hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১১৪
সিজদার তাসবীহ ও দু‘আসমূহ
(১) سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلٰى

উচ্চারণ : সুবহা-না রাবিবয়াল আ‘লা (তিন বার)। [আবু দাউদ, হা/৮৭৪; তিরমিযী, হা/২৬১; ইবনে মাজাহ, হা/৮৯০।]

শাব্দিক অর্থ : سُبْحَانَ আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি, رَبِّيَ الْاَعْلٰى আমার মহান রবের।

অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।

২। আয়েশা (রাঃ) বলেন, সূরা নাসর নাযিল হওয়ার পর নবী ﷺ বেশি করে রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পড়তেন-

سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ

উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী।

শাব্দিক অর্থ : سُبْحَانَكَ আমি তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি, اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! رَبَّنَا তুমি আমাদের প্রতিপালনক وَبِحَمْدِكَ এবং তোমার প্রশংসার সাথে, اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।

অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। [সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৩; আবু দাউদ, হা/৮৭৭; নাসাঈ, হা/১১২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২০৯; ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৫।]

৩। আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পড়তেন-

سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَ الْرُّوْحِ

উচ্চারণ : সুববূহুন কুদ্দূসুন, রাববুল মালা-ইকাতি ওয়ার রূহ।

শাব্দিক অর্থ : سُبُّوْحٌ (আল্লাহ) পবিত্র, قُدُّوْسٌ ত্রুটিমুক্ত, رَبُّ তিনি রব الْمَلَائِكَةِ ফেরেশতাদের وَ الْرُّوْحِ এবং রুহ তথা জিবরাঈল (আঃ) এরও (রব)।

অর্থ : আল্লাহ পবিত্র, ত্রুটিমুক্ত; তিনি জিবরাঈলসহ সকল ফেরেশতার রব। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১৯; আবু দাউদ, হা/৮৭২; নাসাঈ, হা/১০৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১০৯; ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৬; ইবনে হিববান, হা/১৮৯৯; দার কুতনী, হা/১৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০৬৩।]

৪। আওফ ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রুকূ-সিজদা করার সময় এ দু‘আ পাঠ করলেন।

سُبْحَانَ ذِىْ الْجَبَرُوْتِ وَ الْمَلَكُوْتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَ الْعَظْمَةِ

উচ্চারণ : সুব্হানা যিল্ যাবারূতি ওয়াল্ মালাকূতি ওয়াল্ কিব্রিয়াই ওয়াল্ ‘আয্মাতি।। [আবু দাঊদ, হা/৮৭৩, নাসায়ী হা/১১৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০২৬; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৭৫০; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৪৫০।]

(৫) اَللّٰهُمَّ لَكَ سَجَدْتُّ وَبِكَ اٰمَنْتُ وَلَكَ اَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ خَلَقَهٗ وَشَقَّ سَمْعَهٗ وَبَصَرَهٗ تَبَارَكَ اللهُ اَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাত্তু, ওয়াবিকা আ-মানতু, ওয়া লাকা আসলামতু, সাজাদা ওয়াজ্হীয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু, তাবা-রাকাল্লা-হু আহসানুল খা-লিকীন।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمّ হে আল্লাহ! لَكَ আপনার জন্য سَجَدْتُّ আমি সিজদা করছি। وَبِكَ আপনার প্রতি اٰمَنْتُ আমি ঈমান এনেছি وَلَكَ اَسْلَمْتُ এবং আমি আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। سَجَدَ সিজদা করছে وَجْهِىَ আমার চেহারা لِلَّذِىْ ঐ সত্তাকে যিনি خَلَقَهٗ তাকে সৃষ্টি করেছেন وَشَقَّ এবং তাতে স্থাপন করেছেন سَمْعَهٗ তার কান ও وَبَصَرَهٗ তার চক্ষু । تَبَارَكَ اللهُ বরকতময় সেই মহান সত্তা, اَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ যিনি অনেক উত্তম সৃষ্টিকর্তা।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি সিজদা করছি। আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। আমার চেহারা সিজদা করছে ঐ সত্তাকে- যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। বরকতময় সেই মহান সত্তা, যিনি অনেক উত্তম সৃষ্টিকর্তা। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৮; আবু দাউদ, হা/৭৬০; তিরমিযী, হা/৩৪২১; নাসাঈ, হা/১১২৬; ইবনে মাজাহ, হা/১০৫৪।]

৬। নবী ﷺ সিজদায় গিয়ে এ দু‘আ পড়তেন-

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَنْبِىْ كُلَّهٗ دِقَّهٗ وَجِلَّهٗ وَاَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ وَعَلَانِيَّتَهٗ وَسِرَّهٗ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগ্ফির্লী যাম্বী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহু ওয়া আলা-নিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু।

শাব্দিক অর্থ : اَللّٰهُمَّ হে আল্লাহ! اغْفِرْ لِىْ আমাকে ক্ষমা করে দাও ذَنْبِىْ كُلَّهٗ আমার সকল প্রকার গোনাহ دِقَّهٗ ছোট গোনাহ, وَجِلَّهٗ বড় গেনাহ وَاَوَّلَهٗ আগের গোনাহ وَاٰخِرَهٗ পরের গোনাহ, وَعَلَانِيَّتَهٗ প্রকাশ্যে সংঘটিত গোনাহ وَسِرَّهٗ এবং অপ্রকাশ্যে সংঘটিত গোনাহ।

অর্থ : হে আললাহ! আমার ছোট-বড়, আগের-পরের, প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার গোনাহ ক্ষমা করে দিন। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১২; আবু দাউদ, হা/৮৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬৭২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৩১।]

৭. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একরাতে আমি রাসূল ﷺ এর কাছে আসলাম এবং আমি মসজিদ স্পর্শ করলাম। তখন তিনি সিজদারত অবস্থায় ছিলেন এবং তাঁর দু’পা একত্রিত ছিল। আর তখন তিনি এ দু‘আ পাঠ করছিলেন।

اَعُوْذُ بِرِضَاكَ مِنْ سَخَطِكَ وَاَعُوْذُ بِمُعَافَاتِكَ مِنْ عُقُوْبَتِكَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ لَا اُحْصِىْ ثَنَاءً عَلَيْكَ اَنْتَ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلٰى نَفْسِكَ

উচ্চারণ : আউযু বিরিযা-কা মিন সাখাত্বিকা ওয়া আঊযু বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উকূবাতিকা ওয়া আঊযু বিকা মিনকা লা-উহ্সী ছানা-আন আলাইকা আনতা কামা- আছনাইতা ‘আলা নাফসিকা।

শাব্দিক অর্থ : اَعُوْذُ আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি بِرِضَاكَ তোমার সমত্মুষ্টির মাধ্যমে مِنْ سَخَطِكَ তোমার অসমত্মুষ্টি হতে। وَاَعُوْذُ আর আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি بِمُعَافَاتِكَ তোমার ক্ষমার মাধ্যমে مِنْ عُقُوْبَتِكَ তোমার শাস্তি হতে। وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْكَ আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। لَا اُحْصِىْ আমি শেষ করতে পারব না ثَنَاءً عَلَيْكَ তোমার প্রশংসা করে। اَنْتَ তুমি তেমনি আছ كَمَا اَثْنَيْتَ عَلٰى نَفْسِكَ যেভাবে তুমি তোমার নিজের প্রশংসা করেছ ।

অর্থ : আমি তোমার সমত্মুষ্টির মাধ্যমে তোমার অসমত্মুষ্টি হতে আশ্রয় চাই। আমি তোমার ক্ষমার মাধ্যমে তোমার শাস্তি হতে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই, তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারব না। তুমি যেভাবে তোমার নিজের প্রশংসা করেছ তেমনি আছ। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৯; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৮; আবু দাউদ, হা/৮৭৯; তিরমিযী, হা/৩৪৯৩; নাসাঈ, হা/১৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৬৯৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬৫৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৩৩।]

সিজদার সময় অন্যান্য দু‘আও পাঠ করা যাবে :

উপরোক্ত দু‘আ ছাড়াও সিজদার সময় আরো অন্যান্য দু‘আ করা যাবে। কেননা নবী ﷺ বলেছেন :

أَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوْا فِيْهِ الرَّبَّ عَزَّ وَجَلَّ وَأَمَّا السُّجُوْدُ فَاجْتَهِدُوْا فِي الدُّعَاءِ فَقَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ‏

অর্থাৎ তোমরা রুকূতে তোমাদের প্রতিপালকের মহত্ব বর্ণনা করো এবং সিজদাতে দু‘আর ব্যাপারে প্রচেষ্টা করো। তাহলে তোমাদের আহবানে সাড়া দেয়া হবে। [সহীহ মুসলিম হা/১১০২; আবু দাউদ, হা/৮৭৬; নাসাঈ, হা/১০৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯০০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬৭৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯২; মিশকাত, হা/৮৭৩।]

উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ের মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে যে, সিজদার মধ্যে নিজের জন্য এবং অন্যান্য মুসলমানের জন্য আল্লাহর নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ কামনা করা যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন