hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৪৫
কাতার বাঁধার নিয়ম
মুক্তাদী একজন হলে :

ইমামের সাথে মাত্র একজন মুক্তাদী হলে উভয়ে একই সাথে সমানভাবে দাঁড়াবে; ইমাম বামে এবং মুক্তাদী হবে ডানে। এ ক্ষেত্রে ইমাম একটু আগে এবং মুক্তাদী একটু পেছনে আগপিছ হয়ে দাঁড়াবে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইবনে আববাস (রাঃ) কে নিজের বরাবর দাঁড় করিয়েছিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/১১৭, ৬৯৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৭; নাসাঈ, হা/৪৪২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০২; দারেমী, হা/১২৫৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬২৬।] তাই ইমাম বুখারী তাঁর সহীহ গ্রন্থে উক্ত বিষয়ক পরিচ্ছেদ রচনার সময় বলেন, দু’জন হলে ইমামের পাশাপাশি তার বরাবর ডান দিকে দাঁড়াবে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬৯, ১১৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৪; আবু দাউদ, হা/১৩৫৯; মিশকাত, হা/১১০৬।]

একক মুক্তাদীর ক্ষেত্রে ইমামের ডানে দাঁড়ানো সুন্নাত বা মুস্তাহাব। অর্থাৎ যদি কেউ ইমামের বামে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তাহলে ইমাম-মুক্তাদী কারো সালাত বাতিল হবে না।

মুক্তাদী দুই বা ততোধিক হলে :

মুক্তাদী দুই বা তার চেয়ে বেশি (পুরুষ) হলে ইমামের পেছনে কাতার বাঁধবে। তবে তারা যদি ইমামের ডানে-বামে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তাহলেও সালাত হয়ে যাবে। অবশ্য রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাধারণ সুন্নাত হলো, তিন জন হলে একজন ইমাম হিসেবে সামনে দাঁড়াবেন এবং অপর দু’জন পেছনে মুক্তাদী হিসেবে কাতার বাঁধবে। কিমত্মু যদি দু’টি কাতার করার মতো জায়গা না থাকে তবে ইমাম মুক্তাদী এক কাতারে দাঁড়িয়েই সালাত আদায় করে নেবে।

মুক্তাদী মহিলা হলে :

মুক্তাদী একজন মহিলা হলে সে ইমামের পাশাপাশি না দাঁড়িয়ে তার পেছনে দাঁড়াবে। এমনকি যদি নিজের স্ত্রীও হয় তবুও পাশাপাশি দাঁড়াতে পারবে না।

মুক্তাদী পুরুষ-মহিলা উভয়ই হলে :

মুক্তাদী দুই বা ততোধিক পুরুষ হলে এবং একজন মহিলা হলে ইমামের পেছনে পুরুষরা কাতার বাঁধবে এবং সবশেষে মহিলারা কাতার বাঁধবে।

মুক্তাদী পুরুষ-মহিলা-শিশু সকলেই হলে :

মুক্তাদী একজন শিশু ও একজন বা একাধিক পুরুষ হলে শিশুও পুরুষদের কাতারের সাথে দাঁড়াবে।

মুক্তাদী দুই বা ততোধিক পুরুষ, শিশু ও মহিলা হলে ইমামের পেছনে প্রথম কাতারে পুরুষরা অতঃপর শিশুরা এবং সবশেষে মহিলারা কাতার বাঁধবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, পুরুষদের শ্রেষ্ঠ কাতার হলো প্রথম কাতার এবং মন্দ কাতার হলো সর্বশেষ কাতার। আর মহিলাদের শ্রেষ্ঠ কাতার হলো সর্বশেষ কাতার এবং মন্দ কাতার হলো প্রথম কাতার। [সহীহ মুসলিম, হা/১০১৩; আবু দাউদ, হা/৬৭৮; তিরমিযী, হা/২২৪; নাসাঈ, হা/৮২০; ইবনে মাজাহ, হা/১০০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৫৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৫০৮; মিশকাত, হা/১০৯২।]

কোন ছোট বাচ্চা যদি কাতারের মাঝে দাঁড়িয়ে যায় তবে তাকে সালাতরত অবস্থায় ঠেলে ঠেলে কাতারের পার্শ্বে নিতে থাকা অথবা পেছনের কাতারে ঠেলে দেয়া ঠিক নয়।

ইমামের পেছনে প্রথমে কারা দাঁড়াবে :

ইমামের ঠিক পেছনে আলেম বা জ্ঞানী লোক থাকা উত্তম, যাতে তাঁরা ইমামের ভুল ধরে দিতে পারেন এবং কোন কারণে ইমাম সালাত ছাড়তে বাধ্য হলে তাঁদের কেউ বাকী সালাত সম্পন্ন করতে পারেন।

পেছনে একাকী কাতার করা যাবে কি?

একদা এক ব্যক্তি কাতারের পেছনে একাকী দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে পুনরায় সালাত আদায় করতে বললেন। [আবু দাউদ, হা/৬৮২; তিরমিযী, হা/২৩১; ইবনে মাজাহ, হা/১০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮০৩১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২২০১; মিশকাত, হা/১১০৫।]

যদি কোন ব্যক্তি জামাআতে এসে দেখে যে, কাতার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তাহলে কোথাও ফাঁক থাকলে সেখানে প্রবেশ করবে। নতুবা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কেউ এলে তার সঙ্গে কাতার করে দাঁড়াবে। এরপরও যদি কাউকে না পাওয়া যায় তবে বাধ্যগত কারণে পেছনে একাকী দাঁড়ানো জায়েয আছে।

একজন মুক্তাদী ইমামের ডান পাশে দাঁড়ানো থাকলে পরে যদি আরেকজন আসে তাহলে উত্তম হলো সামনে জায়গা থাকলে ইমাম সামনে এগিয়ে যাবেন। আর যদি সামনে জায়গা না থাকে তবে মুক্তাদী পেছনে সরে দাঁড়াবে। আর একান্ত প্রয়োজনে বাম পাশে দাঁড়িয়ে তিনজন পাশাপাশি সালাত আদায় করলেও সালাত হয়ে যাবে।

ইমাম মুক্তাদী থেকে উঁচু জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না :

ইমাম মুক্তাদী থেকে উঁচু জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না। কারণ এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ ﷺ নিষেধাজ্ঞারোপ করেছেন। [দার কুতনী, হা/১৮৮২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৬১; মিশকাত, হা/১৬৯২।]

একদা হুযায়ফা (রাঃ) মাদায়েনের একটি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকদের ইমামতি করতে লাগলেন। তা দেখে আবু মাসউদ (রাঃ) তাঁর জামা ধরে টেনে নিচে নামিয়ে দিলেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি হুযায়ফা (রাঃ) কে বললেন, আপনি কি জানেন না যে, এরূপ দাঁড়ানো নিষিদ্ধ? তিনি বললেন, জী-হ্যাঁ, যখনই আপনি আমাকে টান দিলেন তখনই আমার মনে পড়েছে। [আবু দাউদ, হা/৫৯৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৫২৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২১৪৩; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭৬০।]

ইমামের বরাবর অথবা তার উপরে মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হলে একান্ত প্রয়োজনে ইমামের চেয়ে নিচু জায়গায় সালাত আদায় করা যাবে। যেমন কোন মসজিদের দু’তলায় যদি ইমাম দাঁড়ান এবং দু’তলায় বা তার উপরে জায়গা না থাকে তাহলে নিচ তলায় সালাত আদায় করা যাবে।

মুক্তাদী ইমামের চেয়ে উঁচু জায়গায় দাঁড়াতে পারবে :

মুক্তাদী ইমাম থেকে উঁচু জায়গায় দাঁড়াতে পারবে। যেমন- নিচ তলায় মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান না হলে উপরের তলাগুলোতে ইক্তেদা করা যাবে। তবে শর্ত হলো ইমামের আওয়াজ যাতে সকল তলায় পৌঁছে এবং মুসল্লিগণ ইমামের রুকূ সিজদা উপলব্ধি করতে পারেন।

ইমামের ডান-বামে লোক সমান-সমান থাকবে :

ইমামের ডান-বামে লোক যেন সমান-সমান হয়। অতএব কাতার বাঁধার সময় তা খেয়াল রাখা কর্তব্য বা সুন্নাত। একই কাতারে বিচ্ছিন্নভাবে কাতার বাঁধা যাবে না। কাতারের ঠিক মাঝ বরাবর থেকে কাতার বাঁধা শুরু করতে হবে।

দুই পিলারের মাঝখানে কাতার করার বিধান :

আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর যামানায় এ (খামের ফাঁকে কাতার বাঁধা) থেকে দূরে থাকতাম। [আবু দাউদ, হা/৬৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৩৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৫৬৮।]

এর কারণ হলো এই যে, মাঝে খাম হওয়ার ফলে কাতার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইমাম বা একাকী সালাত আদায়কারীর জন্য দুই খামের মাঝে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করা নিষেধ নয়। অনুরূপভাবে অধিক ভিড়ের কারণে মসজিদে জায়গা না থাকলে ঐ জায়গাতেও কাতার বাঁধা বৈধ রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন