِثْلَ ذٰلِكَ

আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন ফরয সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তিনি তাকবীর দিতেন এবং দু’হাত তাঁর দু’কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন। তারপর যখন তিনি রুকূ করতে ইচ্ছা করতেন তখনও তিনি এরূপ করতেন। তারপর যখন তিনি রুকূ থেকে মাথা উত্তোলন করতেন তখনও তিনি এরূপ করতেন। অতঃপর যখন তিনি দু’সিজদা শেষ করে দন্ডায়মান হতেন তখনও তিনি এরূপ করতেন। [ইবনে মাজাহ, হা/৮৬৪; আবু দাউদ, হা/৭৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৭।]

عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهٗ كَانَ إِذَا دَخَلَ فِى الصَّلَاةِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ وَإِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ رَفَعَ يَدَيْهِ وَيَرْفَعُ ذٰلِكَ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ -ﷺ -

নাফে‘ (রহ,) হতে বর্ণিত। তিনি ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, ইবনে উমর (রাঃ) যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন তাকবীর দিতেন এবং তাঁর দু’হাত উত্তোলন করতেন। তারপর যখন তিনি রুকূ করতেন তখন তিনি বলতেন, ‘‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্’’। অতঃপর যখন তিনি দু’রাক‘আত শেষ করে দাঁড়াতেন তখন তিনি তাঁর দু’হাত উত্তোলন করতেন। আর তিনি এ কাজগুলো রাসূলুল্লাহ ﷺ করতেন বলে সাব্যস্ত করতেন। [আবু দাউদ, হা/৭৪১।]

عَنْ أَبِى قَتَادَةَ بْنُ رِبْعِيٍّ ، قَالَ : أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُوْلِ اللهِ ، كَانَ رَسُوْلُ اللهِ إِذَا قَامَ فِي الصَّلَاةِ ، اِعْتَدَلَ قَائِمًا ، وَرَفَعَ يَدَيْهِ ، حَتّٰى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ , ثُمَّ قَالَ : اَللهُ أَكَبْرُ , وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ ، رَفَعَ يَدَيْهِ ، حَتّٰى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ، فَإِذَا قَالَ : سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ وَرَفَعَ يَدَيْهِ ، اِعْتَدَلَ ، فَإِذَا قَامَ مِنَ الثِّنْتَيْنِ ، كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ ، حَتّٰى يُحَاذِيَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ، كَمَا صَنَعَ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ

আবু কাতাদা ইবনে রাবয়ী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সালাত শিক্ষা দেব। (আর সেটা হলো) যখন তিনি সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং তাঁর দু’হাত দু’কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। তারপর বলতেন, আল্লা-হু আকবার। তারপর যখন তিনি রুকূ করতে ইচ্ছা করতেন তখনও তাঁর দু’হাত কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন। তারপর যখন তিনি ‘‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্’’ বলতেন তখনও হাত উত্তোলন করতেন। অতঃপর সোজা হয়ে দাঁড়াতেন। অতঃপর যখন তিনি দ্বিতীয় রাক‘আতের জন্য দাঁড়াতেন তখন তিনি তাকবীর দিতেন এবং তাঁর দু’হাত কাঁধ পর্যন্ত উত্তোলন করতেন যেমনিভাবে সালাত শুরু করার সময় করেছিলেন। [ইবনে মাজাহ, হা/৮৬২; তিরমিযী, হা/৩০৪।]

রাফউল ইয়াদাইন সম্পর্কে প্রসিদ্ধতম হাদীসমূহের মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ :

عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتّٰى يُحَاذِىَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتّٰى يُحَاذِىَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهٗ مِنَ الرُّكُوْعِ فَقَالَ : سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه ، فَعَلَ مِثْلَ ذٰلِكَ

মালিক ইবনে হুওয়াইরিছ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাতের জন্য তাকবীর দিতেন তখন তাঁর দু’হাত কান পর্যন্ত উঠাতেন। অতঃপর যখন রুকূতে যেতেন তখনও তিনি দু’হাত কান পর্যমত্ম উত্তোলন করতেন। তারপর যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেন, ‘‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্’’ এবং এ সময়ও তিনি পূর্বের ন্যায় হাত উত্তোলন করতেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৯১; নাসাঈ, হা/৫০৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৩৮; মিশকাত, হা/৭৯৫; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/২৪৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৬৩।]

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে তাকবীরে তাহরিমার সময়, রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে মাথা তোলার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন, তবে সিজদার সময় এরূপ (রাফউল ইয়াদাইন) করতেন না। [সহীহ বুখারী, হা/৭৪৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৪১; নাসাঈ, হা/৮৭৭; তিরমিযী, হা/২৫৫; আবু দাউদ, হা/৭২১।]

জ্ঞাতব্য :

তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত রাফউল ইয়াদাইন না করার পক্ষে যেসব হাদীস রয়েছে তন্মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। যেমন আলকামা (রহ.) বলেন যে, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) আমাদেরকে বলেন,

أَلاَ أُصَلِّى بِكُمْ صَلَاةَ رَسُوْلِ اللهِ -ﷺ - قَالَ فَصَلّٰى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلَّا مَرَّةً مَعَ تَكْبِيْرَةِ الْاِفْتِتَاحِ

অর্থাৎ আমি কি তোমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদীস বর্ণনা করব না? এই বলে তিনি সালাত আদায় করেন। কিমত্মু তাকবীরে তাহরীমার সময় একবার ব্যতীত আর কোন সময় রাফউল ইয়াদাইন করলেন না। [আবু দাউদ, হা/৭৪৮; তিরমিযী, হা/২৫৭; নাসাঈ, হা/১০৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৬৮১; দারেমী, হা/১৩০৪; মিশকাত, হা/৮০৯।]

এ হাদীস সম্পর্কে ইবনে হিববান (রহ.) বলেন,

هٰذَا أَحْسَنُ خَبَرٍ رُوِيَ لِأَهْلِ الْكُوْفَةِ فِي نَفْيِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ عِنْدَ الرُّكُوْعِ وَعِنْدَ الرَّفْعِ مِنْهُ ، وَهُوَ فِي الْحَقِيْقَةِ أَضْعَفُ شَيْءٍ يُعَوَّلُ عَلَيْهِ ؛ لِأَنَّ لَهُ عِلَلًا تُبْطِلُهُ اِنْتَهٰى

অর্থাৎ রুকূতে যাওয়া এবং রুকূ হতে উঠার সময় রাফউল ইয়াদাইন না করার পক্ষে কূফাবাসীদের এটি সবচেয়ে সুন্দর দলীল হলেও বাস্তবে এটি সবচেয়ে দুর্বলতম দলীল, যার উপর নির্ভর করা হয়েছে। কেননা এর মধ্যে এমন সব বিষয় রয়েছে, যা একে বাতিল হিসেবে গণ্য করে। [মিরআতুল মাফাতীহ, ৩/৮৪ পৃঃ; আউনুল মা‘বূদ, ২/৪৪৬, হা/৬৩৯-এর ব্যাখ্যা; ফিকহুস সুন্নাহ ১/১০৮।]

শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) বলেন, যে মুসল্লি রাফউল ইয়াদাইন করে, সে আমার নিকট অধিক প্রিয় ঐ মুসল্লির চাইতে যে রাফউল ইয়াদাইন করে না। কেননা রাফউল ইয়াদাইনের হাদীস সংখ্যায় বেশি ও অধিকতর মজবুত। [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ, ২/১০ পৃঃ।]

যারা রাফউল ইয়াদাইন করেন না তারা বলে থাকেন যে, ইসলামের প্রথম দিকে মুসলিমরা যখন মসজিদে যেতেন তখন তারা বগলে মূর্তি নিয়ে আসতেন। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে হাত তুলতে বলতেন। যাতে ঐ মূর্তিগুলো পড়ে যায়।

উপরোক্ত কথার কোন ভিত্তি নেই। এটা সাহাবায়ে কেরামের উপর একটি অপবাদ- বিধায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবাদের উপর এমন মিথ্যা অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ তারা মূর্তিপূজা ত্যাগ করেই ইসলামে প্রবেশ করেছিলেন। মূর্তি সাথে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ করেননি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন