hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮৬
সূরা ইখলাস
নামকরণ : পবিত্র কুরআনের সূরাসমূহের নাম সাধারণত উক্ত সূরার কোন একটি শব্দ হতে নির্বাচন করা হয়, কিন্তু এ সূরাটি এর ব্যতিক্রম। اِخْلَاصٌ শব্দটি সূরার মধ্যে নেই। এ নাম দেয়া হয়েছে- কেবল সূরায় আলোচিত বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য করে। ‘ইখলাস’ অর্থ- একনিষ্ঠ, খালিস। এ সূরায় একনিষ্ঠ ও নির্ভেজাল তাওহীদের কথা আলোচিত হয়েছে। তাই এর নাম দেয়া হয়েছে সূরা ইখলাস।

শানে নুযূল : উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মুশরিকরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলল, আপনার রবের বংশ-পরিচয় আমাদেরকে জানান। এ কথার উত্তরে সূরাটি নাযিল হয়। [তিরমিযী, হা/৩৩৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১২৫৭; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৯৮৭।]

সূরা ইখলাসের বিশেষ গুরুত্ব ও ফযীলত :

পবিত্র কুরআনের মূল আলোচনার বিষয় হলো তিনটি, তাওহীদ, রিসালাত এবং আখিরাত। আর এ সূরায় ইসলামের মৌলিক আকীদা তাওহীদকে খুবই স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য নবী ﷺ এ সূরাটির বহুল প্রচার কামনা করতেন। প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে যেন এর বিষয়বস্তু গেঁথে যায়, এজন্য তিনি এ সূরা তিলাওয়াতের অনেক ফযীলত বর্ণনা করেছেন। এ সূরাকে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বলেছেন।

 আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে রাত্রে বার বার সূরা ইখলাস পড়তে শুনলেন। অতঃপর যখন সকাল হলো তখন সে ঘটনাটি নবী ﷺ কে জানালেন। সম্ভবত তিনি এ আমলকে হালকা মনে করেছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয় এ সূরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৮৫; সহীহ বুখারী, হা/৫০১৩; আবু দাউদ, হা/১৪৬৩; তিরমিযী, হা/৯৯৫।]

 আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবীদেরকে বললেন, তোমাদের প্রত্যেকেই কি রাত্রে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে পারবে না? সাহাবীরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কার এ ক্ষমতা আছে? তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, জেনে রেখো, সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান। [সহীহ বুখারী, হা/৫০১৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৯২২।]

 আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এক সাহাবীকে সফরে পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রত্যেক রাক‘আত সূরা ইখলাস দ্বারা শেষ করতেন। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ সূরাতে রহমানের গুণাবলি বর্ণিত হয়েছে। তাই এ সূরাটি পাঠ করা আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বলেন, তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তা‘আলাও তাকে ভালোবাসেন। [সহীহ বুখারী, হা/৭৩৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৯২৬; নাসাঈ, হা/৯৯৩।]

 আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক আনসারী সাহাবী মসজিদে কুবায় ইমামতি করতেন। তিনি প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ইখলাস পড়তেন। তারপর অন্য সূরা পড়তেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি এভাবে পড়েন কেন? তিনি বললেন, এ সূরাটিকে আমি খুব ভালোবাসি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বলেন, এ সূরার প্রতি তোমার ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। [সহীহ বুখারী, হা/৭৭৪; তিরমিযী, হা/২৯০১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৩৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৮৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৯৪; মুস্তাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৩১৯৪।]

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ اَللهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا اَحَدٌ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহমা-নির রাহীম- (১) কুল্ হুওয়াল্লা-হু আহাদ, (২) আল্লা-হুস্সামাদ, (৩) লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়ালাম্ ইউলাদ্, (৪) ওয়ালাম্ ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান্ আহাদ।

শাব্দিক অর্থ : ১. قُلْ (হে মুহাম্মাদ) আপনি বলুন, هُوَ اللهُ তিনি আল্লাহ, اَحَدٌ এক ও একক। ২. اَللهُ আল্লাহ اَلصَّمَدُ অমুখাপেক্ষী। ৩. لَمْ يَلِدْ তিনি কাউকে জন্ম দেননি وَلَمْ يُوْلَدْ এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ আর তাঁর জন্য নেই كُفُوًا اَحَدٌ কোন সমতুল্য।

অর্থ : ১. (হে মুহাম্মাদ) আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ এক ও একক। ২. তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। ৩. তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো থেকে জন্মগ্রহণও করেননি। ৪. আর তাঁর সমতুল্য দ্বিতীয় কেউ নেই।

সূরা ইখলাসের মৌলিক শিক্ষা :

(১) আল্লাহ অতুলনীয়, তাঁর উপর ঈমান আনতে হলে তাঁর গুণাবলি দেখেই ঈমান আনতে হবে। তাঁর গুণাবলিই তাঁর পরিচয় বহন করে। তাঁর সত্তা বা গড়ন-গঠন সম্পর্কে চিন্তা করতে নেই।

(২) মানুষের স্রষ্টা ও পালনকর্তা একমাত্র আল্লাহ। তাই আন্তরিকতা ও ইখলাসের সাথে তাঁর ইবাদাত করাই মানুষের কর্তব্য।

(৩) আল্লাহর সমকক্ষ কেউ নেই। তিনিই আইন রচনা করেন এবং হুকুম জারি করেন। এজন্য আল্লাহর বিধানের পরিবর্তে মানুষের তৈরি করা আইনের অনুসরণ করা শির্কের পর্যায়ে পড়ে।

(৪) শির্কের সকল ছিদ্রপথ বন্ধ করে, খাঁটিভাবে তাওহীদবাদী হতে হবে- এটাই ঈমানের সর্বোচ্চ স্তর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন