hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮৭
সূরা ফালাক ও সূরা নাস
সূরাদ্বয়ের ফযীলত : আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ যখন বিছানায় আগমন করতেন, তখন দু’হাত একত্র করে ফুঁক দিয়ে প্রথমে মাথা, পরে মুখমন্ডল এবং যতটুকু সম্ভব হয় সমস্ত শরীরে হাত বুলিয়ে নিতেন এবং সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়তেন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৫।]

উক্ববা ইবনে আমির (রাঃ) বলেন, আমি নবী ﷺ এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। আমি তাঁর হাত ধরে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুমিনরা কীভাবে মুক্তি পাবে? নবী ﷺ বললেন, হে উক্ববা! তুমি জিহবাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। বেশি সময় তোমার ঘরে অবস্থান করবে (পাপ থেকে বেঁচে থাকার জন্য)। আর তোমার গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করবে। পরে নবী ﷺ আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন এবং তিনি আমার হাত ধরে বললেন, হে উক্ববা! আমি কি তোমাকে উত্তম তিনটি সূরার নাম বলব? যা তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও কুরআন সব কিতাবে রয়েছে? আমি বললাম, বলুন! আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গ করুন! এরপর তিনি ইখলাস, ফালাক ও নাস এ তিনটি সূরা আমাকে পড়ালেন। তারপর বললেন, হে উক্ববা! এগুলো ভুলে যেও না এবং তুমি রাতে এগুলো না পড়ে নিদ্রা যেও না। এরপর হতে আমি এগুলো ভুলিনি এবং এগুলো না পড়ে আমি কোন দিন ঘুমাইনি।

এরপর আমি পুনরায় নবীর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। নবীর হাত ধরে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাকে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা সম্পন্ন আমলের কথা বলে দিন। তিনি বললেন, হে উক্ববা! যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তুমি তার সাথেও সম্পর্ক রাখবে। যে তোমাকে কিছু দেয় না, তুমি তাকেও দিবে। আর যে তোমার উপর অত্যাচার করবে, তুমি তাকে এড়িয়ে চলবে। [সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৫৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৩৭২; শু‘আবুল ঈমান, হা/৭৭২৫; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৮৯১।]

সূরা ফালাক ও নাস এর শানে নুযূল :

আল্লাহর নবী ﷺ যখন ইসলামের দাওয়াত শুরু করলেন, তখন কাফির ও মুশরিকরা সবাই তাঁর শত্রু হয়ে গেল। এ কাজ বন্ধ করার জন্য প্রথমে তারা নবী ﷺ এর সাথে সন্ধির প্রস্তাব দিল। তখন সূরা কাফিরূন নাযিল করে জানিয়ে দেয়া হলো যে, শির্ক ও তাওহীদ, ইসলাম ও কুফ্র একসাথে চলতে পারে না। এতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা নবী ﷺ কে হত্যা করার জন্য গোপনে পরামর্শ করতে লাগল। নবী ﷺ এর বংশের মুসলিমরা যাতে হত্যাকারীকে চিনতে না পারে সেজন্য তারা রাত্রে নবী ﷺ কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল। এ সময় তারা নবী ﷺ এর উপর যাদু করারও চেষ্টা করল- যাতে তিনি যাদুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান অথবা অসুস্থ হয়ে যান অথবা পাগল হয়ে যান। মানুষ শয়তান আর জিন শয়তান চতুর্দিক হতে উঠে পড়ে তাঁর বিরুদ্ধে লাগল কীভাবে তাঁকে এবং তাঁর আদর্শকে উৎখাত করা যায়। এ সঙ্কটময় মুহূর্তে আল্লাহ তা‘আলা এ দুটি সূরা নাযিল করে নবী ﷺ কে বলে দিলেন যে, এ অবস্থায় আপনি একমাত্র আল্লাহর সাহায্য কামনা করুন, তাঁরই কাছে আশ্রয় চান। তিনিই আপনার হেফাযতকারী।

বিপদের কঠিন মুহূর্তে আল্লাহ তা‘আলার নিকট আশ্রয় চাওয়া পূর্ববর্তী নবীদেরও নিয়ম ছিল। ফিরাউন যখন মূসা আলাইহিস সালামকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিল, তখন মূসা আলাইহিস সালাম বললেন, যারা বিচার দিবসকে বিশ্বাস করে না, সে সকল ঔদ্ধত্য ব্যক্তি হতে আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের শরণাপন্ন হচ্ছি। [সূরা মু’মিন-২৭।]

নবী ﷺ এর উপর যাদুর ঘটনা : হুদায়বিয়ার সন্ধির পর মহানবী ﷺ যখন মদিনায় আগমন করলেন, তখন ৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে খাইবার হতে একদল ইয়াহুদি মদিনায় আগমন করে বিখ্যাত যাদুকর লাবীদের সাথে সাক্ষাৎ করল। তারা বলল, আমরা মুহাম্মাদকে ধ্বংস করার জন্য বহুবার যাদু করার চেষ্টা করেছি; কিন্তু তাতে সফল হতে পারিনি। আমরা তোমাকে তিনটি আশরাফি (স্বর্ণমূদ্রা) দিচ্ছি, তুমি তার উপর খুব শক্ত আকারের যাদু করো। এ সময় এক ইয়াহুদি ছেলে মহানবী ﷺ এর খাদিম ছিল। তারা তার সাথে যোগাযোগ করে নবী ﷺ এর চিরুনির একটি অংশ সংগ্রহ করে নিল, যাতে নবী ﷺ এর চুল লাগানো ছিল। লাবীদ, অন্য বর্ণনায় তার যাদুকর বোন এ চিরুনি ও চুলের সঙ্গে এগার গিরা বিশিষ্ট এক গাছি সূতা ও সুচ বিশিষ্ট একটি মোমের পুতলিসহ খেজুর গাছের ছড়ার আবরণে রেখে যারওয়ান কূপের নীচে একটি পাথরের তলায় চাপা দিয়ে রেখেছিল।

নবী ﷺ এর উপর এ যাদুর প্রভাব পড়ল, তিনি শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মুসনাদে আহমাদে আছে নবীর এ অসুস্থতা ছয় মাস পর্যন্ত চলছিল। অবশেষে নবী ﷺ আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে অবস্থান করে আল্লাহর দরবারে পর পর দু‘আ করলেন। এক সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। জেগে উঠে আয়েশা (রাঃ) কে বললেন, আমি আল্লাহর কাছে যা জানতে চেয়েছিলাম তা তিনি আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন। আয়েশা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, সেটা কী? নবী ﷺ বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, দু’জন ফেরেশতা মানুষের আকৃতি ধারণ করে একজন আমার মাথার দিকে ও অপরজন পায়ের দিকে বসলেন। একজন জিজ্ঞেস করলেন, এর কী হয়েছে? অপরজন উত্তর দিলেন, এর উপর যাদু করা হয়েছে। আবার জিজ্ঞেস করলেন, কে যাদু করেছে? বলা হলো লাবীদ। জিজ্ঞেস করা হলো, কিসে? বলা হলো- চিরুনি ও চুলে একটি পুরুষ খেজুর গাছের আবরণের মধ্যে। বলা হলো কোথায়? উত্তর হলো, যারওয়ান কূপের তলায় পাথরের নীচে। বলা হলো, এখন কী করা যায়? উত্তর হলো, পানি শুকিয়ে তা বের করতে হবে।

নবী ﷺ কয়েকজন সাহাবীকে সাথে নিয়ে কূপে গেলেন। পানি শুকিয়ে জিনিসটা বের করলেন, জিবরাঈল এসে নবী ﷺ কে বললেন, আপনি ফালাক ও নাস সূরা দুটি পড়ুন। নবী ﷺ একটি করে আয়াত পড়তে লাগলেন- এতে একেকটি গিরা খুলতে লাগল, এভাবে এগারটি আয়াত পড়া শেষ করলেন।

এতে এগারটি গিরা খুলে গেল এবং সকল সুচ পুতলি হতে বের হয়ে গেল। এবার নবী ﷺ এর শরীরে শক্তি ফিরে আসল এবং তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন। মনে হলো যেন আট-সাট করে বেঁধে রাখা একজন মানুষকে এই মাত্র ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

অতঃপর নবী ﷺ লাবীদকে ডেকে এনে কৈফিয়ত চাইলে সে তার দোষ স্বীকার করে নিল। ফলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন। কারণ নবী ﷺ ব্যক্তিগত কারণে কখনো কারো কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতেন না। তখন কোন কোন সাহাবী বলেছিলেন, হে আল্লাহর নবী! আমরা এ খবীসকে হত্যা করব না কেন? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে রোগমুক্ত করে দিয়েছেন- আমি কারো কষ্টের কারণ হতে চাই না। [তাফসীরে ইবনে কাসীর, সূরা নাস ও ফালাকের তাফসীর দ্রষ্টব্য।]

সূরা ফালাক ও নাস এর মূল আলোচ্য বিষয় :

এ দুনিয়ায় মানুষের অসংখ্য শত্রু রয়েছে। জিন-ইনসান ছাড়া অনেক জীবজমত্মুও মানুষের ক্ষতি করে থাকে। তবে প্রত্যেক মুমিন বান্দার এ বিশ্বাস থাকতে হবে যে, দুনিয়া ও আখিরাতের লাভ-ক্ষতি আল্লাহর হাতে। তার হুকুম ব্যতীত কেউ কারো অণু পরিমাণ লাভ-ক্ষতি করতে পারে না। আর এ সূরা দুটিতে এ কথাই বলা হয়েছে যে, দুনিয়া-আখিরাতের বিপদাপদ হতে বাঁচার জন্য নিজেকে আল্লাহর আশ্রয়ে দিয়ে দিতে হবে এবং আমলের মাধ্যমে তাঁর আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ اِذَا وَقَبَ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল আ‘ঊযু বিরাবিবল্ ফালাক্ব, (২) মিনশার্রিমা খালাক্ব, (৩) ওয়ামিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা-ওয়াক্বাব, (৪) ওয়ামিন শার্রিন্ নাফ্ফা-সা-তি ফিল্‘উক্বাদ, (৫) ওয়ামিন শার্রি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ।

শাব্দিক অর্থ : ১. قُلْ (হে নবী) আপনি বলুন, اَعُوْذُ আমি আশ্রয় চাই بِرَبِّ الْفَلَقِ উজ্জ্বল প্রভাতের মালিকের কাছে। ২. مِنْ شَرِّ (আশ্রয় চাই তার) অনিষ্ট থেকে مَا خَلَقَ যা তিনি সৃষ্টি করেছেন ৩. وَمِنْ شَرِّ (আশ্রয় চাই তার) অনিষ্ট থেকে غَاسِقٍ যা রাতের অন্ধকারে সংঘটিত হয়, اِذَا وَقَبَ (বিশেষ করে) যখন রাত তার অন্ধকার বিছিয়ে দেয়। ৪. وَمِنْ شَرِّ (আশ্রয় চাই তার) অনিষ্ট থেকে اَلنَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ গিরায় ফুঁক দিয়ে যাদুটোনাকারিণীদের। ৫. وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ (আমি আশ্রয় চাই) হিংসুকের অনিষ্ট থেকেও اِذَا حَسَدَ যখন সে হিংসা করে।

অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি উজ্জ্বল প্রভাতের মালিকের কাছে আশ্রয় চাই। ২. (আশ্রয় চাই) তাঁর সৃষ্টি করা প্রতিটি জিনিসের অনিষ্ট থেকে ৩. আমি আশ্রয় চাই রাতের অন্ধকারে সংঘটিত অনিষ্ট থেকে, (বিশেষ করে) যখন রাত তার অন্ধকার বিছিয়ে দেয়। ৪. (আমি আশ্রয় চাই) গিরায় ফুঁক দিয়ে যাদুটোনাকারিণীদের অনিষ্ট থেকে। ৫. (আমি আশ্রয় চাই) হিংসুকের অনিষ্ট থেকেও যখন সে হিংসা করে।

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ قُلْ اَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ اِلٰهِ النَّاسِ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল্ আ‘ঊযু বিরাবিবন্ না-স, (২) মালিকিন্ না-স, (৩) ইলা-হিন্ না-স, (৪) মিন শার্রিল্ ওয়াসওয়া-সিল্ খান্না-স, (৫) আল্লাযী ইউওয়াসওয়িসু ফী সুদূরিন্না-স, (৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।

শাব্দিক অর্থ : ১. قُلْ (হে নবী) আপনি বলুন, اَعُوْذُ আমি আশ্রয় চাই بِرَبِّ النَّاسِ মানুষের প্রতিপালকের কাছে। ২. مَلِكِ النَّاسِ (আশ্রয় চাই) মানুষের প্রকৃত মালিকের কাছে। ৩. اِلٰهِ النَّاسِ (আশ্রয় চাই) মানুষের একমাত্র মা‘বুদের কাছে। ৪. مِنْ شَرِّ (আশ্রয় চাই) অনিষ্ট থেকে اَلْوَسْوَاسِ কুমন্ত্রণার, اَلْخَنَّاسِ কুমন্ত্রণাদানকারীর। ৫. اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ যে কুমন্ত্রণা দেয় فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ মানুষের অন্তরে। ৬. مِنَ الْجِنَّةِ জিনদের মধ্য থেকে হোক وَالنَّاسِ বা মানুষদের মধ্য থেকে হোক।

অর্থ : ১. (হে নবী) আপনি বলুন, আমি আশ্রয় চাই মানুষের মালিকের কাছে। ২. আশ্রয় চাই মানুষের প্রকৃত বাদশাহের কাছে। ৩. আশ্রয় চাই মানুষের একমাত্র মা‘বুদের কাছে। ৪. আশ্রয় চাই কুমন্ত্রণাদানকারীর অনিষ্ট থেকে, যে প্ররোচনা দিয়েই শরীর ঢাকা দেয়। ৫. যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। ৬. জিনদের মধ্য থেকে হোক বা মানুষদের মধ্য থেকে হোক।

সূরা ফালাক ও নাস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা :

১. যাদুর প্রভাব সত্য এবং তা মানুষের উপর আছর করতে পারে।

২. যাদু করে কারো ক্ষতি করা সুস্পষ্ট কুফরী এবং কবীরা গোনাহ।

৩. কারো উপর যাদুর প্রভাব পড়লে এ দুটি সূরা বেশি করে পড়া উচিত।

৪. বিপদাপদের সম্মুখীন হলে ফকীর ও মাজারের আশ্রয় না নিয়ে আল্লাহর আশ্রয় নিতে হবে। নবী ﷺ এর মাধ্যমে এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে। আল্লাহর নিকট হতে কেউ খালি হাতে ফিরে না।

৫. সত্যিকার অর্থে যারা ইসলামের দাওয়াত দেন, তাদের দুশমন অতীতে যেমন ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।

৬. ইসলামের স্বার্থ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে, দুশমন থেকে প্রতিশোধ না নিয়ে বরং তার প্রতি ক্ষমা ও উদারতার নীতি অবলম্বন করা উচিত। নবী ﷺ এমন আচরণ করতেন, তাঁর উদার মনোভাব দেখে লোকেরা সবচেয়ে বেশি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হতো।

৭. হিংসা খুবই খারাপ জিনিস, এটা মানুষের নেকীকে ধ্বংস করে দেয়। এজন্য হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে অপরের হিতাকাঙ্খী হওয়া মুমিনের কর্তব্য।

৮. শয়তান যেমন মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয়। কিছু মানুষও তেমনিভাবে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে। এজন্য যখনই দেখা যাবে যে, কোন মানুষ আমাকে ভালো কাজ থেকে দূরে রাখছে এবং খারাপ কাজের দিকে আকৃষ্ট করছে বা ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে, তখনই বুঝতে হবে যে, এ লোকটি শয়তানের সহযোগী হয়ে আমার কাছে এসেছে। তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন