hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১
অযু সংক্রান্ত কতিপয় মাসআলা
ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করা :

অযুতে ধৌত করা প্রয়োজন এমন কোন অঙ্গে ক্ষত থাকলে, সে অঙ্গটি মাসাহ করে নিতে হবে। যদি ঐ ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ বা প্লাষ্টার করা থাকে, তাহলে ব্যান্ডেজ/প্লাষ্টারের উপর দিয়ে মাসাহ করা যাবে। ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির ব্যান্ডেজ যুক্ত যখম থাকবে, সে অযুর সময় যখমের উপর শুধু মাসাহ করবে এবং ব্যান্ডেজের আশেপাশের জায়গা ধৌত করবে। [এ হাদীসের সনদ সহীহ, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ১/১২৬।] ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ করা অযু ও গোসল উভয় অবস্থায় বৈধ। ব্যান্ডেজের উপর মাসাহ এর কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। বরং যখন তা খুলে ফেলা হবে অথবা আক্রান্ত অংশ আরোগ্য পাবে তখন মাসাহ করা বৈধ হবে না।

নখের উপর প্রলেপ থাকলে :

নখের উপর যদি এমন নখপালিশ বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়, যার ফলে ভেতরে পানি পৌঁছতে পারে না তাহলে অযু শুদ্ধ হবে না। কেননা এর ফলে যে সমস্ত স্থানে পানি পৌঁছানো ফরয, সে সমস্ত স্থানে তা পানি পৌঁছাতে বাধা প্রদান করে।

তবে শুধু রং যেমন মেহেদী বা অনুরূপ কিছু হলে তাতে কোন সমস্যা নেই। তবুও খিযাব বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করলে সালাতের পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে নেয়া উচিত। হাদীসে এসেছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : نِسَاؤُنَا يَخْتَضِبْنَ أَحْسَنَ خِضَابٍ ، يَخْتَضِبْنَ بَعْدَ الْعِشَاءِ وَيَنْزِعْنَ قَبْلَ الْفَجْرِ .

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের মহিলারা উত্তম খিযাব ব্যবহার করে। তারা এশার সালাতের পর খিযাব ব্যবহার করে এবং ফজরের পূর্বে তা খুলে ফেলে। [এর সনদ সহীহ, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১২৯১।]

যারা কুমকুম ও আলতা এ জাতীয় জিনিস ব্যবহার করেন তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা এসব বসত্মু নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি নাপাক হয় তাহলে এটা ব্যবহার করে সালাত আদায় করলে শুদ্ধ হবে না।

অযুর সময় পাগড়ীর উপর মাসাহ করা :

সাধারণভাবে অযুতে মাথার পরিবর্তে পাগড়ীর উপর মাসাহ করা বৈধ। এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে সাব্যস্ত। যেমন-

عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَمْسَحُ عَلٰى عِمَامَتِه وَخُفَّيْه

জাফর ইবনে আমর (রহ.) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ কে তাঁর পাগড়ী ও মোজার উপর মাসাহ করতে দেখেছি। [সহীহ বুখারী, হা/২০৫; বায়হাকী, হা/১২০০।]

عَنِ مُغِيرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَمُقَدَّمِ رَأْسِه وَعَلٰى عِمَامَتِه

মুগীরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ উভয় মোজার উপর এবং মাথার সম্মুখভাগ ও পাগড়ীর উপর মাসাহ করেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৫৭; আবু দাউদ, হা/১৫০।]

অনেকের মতে, শুধু পাগড়ীর উপর মাসাহ করা বৈধ নয়। বরং নাসিয়াহ তথা মাথার অগ্রভাগসহ মাসাহ করা বৈধ।

অযুর অঙ্গগুলো কতবার ধৌত করতে হয় :

 অযুর অঙ্গগুলো কমপক্ষে একবার করে ধোয়া ফরয।

 দু’বার করে ধোয়াও চলে।

 তবে তিন বার করে ধোয়াই উত্তম। এরই উপর নবী করীম ﷺ এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামের আমল বেশি।

 কিন্তু তিন বারের বেশি ধোয়া বাড়াবাড়ি এবং সীমালঙ্ঘন। সুতরাং তা করা বর্জনীয়। [আবু দাউদ হা/১৩৫; ইবনে মাজাহ হা/৪২২; নাসাঈ হা/৮১।]

অযুর অবশিষ্ট পানি দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত :

عَنْ اَبِيْ حَيَّةَ ، قَالَ : رَاَيْتُ عَلِيًّا تَوَضَّاَ فَاَنْقٰى كَفَّيْهِ ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهٗ ثَلَاثًا وَّذِرَاعَيْهِ ثَلَاثًا ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهٖ ثُمَّ غَسَلَ قَدَمَيْهِ اِلَى الْكَعْبَيْنِ ، ثُمَّ قَامَ فَشَرِبَ فَضْلَ وَضُوْئِهٖ ، ثُمَّ قَالَ : اِنَّمَا اَرَدْتُّ اَنْ اُرِيَكُمْ طُهُوْرَ رَسُوْلِ اللهِ

আবু হাইয়া (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী (রাঃ) কে দেখেছি, তিনি অযু করলেন। তারপর তিনি প্রথমে দু’হাতের কব্জি পর্যন্ত ধৌত করলেন। তারপর তাঁর চেহারা ও দু’হাত তিনবার করে ধৌত করলেন। অতঃপর তাঁর মাথা মাসাহ করলেন। এরপর টাখনু পর্যন্ত তাঁর দু’পা ধৌত করলেন। অবশেষে দাঁড়িয়ে অযুর অতিরিক্ত পানিটুকু পান করলেন এবং বললেন, আমি ইচ্ছা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি তোমাদেরকে দেখাব। [নাসায়ী, হা/১৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৫১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/১২১।]

অযুতে ঘাড় মাসাহ করা যাবে কি না :

অযুতে ঘাড় মাসাহ করার ব্যাপারে কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই। ইমাম নববী (রহ.) একে বিদআত বলেছেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৯৯৩, আবু দাউদ, হা/১৩২।] ‘‘যে ব্যক্তি অযুতে ঘাড় মাসাহ করবে, কিয়ামতের দিন তার গলায় বেড়ী পরানো হবে না’’- বলে যে হাদীস রয়েছে, সেটি মাওযু বা জাল। [আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ, হা/৭৪৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন