hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

৩০
কতিপয় কর্ম ও কথা যা শিরকের অন্তর্ভূক্ত বা তার মাধ্যম :-
এমন অনেক কথা ও কর্ম আছে যা সম্পাদনকারীর অবস্থা ভেদে শিরকে আকবর বা শিরকে আসগরের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়। মনের অবস্থার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে ছোট শিরক হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে বড় শিরক। সেগুলো হয়ত একেবারেই তাওহীদ পরিপন্থী যা তাওহীদের মূল আবেদনকেই নিঃশেষ করে দেয় অথবা তার স্বচ্ছতাকে কলুষিত করে দেয়। শরীয়ত এসব বিষয় সম্পর্কে কঠিনভাবে সতর্ক করেছে। নিম্নে তার কিছু নমুনা প্রদান করা হল:

(১) বিপদ-মুসীবত দূর কিংবা প্রতিরোধ কল্পে আংটি, রিং, সূতা, তাগা, ও কাইতন জাতীয় কিছু পরিধান করা, এসব-ই শিরক।

(২) কু-দৃষ্টির অনিষ্ট থেকে রক্ষা কল্পে বাচ্চাদের শরীরে মাদুলী, পুঁতি, হাড্ডি ও কাগজে লেখা প্রভৃতি জাতীয় তাবীজ লটকানো। এটিও শিরকের অন্তর্ভূক্ত।

(৩) পাখি, মানুষ, যমীন বা এ জাতীয় জিনিষ দ্বারা শুভ-অশুভ নির্ণয় করা ও অশুভ বিতাড়ন করা। এসব কর্ম হচ্ছে শিরক। কারণ এর মাধ্যমে যে মাখলূক নিজ উপকার-ক্ষতির ক্ষমতা রাখে না সে মাখলূক দ্বারা ক্ষতি হতে পারে বিশ্বাসে গাইরুল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। এ ব্যাপারটি মূলত শয়তানের প্রবঞ্চনা। এটি তাওাক্কুল পরিপন্থী।

(৪) গাছপালা, পাথর, বিভিন্ন নিদর্শনাবলি, মাযার-কবর ও এ জাতীয় বস্ত্ত দ্বারা বরকত লাভ করা ও শুভ কামনা করা। এসব বস্ত্ততে বরকত আছে মর্মে বিশ্বাস করা। এগুলো শিরক। কেননা এর মাধ্যমে বরকত লাভ করার জন্যে গাইরুল্লাহর পিছনে ছুটাছুটি করা হয় এবং তাদের সংশ্রবে আসা হয়।

(৫) যাদু :

যাদু বলা হয়: যা অস্পষ্ট এবং যার কার্যকারণ ও সূত্র অতি সুক্ষ্ম । অর্থাৎ এমন তন্ত্র-মন্ত্র, ঝাঁড়-ফুক ও চিকিৎসার নাম যা অন্তর ও শরীরে আছর করে। আছরকৃত মানুষকে অসুস্থ করে দেয় বা নিহত করে কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিভেদ-বিরোধ সৃষ্টি করে। এটি একটি শয়তানী কর্ম। এর মাঝে অনেকগুলো এমনও আছে যা শিরক ব্যতীত সম্পন্ন হয় না।

যাদু শিরক, কারণ যাদুর মাধ্যমে গাইরুল্লাহ তথা শয়তানদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হয় তাদের সংশ্রবে যাওয়া হয় এবং যাদু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তরে ইলমে গায়েবের দাবী করা হয়।

আল্লাহ তা’আলা বলেন:

وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْر

‘সুলাইমান কুফর করেনি, শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষদের যাদু বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছিল।’ [সূরা বাকারা: ১০২]

তবে কিছু কিছু যাদু আছে যা শিরক নয়, কবীরা গুনাহ। যেমন চিকিৎসার জন্য যাদু করা।

(৬) ভবিষ্যদ্বানী ও পৌরহিত্য:

কাহানা (পৌরহিত্য) হচ্ছে, ইলমে গায়েবের দাবী করা। যেমন জ্বিন-শয়তানদের সূত্রে প্রাপ্ত খবরের উপর ভিত্তি করে সত্বর পৃথিবীতে কি কি সংঘটিত হবে- মর্মে খবর পরিবেশন করা। এটি শিরক। কারণ এর মধ্যে গাইরুল্লাহর তাক্বাররুব বা নৈকট্য কামনা করা হয় এবং অদৃশ্যের জ্ঞান সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা’আলার অংশীদারিত্বের দাবি করা হয়।

عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : (( من أتى كاهنا أو عرّافا فصدقه بما يقول فقد كفر بما أنزل على محمد )) أخرجه أحمد والحاكم

‘প্রখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করছেন, নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ভবিষ্যৎবক্তা অথবা গণকের নিকট আসল এবং তার বর্ণনাকৃত বক্তব্যকে সত্য বলে স্বীকার করল সে মুহাম্মদের উপর নাযিলকৃত দ্বীন ও শরীয়ত কে অবিশ্বাস-অস্বীকার করল।’ [হাদীসটি বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে। বর্ণনায় আহমদ (হাদীস নং ৯৫৩৬) এ হাদীসের ভাষ্য তাঁরই। হাকেম হাদীস নং ১৫ দেখুন ইরওয়াউল গালীল-(২০০৬)]

(৭) জ্যোতিষি ও নক্ষত্ররাজীর মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বানী করা:

নক্ষত্ররাজীর অবস্থা ও অবস্থানের মাধ্যমে পৃথিবীতে সংঘটিতব্য বিষয়াবলী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা ও নির্দেশনা দেয়া। যেমন: ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাদল, রোগ-বালাই, শীত-গ্রীষ্ম ইত্যাদির আগমন, জলবায়ূর পরিবর্তন সম্প©র্র্ক আগাম খবর দেয়া। এসব শিরক, কেননা এতে অদৃশ্যের জ্ঞান ও বিশ্ব পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে শরীকের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

(৮) নক্ষত্ররাজী দ্বারা বৃষ্টি প্রার্থনা:

অর্থাৎ বৃষ্টিপাত কে নির্দিষ্ট নক্ষত্র উদয় বা অস্তের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা। যেমন এরূপ বলা ‘অমুক নক্ষত্রের কারণে আমরা বৃষ্টি পেয়েছি,। বৃষ্টি বর্ষণকে আল্লাহর দিকে সম্বন্ধযুক্ত না করে তারকার দিকে করা হল। আর এটিই শিরক, কারণ বৃষ্টি হওয়া-না হওয়া সব আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে কোন গ্রহ-নক্ষত্র বা এরূপ অন্য কিছুর নিয়ন্ত্রণে নয়।

(৯) নিয়ামতরাজীকে গাইরুল্লাহর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করা:

ইহকাল ও পরকালে মানুষ যত নিয়ামত ভোগ করছে বা করবে, সর্বপ্রকার নিয়ামত একমাত্র আল্লাহ তা’আলার দান। তিনিই অনুগ্রহ করে মানুষদের এগুলো দিয়েছেন। এখন যদি কেউ কোন একটি নেয়ামতকেও আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো দান বলে দাবি করে, তাহলে এটি হবে শিরক ও কুফর। যেমন কেউ আরোগ্য ও পানি প্রাপ্তিকে গাইরুল্লাহর দিকে সম্বন্ধযুক্ত করে বলল, আমি অমুকের কৃপায় আরোগ্য লাভ করেছি। অমুকের অনুগ্রহে পানি পেয়েছি। অথবা স্থল, জল বা আকাশ পথে নিরাপদে ভ্রমনের নিয়ামতকে যথাক্রমে ড্রাইভার, মাঝি বা বৈমানিকের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করে বলল, ড্রাইভার, মাঝি ও বৈমানিকের কল্যানে এ যাত্রায় নিরাপদে সফর শেষ করতে পেরেছি। অনুরূপভাবে দেশের শান্তি, শৃংখলা, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদিকে সরকার বা জনগনের চেষ্টা-পরিশ্রমের ফসল বলে বিশ্বাস করা এবং তাদের কৃতিত্ব বলে দাবি করা।

একজন মুসলমানের ঈমানের দাবি হচ্ছে দুনিয়ার যাবতীয় নিয়ামতরাজী একমাত্র আল্লাহ তা’আলার অনুগ্রহের ফসল। সবকিছু একমাত্র তাঁরই দান বলে স্বীকার করা এবং তাঁর কৃতজ্ঞতা স্বীকার ও শুকরিয়া আদায় করা।

আর মানুষসহ সৃষ্টির কাছে যা আছে তা হচ্ছে সামান্য উপকরণ মাত্র, এগুলো কখনো কখনো ফল দেয় আবার কখনো দেয়না, কখনো উপকারে আসে আবার কখনো আসে না।

আল্লাহ তা’আলা বলেন :

وَمَا بِكُمْ مِنْ نِعْمَةٍ فَمِنَ اللَّهِ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ الضُّرُّ فَإِلَيْهِ تَجْأَرُونَ ﴿53﴾

‘তোমাদের কাছে যে সমস্ত নিয়ামত আছে, তা আল্লাহরই পক্ষ থেকে। অতঃপর তোমরা যখন দুঃখে কষ্টে পতিত হও তখন তাঁরই নিকট কান্নাকাটি কর তাকেই ব্যাকুল ভাবে ডাকা-ডাকি কর।’ [সূরা নাহল: ৫৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন