hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৩
কখন অযু ভঙ্গ হয় এবং কখন ভঙ্গ হয় না
১. প্রস্রাব বা পায়খানার দু’রাস্তা দিয়ে কোন কিছু নির্গত হলে :

প্রস্রাব ও পায়খানার ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন,

﴿اَوْ جَآءَ اَحَدٌ مِّنْكُمْ مِّنَ الْغَآئِطِ﴾

তোমাদের কেউ যদি পায়খানা থেকে আসে। (সূরা মায়েদা- ৬)

অত্র আয়াতে اَلْغَائِطُ শব্দ উল্লেখ করে মলমূত্র ত্যাগ তথা প্রস্রাব-পায়খানাকে বুঝানো হয়েছে। বিদ্বানগণ এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, দু’রাস্তা তথা সামনে ও পেছন দিয়ে প্রস্রাব-পায়খানা নির্গত হওয়ার কারণে অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

 যদি প্রস্রাব-পায়খানা সামনে বা পেছনের রাস্তা দিয়ে বের না হয়ে অন্য স্থান দিয়ে বের হয় যেমন- মূত্রাশয় বা পেটের কোন স্থান যখম হয়ে নির্গত হয়- এ ক্ষেত্রেও অনেকের মতে অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

 বায়ু যদি পিছনের রাস্তা দিয়ে শব্দসহ বা শব্দবিহীন নির্গত হয়, তাহলে সকলের ঐক্যমতে অযু নষ্ট হয়ে যাবে। হাদীসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যার অযু ভেঙ্গে গেছে সে পুনরায় অযু না করা পর্যন্ত তার সালাত হবে না। তখন হাজরামাউতের এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলেন, হাদাস কী? উত্তরে তিনি বলেন, পায়খানার রাস্তা দিয়ে নিঃশব্দে বা সশব্দে হাওয়া বের হওয়া। [সহীহ বুখারী, হা/১৩৫; তিরমিযী, হা/৩৩০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৬৪।]

 যতক্ষণ পর্যন্ত বায়ু নির্গত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার অযু নষ্ট হবে না। হাদীসে এসেছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنُ زَيْدٍ قَالَ : شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ اَلرَّجُلُ يَجِدُ الشَّيْءَ فِي الصَّلَاةِ قَالَ : لَا يَنْصَرِفْ حَتّٰى يَجِدَ رِيْحًا أَوْ يَسْمَعَ صَوْتًا

আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এসে অভিযোগ করেন যে, সে সালাতের মধ্যে অনুভব করে যে, তার পিছনের রাস্তা হতে বায়ু নির্গত হয়েছে। জবাবে তিনি বলেন, যে পর্যন্ত কেউ বায়ু নির্গমনের শব্দ বা দুর্গন্ধ না পাবে ততক্ষণ পর্যমত্ম সালাত পরিত্যাগ করবে না। [সহীহ বুখারী, হা/২০৫৬; সহীহ মুসলিম, হা/৮৩০; আবু দাউদ, হা/১৭৬; নাসাঈ, হা/১৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৫১৩।]

 যদি বায়ু নির্গত হওয়া স্পষ্ট বুঝা যায়, তাহলে শব্দ হোক বা না হোক অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

 মযী বের হলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে। আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) বলেন, আমার অধিক মযী বের হতো। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কন্যা আমার স্ত্রী হওয়ায় লজ্জার কারণে আমি একজনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পাঠালাম। ফলে তিনি প্রশণ করলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন যে, তুমি অযু করো ও লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলো। [সহীহ বুখারী, হা/২৬৯; নাসাঈ, হা/১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০২৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১১০৪।]

 যে ব্যক্তি বহুমূত্র রোগে ভুগে অথবা অতিরিক্ত মযী নির্গত হয় কিংবা নাপাকী বারবার নির্গত হয়, যার ফলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলাফেরা কষ্টকর হয়ে পড়ে, তাহলে সে তার কাপড়ে ও শরীরে যা লেগেছে তা ধুয়ে ফেলবে এবং প্রত্যেক সালাতের জন্য অযু করবে।

২. ঘুমানো :

গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ব্যক্তি, যে কোন কিছু বুঝতে পারে না- এমন ব্যক্তির অযু নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা তা হাদাসের ধারণা সৃষ্টি করে। চায় সে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, রুকূ কিংবা সিজদা যে কোন অবস্থায় থাক না কেন। এগুলোর কোনটির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

এছাড়া স্বল্প ঘুম যাকে তন্দ্রা বলে, যার কারণে মানুষ কিছু অনুধাবন করতে পারে তার ফলে অযু নষ্ট হবে না, সে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন।

যেহেতু ঘুমের মাধ্যমে হাদাসের ধারণা সৃষ্টি হয়, সেহেতু অযু ভঙ্গের বিধানটা ঘুমের অবস্থাভেদে তার উপর প্রযোজ্য হবে এবং প্রবল ধারণাটাই বিবেচিত হবে। যদি সে সন্দেহ করে যে, ঘুমের কারণে তার অযু নষ্ট হয়েছে নাকি হয়নি, তাহলে অযু ভঙ্গ না হওয়ার বিধানই কার্যকর হবে। কেননা তার পূর্ব থেকেই নিশ্চিতভাবে পবিত্রতা সাব্যস্ত আছে। সুতরাং তা সন্দেহ দ্বারা দূর হবে না।

৩. জ্ঞানশূন্য হওয়া :

নেশাগ্রস্ত, জ্ঞানশূন্য কিংবা পাগল হওয়ার ফলে আকল নষ্ট হলে সর্বসম্মতিক্রমে অযু নষ্ট হবে। অযু ভঙ্গ হওয়ার ক্ষেত্রে এ অবস্থাগুলোর কারণে স্মৃতি নষ্ট হওয়াটা ঘুমের চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. লজ্জাস্থান স্পর্শ করা :

লজ্জাস্থান স্পর্শ করার ব্যাপারে বিদ্বানগণ বিভিন্ন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

১ম অভিমত : সাধারণত লজ্জাস্থান স্পর্শের ফলে অযু নষ্ট হয় না :

তাদের দলীল : ত্বালক বিন আলী থেকে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি এমন অন্য এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করলেন, যিনি অযু করার পর পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, পুরুষাঙ্গ তো একটি গোশতের টুকরা অথবা গোশতের খন্ড মাত্র। [আবু দাউদ, হা/১৮২; তিরমিযী, হা/৮৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১১১৯; দার কুতনী, হা/৫৪৩।]

২য় অভিমত : সাধারণত লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে :

তাদের দলীল :

عَنْ بُسْرَةَ بِنْتِ صَفْوَانَ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - يَقُوْلُ : مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ

বুসরা বিনতে সাফওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি তার লিঙ্গ স্পর্শ করবে, সে যেন অযু করে। [আবু দাউদ, হা/১৮১; তিরমিযী, হা/৮২; নাসাঈ, হা/৪৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭৩৩৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৪৭৩।]

عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ ، قَالَتْ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ : مَنْ مَسَّ فَرْجَه ، فَلْيَتَوَضَّأْ

উম্মে হাবীবা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করবে, সে যেন অযু করে। [নাসাঈ, হা/৪৪৪; ইবনে মাজাহ, হা/৪৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১১১৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩৭৬২; দার কুতনী, হা/৫২৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৪৭৯; মু‘জামূস সগীর, হা/১১৫০১।]

তবে কেউ যদি কাপড়ের উপর দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ করে তবে তার অযু ভঙ্গ হবে না। কিমত্মু সরাসরি লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অযু করে নেবে।

৫. উটের গোশত খাওয়ার ফলে অযু নষ্ট হওয়ার বিধান :

যে ব্যক্তি কাঁচা, পাকানো বা ভোনা করা উটের গোশত ভক্ষণ করবে, তার অযু করা ওয়াজিব। যদিও অনেকে এর বিপরীত মত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম নববী (রহ.) মুসলিমের ব্যাখ্যা গ্রন্থে বলেন, এই মতামতটিই দলীলের দিক থেকে অধিক শক্তিশালী।

জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করল, আমি কি ছাগলের গোশত ভক্ষণ করলে অযু করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ জবাবে বললেন, চাইলে করতে পার অথবা না পার। তারপর সে আবার জিজ্ঞেস করল, আমি কি উটের গোশত ভক্ষণ করলে অযু করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ জবাবে বললেন, হ্যাঁ- উটের গোশত খেলে অযু করো। [সহীহ মুসলিম, হা/৮২৭; ইবনে মাজাহ, হা/৪৯৫; আবু দাউদ, হা/১৮৩; তিরমিযী, হা/৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭২৫; মিশকাত, হা/৩০৫।]

৬. মহিলাকে স্পর্শ করার বিধান :

সাধারণভাবে স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অযু ভঙ্গ হয় না। চাই তা কামনার সাথে হোক বা না হোক। তবে শর্ত হলো এ কারণে যেন লজ্জাস্থান দিয়ে কোন কিছু না বের হয়। নবী ﷺ কোন কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন এবং সালাত আদায় করতেন; কিন্তু অযু করতেন না। [নাসাঈ, হা/১৭০; দার কুতনী, হা/৪৮৪; মিশকাত, হা/৩২৩।]

عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ أَنَّهَا قَالَتْ كُنْتُ أَنَامُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللهِ وَرِجْلَايَ فِي قِبْلَتِه فَإِذَا سَجَدَ غَمَزَنِيْ فَقَبَضْتُ رِجْلَيَّ فَإِذَا قَامَ بَسَطْتُهُمَا قَالَتْ وَالْبُيُوْتُ يَوْمَئِذٍ لَيْسَ فِيهَا مَصَابِيْحُ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দু’খানা তাঁর কিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দু’খানা সংকুচিত করতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা দু’খানা সম্প্রসারিত করতাম। তিনি বলেন, সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৫৬; সহীহ বুখারী, হা/৩৮২; সহীহ মুসলিম, হা/১১৭৩।]

৭. রক্তপ্রবাহিত হওয়ার বিধান :

শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলে অযু ভঙ্গ হবে কি না এ ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে। তবে সতর্কতামূলকভাবে অযু করে নেয়া ভালো।

কারো মতে রক্ত গড়ালে অযু নষ্ট হবে, না গড়ালে অযু নষ্ট হবে না। আবার কারো মতে রক্ত বেশি প্রবাহিত হলেও অযু নষ্ট হবে না।

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে যাতুর রিকার যুদ্ধে বের হলাম। তখন এক ব্যক্তি মুশরিকদের এক মহিলার উপর আক্রমণ করলে মুশরিক ব্যক্তি শপথ করল যে, সে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীদের কারো রক্তপাত না করে খামত্ম হবে না। ফলে সে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীদের পদচিহ্ন অনুসরণ করল। এদিকে রাসূলুল্লাহ ﷺ বিশ্রামের জন্য একটি স্থানে অবস্থান নিলেন। অতঃপর বললেন, কে আমাদেরকে পাহারা দেবে। তখন মুহাজিরদের মধ্যে একজন এবং আনসারদের মধ্যে একজন বললেন, আমরা পাহারা দেব। যখন তারা পাহারা দেয়ার স্থানে পৌঁছলেন তখন মুহাজির সাহাবী বিশ্রামের জন্য শুয়ে পড়েন এবং আনসার সাহাবী সালাত আদায় করতে শুরু করলেন। এমতাবস্থায় শত্রু পক্ষের ব্যক্তি সেখানে আগমন করে এবং মুসলিম বাহিনীর একজন গোয়েন্দা মনে করে তাঁর প্রতি তীর নিক্ষেপ করে এবং তা আনসার সাহাবীর শরীরে বিদ্ধ হয়। তিনি তা দেহ থেকে বের করে ফেলেন। মুশরিক ব্যক্তি এভাবে পরপর তিনটি তীর নিক্ষেপ করে। অতঃপর তিনি রুকূ সিজদা করে তাঁর সাথীকে জাগ্রত করেন। অতঃপর সে ব্যক্তি সেখানে অনেক লোক আছে এবং তারা সতর্ক হয়ে গেছে মনে করে পালিয়ে যায়। পরে মুহাজির সাহাবী আনসার সাহাবীর রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আশ্চার্যান্বিত হয়ে বলেন, সুবহানাল্লাহ! শত্রু পক্ষের প্রথম তীর নিক্ষেপের সময় কেন আপনি আমাকে সতর্ক করেননি? জবাবে তিনি বলেন, আমি সালাতের মধ্যে এমন একটি সূরা পাঠ করছিলাম, যা শেষ না করে সালাত পরিত্যাগ করা পছন্দ করিনি। [আবু দাউদ, হা/১৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭৪৫; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/৩৬।]

অত্র হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ ব্যাপারে জানার পরও উক্ত সাহাবীকে সালাত ছেড়ে দিতে বলেননি। যদি রক্ত অযু ভঙ্গের কারণ হতো তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ সে সাহাবীকে বা সে যুদ্ধে যারা ছিল তাদের কাছে এ বিষয়টি বর্ণনা করতেন।

৯. বমি করার বিধান :

মুখ ভরে বমি করলে অযু ভঙ্গ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - قَاءَ فَأَفْطَرَ فَتَوَضَّأَ

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বমি করলেন। অতঃপর ইফতার করে অযু করলেন। [আবু দাউদ, হা/২৩৮৩; তিরমিযী, হা/৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৪৬২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৫৪।]

১০. সালাতে অট্টহাসি হাসার বিধান :

বিদ্বানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, সালাতের বাইরে হাসাহাসি করলে অযু নষ্ট হয় না। তবে কেউ কেউ বলেছেন সালাতের ভেতরে উচ্চৈঃস্বরে হাসলে অযু ভঙ্গ হয়ে যায়। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সহীহ দলীল নেই।

১১. মৃত ব্যক্তিকে গোসল করালে এবং তাকে বহন করলে :

বিশুদ্ধ মতে যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাবে অথবা তাকে বহন করবে, তার অযু নষ্ট হবে না।

কতিপয় বিদ্বান বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাবে তার জন্য গোসল করা মুসত্মাহাব। আর যে তাকে বহন করবে তার জন্য অযু করা মুসত্মাহাব। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - قَالَ : مَنْ غَسَّلَ الْمَيِّتَ فَلْيَغْتَسِلْ وَمَنْ حَمَلَه فَلْيَتَوَضَّأْ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাবে সে গোসল করবে। আর তাকে বহন করলে অযু করবে। [আবু দাউদ, হা/৩১৬৩; বায়হাকী, হা/১৩৪২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৩৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন