hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কিতাবুস্ সালাত

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৭৪
তারাবীর সালাত
এশার সালাতের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত যেসব নফল সালাত আদায় করা হয় তাকে কিয়ামুল লাইল বলা হয়। রমাযান মাসে কিয়ামুল লাইলকে ফকীহগণের পরিভাষায় সালাতুত তারাবীহ বা তারাবীর সালাত বলে।

তারাবীহ শব্দের অর্থ হচ্ছে, বিশ্রাম লওয়া, আরাম করা ইত্যাদি। যেহেতু এ সালাতে প্রতি চার রাক‘আত পর পর বিশ্রাম করতে হয় সে কারণে এ সালাতকে তারাবীর সালাত বলা হয়।

উল্লেখ্য যে, কুরআন এবং হাদীসের মধ্যে তারাবীর সালাত নামে কোন সালাত নেই। হাদীসের মধ্যে এ সালাতকে কিয়ামুল লাইল বা রাত্রিজাগরণ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।

তারাবীর সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলত :

রমাযান মাসে কিয়ামুল লাইল আদায় করার গুরুত্ব অনেক। কেননা এর মধ্যে অনেক সওয়াব নিহিত রয়েছে। এ সালাতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা বান্দার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيْمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهٗ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِه

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাযান মাসে তারাবীর সালাত আদায় করবে তার পেছনের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪৯; সহীহ বুখারী, হা/২০০৯; মুসলিম, হা/১৮৭৫; আবু দাউদ, হা/১৩৭৩; তিরমিযী, হা/৮০৮।]

তারাবীর সালাতের সূচনা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ অল্প কয়েক দিন এ সালাত আদায় করেছিলেন। প্রথম দিকে তিনি একা একা এ সালাত আদায় করতেন। তারপর এটা দেখে সাহাবায়ে কেরামও তাঁর সাথে সালাত আদায় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে ফরয হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রাসূলুল্লাহ ﷺ তা ত্যাগ করেন। যেমন- হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِى ذَرٍّ قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ - رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا شَيْئًا مِنَ الشَّهْرِ حَتّٰى بَقِىَ سَبْعٌ فَقَامَ بِنَا حَتّٰى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ فَلَمَّا كَانَتِ السَّادِسَةُ لَمْ يَقُمْ بِنَا فَلَمَّا كَانَتِ الْخَامِسَةُ قَامَ بِنَا حَتّٰى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا قِيَامَ هٰذِهِ اللَّيْلَةِ . قَالَ فَقَالَ : إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا صَلٰى مَعَ الْإِمَامِ حَتّٰى يَنْصَرِفَ حُسِبَ لَهٗ قِيَامُ لَيْلَةٍ . قَالَ فَلَمَّا كَانَتِ الرَّابِعَةُ لَمْ يَقُمْ فَلَمَّا كَانَتِ الثَّالِثَةُ جَمَعَ أَهْلَهٗ وَنِسَاءَهٗ وَالنَّاسَ فَقَامَ بِنَا حَتّٰى خَشِيْنَا أَنْ يَفُوْتَنَا الْفَلَاحُ . قَالَ قُلْتُ مَا الْفَلَاحُ قَالَ السُّحُوْرُ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا بَقِيَّةَ الشَّهْرِ

আবু যর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক রমাযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে রোযা রাখলাম। যখন উক্ত রমাযান মাসের ৭ দিন বাকী ছিল তখন তিনি আমাদেরকে নিয়ে রাত্রিজাগরণ করলেন। আর সেদিন তিনি রাত্রির এক তৃতীয়াংশ পর্যমত্ম জাগরণ করেন। অতঃপর যখন রমাযান মাসের ৬ দিন বাকী ছিল সেদিন তিনি উঠলেন না। তবে যখন ৫ দিন বাকী ছিল তখন অর্ধরাত্রি পর্যমত্ম জাগরণ করলেন। অতঃপর আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি এ রাত্রিজাগরণটা আমাদের জন্য নফল হিসেবে নির্দিষ্ট করে দেয়া হতো! তখন তিনি বললেন, যখন কোন ব্যক্তি ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর পূর্ব পর্যমত্ম সালাত আদায় করে তখন তার সেই সালাতকেই কিয়ামুল লাইল হিসেবে ধরে নেয়া হয়।

বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর যখন রমাযান মাসের ৪ দিন বাকী ছিল তখন রাত্রিজাগরণ করেননি। তবে যখন রমাযান মাসের ৩ দিন বাকী ছিল তখন তিনি তার পরিবার, স্ত্রী ও লোকদেরকে একত্রিত করলেন এবং আমাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। (আর তা এত দীর্ঘ করলেন) আমরা ভয় করলাম যে, ফালাহ হতে বঞ্চিত হয়ে যাব। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ফালাহ কী? তিনি বললেন, সাহরীর সময় শেষ হয়ে যাবে। এরপর রমাযান মাসের বাকী দিনগুলোতে তিনি আমাদেরকে নিয়ে রাত্রিজাগরণ করেননি। [তিরমিযী, হা/৮০৬; আবু দাউদ, হা/১৩৭৭; সুনানে নাসাঈ, হা/১৩৬৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৩২৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২২০৬।]

অপর হাদীসে এসেছে,

عَائِشَةَ قَالَ : أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ خَرَجَ ذَاتَ لَيْلَةٍ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَصَلّٰى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلّٰى رِجَالٌ بِصَلَاتِه فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوْا فَاجْتَمَعَ أَكْثَرُ مِنْهُمْ فَصَلَّوْا مَعَهٗ فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوْا فَكَثُرَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَخَرَجَ رَسُوْلُ اللهِ فَصَلَّوْا بِصَلَاتِه فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِه حَتّٰى خَرَجَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَلَمَّا قَضَى الْفَجْرَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ ، فَإِنَّهٗ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ مَكَانُكُمْ لَكِنِّيْ خَشِيْتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ فَتَعْجِزُوْا عَنْهَا ، فَتُوُفِّيَ رَسُوْلُ اللهِ وَالأَمْرُ عَلٰى ذٰلِكَ

আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযানের রাতের মধ্যভাগে বের হলেন, অতঃপর মসজিদে সালাত আদায় করলেন এবং লোকজনও তাঁর পেছনে সালাত আদায় করল। পরে সকাল হলে লোকেরা এর চর্চা করল। দ্বিতীয় দিন এর চেয়ে বেশি মানুষ জামা‘আতে উপস্থিত হলো। রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত আদায় করলেন। লোকেরাও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সালাত আদায় করল। অতঃপর সকাল হলে লোকেরা পরস্পর আলোচনা করল।

এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বের হলেন, (মসজিদে গিয়ে) তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করা হলো। তারপর যখন চতুর্থ রাত হলো, তখন মসজিদ তার ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলল। অতঃপর তিনি ফজরের সালাত আদায় করতে বের হলেন। সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেন, তিনি তাশাহ্হুদ বা খুৎবা পড়লেন, তারপর বললেন, তোমাদের অবস্থা সম্পর্কে আমার নিকট কিছুই গোপন নেই। তবে আমি আশঙ্কা করছি, তোমাদের উপর (এ সালাত) ফরয হয়ে যায় কি না। আর তোমরা তা পালন করতে অপারগ হয়ে পড়বে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ মৃত্যুবরণ করলেন আর ব্যাপারটি এমনই রয়ে গেল। [সহীহ বুখারী, হা/৯২৪, ২০১২; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৪০১; বায়হাকী, হা/৪৩৭৮।]

উমর (রাঃ) কর্তৃক জামা‘আতের প্রচলন :

তারপর থেকে সাহাবীগণ বিচ্ছিন্নভাবে তারাবীর সালাত আদায় করতেন। পরবর্তীতে উমর (রাঃ) মনে করলেন যে, এখন তো আর ফরয হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি একজন ইমামের পেছনে তারাবীর সালাত আদায় করার ব্যবস্থা করেন। যার বিস্তারিত বিবরণ নিম্নের হাদীসটিতে রয়েছে :

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهٗ قَالَ خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُوْنَ يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِه وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّيْ بِصَلَاتِهِ الرَّهْطُ فَقَالَ عُمَرُ إِنِّي أَرٰى لَوْ جَمَعْتُ هٰؤُلَاءِ عَلٰى قَارِئٍ وَاحِدٍ لَكَانَ أَمْثَلَ ثُمَّ عَزَمَ فَجَمَعَهُمْ عَلٰى أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهٗ لَيْلَةً أُخْرٰى وَالنَّاسُ يُصَلُّوْنَ بِصَلَاةِ قَارِئِهِمْ قَالَ عُمَرُ نِعْمَ الْبِدْعَةُ هٰذِه وَالَّتِيْ يَنَامُوْنَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِيْ يَقُوْمُوْنَ يُرِيْدُ اٰ خِرَ اللَّيْلِ ، وَكَانَ النَّاسُ يَقُوْمُوْنَ أَوَّلَهٗ

আবদুর রহমান ইবনে আবদুল ক্বারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রমাযানের এক রাতে উমর ইবনুল খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। তখন দেখতে পেলাম, বিভিন্নভাবে অনেক লোকের সমাগম হয়েছে। কেউ একা একা সালাত আদায় করছে। আবার কোথাও এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং কিছু লোকও তার সঙ্গে সালাত আদায় করছে। তখন উমর (রাঃ) বললেন, আমার মনে হয়, এদের সবাইকে একজন ক্বারীর সাথে জামাআতবন্দী করে দিলে সবচেয়ে ভালো হবে। এরপর এ ব্যাপারে তিনি দৃঢ় সংকল্প হলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) এর পেছনে জামাআতবন্দী করে দিলেন।

অতঃপর আমি আরেক রাতে আবার তাঁর সাথে বের হলাম। দেখলাম, লোকজন তাদের ইমামের সঙ্গে সালাত আদায় করছে। উমর (রাঃ) বললেন, এটি কতইনা উত্তম বিদ‘আত বা সুন্দর ব্যবস্থা। লোকেরা রাতের যে অংশে সালাত আদায় না করে ঘুমায় তা যে অংশে তারা সালাত আদায় করে তার চেয়ে উত্তম। অর্থাৎ রাতের প্রথম অংশের চেয়ে শেষ অংশের সালাত বেশি উত্তম- এটাই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন। আর লোকেরা রাতের প্রথম অংশেই সালাত আদায় করত। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৫০; সহীহ বুখারী, হা/২০১০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১১০০; বায়হাকী, হা/৪৩৭৯; মিশকাত, হা/১৩০১।]

এখানে বুঝা গেল, তারাবীর সালাত নিয়মিতভাবে জামা‘আতের সাথে বর্তমানে যেটা চালু আছে এটা উমর (রাঃ) থেকে শুরু হয়েছে। এ হাদীসে ‘‘কতইনা সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা।’’ এ কথা দ্বারা বিদ‘আতীরা বিদ‘আতে হাসানার স্বপক্ষে দলীল পেশ করে থাকে। অথচ এটা শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থে বিদ‘আত বা নতুন ব্যবস্থা বলা হয়েছে।

উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) ছিলেন ‘খোলাফায়ে রাশেদার’ অন্যতম একজন খলীফা। তাই তাদের আদর্শ অনুসরণ করাও আমাদের জন্য সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,

فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِىْ وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِيْنَ تَمَسَّكُوْا بِهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُوْرِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

তোমাদের উপর আবশ্যক হচ্ছে আমার ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে গ্রহণ করা। তোমরা তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরো। আর তোমাদের উপর আরো আবশ্যক হচ্ছে, তোমরা প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবিত বিষয় হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদ‘আত, আর প্রত্যেক বিদ‘আতই গোমরাহী। [আবু দাউদ, হা/৪৬০৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১৮৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩২৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৩৫; মিশকাত, হা/১৬৫।]

তারাবীর সালাত কত রাক‘আত :

তারাবীর সালাত কত রাক‘আত- এ নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। তবে এ সম্পর্কে সবচেয়ে সহীহ যে হাদীসটি রয়েছে সেটি হচ্ছে,

عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ أَنَّه سَأَلَ عَائِشَةَ ، رَضِيَ اللهُ عَنْهَا ، كَيْفَ كَانَتْ صَلَاةُ رَسُوْلِ اللهِ فِيْ رَمَضَانَ فَقَالَتْ مَا كَانَ يَزِيْدُ فِي رَمَضَانَ ، وَلَا فِي غَيْرِهَا عَلٰى إِحْدٰى عَشْرَةَ رَكْعَةً يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلَا تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلَا تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلَاثًا ، فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوْتِرَ قَالَ يَا عَائِشَةُ إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ ، وَلَا يَنَامُ قَلْبِيْ

আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান (রহ.) হতে বর্ণিত। একদা তিনি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, রমাযানের রাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সালাত কেমন ছিল? তিনি বললেন, রমাযান মাসে অথবা অন্য সময়ে নবী ﷺ ১১ রাক‘আতের অধিক সালাত আদায় করতেন না। তিনি প্রথমে ৪ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, যার সৌন্দর্য এবং দীর্ঘতা সম্পর্কে প্রশ্ন করো না। তারপর এমন ৪ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে তুমি জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি ৩ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন, আমি একদিন বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর আদায়ের পূর্বে ঘুমান? তিনি বললেন, হে আয়েশা! আমার চক্ষু ঘুমালেও হৃদয় ঘুমায় না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৬৩; সহীহ বুখারী, হা/২০১৩; সহীহ মুসলিম, হা/১৭৫৭; আবু দাউদ, হা/১৩৪৩; তিরমিযী, হা/৪৩৯; নাসাঈ, হা/১৬৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১১৯।]

উক্ত হাদীসের আলোকে এটা প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ রমাযান মাসের রাতে বিতর সহ মোট ১১ রাক‘আত সালাত আদায় করতেন।

এ সম্পর্কে আরো বিসত্মারিত বিবরণ আমাদের বই ‘‘কিতাবুস সিয়াম’’ এর মধ্যে রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন