hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

২৪২
জাহান্নামে শাস্তিভোগকারী লোকদের কিছু নমুনা
১- কাফের ও মুনাফেক:

আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَعَدَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ وَالْمُنَافِقَاتِ وَالْكُفَّارَ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا هِيَ حَسْبُهُمْ وَلَعَنَهُمُ اللَّهُ وَلَهُمْ عَذَابٌ مُقِيمٌ

{ التوبة :৬৮}

আল্লাহ তাআলা মুনাফেক পুরুষ ও মুনাফেক নারীদের এবং কাফেরদের জন্য জাহান্নামের আগুনের ওয়াদা করেছেন, তাতে তারা সর্বদা পড়ে থাকবে। সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আর আল্লাহ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী আযাব।

{সূরা তাওবা:৬৮}

২-ইচ্ছাকৃত ভাবে নিরপরাধ লোকদের হত্যাকারী:

১-পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে:

وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا فَجَزَاؤُهُ جَهَنَّمُ خَالِدًا فِيهَا وَغَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَلَعَنَهُ وَأَعَدَّ لَهُ عَذَابًا عَظِيمًا

{ النساء :৯৩}

যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুসলমানকে হত্যা করে, তার শাস্তি হচ্ছে জাহান্নাম, তাতেই সে চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্ত্তত রেখেছেন। {সূরা নিসা:৯৩}

২- হাদীসে এসেছে

وعن عبد الله عمرو رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : من قتل معاهدا لم يرح رائحة الجنة وإن ريحها يوجد من مسيرة أربعين عاما . أخرجه البخاري

সহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লালালহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যে ব্যাক্তি কোন মুআহাদ (ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত অমুসলিম ব্যাক্তি) কে হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। যদিও জান্নাতের সুঘ্রাণ চল্লিশ বৎসর ভ্রমন পথের দূরত্ব থেকেও পাওয়া যায়। [বর্ণনায় বুখারী , হাদীস নং (৩১৬৬)।]

৩-যিনকার নারী ও পুরুষ:

عن سمرة بن جندب رضي الله عنه قال : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعني مما يكثر أن يقول لأصحابه : هل رأى أحد منكم من رؤيا؟ ـ وفيه ـ أنه قال ذات غداة : إنه أتاني الليلة آتيان , وإنهما ابتعثاني وإنهما قالا لي انطلق ... فانطلقنا فأتينا على مثل التنور , فإذا فيه لغط و أصوات , قال : فاطلعنا فيه , فإذا فيه رجال و نساء عراة , وإذاهم يأتيهم لهب من أسفل منهم فإذا أتاهم ذلك اللهب ضوضوا , قال : قلت لهما ما هؤلاء؟ ... ـ وفيه ـ فقالا : وأما الرجال و النساء العراة الذين في مثل بناء التنور فهم الزناة والزواني ... . أخرجه البخاري

প্রসিদ্ধ সাহাবী সামুরা বিন জুন্দুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই তাঁর সাহাবীদের বলতেন: তোমাদের কেউ কি কোন সপ্ন দেখেছ? - সে হাদীসে আছে - তিনি একদিন সকালে বললেন: গত রাত (সপ্নে দেখি) দু’জন আগন্তক আমার নিকট আসল, তারা আমাকে জাগিয়ে তুলল এবং বলল আমাদের সাথে চলুন... আমরা চলছিলাম এক পর্যায়ে একটি তন্দুরী সদৃশ গর্তের নিকট এসে পৌঁছালাম, দেখি খুব শোরগোল ও চেঁচামেচি শোনা যাচ্ছে, এরপর আমরা তার ভিতরে কি আছে জানার জন্য তাকিয়ে দেখি, বিবস্ত্র অনেক নারী পুরুষ এবং তাদের নিম্ন দিক থেকে অগ্নিশিখা এসে তাদের উপর আছড়ে পড়ছে। যখন সেই অগ্নিশিখা আছড়ে পড়ে তখন তারা আওয়াজ করে চেচিয়ে উঠে। আমি সাথীদ্বয়ের নিকট জিজ্ঞেস করলাম এরা কারা?...- তাতে আছে - তারা জবাবে বললেন : ঐ বিবস্ত্র নারী পুরুষ যারা তন্দুরী সদৃশ ঘরে অবস্থান করছে তারা হচ্ছে যিনাকার নারী এবং যিনাকার পুরুষ...। [বুখারী হাদীস নং (৭০৪৭)]

৪- সুদখোর:

في حديث سمرة بن جندب رضي الله عنه السابق قال النبي صلى الله عليه وسلم : فانطلقنا حتى أتينا على نهر من دم فيه رجل قائم على وسط النهر , وعلى شط النهر رجل بين يديه حجارة , فأقبل الرجل الذي في النهر , فإذا أراد أن يخرج رمى الرجل بحجر في فيه فرده حيث كان , فجعل كلما جاء ليخرج رمى في فيه بحجر فيرجع كما كان فقلت ما هذا؟ ... قال والذي رأيته في النهر آكلوا الربا . أخرجه البخاري

সাহাবী সামুরা বিন জুন্দুব কর্তৃক বর্ণিত পূর্বের হাদীসে আছে, নবীজী বলেন: আমরা চলছিলাম এক পর্যায়ে একটি রক্তের নদীতে এসে পৌঁছালাম, দেখি একজন লোক নদীর মধ্যখানে দাড়িয়ে আছে আর অন্য একজন নদীর পাড়ে তার সামনে কিছু পাথর পড়ে আছে। নদীতে অবস্থানরত লোকটি এদিকে আসতে চাচ্ছে যখন বের হওয়ার ইচ্ছা করে তখনই দাড়ানো লোকটি তার মুখে একটি পাথর নিক্ষেপ করে এবং পূর্বে অবস্থানে ফেরত পাঠায়। এমনি করে যখনই সে বের হতে চায়, তখনই পাড়ের লোক পাথর নিক্ষেপ করে এবং পূর্বের অবস্থানে ফেরত যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম এ কে?... তারা বললেন : ঐযে নদীতে যাকে দেখেছেন সে হচ্ছে ‘‘সুদখোর’’। [বর্ণনায় বুখারী হাদীস নং (১৩৮৬ )]

৫-চিত্রাংকন কারী:

১-হাদীসে এসেছে

عن ابن عباس رضي الله عنهما قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : كل مصور في النار يجعل له بكل صورة صورها نفسا فتعذبه في جهنم . أخرجه مسلم

বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করছেন, আমি রাসূলুল্লাহ কে ইরশাদ করতে শুনেছি, নবীজী বলেন: প্রাণীর চিত্রাঙ্কনকারী জাহান্নামে যাবে। তার বানানো প্রত্যেক ছবির পরিবর্তে তার জন্য একটি করে জীবন বানানো হবে এবং জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে। [বর্ণনায় মুসলিম , হাদীস নং (২১১০)]

২- হাদীসে এসেছে

وعن عائشة رضي الله عنها قالت : دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد سترت سهوة لي بقرام فيه تماثيل , فلما رآه هتكه و تلون وجهه وقال : يا عائشة أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة الذين يضاهون بخلق الله , قالت عائشة : فقطعناه فجعلنا منه وسادة أو وسادتين . متفق عليه

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, আমি ঘরের প্রবেশ পথে একটি পর্দা টানিয়েছিলাম যাতে প্রাণীর ছবি ছিল। রাসূলুল্লাহ তা দেখে ছিঁড়ে ফেললেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন: আয়েশা! কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে কঠিন আযাব সে সব লোকদের হবে যারা আল্লাহর সৃষ্টির সামঞ্জস্য স্থির করেছিল। (অর্থাৎ যারা তাঁর সৃষ্টির অনুরূপ আকৃতি অংকন করেছিল) আয়েশা বলেন: এরপর আমরা সেটি কেটে ফেললাম এবং তা দিয়ে একটি বা দুটি বালিশ বানিয়ে নিলাম। [বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম। হাদীস নং যথাক্রমে (৫৯৫৪) ও (২১০৭)।]

৩- হাদীসে এসেছে

وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : من صور صورة في الدنيا كلف أن ينفخ فيها الروح يوم القيامة وليس بنافخ . متفق عليه

বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আববাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইরশাদ করতে শুনেছি: যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন প্রাণীর ছবি অঙ্কন করবে, কেয়ামত দিবসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে তাতে প্রাণ সঞ্চারনের দায়িত্ব দেয়া হবে অথচ সে তাতে অক্ষম। [বর্ণনায় বুখারী ও মুসলিম । হাদীস নং যথা ক্রমে (৭০৪২) ও (২১১০)।]

৬-ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষনকারী:

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

إِنَّ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ أَمْوَالَ الْيَتَامَى ظُلْمًا إِنَّمَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ نَارًا وَسَيَصْلَوْنَ سَعِيرًا ﴿10﴾

{ النساء :১০}

যারা অন্যায়-অন্যায্যভাবে ইয়াতীমদের অর্থ-সম্পদ ভক্ষণ করে, তারা নিজেদের পেটে আগুনই ভর্তি করেছে এবং সত্বরই তারা প্রজ্বলিত অগ্নিতে (জাহান্নামে) প্রবেশ করবে।

{সূরা নিসা: ১০}

৭-মিথ্যাবাদী, পরনিন্দা ও পরচর্চা কারী:

১-মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করছেন:

وَأَمَّا إِنْ كَانَ مِنَ الْمُكَذِّبِينَ الضَّالِّينَ ﴿92﴾ فَنُزُلٌ مِنْ حَمِيمٍ ﴿93﴾ وَتَصْلِيَةُ جَحِيمٍ ﴿94﴾

{ الواقعة :৯২-৯৪}

আর যদি সে পথভ্রষ্ট মিথ্যারোপকারীদের একজন হয়। তবে তার আপ্যায়ন হবে উত্তপ্ত পানি দ্বারা। এবং সে নিক্ষিপ্ত হবে জাহান্নামে।{সূরা ওয়াকিয়া:৯২-৯৪}

২- হাদীসে এসেছে

وعن معاذ بن جبل رضي الله عنه قال : كنت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر ـ وفيه ـ فقلت يا نبي الله , وإنا لمؤاخذون بما نتكلم به ؟ فقال : ثكلتك أمك يا معاذ , وهل يكب الناس في النار على وجوههم أو على مناخرهم إلا حصائد ألسنتهم . أخرجه الترمذي وابن ماجة

সাহাবী মুআয বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম, -তাতে আছে- আমি বললাম: ইয়া নবীয়াল্লাহ; আমরা যে সব কথাবার্তা বলি তার কারণেও কি আমাদের ধরা হবে? নবীজী বললেন: মুআয-তোমার মা সন্তানহারা হউক- মানুষকে যে চেহারার উপর ভর করে অথবা নাকের উপর ভরকরে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে, সেতো জিহবারই ফসল(কামাই)। [হাদীসটি সহীহ সনদে তিরমিজী (২৬১৬) ও ইবনে মাজাহ (৩৯৭৩) তে বর্ণিত হয়েছে।]

৮-আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত বিধান গোপনকারী:

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা ইরশাদ করছেন:

إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا أُولَئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ

{ البقرة :১৭৪}

নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সে জন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাদের সাথে কথা বলবেন না এবং না তাদের পবিত্র করবেন না, বস্ত্তত: তাদের জন্য রয়েছে বেদনা দায়ক আযাব।{সূরা বাকারা:১৭৪}

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন