hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৫
হায়েয ও নিফাস সংক্রামত্ম কতিপয় মাসআলা
১. গর্ভবতীর সাধারণত ঋতুস্রাব আসে না। এই ঋতুস্রাব গর্ভজাত সন্তানের জন্য খাদ্য হিসেবে কাজ করে। কিমত্মু কিছু কিছু মহিলার গর্ভধারণের সময়ও ঋতুস্রাব চলতে দেখা যায়। এই ঋতুস্রাবও প্রকৃত ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। কেননা গর্ভাবস্থার কারণে তার ঋতুস্রাবের উপর কোন প্রভাব পড়েনি।

গর্ভধারিণীর রক্ত দু’ধরনের। এক ধরনের রক্ত ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। আর তা হচ্ছে, যেটা এখনও চলছে, যেমনিভাবে গর্ভধারণের পূর্বেও চলছিল। এ ক্ষেত্রে ঐ রক্ত যদি রং, গন্ধ ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে হায়েযের রক্তের সাথে মিলে যায় এবং নিয়মিত সময়ের মধ্যে হয় তাহলে এটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।

আরেক ধরনের রক্ত গর্ভধারিণীর নিকট হঠাৎ আসে, দুর্ঘটনাজনিত কারণে হোক বা কোন কিছু বহনের কারণে হোক অথবা কোন কিছু থেকে পড়ে গিয়ে হোক অথবা অন্য কোন কারণে হোক। যদি গর্ভবতীদের নির্গত এ রক্তের বৈশিষ্ট্য হায়েযের রক্তের সাথে না মিলে তবে সেটা ইসিত্মহাযা হিসেবে গণ্য হবে। হায়েয অবস্থায় তার উপর যেসব কাজ নিষিদ্ধ এমতাবস্থায় সেগুলো তার উপর নিষিদ্ধ হবে না।

২. গর্ভবতী মহিলা যদি সন্তান প্রসবের ২/১ দিন আগে রক্ত দেখতে পায় এবং তার সাথে প্রসব বেদনা থাকে তাহলে তা ইস্তিহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য হবে।

৩. ঋতুবতী নারী আসরের সময় পবিত্র হলে তাকে কেবল আসরের সালাত আদায় করতে হবে। কেননা তার উপর যোহরের সালাত ওয়াজিব হওয়ার দলীল নেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রাক‘আত পেল সে পুরো আসরের সালাত পেল। [সহীহ বুখারী, হা/৫৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৬৩, ৬০৮।]

৪. অনুরূপভাবে কোন মহিলা যদি যোহরের সালাতের সময় শুরু হওয়ার পর ঋতুবতী হয়, তাহলে তাকে কেবল যোহরের সালাতের কাযা আদায় করতে হবে। অনুরূপভাবে যদি কেউ এশার সময় শেষ হওয়ার পূর্বে পবিত্র হয়, তাহলে তাকে কেবল এশার সালাত আদায় করতে হবে।

৫. কোন মহিলা রোযা থাকা অবস্থায় যদি তার ঋতুর রক্ত আসে, তাহলে তার রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।

৬. ফজরের পরপরই কোন মহিলা ঋতুস্রাবমুক্ত হলে সেদিনের রোযা তার জন্য শুদ্ধ নয়। ঐ দিনের বাকী অংশে সে খানাপিনা থেকে বিরত থাক বা না থাক তাকে পরবর্তীতে ঐ দিনের কাযা আদায় করতেই হবে।

৭. ঋতুবতী মহিলা যদি ফজরের এক মিনিট আগে হলেও নিশ্চিতভাবে ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হয়, তাহলে রমাযান মাস হলে তাকে ঐ দিনের রোযা আদায় করতে হবে এবং তাকে কাযা করতে হবে না। ফজরের পূর্বে গোসল করার সুযোগ না পেলেও সমস্যা নেই। যেমনিভাবে কোন পুরুষ সহবাস জনিত কারণে অথবা স্বপ্নদোষের কারণে যদি অপবিত্র থাকে এবং ঐ অবস্থায় সাহরী করে নেয়, তাহলে ফজরের আগে গোসল না করলেও তার রোযা শুদ্ধ হবে।

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সহবাসজনিত কারণে ফজরের সময় আরম্ভ হওয়ার পর গোসল করতেন এবং রোযা রাখতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১৯৩১; সহীহ মুসলিম, হা/৭৫, ১১০৯।]

৮. সন্তান প্রসবকারিণী নারী ৪০ দিনের আগে যখনই পবিত্র হবে তখনই তার উপর রোযা রাখা অপরিহার্য হয়ে যাবে- যদি তখন রমাযান মাস চলে। অনুরূপভাবে তার উপর সালাত আদায়ও ওয়াজিব হবে এবং তার স্বামীর জন্য তার সাথে সহবাস করাও বৈধ হবে।

৯. কোন মহিলা যদি রক্ত দেখতে পায় কিমত্মু সে নিশ্চিত নয় যে, সেটা ঋতুস্রাবের রক্ত। তাহলে তার ঐ দিনের রোযা শুদ্ধ হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন