hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

১৮
ইবাদত ও দাসত্বের উৎকর্ষ ও পরিপূর্ণতা
১- মানুষ বলতেই তিন অবস্থার যে কোন একটিতে অবস্থান করে।

*আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত নেয়ামতসমূহ যেমন সচ্ছলতা, সুস্থতা, নিরাপত্তার মধ্যে। তখন তার দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

*পাপ অন্যায় ও অপরাধ মূলক কাজে লিপ্ত অবস্থায় থাকা। তখন তার কর্তব্য হচ্ছে উক্ত পাপ পরিহার করে কৃত অপরাধের জন্যে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।

* বিপদ ও মুসীবতের মধ্যে থাকা, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাকে পরীক্ষা করতে চান। এ অবস্থায় তার করণীয় হচ্ছে সবর ও ধৈর্য ধারণ করা। যে ব্যক্তি উক্ত তিন অবস্থায় বর্ণিত তিন করণীয় সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে সে ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতেই সুখী হবে।

২- মহান আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের উবূদিয়্যত তথা দাসত্ব ও ধৈর্য্য পরায়ণতা যাচাই করার উদ্দেশ্যে মাঝে মধ্যে বিপদ-মুসীবতে নিপতিত করেন। এর মাধ্যমে তাঁর উদ্দেশ্য মূলত তাদের ধৈর্য ও দাসত্বের অবস্থা পরীক্ষা করা। তাদের শাস্তি দেয়া কিংবা ধ্বংস করা তাঁর লক্ষ্য নয়।

সুতরাং প্রতিটি বান্দার উপর আল্লাহ তা‘আলার অধিকার রয়েছে যে, তারা তাঁর দাসত্ব বরণ করে তাঁর আনুগত্য করবে দুঃসময়ে, যেমনি দাসত্ব করে থাকে সুসময়ে। আনুগত্য করবে নিজেদের অপছন্দনীয় ক্ষেত্রে, যেভাবে করে থাকে পছন্দনীয় বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে। অধিকাংশ মানুষ সহজ ও নিজ পছন্দনীয় বিষয়াবলীর ক্ষেত্রে উবূদিয়্যতের হক আদায় করে থাকে ঠিকই। তবে অধিক কৃতিত্বপূর্ণ ও মর্যাদাকর হচ্ছে কষ্টকর ও অপছন্দনীয় ক্ষেত্রে উবূদিয়্যতের হক আদায় করা। বান্দাদের অবস্থান এক্ষেত্রে বিভিন্ন ও তারতম্যপূর্ণ ।

সুতরাং প্রচন্ড উষ্ণতার সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে অযু করা উবূদিয়্যত। সুন্দরী নারী বিবাহ করা উবূদিয়্যত। অনুরূপভাবে প্রচন্ড শীতে ঠান্ডা পানি দিয়ে অযু করাও উবূদিয়্যত। তীব্র মানসিক চাহিদা সত্ত্বেও মানুষের ভয়ে নয় বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পাপের কাজ বর্জন করা উবূদিয়্যত। ক্ষুধার কষ্ট স্বীকার করে ধৈর্য ধারণ করাও উবূদিয়্যত। তবে এ দু’ধরনের উবূদিয়্যতের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।

যে ব্যক্তি সুসময় ও দুঃসময়, পছন্দনীয় ও কষ্টকর উভয় ক্ষেত্রে উবূদিয়্যতের হক আদায় করবে সে আল্লাহ তা’আলার সেসকল পূণ্যবান বান্দার অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে যাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে

لا خوف عليهم ولا هم يحزنون

অর্থাৎ যাদের কোন ভয় নেই এবং যারা বিচলিত হবে না। তার শত্রু কখনই তার উপর বিজয়ী হতে পারবে না ,আল্লাহ তাকে হিফাজত করবেন। তবে হ্যাঁ, শয়তান কালে-ভদ্রে তার উপর অতর্কিত হামলা চালাতে পারে। কারণ বান্দা মাঝে মধ্যে গাফলত ও অসর্তকতা, প্রবৃত্তির তাড়না ও ক্রোধের পরীক্ষায় পতিত হয় আর শয়তান মূলতঃ এ তিন দরজা দিয়েই মানুষের ভিতর প্রবেশ করে। আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বান্দার উপর তার নফস, প্রবৃত্তি ও শয়তানকে ক্ষমতা দিয়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করেন যে তারা কি এদের আনুগত্য করে? না স্বীয় পালন কর্তার?

মানুষের উপর আল্লাহ তা’আলার অনেক নির্দেশ রয়েছে, পাশাপাশি নিজ নফসেরও কিছু চাহিদা রয়েছে। আল্লাহ মানুষদের থেকে ঈমান ও নেক আমল চান, আর কুপ্রবৃত্তি তাদের নিকট সম্পদ ও খাহেশাতের সম্পাদন চায়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নিকট পরকালের সুখ-সমৃদ্ধির জন্যে আমল কামনা করেন, আর নফস কামনা করে দুনিয়ার প্রাচুর্য ও ধন-সম্পদ। আল্লাহ চান বান্দা পরকালীন জীবনে সুখ-শান্তি লাভের জন্য বেশী বেশী আমল করুক, আর নফসের চাহিদা হচ্ছে দুনিয়ার সমৃদ্ধি ও সুখের জন্যে পরিশ্রম করুক। আর ঈমান হচ্ছে মুক্তির পথ ও আলোকবর্তিকা, যার মাধ্যমে সত্য-কে মিথ্যা থেকে পৃথক করা যায়। আর এটিই হচ্ছে পরীক্ষার স্থান।

১। আল্লাহ তা’আলা বলেন :

أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آَمَنَّا وَهُمْ لا يُفْتَنُونَ ﴿2﴾ وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ ﴿3﴾

‘মানুষ কি মনে করে যে, তারা এ কথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা ঈমান এনেছি এবং তাদের পরীক্ষা করা হবে না ? আমি তাদেরকেও পরীক্ষা করেছি, যারা তাদের পূর্বে ছিল। আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যারা সত্য বলেছে এবং নিশ্চয়ই জেনে নেবেন মিথ্যুকদেরকে।’ [সূরা আনকাবূত : ২-৩।]

২। আল্লাহ আরোও বলেন-

وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَحِيمٌ

‘আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষের মন মন্দকর্ম প্রবন, কিন্তু সে নয়, আমার পালন কর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয়ই আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু্।’ [সূরা ইউসুফ: ৫৩।]

৩। আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলছেন:

فَإِنْ لَمْ يَسْتَجِيبُوا لَكَ فَاعْلَمْ أَنَّمَا يَتَّبِعُونَ أَهْوَاءَهُمْ وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنَ اتَّبَعَ هَوَاهُ بِغَيْرِ هُدًى مِنَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ

‘অতঃপর তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে জানবেন, তারা শুধু নিজেদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে। আল্লাহর হেদায়াতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চাইতে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে? নিশ্চয় আল্লাহ জালেম সম্প্রদায় কে (সঠিক) পথ দেখান না।’ [সূরা আল-কাসাস: ৫০।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন