hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

২৪৭
জাহান্নামীদের হাল-অবস্থার কিছু নমুনা
ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآَيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا ﴿56﴾ { النساء :৫৬}

আমার আয়াতসমূহের প্রতি যে সব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদের সত্তরই আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি আবার তা পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে, যাতে তারা আযাব আস্বাদন করতে পার। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, হেকমতের অধিকারী। {সূরা নিসা:৫৬}

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন:

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي عَذَابِ جَهَنَّمَ خَالِدُونَ ﴿74﴾ لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ ﴿75﴾ وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ وَلَكِنْ كَانُوا هُمُ الظَّالِمِينَ ﴿76﴾ { الزخرف :৭৪-৭৬}

নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে। তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে। আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল জালেম। { সূরা যুখরুফ: ৭৪-৭৬}

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ الْكَافِرِينَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيرًا ﴿64﴾ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا لَا يَجِدُونَ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا ﴿65﴾ يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِي النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللَّهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا ﴿66﴾ { الأحزاب :৬৪ـ৬৬)

নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের অভিসম্পাত করেছেন এবং তাদের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্ত্তত রেখেছেন। তথায় তারা অনন্ত কাল থাকবে এবং কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। যেদিন অগ্নিতে তাদের মুখমন্ডল ওলট পালট করা হবে; সেদিন তারা বলবে হায় ! আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম। {সূরা আহযাব: ৬৪-৬৬}

আরোও ইরশাদ হচ্ছে:

وَالَّذِينَ كَفَرُوا لَهُمْ نَارُ جَهَنَّمَ لَا يُقْضَى عَلَيْهِمْ فَيَمُوتُوا وَلَا يُخَفَّفُ عَنْهُمْ مِنْ عَذَابِهَا كَذَلِكَ نَجْزِي كُلَّ كَفُورٍ { فاطر :৩৬}

আর যারা কাফের হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশও দেয়া হবে না যে, তারা মরে যাবে এবং তাদের থেকে তার শাস্তিও লাঘব করা হবে না। আমি প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।{সূরা ফাতির: ৩৬}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

فَأَمَّا الَّذِينَ شَقُوا فَفِي النَّارِ لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَشَهِيقٌ ﴿106﴾ خَالِدِينَ فِيهَا مَا دَامَتِ السَّمَوَاتُ وَالْأَرْضُ إِلَّا مَا شَاءَ رَبُّكَ إِنَّ رَبَّكَ فَعَّالٌ لِمَا يُرِيدُ ﴿107﴾ هود : ১০৬ـ ১০৭}

অতএব যারা হতভাগ্য তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তারা আর্তনাদ ও চিৎকার করতে থাকবে।তারা সেখানে চিরকাল থাকবে, যতদিন আসমান ও যমীন বিদ্যমান থাকবে।তবে তোমার প্রতিপালক অন্য কিছু ইচ্ছা করলে ভিন্ন কথা । নিশ্চয় তোমার পালনকর্তা যা ইচ্ছা করতে পারেন। {সূরা হুদ:১০৬-১০৭}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيَاطِينَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا ﴿68﴾ ثُمَّ لَنَنْزِعَنَّ مِنْ كُلِّ شِيعَةٍ أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى الرَّحْمَنِ عِتِيًّا ﴿69﴾ ثُمَّ لَنَحْنُ أَعْلَمُ بِالَّذِينَ هُمْ أَوْلَى بِهَا صِلِيًّا ﴿70﴾ { مريم :৬৮ ــ ৭০}

সুতরাং আপনার পালন কর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অত:পর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব। অত:পর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহর সর্বাধিক অবাধ্য, আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব। অত:পর তাদের মধ্যে যারা জাহান্নামের অধিক যোগ্য, আমি তাদের বিষয়ে ভালভাবে জ্ঞাত আছি। {সূরা মারইয়াম:৬৮-৭০}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّ جَهَنَّمَ كَانَتْ مِرْصَادًا ﴿21﴾ لِلطَّاغِينَ مَآَبًا ﴿22﴾ لَابِثِينَ فِيهَا أَحْقَابًا ﴿23﴾ لَا يَذُوقُونَ فِيهَا بَرْدًا وَلَا شَرَابًا ﴿24﴾ إِلَّا حَمِيمًا وَغَسَّاقًا ﴿25﴾ جَزَاءً وِفَاقًا ﴿26﴾ { النبأ : ২১ـ ২৬}

নিশ্চয় জাহান্নাম প্রতীক্ষায় থাকবে, সীমালঙ্ঘনকরীদের আশ্রয়স্থলরূপে, তারা তথায় শতাব্দীর পর শতাব্দী অবস্থান করবে। তথায় তারা কোন শীতল এবং পানীয় আস্বাদন করবে না। কিন্তু ফুটন্ত পানি ও পুঁজ পাবে। পরিপূর্ণ প্রতিফল হিসেবে।{সূরা নাবা:২১-২৬}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ ﴿6﴾ إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ ﴿7﴾ تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ ﴿8﴾ قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءَنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِنْ شَيْءٍ إِنْ أَنْتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ ﴿9﴾ { الملك :৬ـ৯}

যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। সেটা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। ক্রোধে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে। যখনই তাতে কোন সম্প্রদায় নিক্ষিপ্ত হবে তখন তাদেরকে তার সিপাহীরা জিজ্ঞাসা করবে, তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আগমন করেনি? তারা হ্যাঁ, আমাদের কাছে সতর্ককারী আগমন করেছিল, অত:পর আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম: আল্লাহ তাআলা কোন কিছু নাযিল করেননি। তোমরা মহাবিভ্রান্তিতে পড়ে রয়েছে।{সূরা মুলক: ৬-৯}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي ضَلَالٍ وَسُعُرٍ ﴿47﴾ يَوْمَ يُسْحَبُونَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ ﴿48﴾ { القمر :৪৭ـ৪৮}

নিশ্চয় অপরাধীরা পথভ্রষ্ট ও বিকারগ্রস্ত। যেদিন তাদেরকে মুখ হিঁচড়ে টেনে নেয়া হবে জাহান্নামে, বলা হবে:অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।{সূরা ক্বামার:৪৭-৪৮}

আরো ইরশাদ হচ্ছে:

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ ﴿5﴾ نَارُ اللَّهِ الْمُوقَدَةُ ﴿6﴾ الَّتِي تَطَّلِعُ عَلَى الْأَفْئِدَةِ ﴿7﴾ إِنَّهَا عَلَيْهِمْ مُؤْصَدَةٌ ﴿8﴾ فِي عَمَدٍ مُمَدَّدَةٍ ﴿9﴾ { الهمزة :৪ـ৯}

কখনো নয় , সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায় (পিষ্টকারীতে)। আর আপনি জানেন কি; হুতামা কি? আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন, যা হৃদয় অভ্যন্তরে পৌছে যাবে, এতে তাদেরকে বেঁধে দেয়া হবে,উঁচু উঁচু স্তম্ভসমূহে।{সূরা হুমাযাহ :৪-৯}

عن أسامة بن زيد رضي الله عنهما أنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : يجاء بالرجل يوم القيامة فيلقى في النار فتندلق أقتابه في النار , فيدور كما يدور الحمار برحاه , فيجتمع أهل النارعليه فيقولون : يا فلان ما شأنك؟ أليس كنت تأمرنا بالمعروف و تنهانا عن المنكر؟ قال : كنت آمركم بالمعروف ولا آتيه , وأنهاكم عن المنكر وآتيه . متفق عليه

সাহাবী উসামা বিন যায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইরশাদ করতে শুনেছি: নবীজী বলেন, কিয়ামতের দিন একব্যক্তিকে উপস্থিত করা হবে, অত:পর জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে ফলে তথায় তার নাড়ী - ভূড়ী বের হয়ে পড়বে, অত:পর সে সেখানে চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার পেষণযন্ত্রের চার পাশে ঘুরে। জাহান্নামীরা তার নিকট সমবেত হবে এবং বলবে, হে অমুক! তোমার খবর কি? তুমি না আমাদেরকে সৎকাজ করতে আদেশ করতে আর মন্দকাজ থেকে বাধা দিতে? সে বলবে : হ্যাঁ, আমি তোমাদেরকে আদেশ করতাম ঠিক কিন্তু নিজে আমল করতাম না আবার অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করতাম, কিন্তু সেটি নিজে করতাম। [বর্ণনায় বুখারী হাদীস নং (৩২৬৭) এবং মুসলিম হাদীস নং (২৯৮৯)।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন