hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬
অযুর গুরুত্ব ও ফযীলত
১. অযুর মাধ্যমে বান্দার গোনাহ মাফ হয়:

عَنْ عَبْدِ اللهِ الصُّنَابِحِىِّ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ : اِذَا تَوَضَّاَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ فَتَمَضْمَضَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ فِيْهِ وَاِذَا اسْتَنْثَرَ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ اَنْفِهٖ فَاِذَا غَسَلَ وَجْهَهٗ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ وَجْهِهٖ حَتّٰى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ اَشْفَارِ عَيْنَيْهِ فَاِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ يَدَيْهِ حَتّٰى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ اَظْفَارِ يَدَيْهِ فَاِذَا مَسَحَ بِرَأْسِهٖ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رَّأْسِهٖ حَتّٰى تَخْرُجَ مِنْ اُذُنَيْهِ فَاِذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ خَرَجَتِ الْخَطَايَا مِنْ رِّجْلَيْهِ حَتّٰى تَخْرُجَ مِنْ تَحْتِ اَظْفَارِ رِجْلَيْهِ - قَالَ - ثُمَّ كَانَ مَشْيُهٗ اِلَى الْمَسْجِدِ وَصَلَاتُهٗ نَافِلَةً لَهٗ

আবদুল্লাহ ইবনে সুনাবিহী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কোন মুমিন বান্দা অযু করে, অতঃপর যখন সে কুলি করে তখন কুলি করার সাথে সাথে তার মুখের গোনাহসমূহ বের হয়ে যায়। যখন সে নাক পরিষ্কার করে তখন তার নাক থেকে সকল গোনাহ বের হয়ে যায়। যখন সে তার চেহারা ধৌত করে তখন চেহারা থেকে সকল গোনাহ বের হয়ে যায়; এমনকি তার চোখের ভেতরের গোনাহসমূহও বের হয়ে যায়। অতঃপর যখন সে তার হাত ধৌত করে তখন তার হাত হতেও সকল গোনাহ বের হয়ে যায়; এমনকি তার নখের নিচে লুকিয়ে থাকা গোনাহসমূহও বের হয়ে যায়। অতঃপর সে যখন মাথা মাসাহ করে তখন তার মাথা হতে সকল গোনাহ বের হয়ে যায়; এমনকি তার কান হতেও গোনাহসমূহ বের হয়ে যায়। অতঃপর যখন সে তার পা ধৌত করে তখন তার দু’পা হতে সকল গোনাহ বের হয়ে যায়; এমনকি তার পায়ের নখের নিচে থাকা গোনাহসমূহও বের হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তারপর সে যখন পায়ে হেটে মসজিদে যায় এবং সালাত আদায় করে তখন সে গোনাহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে সালাত আদায় করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬১; নাসাঈ, হা/১০৩; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৪৫৪; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৭৩৫; মিশকাত, হা/২৯৭।]

২. অযুর মাধ্যমে বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় :

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : ‏ أَلَا أَدُلُّكُمْ عَلٰى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ ‏ ‏ . ‏ قَالُوْا بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ ‏ . ‏ قَالَ : ‏ إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِه وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذٰلِكُمُ الرِّبَاطُ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কোন কাজ সম্পর্কে জানাব না, যা করলে আল্লাহ তা‘আলা (বান্দার) পাপরাশি দূর করে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন? লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন। তিনি বললেন, (১) অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও পরিপূর্ণরূপে অযু করা, (২) মসজিদে আসার জন্য বেশি পদচারণা করা এবং (৩) এক সালাতের পর অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষা করা; আর এ কাজগুলোই হলো সীমান্ত প্রহরা। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৩৮৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬১০; তিরমিযী, হা/৫১; নাসাঈ, হা/১৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০০৮।]

‘সীমান্ত প্রহরা’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, কোন ব্যক্তি ইসলামের উপর অটল থাকা এবং ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে সর্বদা প্রসত্মুত থাকা এবং ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহারা দেয়া।

৩. এর দ্বারা হাশরের ময়দানে উম্মতকে পৃথক করা হবে :

عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ قَالَ رَقِيْتُ مَعَ اَبِيْ هُرَيْرَةَ عَلٰى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ فَتَوَضَّاَ فَقَالَ اِنِّيْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ يَقُوْلُ : اِنَّ اُمَّتِيْ يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِيْنَ مِنْ اٰثَارِ الْوُضُوْءِ فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ اَنْ يُطِيْلَ غُرَّتَهٗ فَلْيَفْعَلْ

নু‘আইম আল মুজমির (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সাথে মসজিদের ছাদে উঠি। তখন আবু হুরায়রা (রাঃ) অযু করলেন এবং বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, কিয়ামতের দিন আমার উম্মতদেরকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, অযুর প্রভাবে তাদের অযুর অঙ্গসমূহ উজ্জ্বল থাকবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তাদের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সক্ষম সে যেন তা বাড়িয়ে নেয়। [সহীহ বুখারী, হা/১৩৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯০৮৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭৬; মিশকাত, হা/২৯০।]

৪. অযু কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য জ্যোতি হবে :

عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ كُنْتُ خَلْفَ أَبِيْ هُرَيْرَةَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ لِلصَّلَاةِ فَكَانَ يَمُدُّ يَدَه حَتّٰى تَبْلُغَ إِبْطَه فَقُلْتُ لَه يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا هٰذَا الْوُضُوْءُ فَقَالَ يَا بَنِيْ فَرُّوْخَ أَنْتُمْ هَا هُنَا لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكُمْ هَا هُنَا مَا تَوَضَّأْتُ هٰذَا الْوُضُوْءَ سَمِعْتُ خَلِيْلِيْ يَقُوْلُ : ‏ تَبْلُغُ الْحِلْيَةُ مِنَ الْمُؤْمِنِ حَيْثُ يَبْلُغُ الْوَضُوْءُ

আবু হাযেম (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদিন আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর পেছনে ছিলাম। (দেখলাম) তিনি সালাতের জন্য অযু করছেন। যখন তিনি হাতের বগল পর্যন্ত ধুলেন তখন আমি তাকে বললাম, হে আবু হুরায়রা! এটা কেমন ধরনের অযু? তিনি অবাক হয়ে বললেন, হে বনী ফার্রূখ! যদি আমি জানতাম তোমরা এখানে আছো, তাহলে আমি এ ধরনের অযু করতাম না। আমি আমার বন্ধু (রাসূলুল্লাহ ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে স্থান পর্যন্ত অযুর পানি পৌঁছবে সে স্থান পর্যন্ত মুমিন ব্যক্তির উজ্জ্বলতা অথবা সৌন্দর্যও পৌঁছবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৬০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৬৭; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১৪২; বায়হাকী, হা/২৬০।]

৫. অযু শয়তানের গ্রন্থি খুলে দেয় :

عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ اَنَّ رَسُوْلَ ا للهِ قَالَ : ‏ يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلٰى قَافِيَةِ رَأْسِ اَحَدِكُمْ اِذَا هُوَ نَامَ ثَلَاثَ عُقَدٍ، يَضْرِبُ عَلٰى مَكَانِ كُلَّ عُقْدَةٍ عَلَيْكَ لَيْلٌ طَوِيْلٌ فَارْقُدْ، فَاِنِ اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَاِنْ تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فَاِنْ صَلَّى انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ فَاَصْبَحَ نَشِيْطًا طَيِّبَ النَّفْسِ، وَاِلَّا اَصْبَحَ خَبِيْثَ النَّفْسِ كَسْلَانَ‏

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন শয়তান তার ঘাড়ের পেছনের অংশে তিনটি গিঁট দেয়। প্রতি গিঁটে সে এ বলে চাপড়ায় যে, তোমার সম্মুখে আছে লম্বা রাত, অতএব তুমি ঘুমিয়ে থাকো। অতঃপর সে যদি সজাগ হয়ে আল্লাহকে মনে করে, একটি গিঁট খুলে যায়, পরে অযু করলে আর একটি গিঁট খুলে যায়, অতঃপর সালাত পড়লে আর একটি গিঁট খুলে যায়। তখন তার সকাল হয় উৎফুল্ল মনে ও অনাবিল চিত্তে। অন্যথায় সে ভোরে উঠে অপবিত্র মন নিয়ে ও আলস্য সহকারে। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪২, ৩২৬৯; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪২৪; আবু দাউদ, হা/১৩০৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩০৬; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/১১৩১; শারহুস সুন্নাহ, হা/৯২০; মিশকাত, হা/১২১৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন