hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩৮
জামাআতে সালাত আদায়ের নিয়ম
১. ফরয সালাতের জন্য জামাআত ওয়াজিব। চন্দ্র ও সূর্য গ্রহণের সালাত, ঈদ, ইস্তিস্কা ও তারাবীর সালাতের জন্য জামাআত সুন্নাত। কাযা সালাতও জামাআতে আদায় করা যায়। রমাযান মাসে তাহাজ্জুদ ও বিতরের সালাতও জামাআতে আদায় করা যায়। আবার অতিরিক্ত নফল সালাতও জামাআত করে পড়া যায়।

২. জামাআতে হাযির হওয়ার জন্য বাসা থেকে অযু করে বের হওয়া ভালো। কারণ বাসা থেকে অযু করে সালাতে যাওয়ার ফযীলত হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৬৬; ইবনে মাজাহ, হা/২৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯০৮৭; জামেউস সগীর, হা/১১১২৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮২।]

৩. এ সময় সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা কর্তব্য। শরীর থেকে সর্বপ্রকার দুর্গন্ধ দূর করে নেওয়া জরুরি। সেই সাথে পোশাকের, মুখের, ঘামের, কাঁচা পিঁয়াজ ও রসূনের দুর্গন্ধ দূর করে নেয়া আবশ্যক। যাতে সে গন্ধে ফেরেশতা ও পাশের সালাত আদায়কারী কষ্ট না পান এবং ঐ গন্ধওয়ালার প্রতি সালাত আদায়কারীদের মনে ঘৃণা সৃষ্টি না হয়।

উল্লেখ্য যে, ধূমপান করা ইসলামী শরীয়তে হারাম। তারপরও অনেকে ধূমপান করে থাকে। এ ব্যাপারে কুরআন এবং হাদীসের অনেক দলীল রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ﴾

আর তোমাদের জন্য পবিত্র জিনিসকে হালাল করা হয়েছে এবং অপবিত্র জিনিসকে হারাম করা হয়েছে। (সূরা আরাফ- ১৫৭)

এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা অপবিত্র জিনিসসমূহকে হারাম করেছেন। ধূমপান পবিত্র খাদ্যবসত্মুর মধ্যে পড়ে না- বিধায় ধূমপান থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। যে ব্যক্তি উপদেশ মানে তার জন্য কুরআনের একটি আয়তই যথেষ্ট। কিমত্মু যে উপদেশ মানে না তার জন্য একটি বইও যথেষ্ট নয়।

আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, অনেক সালাত আদায়কারী ব্যক্তিও ধূমপান করে থাকে। কিমত্মু তারা এটাকে হারাম মনে না করলেও মাকরূহ মনে করে থাকে। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো অনেক লোক ধূমপান করেই মসজিদে সালাত পড়তে চলে যায়। অথচ মুখে থাকে বিড়ি-সিগারেটের দুর্গন্ধ। রাসূলুল্লাহ ﷺ যেখানে কাঁচা পিয়াজ খেয়ে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন সেখানে ধূমপান করে মসজিদে যাওয়া কেমন হবে। আল্লাহ ধূমপায়ীদেরকে হেদায়াত দান করুন। আমীন

৪. ধীরে-সুস্থে জামাআতে শরীক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া করা যাবে না।

৫. ইমাম ছাড়া কমপক্ষে একজন সালাত আদায়কারী হলে জামাআত গঠিত হবে; চাই সে সালাত আদায়কারী জ্ঞানসম্পন্ন শিশু হোক অথবা মহিলা। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইবনে আববাস (রাঃ) কে নিয়ে জামাআত করে সালাত আদায় করেছেন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৪; আবু দাউদ, হা/১৩৫৯; মিশকাত, হা/১১০৬।] অপর হাদীসে রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ সফরে যেতে ইচ্ছুক দু’জন লোককে বলেছিলেন, সালাতের সময় উপস্থিত হলে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩০; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৮০; আবু দাউদ, হা/৫৮৯; তিরমিযী, হা/২০৫; নাসাঈ, হা/৬৩৪; ইবনে মাজাহ, হা/৯৭৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২১৩০; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৯৯৩; মিশকাত, হা/৬৮২।]

৬. জামাআত করার মতো লোক থাকলেও শেষ রাক‘আতে রুকূর পর বা শেষ তাশাহ্হুদে জামাআতে শামিল না হয়ে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দ্বিতীয় জামাআত করা উত্তম নয়। উত্তম হলো ইমামের সালাম ফিরানোর পূর্বেই জামাআতে অংশগ্রহণ করা।

৭. মসজিদের জামাআত ছুটে গেলে বা জামাআত শেষ হওয়ার পর মসজিদে এলে যদি অন্য লোক থাকে তাহলে তাদের সাথে মিলে একজন ইমাম হয়ে জামাআত করে সালাত আদায় করা যাবে।

৮. যদি আর কোন লোকের আশা না থাকে তবে একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জামাআত করে সালাত আদায় করা উত্তম। কিমত্মু বাড়িতে জামাআত করার মতো লোক না থাকলে ফরয সালাত মসজিদে পড়াই উত্তম।

যথাসময়ে জামাআতে দাঁড়ানো :

ইকামত শুরু হয়ে গেলে এবং ইমাম দাঁড়িয়ে গেলে মুক্তাদীদের বসে থাকা অথবা তিলাওয়াত করা বা মুনাজাতে মশগুল থাকা অথবা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়। বরং অতিসত্ত্বর উঠে ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে সালাত শুরু করার জন্য প্রসত্মুতি নেয়া উচিত।

ইমামের সাথে তাকবীরে তাহরীমায় অংশগ্রহণ করার একটি পৃথক মর্যাদা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সমত্মুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন জামাআতে সালাত আদায় করবে এবং তাতে তাহরীমার তাকবীরও পাবে সেই ব্যক্তির জন্য দুটি মুক্তি লিখা হয়; (একটি হচ্ছে) জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (আর অপরটি হচ্ছে) মুনাফিকী থেকে মুক্তি। [তিরমিযী, হা/২৪১; শু‘আবুল ঈমান, হা/২৬১৫; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/২০১৯; জামেউস সগীর, হা/১১৩১১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৯৭৯; মিশকাত, হা/১১৪৪।]

ইমাম থাকতে তার জায়গায় তাঁর বিনা অনুমতিতে অন্যের ইমামতি করা উচিত নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, কোন ব্যক্তি যেন কোন ব্যক্তির জায়গায় তার বিনা অনুমতিতে ইমামতি না করে এবং কেউ যেন কারো ঘরে তার বসার জায়গায় তার বিনা অনুমতিতে না বসে। [তিরমিযী, হা/২৭৭২; সহীহ মুসলিম, হা/১৫৬৪; আবু দাউদ, হা/৫৮২; নাসাঈ, হা/৭৮৩; ইবনে মাজাহ, হা/৯৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১০৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৫১৬; মিশকাত, হা/১১১৭।]

অবশ্য ইমাম দেরি করলে মুক্তাদীদের জামাআত করার অধিকার আছে। কেউ একা বাড়িতে সালাত আদায় করার পর যদি মসজিদে এসে দেখে যে, জামাআত শুরু হবে বা জামাআত চলছে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হলো জামাআতের ফযীলত লাভের জন্য সালাতে শরীক হওয়া। আর এটা তার জন্য নফল হিসেবে গণ্য হবে।

জামাআত শুরু হয়ে গেলে সুন্নাত পড়া যাবে না :

জামাআত শুরু হয়ে গেলে সুন্নাত সালাতে মশগুল থাকাও বৈধ নয়। ফজরের সুন্নাত হলেও জামাআতের ইকামত শোনার পর তা আর পড়া যাবে না।

একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ ফজরের সালাত পড়াচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি ২ রাক‘আত সালাত আদায় করে জামাআতে শামিল হলো। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, হে অমুক! তোমার সালাত কোনটা? যেটা আমাদের সাথে পড়লে সেটা, নাকি যেটা তুমি একা পড়লে সেটা? [নাসাঈ, হা/৮৬৮; আবু দাউদ, হা/১২৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৭৯৬, সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১২৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২১৯১; বায়হাকী, হা/৪৩২১; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/১০৭০।]

কারো সুন্নাত পড়ার সময় যদি ইকামত হয়ে যায়, তাহলে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হয়ে যাবে। সালাত ছাড়ার সময় সালাম ফিরানোর প্রয়োজন নেই। বরং নিয়ত বাতিল করলেই সালাত থেকে বের হওয়া যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন