hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭৫
ঈদের সালাত
ঈদ শব্দটি আরবি عَوْدٌ শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ হচ্ছে, বার বার ফিরে আসা। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দুটি দিন প্রতি বছর একবার করে ফিরে আসে বিধায় এ দুটি দিনকে ইসলামী শরীয়তে ঈদের দিন বলা হয়েছে। তাছাড়া ঈদের অপর অর্থ আনন্দ, উৎসব ইত্যাদি। মুসলিম সমাজ এ দুটি দিনে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে এবং আনন্দ করে, তাই এ দিনগুলোকে ঈদের দিন বলা হয়।

মহানবী ﷺ মদিনায় হিজরত করার পর দ্বিতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে প্রথম ঈদের সালাত আদায় করেন।

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ মদিনাতে এলেন, তখন এখানকার বাসিন্দাদের দুটি উৎসব ছিল, যাতে তারা আনন্দ করত। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে প্রশ্ন করেন, এই দু’দিনে তোমরা কী কর? তারা বললো, আমরা ইসলাম আগমণের পূর্বে এ দু’দিন আনন্দ-উৎসব করতাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহ তা‘আলা ওগুলোর পরিবর্তে আরো উত্তম কিছু দান করেছেন। (একটি হলো) রোযা ভাঙ্গার আনন্দের দিন ‘‘ঈদুল ফিতর’’ এবং (অপরটি হলো) উৎসব বা ত্যাগের দিন ‘‘ঈদুল আযহা’’। [নাসাঈ, হা/১৫৫৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৮৫০; বায়হাকী, হা/৫৯১৮।]

ঈদুল আযহার দিন প্রথমে সালাত, তারপর কুরবানী :

বারা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে খুৎবা দিতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘‘ঈদুল আযহা’’-এর দিনে প্রথমে আমরা সালাত আদায় করব। এরপর ফিরে গিয়ে কুরবানী করব। সুতরাং যে ব্যক্তি এরূপ করল সে আমাদের রীতি সঠিকভাবে পালন করল। [সহীহ বুখারী, হা/৯৫১; সহীহ মুসলিম, হা/৫১৮৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৯০৬; নাসাঈ, হা/১৫৬৩।]

ঈদুল আযহার দিন কিছু না খেয়ে এবং ঈদুল ফিতরের দিন কিছু খেয়ে ঈদগাহে যাওয়া সুন্নাত :

আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ‘‘ঈদুল ফিতর’’-এর দিন কিছু খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। অপর বর্ণনায় রয়েছে, তিনি তা বেজোড় সংখ্যায় খেতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৫৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২২৯০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪২৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮১৪; মিশকাত, হা/১৪৩৩।]

বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না এবং ঈদুল আযহার দিন কুরবানীর পর কুরবানীর গোশ্ত দ্বারা আহার করতেন। [তিরমিযী, হা/৫৪২; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৫৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪২৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৮১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১০৮৮; মিশকাত, হা/১৪৪০।]

ঈদের সালাতের স্থান :

ঈদের সালাত ঈদগাহে পড়া সুন্নাত। বৃষ্টি বা অন্য কোন বিশেষ ওজর থাকলে মসজিদে পড়া যাবে।

ঈদের সালাতের সুতরা :

ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সামনে একটি বর্শা পুঁতে দেয়া হতো। অতঃপর তিনি সালাত আদায় করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৭৩; মিশকাত, হা/৭৭২।]

ঈদের সালাতের সময় :

সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর থেকে ঈদের সালাতের সময় আরম্ভ হয় এবং দুপুর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ সালাত আদায় করা যায়।

ঈদুল আযহার সালাত একটু আগে পড়া উত্তম। যেহেতু এরপর পশু কুরবানী করতে হয়। আর ঈদুল ফিতরের সালাত একটু দেরীতে পড়া উত্তম। যাতে লোকেরা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করে ঈদগাহে আসতে পারে। [সহীহ ফিকহুস সুন্নাহ, ১/৫২৮।]

ঈদের সালাতের জন্য আযান দেয়া :

ঈদের সালাতের জন্য কোন আযান নেই এবং এতে কোন ইকামতও নেই। ইবনে আববাস (রাঃ) ও জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আযহার সালাতে আযান বা ইকামত দেয়া হতো না। [সহীহ বুখারী, হা/৯৬০; সহীহ মুসলিম, হা/১১৯০; তিরমিযী, হা/৫৩২; আবু দাউদ, হা/১১৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/১২৭৪।]

ঈদের দিন গোসল :

ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করা সুন্নাত। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৬২।]

ঈদের সালাত :

ঈদের সালাত দু’রাক‘আত। এই দু’রাক‘আত সালাত অন্যান্য সালাতের মতোই। তবে এতে উভয় রাক‘আতে কিরাআতের পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীর রয়েছে।

ঈদের দিন মহিলাদেরকেও ঈদগাহে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এমনকি যাদের মাসিক চলছে তারাও ঈদগাহে যাবে। তবে তারা সালাতের স্থান থেকে আলাদা জায়গায় অবস্থান করবে এবং ইমাম সাহেবের খুৎবা শুনবে ও দু‘আয় অংশগ্রহণ করবে। [সহীহ বুখারী, হা/৩৫১; সহীহ মুসলিম, হা/২০৯৩; তিরমিযী, হা/৫৩৯; নাসাঈ, হা/১৫৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩০৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৮১৮; মিশকাত, হা/১৪৩১।]

ঈদের সালাতে অতিরিক্ত তাকবীর কয়টি :

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ -ﷺ - كَانَ يُكَبِّرُ فِى الْفِطْرِ وَالْأَضْحٰى فِى الْأُوْلٰى سَبْعَ تَكْبِيْرَاتٍ وَفِى الثَّانِيَةِ خَمْسًا

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতের প্রথম রাক‘আতে সাত তাকবীর দিলেন এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে পাঁচ তাকবীর দিলেন। [আবু দাউদ, হা/১১৫১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৩৯; দার কুতনী, হা/১৭৩০; ইবনে মাজাহ, হা/১২৭৯।]

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيْهِ ، عَنْ جَدِّه  : أَنَّ النَّبِيَّ كَبَّرَ فِي عِيْدٍ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ تَكْبِيْرَةً ، سَبْعًا فِي الْأُولٰى ، وَخَمْسًا فِي الْآخِرَةِ ، وَلَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا ، وَلَا بَعْدَهَا

আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তিনি তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী ﷺ ঈদের সালাতে ১২টি তাকবীর দিতেন। প্রথম রাক‘আতে ৭টি এবং শেষ রাক‘আতে ৫টি। আর তিনি এ সালাতের পূর্বে ও পরে কোন নফল সালাত আদায় করতেন না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৬৮৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৫৭৪৩।]

উক্ত হাদীসদ্বয় প্রমাণ করে যে, ঈদের সালাতে অতিরিক্ত তাকবীর হবে ১২টি এবং এর উপর আমল করাই উচিত।

ঈদের সালাতের পর খুৎবা প্রদান করা :

ঈদের দিন প্রথমে সালাত আদায় করতে হয় এবং পরে খুৎবা প্রদান করতে হয়। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহাতে সালাত আদায় শেষ করার পর খুৎবা দিতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৫৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৪৪৩।]

ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ, আবু বকর (রাঃ), উমর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) এর সঙ্গে ঈদের সালাতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁরা সকলেই খুৎবার আগে ঈদের সালাত আদায় করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৯২; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৮৪; দারেমী, হা/১৬০৪; মু‘জামুল আওসাত, হা/২৬২।]

ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে নফল সালাত নেই :

রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদের সালাতের পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করেননি। ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদুল ফিতরে দু’রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। এর পূর্বে বা পরে কোন সালাত আদায় করতেন না। [সহীহ বুখারী, হা/৯৬৪; সহীহ মুসলিম, হা/২০৯৪; তিরমিযী, হা/৫৩৭; নাসাঈ, হা/১৫৮৭; ইবনে মাজাহ, হা/১২৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৩৩।]

ঈদগাহে আসা ও যাওয়ার পথ পরিবর্তন করা :

ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ ঈদের সালাত আদায়ের জন্য এক রাস্তা দিয়ে যেতেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৯৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১১০৮; জামেউস সগীর, হা/৮৯০৭; মিশকাত, হা/১৪৩৪।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন