hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুখতাসারুল ফিক্হিল ইসলামী

লেখকঃ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম বিন আব্দুল্লাহ আত্ তুয়াইজিরী

২- তাওহীদের প্রকারভেদ
সকল নবী-রাসূল মানুষদের যে তাওহীদের প্রতি দাওয়াত দিয়েছেন এবং যে তাওহীদ বিষয়ে সকল ঐশী গ্রন্থ অবতীর্ণ হয়েছে সেটি দু’ভাগে বিভক্ত।

প্রথমঃ

আল্লাহকে জানা ও মানার ক্ষেত্রে তাঁর একত্ববাদ। এটাকে তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ ওয়াস সিফাত বলা যায়। অর্থ্যাৎ প্রভূত্ব, নাম ও গুণাবলির ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ।

এ একত্ববাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বকে প্রমাণ করা হয় এবং তাঁর নাম, সিফাত এবং কর্মাবলীর ক্ষেত্রে তাঁকে এক ও অদ্বিতীয় বলে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।

বিষয়টিকে বিশ্লেষণ করলে এভাবে বলা যায়। বান্দা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে এবং স্বীকৃতি দেবে যে এককভাবে আল্লাহ তা‘আলাই এ নিখিল বিশ্বের স্রষ্টা, মালিক এবং পালনকর্তা। তিনিই একে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি স্বীয় সত্ত্বা, নাম, গুণাবলি ও কর্মের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ। তিনি সর্বজ্ঞ, সবকিছু পরিবেষ্টন ও নিয়ন্ত্রণকারী। রাজত্ব তাঁরই হাতে। সকল কিছুর উপর পূর্ণ ক্ষমতাবান। তাঁর রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম ও সুমহান গুণাবলি।

لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ

‘কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’ [সূরা আশ-শুরা-১১]

দ্বিতীয়ঃ কর্ম ও উপাসনা-প্রার্থনার ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ

একে তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ ওয়াল ইবাদাহ বলা হয়। অর্থাৎ যাবতীয় ইবাদত-উপাসনা যেমন: দো‘আ , সালাত, ভয়, আশা ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলাকে এক বলে বিশ্বাস করা, মেনে নেয়া এবং সকল প্রকার ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্যই নিরংকুশ করা।

একটু বিশ্লেষণে গিয়ে আমরা এভাবে বলতে পারি, বান্দাকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ও স্বীকার করা যে, একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই এককভাবে সমস্ত সৃষ্টির ইবাদত-উপাসনার অধিকার সংরক্ষণ করেন। সকল মাখলূকের উপাস্য হওয়ার অধিকার একমাত্র তাঁরই। তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত, তিনি ভিন্ন অন্য কেউ এ অধিকার রাখে না বরং কেউ উপযুক্তও নয়। সুতরাং দো‘আ, সালাত, সাহায্য প্রার্থনা, তাওয়াক্কুল, ভয়, আশা, যবেহ ও মান্নতসহ যাবতীয় ইবাদতের যে কোন একটি ইবাদতও আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে সম্পাদন ও নিবেদন করা যাবে না। যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মাত্র ইবাদতও সম্পাদন-নিবেদন করবে শরীয়তের দৃষ্টিতে সে কাফের ও মুশরকি বলে বিবেচিত হবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা এরশাদ করেন:

وَمَنْ يَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آَخَرَ لَا بُرْهَانَ لَهُ بِهِ فَإِنَّمَا حِسَابُهُ عِنْدَ رَبِّهِ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الْكَافِرُونَ

‘আর যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার কোন সনদ নেই। তার হিসাব তার পালনকর্তার নিকট। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।’ [সূরা আল-মুমিনুন : ১১৭।]

এই তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ কে-ই অধিকাংশ মানুষ অস্বীকার করেছে। আর তাই আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য নবী-রাসূল মানুষদের নিকট প্রেরণ করেছেন। তাঁরা এসে তাদেরকে এক আল্লাহর ইবাদত এবং তিনি ভিন্ন অন্যদের উপাসনা-বন্দনা পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

(১) এরশাদ হচ্ছে:

وَمَا أَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ مِنْ رَسُولٍ إِلَّا نُوحِي إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدُونِ

‘আপনার পূর্বে আমি যে রাসূলই পাঠিয়েছি তাঁকে এ প্রত্যাদেশই প্রেরণ করেছি যে, আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই। সুতরাং একমাত্র আমারই ইবাদত কর।’ [সূরা আম্বিয়া: ২৫।]

(২) আরো এরশাদ হচ্ছে:

وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ

‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এ মর্মে যে তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে দূরে থাক।’ [সূরা নাহল : ৩৬]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন